#Demon_King#
পর্ব:৭৮
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
.
(একাডেমি)
একাডেমি মধ্যে ছেলে মেয়েদের মধ্যে কথা হচ্ছে,
-->> আমি শুনেছি আমাদের প্রিন্স নাকি কিছু আউটসাইডার দের সাথে একটা মিশনে গিয়েছে। এটা কি সত্য?
-->> হ্যাঁ সেই টিমে তো কিছু রয়েছে যাদের নোবেল টাইটেলও নেই।
-->> আমি বুঝি না প্রিন্স এভাবে কেনো আউটসাইডারদের সাথে পরিচিত হচ্ছে।
-->> নোবেলদের সাথে মিশলেও একটা কথা ছিলো। কমনারদের সাথে মিশে তার কোন লাভটা হবে?
-->> এটা ঠিক যে সে একজন ক্রাউন প্রিন্স। এবং ভবিষ্যতে বর্তমান কিং এর পরে সেই এই কিংডমের কিং হবে। তবে তার কি আমাদের ব্লু কিংডমের নোবেল ছেলে মেয়েদের সাথে থাকা উচিত না?
-->> প্রিন্স হয়তো বুঝতে পারছে না। তবে তার কিং হওয়ার পরে আমরাই থাকবো তার পাশে, আর এসব কমনার আর আউটসাইডারদের তো তখন দেখায় যাবে না।
-->> শুধু একাডেমিতে ফাইটের কোনো নিয়ম নেই। নাহলে তো আমি সেই কমনার আউটসাইডারদের কখন মেরে হাড্ডি বানিয়ে ফেলতাম।
একাডেমির মধ্যে এক এক জনের এক এক রকম মতবাদ শোনা যাচ্ছে। তাদের সবার মতবাদই ছিলো প্রিন্স হ্যারিকে নিয়ে। যেহেতু সে একজন প্রিন্স তাই তার কিংডমের মানুষেরা চাই না অন্য কোনো কিংডমের মানুষের সাথে সময় কাটাক সে। এটা নিয়ে অনেকের মনে হিংসে এবং রাগ তৈরী হচ্ছে।
একাডেমির প্রিন্সিপাল অফিসের মধ্যে দুজন ব্যক্তি বসে আছে। একজন সয়ং ব্লু কিংডম এর একাডেমির প্রিন্সিপাল এবং অন্য একটা মেয়ে। যে প্রিন্সিপালের সামনে বসে চা পান করে যাচ্ছে।
-->> মিও তুমি চেয়েছিলে একজন শিক্ষক হতে টাওয়ারের বাইরে একটা শাখার মধ্যে, যেটা পূর্ণ করেছি এখন তুমি চাচ্ছো একাডেমির মধ্যে স্টুডেন্ট হয়ে ঢুকতে, এটা কি একটু বেশী আবদার হয়ে যায় না? (প্রিন্সিপাল)
-->> সেটা হতে যাবে কেনো? এটা তো ছোট একটা রিকুয়েষ্টই যা পূর্ণ করতে তোমার বেশী সময় লাগবে না, ফাদার। (মিও)
-->> আমি বলেছি এটা আমাকে না বলতে। (প্রিন্সিপাল)
-->> কেনো ফাদারকে ফাদার বলবো না তাহলে কি বাবা বলবো? (মিও)
-->> আমি মজা করছি না তোমার সাথে। তোমার মতামত গুলোকে আমি আর প্রাধান্য দিতে পারছি না। এখন থেকে আমি যা বলবো তোমাকে সেটায় শুনতে এবং করতে হবে। (প্রিন্সিপাল)
-->> ঠিক আছে আমি এখানের স্টুডেন্ট হয়ে প্রবেশ করার পর থেকে আপনার সকল কথা শুনবো। (মিও)
মিও তার বাবা মানে ব্লু কিংডমের একাডেমির প্রিন্সিপালের কথা বলছিলো। পূর্বে সে এখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলো তবে তার পাওয়ার অনুযায়ী কোনো শিক্ষকই ছিলো না যে তাকে শিক্ষা দিবে। তাই বাবার থেকে আবদার করার মাধ্যমে সে টাওয়ারের বাইরে একটা একাডেমির শাখার শিক্ষক পদে নিযুক্ত হয়। যেখানে তার বয়স কম থাকা সত্ত্বেও ম্যাজিকের বিষয়ে অধিক ধারনা থাকার ফলে নিজের বয়সকে অন্যদের থেকে লুকিয়ে প্রিন্সিপালের পদ পালন করে আসছিলো সে। তবে আজকে সে সেখান থেকে তার প্রিন্সিপাল পদ ছেড়ে দিয়ে তার বাবার কাছে এসেছে তার একাডেমিতে ভর্তি করার জন্য। এর পিছনে কারন আছে কিনা সেটা তার বাবা জানে না। তবে একমাত্র মেয়ের আশা পূর্ণ না করেও সে পারে না। আবার মুখে মুখে মেয়েকে মাথায় তুলেও রাখতে চাই না। তাই তো সবটা সময় কঠিন ব্যবহার করার চেষ্টা করে মিও এর সামনে। মিও এর কাজ শেষ হয়ে গেলে সে তার বাবার অফিস থেকে বের হলো এবং নিজের গলার নেকলেসের হাত দিয়ে সেটা দেখতে শুরু করলো।
-->> আরো ডার্ক এনার্জি হলেই আমি এই লো প্লেস থেকে মুক্ত হতে পারবো। আর এজন্য আমাকে এলেক্সকে খুজতে হবে। (মিও)
মিও কথাটা বলা শেষ করে নেকলেসটা তার জামার ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়ে হাটতে শুরু করলো।
* * * * *
(সিকরেট কিংডম)
দুপুরের সময়ে, কিংডমের সকল কাজ করার পরে মারিয়া খুব ক্লান্ত। তার ক্লান্তি দূর করার জন্য এলমন্ড তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলো। আয়নার সামনে বসে মারিয়া একটা বই হাতে নিয়ে মনোযোগ সহকারে দেখছিলো এবং গুন গুন করে গান গাচ্ছিলো। তাদের দুজনকে দেখলে মনেই হবে তাদের মতো সুখী কোনো দম্পতি হতে পারে না। যে দম্পতি দশটা বছর ছেলে হারানো কষ্ট দূর করার জন্য সব কিছু থেকে নিজেদের দূরে রেখেছিলো তাদের মুখে আজ হাসির শেষ নেই। দুজনেই আয়নায় মাঝে মাঝে একে অপরকে দেখছে এবং মুচকি হাসছে।
-->> আমাদের এলেক্সের অনেক পছন্দের বই ছিলো এটা, মনে আছে তোমার? (মারিয়া)
-->> "কিল দ্যা ড্রাগন"। আমার এখনো মনে আছে এলেক্স প্রতি রাতে এটা একবার পড়ে না শোনালে ঘুমাতো না। (এলমন্ড)
-->> তোমার কি মনে হয় এলেক্স এখনো এটা পড়তে পছন্দ করবে? (মারিয়া)
-->> তুমি পড়ে শোনালে অবশ্যই পড়বে। কারন গল্পটার হিরো তার বাবা নিজে। এলেক্সের কি ভালো না লেগে পারে নাকি? (এলমন্ড)
-->> তোমার অতীতের কথা জিজ্ঞাসা করলেই তো তুমি কথার সাবজেক্ট চেঞ্জ করে ফেলো। আজকে একটা কথা বলো তো আমাকে। (মারিয়া)
-->> কিরকম কথা? (এলমন্ড)
-->> এই যে বইয়ের লেখা ড্রাগন এরা কি সত্যিই এক সেকেন্ডে আমাদের ওয়ার্ল্ড ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে? (মারিয়া)
-->> এরা শুধু একটা ওয়ার্ল্ড নয় বরং এক সাথে কয়েকটা ইউনিভার্স ধ্বংস করে দিতে পারে তাদের মাত্র একটা চিন্তার মাধ্যমেই। (এলমন্ড)
-->> আর তুমি এসব বিয়িং দের সাথে ফাইট করে বেঁচে আছো? (মারিয়া)
যেহেতু এলমন্ডের কাছে মাইন্ড রিডিং এবিলিটি রয়েছে তাই সে মারিয়ার ভাবনাকে শুনতে পারলো। মারিয়া এলমন্ডের কাহিনীকে মিথ্যা মনে না, বরং সে চিন্তা করছে নিজের ক্ষতি ছাড়া হয়তো ড্রাগনদের সাথে ফাইট করতে পারে নি এলমন্ড।
-->> তোমাকে একটা কাহিনী শোনায় আমি। এতে করে তোমার সকল চিন্তা চলে যাবে। এই পুরো ওয়ার্ল্ড এবং যা কিছু আমরা দেখতে পারছি না সবই তৈরী হয়েছে কেয়স থেকে। আর এই কেয়স থেকেই তৈরী হয়েছিলো কিছু বিয়িং এর। যাদেরকে আমরা প্রিমোর্ডিয়াল গড বা গডেস বলে থাকি। এক সময়ে এরা ক্ষমতার সবচেয়ে উচু পর্যায়ে ছিলো। এজগার্ড, অলিম্পাস, হ্যাভেন, আন্ডারওয়ার্ল্ড, ড্রাগোনিয়া এমনকি ডিম্যান ওয়ার্ল্ড সবই কেয়স থেকে তৈরী হয়েছিলো। কেয়সের কোনো আকার না থাকায় সে এগুলো মধ্যে রাজ করতে পারে নি। তাই তো তার থেকে তৈরী কৃত সকল বস্তুর উপরে রাজ করার দায়িত্ব তার প্রথম ক্রিয়েশনের উপরে চলে যায়। প্রিমোর্ডিয়াল বিয়িংরা ওয়ার্ল্ডকে নিজের মতো সাজানোর চেষ্টা করে। তবে সবাই কিছু না কিছু অংশে ভুল করেছেই। অধিক পাওয়ার যেটা কোনো কিছু সৃষ্টি বা ধ্বংস করতে পারে এরকম পাওয়ার থাকায় সব প্রিমোর্ডিয়াল বিয়িং ভুল করেছে। কেয়স থেকে মাত্র একটা ওয়ার্ল্ডের তৈরী হয়েছিলো যেখানে সব কিছুই ছিলো। তবে প্রিমোর্ডিয়াল বিয়িং দের পর্যায়ক্রমে ভুলের কারনে সেই একটা ওয়ার্ল্ড থেকে হাজারো হাজারো ওয়ার্ল্ডের তৈরী হয়। প্রিমোর্ডিয়াল বিয়িং রা তাদের ভুলকে বুঝতে পারে তবে ততক্ষনে অনে দেরী হয়ে গিয়েছিলো, তারা হাজারো ওয়ার্ল্ড বানিয়ে ফেলেছিলো তাদের ভুলের কারনে, তাইতো তারা আর পরিবেশের উপরে নিজেদের অস্তিত্বকে বজায় রাখে না। সকল প্রিমোর্ডিয়াল বিয়িং হাতে হাত রেখে বসে থাকলেও দুজন বসে থাকতে রাজি ছিলো না। সকল প্রিমোর্ডিয়াল বিয়িং এর ভুল ঠিক করার জন্য কেয়সের কাছ থেকে সাহায্য প্রার্থনা করে দুজন প্রিমোর্ডিয়াল বিয়িং। কয়েস তাদেরকে সাহায্য করে এবং অসীম শক্তির অধিকারী বানিয়ে দেই। আর তখন থেকেই দুজন সুপ্রিম গড কেয়সের সাহায্যে তৈরী করে একটা বিশাল অদৃশ্যমান টাওয়ার। যার মধ্যে হাজারো হাজারো নিয়ম যুক্ত করে যার কারনে তাদের মতো ভুল যেনো আর কেউ করতে না পারে। (এলমন্ড)
এলমন্ড পুরো কথাটা একটানে বললো। একটু থেমে নিলো এবং আবারো শুরু করতে লাগলো সে,
-->> এই প্রিমোর্ডিয়াল বিয়িং এর মধ্যে দুটো সুপ্রিম ড্রাগন গডও ছিলো। যাদের থেকে জন্ম হয় সত্তরটা ট্রু ড্রাগনের। প্রিমোর্ডিয়াল গড দুটোকে নিয়ে মোট ট্রু ড্রাগনের সংখ্যা ৭২ টি। ট্রু ড্রাগন গুলো এতোটা শক্তিশালী যে এক সময়ে সকল প্রিমোর্ডিয়াল গডই তাদেরকে ভয় করতো। তবে কেয়সের থেকে সাহায্য পাওয়ার পর দুজন প্রিমোর্ডিয়াল গড যখন সুপ্রিম রুলারের জায়গা দখল করে নেই তখন বাকি সবার মতো ড্রাগনদের ক্ষমতার মধ্যেও লিমিট দেখা দিতে থাকে। তারপরও ৭২ টা ট্রু ড্রাগনের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল ড্রাগন চাইলেই এই ওয়ার্ল্ডটাকে তার ম্যাজিক এনার্জি দিয়েই ধ্বংস করে দিতে পারবে। তবে বর্তমানে ৭০ টা ট্রু ড্রাগন রয়েছে আমার যতদূর মনে হয়। ড্রাগনরা সব স্পিসিজদের থেকে উন্নত হওয়ার কারনে তারা নিচু স্পিসিজদের সাথে থাকতে পছন্দ করে না। তাই সব সময়ে লোক নজরের বাইরে সময় কাটাতে তারা পছন্দ করে। তারপরও তাদেরকে হত্যা করার জন্য অনেকেই ঘুরপাক খেয়ে থাকে। আর এই বইয়ের কাহিনী অনুযায়ী ৭২ ড্রাগনের মধ্যে একটাকে হত্যা করা ব্যক্তিটায় আমি। (এলমন্ড)
এলমন্ড আর কিছু বললো না। মারিয়াও আর কিছু শুনতে চাচ্ছিলো না। সে অনেক কিছুই শুনেছে, আর এই বিষয় গুলো নিয়ে রিসার্চ করতে তার অনেকটা সময় লাগবে। ইউনিভার্সের সৃষ্টি এবং তার সকল রহস্য আসলেই অনেক অবাক করার বিষয়।
[নোটঃ এই সবই কাল্পনিক ছাড়া কিছুই নয়।]
* * * * *
(E র্যাংক ড্যানজন)
এলেক্সের টিম যখন মিশনটা পেয়েছিলো তখন তাতে তেমন কিছু লেখা ছিলো না। শুধু সেটাকে ক্লিয়ার করতে বলা হয়েছে এবং বস রুমে থাকা একটা ট্রেজার বক্স নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মিশনের নামে ড্যানজনের কোনো সংকেত দেওয়া নেই যে এলেক্সরা বুঝবে সেটা কোন মনস্টারের ড্যানজন। ড্যানজনটার মধ্যে সবাই তাদের উচ্চ আত্মবিশ্বাস নিয়ে প্রবেশ করেছিলো। তবে ভিতরে যে আনডেড থাকবে এটা কেউ আশা করে নি। প্রায় শত স্ক্যালেটন ছিলো ড্যানজনের গেইটের একটি সামনেই। যা দেখার সাথে সাথেই টিমের প্রায় সকল সদস্য ভয় পেয়ে গেলো। পূর্বে কখনো ভালো করে হাড্ডি সেনা না দেখার কারনে তারা মনে মনে অনেক ভয় পেয়েছে। মাইরা, এবা, জেবা, এনরি, স্নেরা, ডুফেস, জেয়াব এমনকি প্রিন্স হ্যারিও। এই প্রথম তাদের সাথে হাড্ডি বাহিনী এর দেখা হওয়ার ফলে ভয় না পেয়ে যাবে কোথায়। যদিও স্ক্যালেটন সম্পর্কে সবাই কম হলেও জানে, তারপরও দেখতে অনেক ভয়ঙ্কর সেগুলো। এলেক্সের আবার স্ক্যালেটন দেখলে মনের মধ্যে রাগ তৈরী হয়। সে তার ইনভেন্টরি থেকে তার মুন ড্যাগারটা বের করলো এবং সেটা নিয়ে সকল আনডেডকে কাটতে শুরু করলো। এলিন নিজেও ফাইট করতে যাচ্ছিলো তবে সে এলেক্সের হাতের ড্যাগারটা দেখে থমকে দাঁড়ালো।
"মাস্টার ঔটা মুন ড্যাগার। ডেড জিনিসের উপরে খুব ভালো কাজ করে সেটা।" (হেল ফায়ার ফিনিক্স এলিনকে কথাটা বললো)
এলিন ভেবে পাচ্ছে না হঠাৎ এলেক্সের কাছে এই আইটেম টা কিভাবে আসলো,
"তাহলে কি এলেক্স সেই ব্যক্তিকে হত্যা করেছে?" (এলিন)
"এটা পসিবল হতে পারে। আমার ব্লেসিং এর জন্য কিছুটা হলেও আমি বুঝতে পারছি তাকে। আর আমার মনে হয় এখন সে অনেকটাই শক্তিশালী সেই আইটেমটা নিজের করার জন্য।" (ফিনিক্স)
"তাহলে কি এলেক্সই বিলজবাব হয়ে যাবে?" (এলিন)
"এটা শুধু আমার ধারনা। তবে এখনো এলেক্স তৈরী না। এখনো দুটো আইটেম রয়েছে যাদের হোস্ট অনেকটা শক্তিশালী, আমি এখান থেকে তাদের এনার্জি অনুভব করতে পারছি।" (ফিনিক্স)
ফিনিক্স এবং এলিনের মধ্যে ট্যালিপ্যাথিক কথা বার্তা হচ্ছে। তাই অন্যরা কেউই তাদের কথা বার্তা শুনতে পারলো না। বাকিরা সবাই এলেক্সের দিকে তাকিয়ে আছে। এমন নয় যে তার ফাইট করতে চাচ্ছিলো না, যদিও স্ক্যালেটন গুলো দেখতে ভয়ঙ্কর তবে সেগুলো তেমন শক্তিশালী নয়। তাই তারা একটু সময় নিচ্ছিলো নিজেদেরকে তৈরী করার জন্য। তবে এমন সময়েই এলেক্স তার কিল কাউন্ট শুরু করেছে। সে তার হাতের মুন ড্যাগার দিয়ে প্রতি এট্যাকে একটা করে স্ক্যালেটনের মাথা কেটে ফেলছে। এলেক্সের স্পিড এবং এট্যাক পাওয়ার দেখতে পেয়ে সবাই অবাক হয়ে গিয়েছে।
-->> এলেক্স কি এখন ফায়ার আর ডার্ক ম্যাজ না? (এনরি)
-->> হ্যাঁ, ছিলো তো। (ডুফেস)
-->> তাহলে আমার কেনো মনে হচ্ছে সে একজন অউরা ইউজার। এতো দ্রুত মুভমেন্ট স্পিড এবং সেই সাথে তার এট্যাক পাওয়ার। এটা তো একটা ম্যাজের হতে পারে না। (এনরি)
"ফায়ার বল"
এলেক্স তখনি একটা স্ক্যালেটনের উপরে তার ফায়ার বল মারলো, যা একসাথে সেখানে থাকা সবগুলো স্ক্যালেটনকেই হত্যা করে ফেললো।
-->> না ও একজন ম্যাজই। (স্নেরা)
-->> আমি জানি সবাই অবাক হচ্ছেন। বিলিভ মি আমিও প্রথম দিন অবাক হয়েছিলাম। (হ্যারি)
সবাই হা করে তাকিয়ে ছিলো। এলেক্স স্ক্যালেটন গুলোকে হত্যা করার পরে তার টিম মেম্বারদের কাছে চলে আসলো,
-->> এভাবে না দাঁড়িয়ে থেকে আমাদের ভিতরে যাওয়া উচিত। আমার মনে হয় না সামনে আর কোনো মনস্টার দেখতে পাবো। (এলেক্স)
এলেক্স তার এই পর্যন্ত ক্লিয়ার করা ড্যানজন গুলোর অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারছে যে সামনে আর কোনো মনস্টার নেই বস বাদে। যেহেতু বেশীরভাগ মনস্টার গেইটের সামনে ছিলো তাই এলেক্স এটা অনুমান করতে পারছে সামনে আর কোনো মনস্টার নেই। এলেক্সের বিচারে আসলেই সবাই অবাক হয়েছে। তারা বুঝতেই পারছে না যে এটা সেই এলেক্স নাকি যে তাদের সাথে ডিমনিক ফরেস্টে ছিলো।
-->> সব কিছু তাহলে চেঞ্জ হয়ে গিয়েছে। আমি তো ভেবেছিলাম এলেক্সকে কিছু শেখাবো, কিন্তু আমার মনে হচ্ছে ওর থেকেই আমার শিখতে হবে কিছু। (ডুফেস)
-->> এতো কম সময়ে এতো ভালো করে ফাইট করতে শিখলে কেমন করে এলেক্স? (মাইরা)
-->>আমার মনে হয় তুমি ডিমনিক ফরেস্টের পরের সময়টা নিজের ট্রেনিং এ ব্যায় করেছো, ঠিক না? (স্নেরা)
-->> আমি একটা জিনিস বুঝতে পারি না। তুমি একজন মানা ইউজার হয়ে অউরা ইউজারের থেকেও ভালো করে সোর্ড নিয়ে ফাইট করো। এটা কিভাবে? (হ্যারি)
হ্যারি সবার মনের প্রশ্নটাই করেছে। এটাই সবাই জিজ্ঞাসা করতে চাচ্ছিলো। সাধারণত মানা ইউজাররা তাদের এনার্জি দিয়ে সোর্ড ব্যবহার করতে পারে তবে সেটা অউরা ইউজারদের কাছেও যেতে পারে না। আবার মানা ইউজারদের ট্রেনিং এর ফলে তাদের ম্যাজিক পাওয়ারই বৃদ্ধি পায়, কোনো ভাবে স্পিড কিংবা স্ট্রেন্থ বৃদ্ধি পায় না। তাই সবাই এলেক্সের সিকরেট জানার জন্য অধীর আগ্রহে বসে আছে।
-->> আমার বাবা একজন হান্টার। আর তিনি একজন অউরা ইউজারও। সে চাচ্ছিলো আমিও একজন অউরা ইউজার হবো। তাই আমার এনার্জি টেস্টের পূর্ব থেকেই সে আমাকে তার স্পেশাল ট্রেনিং দিয়েছে। (এলেক্স)
এলেক্স সত্যটায় বললো। যদিও সেটাকে এলেক্সের ভাষায় স্পেশাল বলা যায় না। তারপরও এলমন্ড সেটাকে তার স্পেশাল ট্রেনিং নাম দিয়েছিলো। এলেক্সের বাবা একজন হান্টার এটা জানতে পেরে সবাই অনেকটা অবাক হলো। বিশেষ করে হ্যারি অনেকটা বেশী অবাক হলো। তার নিজেরও একজন হান্টার হওয়ার স্বপ্ন ছিলো। সাধারন প্রিন্স থাকলে হয়তো সেটার সুযোগ সে পেতো। তবে একজন ক্রাউন প্রিন্স হওয়ার ফলে এই সুযোগ আর সে পাবে না। তাই এলেক্সের বাবা একজন হান্টার এটা শোনার পর সে কিছুটা আগ্রহী হলো একজন হান্টারের জীবন কেমন সেটা জানার জন্য।
-->> ওয়াও এলেক্স তুমি তো এই ব্যাপারে পূর্বে কিছু বলো নি যে তোমার বাবা একজন হান্টার। (ডুফেস)
-->> কেনো এটা স্বাভাবিক না? (এলেক্স)
সবাই পূর্ব থেকে জানতো এলেক্স আর পাঁচটা কমনারদের মতো নয়। তবে এটা আশা করে নি যে একজন হান্টারের সন্তান হবে। যদিও কমনাররা তেমন সম্মান পায় না, তবে একজন হান্টার হলে আবার অন্য কথা। যদি F থেকে C র্যাংকের হান্টারদের সাধারন ব্যক্তি হিসেবেই দেখা হয় তারপরও একজন কমনারের থেকেও তারা ভালো সম্মান পেয়ে থাকে। আবার অন্য দিকে একজন B র্যাংকের হান্টার হলে ছোট নোবেল পরিবারের সদস্যদের মতোই সম্মান পাওয়া যায়। সেই সাথে যে কেউ A র্যাংক হান্টার হয়ে থাকে তাহলে একটা ভালো মিডিয়াম কোয়ালিটির নোবেল পরিবারের সদস্যদের মতো সম্মান এবং মর্যাদা সে পেয়ে থাকে। আর একজন S র্যাংক হান্টার হলে সে অনেকটা উন্নতমানের নোবেল পরিবারের সদস্যদের মতো সম্মান এবং মর্যাদা পেয়ে থাকে। তাই সকল কমনারই একাডেমিতে ঢুকতে না পারলে হান্টার লাইসেন্সেস জন্য আবেদন করে। যদিও হান্টার হলে সম্মান এবং মর্যাদা পাওয়া যায় তারপরও আসল নোবেল টাইটেল পাওয়া যায় না। আবার অন্যদিকে একাডেমি থেকে S র্যাংক প্রাপ্ত হওয়ার পর সবাই একটা টেস্টের মাধ্যমে নোবেল টাইটেল পাওয়ার অধিকার রাখে।
-->> না এলেক্স এটা মোটেও স্বাভাবিক নয়। একজন হান্টারের ছেলের জীবন কেমন হতে পারে এটা আমরা জানি। আমি তো তোমার জন্য অনেক দুঃখ পাচ্ছি এলেক্স। (ডুফেসের)
-->> ডুফেসের কি হলো হঠাৎ? (এলেক্স)
ডুফেস কথাটা বলে কান্না অভিনয় করে হাত দিয়ে চোখ মুছতে লাগলো। সে তার বেদনাকে প্রকাশ করতে লাগলো এভাবে।
-->> ওর বড় ভাই একজন B র্যাংক হান্টার। আর এজন্য অনেক কড়া ট্রেনিং করে থাকে তার র্যাংক বারানোর জন্য। আর মাঝে মধ্যে সেই ট্রেনিং এর মধ্যে ডুফেসকেও যুক্ত করে এবং তার আলু ভর্তা বানায়। (জেয়াব)
জেয়াবের কথা শোনার পর সবাই হেসে দিলো। হাসার মতোই কথা ছিলো সেটা।
-->> তোমার বাবা কোন র্যাংকের হান্টার? (মাইরা)
সবাই আবারে সিরিয়াস মুডে চলে আসলো। তারা হেটে এগিয়ে এসেছে বস রুমের দিকে। তখনি মাইরা তার কৌতূহল জাগা প্রশ্নটা করলো। এলেক্স স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্নটার উত্তর দিলো।
-->> S র্যাংক। (এলেক্স)
সবাই আবারো একবার অবাক হয়ে গেলো। অবাক না হয়ে পারবে কিভাবে তার বাবা যে একজন S র্যাংক হান্টার আর এটা সে খুব স্বাভাবিক ভাবে বলছে। বেশীরভাগ হান্টারদের ছেলে মেয়েরা তাদের বাবা কিংবা পরিবারের সদস্য হান্টার হলে তাদের নিয়ে অনেক গর্ব করে থাকে। তবে সেখানে এলেক্সের মাঝে এরকম কিছু নেই। সবার অবাক ভাবটা বেশীক্ষন থাকলো না। ড্যানজনে আসার পর থেকেই সবাই এলেক্সকে অন্যরকম একটা নজরে দেখছিলো তবে এখন তাদের দৃষ্টি ভঙ্গি সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। যদিও এলেক্সের কমনার স্ট্যাটাসের বিষয়ে তারা কখনো নজর দেই নি বা সেটা নিয়ে কোনো চিন্তা করে না, তবে এখন এলেক্সকে সবাই একটা নোবেলের মতোই দেখবে।
-->> আমরা বস রুমের সামনে চলে আসছি। সবাই রেডি হয়ে যাও। (মাইরা)
সবটা ফাইট একটু পূর্বে এলেক্স করেছে। একটা টিম হিসেবে তাদের ফর্মেশন ভুল ছিলো। তাই তো তারা সবাই একসাথে প্রস্তুতি নিচ্ছিলো ফাইটের জন্য। সবাই বস রুমের মধ্যে প্রবেশ করলো। যেখানে বস ছিলো একটা স্ক্যালেটন ওগ্রে মনস্টার। যার উচ্চতা সাধারণ স্ক্যালেটন মনস্টার গুলো থেকে দ্বিগুন এবং তাদের থেকে প্রায় চারগুন বেশী মোটা। মাইরা টিম লিডার হওয়ার ফলে সবাইকে কমান্ড দিতে লাগলো,
-->> হ্যারি, ডুফেস এবং জেয়াব তোমরা তিনজন বস মনস্টারকে চারিদিক দিয়ে ঘিরে ধরো। আমি আমার লাইট স্পেল "ফ্লাশ" ব্যবহার করে এটাকে কনফিউশানে ফেলে দিচ্ছি। সেই সময়ে এবা এবং জেবা তোমাদের "প্লান্ট রেসট্রেইন" স্পেল দিয়ে বসের মুভমেন্টকে বন্ধ করে দাও। এরপর আমি, এলিন এবং এলেক্স আমাদের তিনজনের ফায়ার স্পেল "ফায়ার বল" দিয়ে বসকে আক্রমন করবো। এবং সবশেষে হ্যারি, ডুফেস এবং জেয়াব তোমরা তিনজন তোমাদের কিলিং ব্লো দিবে। এনরি এবং স্নেরা তোমরা সবার পিছে থেকে আমাদের উপরে হিলিং স্পেল এবং সাপোর্ট স্পেল গুলো ব্যবহার করবে। (মাইরা)
মাইরা তার স্ট্র্যাটেজিকে খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে দিলো। যা সবারই পছন্দ হলো। বিশেষ করে হ্যারি মাইরার দিকে হা করে তাকিয়ে ছিলো। সে একজন প্রিন্স হওয়ার ফলে অনেক মেয়েই দেখেছে যারা তার সাথে কথা বলার জন্য পাগল। তবে কোনো মেয়ের সাথেই নিজ থেকে হ্যারির কথা বলার ইচ্ছা জাগে নি। তবে আজ মাইরা সাথে হাজারো কথা বলার ইচ্ছা জাগছে তার মনে। তবে এটা হয়তো ভালো কোনো জায়গা নয়।
-->> তাহলে আমাদের আইটেম গুলো টেস্ট করার সময় হয়ে গিয়েছে। (ডুফেস)
ডুফেসের কথা শুনে এলেক্স তাকালো। সবার হাতেই কোনো না কোনো আইটেম রয়েছে। জেয়াব এবং ডুফেসের হাতে একটা করে গ্রেট সোর্ড রয়েছে যা দেখলেই বোঝা যাচ্ছে অনেক উন্নত র্যাংকের সেগুলো। হয়তো B র্যাংকের হবে সেগুলো। মাইরা এবং এলিনের হাতে স্টাফ রয়েছে যা আসলেই মারাত্মক, বিশেষ করে এলিনের জন্য। সেই সাথে এনরি এবং স্নেরার হাতে দুটো বই রয়েছে যেগুলোও ম্যাজিকাল আইটেম। সব মিলিয়ে পুরো টিমই টেস্ট ফ্লোর ক্লিয়ার করার কারনে একটা করে কার্ড পেয়েছে। এলেক্স নিজেও তার লাল কার্ডটা পেলে হয়তো লিজেন্ডারি কোনো আইটেম নিতে পারতো যার র্যাংক Aকিংবা তার উপরে থাকতো, তবে সেটা তাকে তেমন কোনো সাহায্য করতো না।
"এই টাওয়ারে অনেক আইটেমই রয়েছে। তবে সবই ফেইক বা রেপ্লিকা। তাইতো এগুলো আমার কোনো কাজেই দিবে না। বরং আমার কাছে যেগুলো আছে সেগুলোই যথেষ্ট।" (এলেক্স ভাবছে)
মাইরার প্লান অনুযায়ী সবাই তাদের কাজ শুরু করলো। এলেক্স যদিও চাচ্ছিলো বস ফাইটটা তারাতাড়ি শেষ করে দিতে, তবে তার তাতে তেমন কোনো লাভ হতো না। পূর্বে তার রাগের ফলে সব গুলো স্ক্যালেটন হত্যা করার পর বুঝতে পারলো এগুলোতে তার নিজের লেভেল বৃদ্ধি পাবে না। তাই কষ্ট করে হত্যা করার মানেও হয় না। তবে যদি তাদের টিম মেম্বার গুলো সেগুলো হত্যা করে তাহলে তারা শক্তিশালী হবে এবং তাদের লেভেল বৃদ্ধি পাবে। তাইতো এলেক্স কোনো কিছু করছে না এখন। মাইরার কথায় হ্যারি, যে এতোক্ষন তার আইটেম গুলো গোপন রেখেছিলো সবার থেকে, মাত্র সেগুলো সবার সামনে তুলে ধরলো। পুরো শরীরে তার গোল্ডেন কালারের একটা আর্মার রয়েছে। যা দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো লিজেন্ডারি র্যাংকের। বিশাল একটা গ্রেট সোর্ড নিয়ে সে এগিয়ে গেলো বসের দিকে। ডুফেস এবং জেয়াব হ্যারির আইটেমে মুগ্ধ হওয়ার ফলে ধমকে দাঁড়ালো।
-->> সকল ইনসাইডার নোবেল গুলোই কি এতো বড়লোক? (ডুফেস)
ডুফেস এবং জেয়াবও বসের দিকে যেতে শুরু করলো। মাইরা তার লাইট স্পেল "ফ্লাশ" ব্যবহার করলো। যা থেকে বস মনস্টার তার ভিশন কিছু সময়ের জন্য হারালো। এই সময়ে এবা এবং জেবা তাদের "প্লান্ট রেসট্রেইন" স্পেল ব্যবহার করলো একত্রে। যার ফলে বসের পায়ের নিচ থেকে গাছের কান্ড বেয়ে উঠতে লাগলো তার শরীরে। বস মনস্টার ভিশন হারানোর পর এদিক সেদিক করতে ছিলো তবে এবা এবং জেবার স্পেলের ফলে কাটা যুক্ত ভাইনস তৈরী হয়েছে যা বস মনস্টারকে খুব শক্ত করে আটকে ধরে রাখছে। এই সময়ে যেকোনো ফায়ার স্পেল দ্বিগুন ডেমেজ দিবে। তাই তো এলিন এবং মাইরা তাদের ফায়ার বল ছুরলো। যদিও এলেক্সেরও দরকার ছিলো তবে এলেক্স জানে সে স্পেলটা ব্যবহার করলে এখানেই বস মনস্টার মারা যেতো। এলিনের আইস স্পেল গুলো মারাত্মক হলেও তার ফায়ার স্পেল তেমন আহামরি নয়। সেটা অন্যান্য সাধারণ ব্যক্তিদের মতোই শুধু মাত্র হেল ফায়ারের প্রজেস বাদে। এলেক্সের ইনফো স্কিল একটিভ থাকার ফলে সে দেখতে পেলো বস মনস্টারের আর মাত্র কিছু লাইফ বাকি ছিলো। যা শেষ করার জন্য ডুফেস, জেয়াব এবং হ্যারি রেডি ছিলো। সবাই মিলে ড্যানজনটা ক্লিয়ার করে ফেললো।
"আমি কেনো এক্সপি পেলাম না। যা আশা করেছিলাম তাই হলো।" (এলেক্স)
এলেক্স ড্যানজন ক্লিয়ার করার মিশনে যুক্ত থাকলেও তার এক্সপি পাওয়ার জন্য বসকে হত্যা তাকে করতে হবে। তার সিস্টেম অনুযায়ী বসের হত্যা করার ব্লো টা যদি এলেক্স দিতে তাহলে তার থেকে এক্সপি পয়েন্ট পেতো সে। যেহেতু কিছুই করে নি সে তাই বাইরের কম স্ক্যালেটন গুলোর এক্সপি নিয়েই তাকে খুশি থাকতে হবে।
"তারপরও খারাপ না। একটা পঁচাশি লেভেলের বস আর আমাকে কতটুকুই এক্সপি দিতো।" (এলেক্স ভাবছে)
সবাই খুশিতে একে অপরের সাথে কোলাকুলি করতে শুরু করলো। যদি মেয়েরা মেয়েরা এবং ছেলেরা ছেলেরা করছিলো কোলাকুলি। এটা এলেক্স এবং হ্যারি বাদে সবারই এবং তাদের টিমের প্রথম ড্যানজন মিশন ছিলো। তাই সকলে খুশিতে আত্মহারা হচ্ছে।
* * * * *
মিশনটা জমা দিয়ে খাবার খাওয়া শেষ করে ডোর্মে ফিরতে সবার রাত হয়ে গিয়েছে। ড্যানজন ক্লিয়ার করার পর বেশ কয়েকটা রিওয়ার্ড পেয়েছিলো যা বলতে গেলে তেমন কাজের ছিলো না। তারপরও সেগুলো টিমের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ করার পর ট্রেজার চেস্ট নিয়ে সবাই তাদের প্রথম ড্যানজনের মিশন শেষ করে। যা পাবলিক রেকর্ডের মধ্যে চলে গিয়েছে। আপাতোতো সবাই ক্লান্ত। যার কারনে বিছানায় শরীর দেওয়ার কিছুক্ষনের মধ্যেই সবার ঘুম চলে আসে। রুমের মধ্যে জেয়াব, ডুফেস এবং চেইন ঘুমাচ্ছে শুধু এলেক্স জেগে ছিলো। সে তার আপডেট দেওয়া সিস্টেম এখনো চেক করে নি। এখন সেটা চেক করতে যাচ্ছিলো তবে ঘুমের কারনে সেটা পারলো না। একটা গভীর ঘুমের মধ্যে চলে গেলো এলেক্স। যেখানে সে স্বপ্ন দেখছে একজনের জীবনে নিয়ে। এটা পূর্বের বিলজবাবের জীবনের অতীতের মধ্য থেকে একটা নয়। বরং এবারের স্বপ্নটা একদম নতুন ছিলো। নতুন একটা ব্যক্তিকে নিয়ে সে স্বপ্ন দেখছিলো। স্বপ্নটা একদম বাস্তব ছিলো। এলেক্সকে এবার স্বপ্নকে কোনো মুভির মতো দেখছিলো না। বরং সে স্বপ্নটাকে নিজের বাস্তবতার মতো অনুভব করছিলো। তার সামনে একটা মেসেজ চলে আসলো,
-""মাস্টারকে ড্রিম ওয়ার্ল্ডে স্বাগতম। মাস্টার তার সাইড ক্যারেক্টার এমিয়াসের ড্রিমের মধ্যে প্রবেশ করেছে। এখানে মাস্টার নিজ ইচ্ছা মতো এমিয়াসের জীবনকে উপভোগ করতে পারবে, যা ভবিষ্যতে এমিয়াসকে আরো ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে মাস্টারকে।""-
এলেক্স মেসেজটা পড়লো। সে শোয়া অবস্থায় ছিলো। তবে একাডেমির ডোর্মের মধ্যে ছিলো না। বরং নতুন একটা জায়গায় এবং নতুন একটা শরীরে। যেটা অনেকটা রেইনকার্নেট এর মতো মনে হলেও এটা একটা স্বপ্ন ছাড়া কিছুই না।
-""আমি মাস্টারকে প্রথম থেকে ওয়ার্নিং দিয়ে রাখি। মাস্টার যাই করুক না কেনো এমিয়াসের স্বপ্নকে পরিবর্তন করতে পারবে না। যেভাবে স্বপ্নটা চলার কথা সেভাবেই চলতে দিতে হবে। পরিবর্তন করার চেষ্টা করলে মাস্টারকে পেনাল্টি ভোগ করতে হবে। সেই সাথে স্বপ্নটা পুরো শেষ না হওয়া পর্যন্ত মাস্টার ঘুম থেকে উঠতে পারবেন না।""-
(৩৫০১ শব্দ)
* * *
To Be Continued
* * *
কেমন হলো জানাবেন।