আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রতি শনিবার, সোমবার এবং বুধবার রাত ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে ওয়েবসাইটে পোস্ট হবে।

Want Premium Membership!

সুপ্রিম বিয়িং পর্বঃ ৬০

হৃদয় বাপ্পী
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated
[প্রথমেই বলি গল্পটা পুরো কাল্পনিক, কেউ বাস্তব কিংবা ধর্মের সাথে তুলনা করবেন না]

#ডিম্যান_কিং_সিরিজ#

#সুপ্রিম_বিয়িং#

পর্ব:৬০

লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
.
(দশম ফ্লোর)

টেস্ট ড্যানজনের দশম ফ্লোরের মধ্যে জ্যাক এবং এথিনা দাঁড়িয়ে আছে। মূলত শুধু এথিনা দাঁড়িয়ে ছিলো। জ্যাক দশম ফ্লোরের ফিল্ড বসের সাথে ফাইট করছিলো। ফিল্ড বস একটা মিনোটর ছিলো যে আপাতেতো তার রেজ মুডে ছিলো। মিনোটর যারা সাধারণত দেখতে ষাঁড়ের মতো হলেও এরা মানুষের মতো কথা বলতে পারে, এবং তাদের মানুষের মতো চলাফেরা করতে পারে।

((নোটঃ মানুষের সাথে তুলনা করা হয়েছে এজন্য যাতে বুঝতে সুবিধা হয়। তাছাড়া অন্যান্য স্পিসিজ ছিলো।))

রেজ মুডে মিনোটর টার সকল এবিলিটি তিন গুন বৃদ্ধি পাবে। পূর্বে সে এক কিলোমিটার দৌড়াতে পারলে এখন তিন কিলোমিটার দৌড়াতে পারবে। ওয়েল এটা একটা উদাহরণ ছিলো। মিনোটর তার ষাঁড় ফর্মে চলে এসেছে। যার ফলে সে এখন চার পায়েই দাঁড়িয়ে আছে। তার মাথার বিশাল শিং দিয়ে সে জ্যাককে এট্যাক করার চেষ্টা করছে। জ্যাক তার ডেভিল ফর্মে ছিলো। তবে ফর্মটা বেশীক্ষনের জন্য সে ব্যবহার করতে পারবে না।

"পাঁচ মিনিট আমার লিমিট। তারপরও কষ্ট করে আমি সাত মিনিট এই ফর্মে আছি। যে কোনো সময়ে এটা ক্যান্সেল হয়ে যেতে পারে।" (জ্যাক ভাবছে)

জ্যাক তার ফর্মকে অনেকটা স্কিলের মতোই পেয়েছে। যদিও সেগুলো তার ছোট মোবাইলের স্ক্রিনে নেই, তারপরও শুধু ফর্মের নাম বললেই সে চেঞ্জ হতে পারে। যদিও সহজ এবং ভালো একটা বিষয় এটা, তারপরও এর লিমিট রয়েছে। জ্যাক দিনে মাত্র একবারই পাঁচ মিনিটের জন্য তার ডেভিল ফর্ম ব্যবহার করতে পারবে। তবে আজকে সেই লিমিট ভেঙে সাত মিনিট করেছে। এখন আর মনে হয় না এর থেকে বেশীক্ষণ সে তার সেই ফর্ম ব্যবহার করতে পারবে।

-->> তাহলে আমাকে তারাতাড়ি শেষ করতে হবে। (জ্যাক)

কয়েকবার মিনোটরটা তার মারাত্মক স্পিড দিয়ে জ্যাককে এট্যাক করার চেষ্টা করেছে। তবে প্রতিবারই জ্যাক একটুর জন্য বেঁচে গিয়েছে। এবারও জ্যাকের দিকে দৌড়ে আসছিলো সে। মাথার শিং কে নিচু করে দৌড়ে আসছিলো যাতে জ্যাকের কাছে এসে উঁচু করতে পারে। জ্যাক এই সময়ের জন্যই প্রস্তুত ছিলো। আজব একটা স্টাইলে দাঁড়ালো।  বাম পা কে সামনে অনেকটা এগিয়ে দিলো এবং ডান পা কে পিছনের দিকে রাখলো। এবার বাম হাত কেও সামনে দিকে এগিয়ে দিলো এবং ডান হাতকে পিছনের দিকে রাখলো। পুরো মার্শাল আর্ট স্ট্যান্ডের মতো দাঁড়ালো জ্যাক কিছুটা সময়। মিনোটরটা তার কিছুটা সামনে আসার সাথে সাথেই জ্যাক উপরের দিকে লাফ দিলো এবং একটা ফ্রন্ট ফ্লিপ দিলো। ফ্লিপটা শেষ হওয়ার সাথে সাথে যখন সে নিচে পড়ছিলো তখন তার ডান পা কে জোরে নিচের দিকে চালিয়ে দিলো। একটা ভয়ানক কিকের তৈরী হলো।

"টার্টেল ফিউরি"

জ্যাক তার প্রতিটা এট্যাকে এনার্জি ব্যবহার করতে পারে। টাওয়ার অফ গ্রিডের মধ্যে শুধুমাত্র একটা এনার্জি কাজ করে, যার নাম দেওয়া হয়েছে এস এনার্জি। এই এনার্জিটা মানা, অউরা এবং প্রাণ এনার্জির সংমিশ্রনে বানানো হয়েছে। অনেকটা বলা যায় হাইব্রিড এনার্জি। পুরো টাওয়ারের মধ্যে এস এনার্জি রয়েছে, টাওয়ারে কোনো প্লেয়ার থাকলে তারা প্রতিনিয়ত সেই এনার্জিকে এবজোর্ব করবে এবং বিভিন্ন ধরনের স্কিল বা স্পেল ব্যবহার করবে। জ্যাক তার বর্তমান এট্যাক টার্টেল ফিউরি শিখেছে ঔ ডোয়ার্ক মল্ট নামক ব্যক্তির চিঠি থেকে। সেখানে তিন-চারটা এট্যাকের কথা উল্লেখ ছিলো যার মধ্যে এটা একটা। যদিও চিঠির মধ্যে উল্লেখ ছিলো এই মুভ গুলো ব্যবহারের জন্য চি এনার্জির প্রয়োজন, তবে টাওয়ারে কোনো রকম চি এনার্জি না থাকার কারনে জ্যাক এস এনার্জি দিয়েই সেগুলো ব্যবহার করতে শিখেছে।

জ্যাকের কিকটা মিনোটরের দুই শিং এর মাঝ বরাবর জায়গায় লাগলো। কিকের মধ্যে এতো ফোর্স ছিলো যে সেটা মিনোটরকে মাটিতে ফেলে দিলো। মিনোটর যে জায়গায় উপুর হয়ে পরলো তার চারপাশে কয়েক মিটার জায়গা পর্যন্ত ফেটে গর্ত হয়ে গেলো। কিকটা মিনোটরের মাথায় লাগার সময় একটা কচ্ছপের দৃশ্য ভেসে উঠছিলো, ঠিক যেমনটা জ্যাকের টুইন ড্রাগন কিকের সময় ড্রাগন দেখা দিয়েছিলো। 

-->> প্রথমে ডিভাইন বিস্ট ড্রাগন, এরপর ডিভাইন বিস্ট টার্টেল। ডোন্ট টেল মি তুমি বিস্ট এট্যাক শিখেছো জ্যাক? (এথিনা)

এথিনা কথাটা আস্তে আস্তে বললো যার কারনে তা জ্যাকের কানে গেলো না। জ্যাক দাঁড়িয়ে ছিলো মিনোটরের পাশে। তার ডেভিল ফর্ম ক্যান্সেল হয়ে গেলো পিছন থেকে কালো ডানা দুটো অদৃশ্য হয়ে গেলো। মিনোটরটা হালকা নারাচাড়া করছিলো।

-->> আমি জানি এতো সহজে শেষ হারবে না। (জ্যাক)

জ্যাকের স্ট্যােমানা প্রায় শেষের দিকে ছিলো। তার শরীর এখন পর্যাপ্ত পরিমাণ এস এনার্জিও নেই। টুইন ড্রাগন কিং এবং টার্টেল ফিউরি অনেকটা এনার্জি শেষ করে। সেই সাথে সে তার ডেভিল ফর্মে ছিলো যা কিছু সময়ের জন্য তার এবিলিটি গুলোকে বুস্ট দিলেও এখন তার রিবাউন্ড রয়েছে। তাই জ্যাককে এটা এখনি শেষ করতে হবে।

"ড্রাগন পান্স"

জ্যাকের মধ্যে অবশিষ্ট যে স্ট্যোমানা ছিলো তা দিয়ে সে তার এবিলিটি ব্যবহার করলো। এটা নিয়াকের একাধিক এবিলিটির মধ্যে একটা। মিনোটর টা উঠেছিলো কষ্ট করে আর তখনি জ্যাক তার এবিলিটি ব্যবহার করেছে। জ্যাক দ্রুত মিনোটরের কাছে চলে গিয়েছে তার সাধারণ স্পিডেই এবং নিজের শরীরকে মিনোটরের শরীরের পাশ কাটিয়ে নিয়ে গিয়েছে। এবার সে তার হাত দিয়ে একটা পান্স করলো। পান্সটা তার নামের মতোই কাজ করে, মিনোটরের মাথা বরাবর জ্যাকের পান্সটা লেগেছে। পান্সটা মিনোটরের শরীরের লাগার সাথে সাথেই সে রাইফেলের গুলির স্পিডে পিছনে থাকা একটা পাহাড়ের দেওয়ালের সাথে গিয়ে বারি খায়। এবারো জ্যাকের পান্সের পরে তার হাত থেকে একটা ড্রাগন বেরিয়ে যাচ্ছিলো। তবে এটা কোনো স্বাভাবিক ড্রাগন ছিলো না। বরং গোল্ডেন কালারের একটা ড্রাগন ছিলো। পান্সটা দেওয়ার পরে জ্যাক একবার মিনোটরটার দিকে তাকালো। এবার মাটির উপরে সে পরে গেলো। শরীরের মাঝে কোনো স্ট্যােমানা না থাকার কারনে সে ঘুমের মধ্যে চলে গেলো। 

>>মাস্ক পার্টি দশম ফ্লোরের সর্বশেষ বসকে হত্যা করেছে।<<

টেস্ট ড্যানজনের সকল প্লেয়ারদের কাছে এই মেসেজটা চলে গেলো। তারা সবাই অবাক হয়েছে। কারন টাওয়ার প্রথম উদয় হওয়ার পরে এটাই দ্বিতীয়বার ছিলো যে, কেউ দশম ফ্লোরের বসকে হত্যা করেছে।

-->> মনে হচ্ছে টাওয়ারে আরো একটা মনস্টার প্রবেশ করতে যাচ্ছে। (হোয়াইট পার্টির লিডার)


* * * * * 

(টাওয়ার অফ গ্রিড)

প্রথম ফ্লোর,

তেমন আহামরি জায়গা না এটা। যেখানে সেখানে এক এক পার্টির ক্যাম্প তৈরী করা হয়েছে। আবার অনেকগুলো পার্টি এক হয়ে একটা বড় ক্যাম্প তৈরী করেছে, যা ছোট একটা শহরের মতো হয়েছে। প্রথম ফ্লোর ক্লিয়ার হওয়ার পরও এখানে মনস্টারের সংখ্যা অনেক। মনস্টার গুলো মাঝে মাঝেই প্লেয়ারদের ক্যাম্পে এট্যাক করে। তাই প্রতিটা পার্টির ক্যাম্পের চারপাশে প্লেয়ারদের গার্ড হয়ে থাকতে হয়। টেস্ট ড্যানজনে ছোট ছোট পার্টি নিয়ে থাকলেও টাওয়ারের মধ্যে ছোট পার্টিতে থাকা মানে মৃত্যুকে ডেকে আনা। তাই সবাই বড় বড় পার্টিতে ঢুকতে চাই।  সকল পার্টির মধ্যে মাস্ক পার্টি টাওয়ার অফ গ্রিডের মধ্যে প্রবেশ করেছে। জ্যাক এখনো প্রবেশ করে নি, তাই তারা গেইটের সামনে জ্যাকের জন্য অপেক্ষা করছিলো। আন্ডারগ্রাউন্ড ড্যানজনের দশম ফ্লোর থেকে একটা বিশাল সিঁড়ি দিয়ে টাওয়ারে প্রবেশ করা যায়। সিঁড়িটা টাওয়ারের প্রথম ফ্লোরের কোনো এক পাহাড়ের গায়ে বিশাল একটা গেইট তৈরী করেছে। যা থেকে শুধু আন্ডারগ্রাউন্ড ড্যানজনের প্লেয়াররা প্রবেশ করতে পারে। তবে কোনো প্লেয়ারই আন্ডারগ্রাউন্ড ড্যানজনে যেতে পারে না। গেইটের সামনে মাস্ক পার্টির এগারো জন প্লেয়ার দাঁড়িয়ে ছিলো। জায়গাটা প্লেয়ার ক্যাম্প গুলো থেকে একটু দূরে হওয়ার কারনে এখানে আপাতোতো অন্য কোনো প্লেয়ারের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে না। তাই এগারো জনের অপেক্ষা করতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

-->> লিডার কি সত্যি শেষ ফ্লোর বসকে হত্যা করবে? (ভুসেকা)

-->> আমাদেরও এই সময়ে সেখানে থাকা উচিত ছিলো। (রাইসা)

-->> না আমাদের স্ট্রেন্থ এখনো সেই লেভেলে পৌঁছায় নি। তাই শেষ বসের সামনে পরলে জীবিত ফিরতে পারতাম না। (আয়াব)

-->> লিডার, আমাদের জন্য সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে। (লুইস)

-->> মন খারাপের কিছু নেই এখানে। তোমরা সবাই টাওয়ারের নতুন প্লেয়ার। আর এতো দ্রুত টাওয়ারকে ক্লিয়ার করে হয়তো দ্বিতীয় রেকর্ডও করেছো তোমরা। তবে সমস্যা হলো সব কিছু দ্রুত হওয়ার ফলে তোমরা শক্তিশালী হওয়ার সুযোগ পাও নি। (রোজা)

-->> হ্যাঁ এটা সঠিক কথা। (ব্রান্ডেন)

-->> তবে লিডার, তো অনেক শক্তিশালী হয়েছে আমাদের সাথেই ড্যানজনে প্রবেশ করার পরও? (শাও)

-->> সবাই একই রকম হয় না। বিশেষ করে জ্যাক শক্তিশালী একটা গডের অ্যাভেটার তাই ওর গ্রোথ অনেক বেশী। (রোজা)

-->> ও ভালো কথা, লিডার আসলে কোন গডের অ্যাভেটার? (ইভা) 

-->> পূর্বে সে ওয়াটার এবিলিটি ব্যবহার করেছে। তাই আমার মনে হয় কোনো ওয়াটার গডের অ্যাভেটার হবে। (জুন)

-->> আপাতোতো জ্যাকের কথা বাদ দাও। ড্যানজন ক্লিয়ার করার রিওয়ার্ড তো সবার পাওয়ার কথা, সেটা চেক করতে থাকো। (রোজা)

* * * * *

(দশম ফ্লোর)

ড্যানজনের দশম ফ্লোর,

জ্যাক ঘুমিয়ে পরেছিলো। ঘুমের মধ্যে সে স্বপ্ন দেখতে লাগলো। স্বপ্নটা খুবই আজব ছিলো। এর পূর্বে এরকম স্বপ্ন সে কখনো দেখে নি। প্রথমে কিছু সিন ভাসলো তার সামনে। যেখানে একটা মেয়ে একটা ছেলেকে চুমু দিচ্ছিলো। এরপর সেই মেয়েটার চেহারা দেখতে পেলো। শুধু যে মেয়েটার চেহারা দেখতে পারলো তা কিন্তু নয়, জ্যাক স্বপ্নের মধ্যে মেয়েটার সাথে কথা বলতে লাগলো,

-->> বাবা! 

-->> আরোহী!

-->> আমি জানতাম তুমি কোনো এক জায়গায় আটকা পরে আছো। চিন্তা করো না বাবা আমি তোমাকে মুক্ত করতে আসবো।

-->> কি হয়েছে আমার মেয়েটার, আরোহী?

-->> তেমন কিছু না বাবা, এক মাস না খেয়ে থাকার কারনে মারা গিয়েছিলাম। তাই এখন ফুপি-আম্মার মতো ভূত হয়ে গিয়েছি। তবে এলেক্স আমাকে সাহায্য করবে। আর আমি ওর সাহায্যে তোমাকে শীঘ্রই খুঁজে বের করবো। 

জ্যাকের মেয়ে আরোহী কথাটা বললো। কান্না করতে চাচ্ছিলো না তারপরও কয়েকফোটা চোখের পানি দেখতে পারলো আরোহীর চোখ থেকে। জ্যাক কিছু করতে বা বলতে পারছিলো না সেই সময়ে। তার মাথা পুরো হ্যাং হয়ে আসছিলো। এক সাথে অনেক গুলো ইনকার্নেট এক হওয়ার ফলে সবার অতীতই এখন জ্যাকের অতীত। যেহেতু তার কাছে মনে হচ্ছে সে পূর্বে একটা জীবন কাটিয়েছে যেখানে আরোহী তার মেয়ে, তাই কষ্ট হচ্ছিলো জ্যাকের অনেকটা। শুধু যদি পোসেইডনের কথা বলা হতো তাহলে সে এসব বিষয়ে এতো কষ্ট পেতো না। তবে পোসেইডন মানুষ হয়ে হাজারো ইনকার্নেটের জীবন কাটানোর ফলে মানুষের মতোই ভাবতে ফিল করতে শুরু করেছে।

এথিনার কোলের উপরে শুয়ে ছিলো জ্যাক। এথিনা জ্যাকের মাথা বুলিয়ে দিচ্ছিলো। সে জ্যাকের চেহারার দিকে তাকিয়ে ছিলো এক দৃষ্টিতে। জ্যাকের মাস্ক একটা ম্যাজিকাল আইটেম যা জ্যাক যারা কেউ খুলতে পারবে না, তবে এথিনা সেটা খুব সহজেই খুলে দিয়েছে। জ্যাকের চেহারার দিকে এক নজরে সে তাকিয়ে ছিলো। হঠাৎ তার জ্যাককে একটা চুমু দিতে মন চাচ্ছিলো কপাল বরাবর একটা চুমু দিতে যাবে তখনি জ্যাকের ঘুম ভেঙে গেলো। সে দ্রুত উঠে বসার চেষ্টা করতে গিয়ে এথিনার মাথার সাথে গুতো খেলো।

-->> কি হয়েছে তোমার, তোমাকে এরকম অস্থির দেখাচ্ছে কেনো? (এথিনা)

-->> ইয়োলো, ইয়োলো কোথায়? (জ্যাক)

স্বপ্নের ভিতরে সে আরোহীকে তেমন কিছু বলতে পারে নি। এজন্য সে এখন কষ্ট পাচ্ছে। তবে একটা জিনিস তাকে জানতে হবে। সে গড অবস্থায় থাকার সময়ে জ্ঞান বিদ্যায় তেমন মনেযোগ দেই নি। তাই অনেক কিছু সম্পর্কে সে জানে না। 

-->> প্রথমে শান্ত হও তুমি, তেমার শরীর স্ট্রেস নিতে পারবে না এখন। (এথিনা)

এথিনার কথায় জ্যাক কিছুটা শান্ত হলো। এথিনা এবার তার চুলের মধ্যে থাকা পেঁচা স্টাইলের ক্লিপটা খুললো এবং সেটাকে আকাশে ছেড়ে দিলো। সাথে সাথে তা একটা আসল পেঁচাতে ট্রান্সফর্ম হয়ে গেলো।

[লং টাইম নো সি পোসেইডন।] (ইয়োলো)

পেঁচাটা কথা বলতে শুরু করলো পোসেইডনের সাথে।

-->> ইনট্রো পরের সময়ের জন্য রাখি। ইয়োলো প্রথমে আমাকে বলো একটা মানুষ স্পিরিট হয় কিভাবে? (জ্যাক)

[হঠাৎ এই প্রশ্ন আশা করি নি। তারপরও জ্ঞানের পাখির কাছে এর উত্তর রয়েছে। একটা মানুষ কখনো নিজ থেকে স্পিরিট হতে পারে না। কারন মৃত্যুর পরে তাদের সবার সউল গুলো আন্ডারওয়ার্ল্ডে অথবা হ্যাভেনে চলে যায়। এখন কোনো কারনে যদি তাদের সউল আন্ডারওয়ার্ল্ডে অথবা হ্যাভেনে যেতে না পারে বা দুই জায়গা থেকে বের হয়ে আসে কোনো কারনে তাহলেই তারা স্পিরিট হতে পারে।] (ইয়োলো)

-->> আরেকটা জিনিস আমাকে বোঝাও, একটা স্পিরিটকে তো মানুষেরা দেখতে পারে না। তবে মনস্টার বা উন্নত স্পিসিজ দেখতে পারে। তাহলে একজনের কাছে কিভাবে দেখা দেয় তারা? (জ্যাক)

[স্প্রিরিট বিস্টের কথা তো জানেনই, স্পিরিট বিস্টদের খালি চোখে কোনো মানুষই দেখতে পারে না। তবে যদি কোনো স্পিরিট বিস্ট কোনো মানুষের সাথে কন্ট্রাক করে শুধু তখনি তাদের মাস্টার সহ সবাই তাদেরকে দেখতে পারে। ঠিক একটা মানুষ যখন স্পিরিট হয় তখন তাকেও কোনো মানুষ দেখতে পারবে না। তবে যদি সে শারিরীক সম্পর্কে মধ্য দিয়ে কারো সংস্পর্শে আসে তাহলে সেই ব্যক্তিই শুধু তাকে দেখতে পারবে। সহস ভাষায় একটা কিস দিলে শুধু কিস দেওয়া ব্যক্তিই সেই স্পিরিটকে দেখতে এবং স্পর্শ করতে পারবে।] (ইয়োলো)

জ্যাক তার উত্তর পেয়ে গেলো। সে জানে না তার মেয়ের সাথে কি হয়েছে, তবে একটা জিনিস সে বুঝতে পারলো ইয়োলোর মাধ্যমে। জ্যাকের হৃদয় টিটান ইনকার্নেটে থাকার সময়ে তার একটা স্ত্রীর সাথেও এরকম ঘঠেছিলো। যাকে কেউ দেখতে পারতো না শুধু সে বাদে। তবে সে একটা হ্যান্ডমেড বডির মধ্যে থাকার কারনে সবাই তাকে দেখতে পারতো।

"যে বা যারা এই কাজে লিপ্ত আছে। আমি কাউকেই ছারবো না।" (জ্যাক)

জ্যাকের চোখে রাগের কারনে তার ডান চোখের মনি জ্বলে উঠছিলো। সেই সাথে তার বাম চাখের মধ্যে পানির একটা স্রোতের মতো দেখা যাচ্ছিলো। এতোক্ষনে তার মনে পরলো তার মাস্কটা নিচে পরা ছিলো। সে মাস্কটা তুললো এবং সেটা পরে নিলো। 

-->> আমি তোমাকে কখনো এরকম রাগতে দেখি নি। কি হয়েছে তেমার সাথে? (এথিনা)

-->> কিছু জিনিস তুমি হয়তে বুঝবে না। তুমি কেনো কোনো গডই হয়তো বুঝবে না। (জ্যাক)

-->> কি হয়েছে শেয়ার করো আমার সাথে। আমি তো আছি তোমার পাশে সব সময়। (এথিনা)

এথিনা জ্যাকের জন্য চিন্তিত ছিলো। কারন এটা সেই পোসেইডন ছিলো না যাকে সে চিনতো। চোখে এতো রাগ, ঘৃণা সে কোনোদিন ও দেখে নি। কোনো কিছু হয়েছে, অনেক বড় কিছু হয়েছে বলে মনে করছে এথিনা।

-->> কিছুই হয় নি আপাতোতো, সব কিছু সময় মতো ঠিক হয়ে যাবে। আমাকে এই টাওয়ারের এক ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে হবে এবং একটা নির্দিষ্ট জায়গার মধ্যে প্রবেশ করতে হবে। (জ্যাক)



* * *

To Be Continued 

* * * 

কেমন হলো জানাবেন।

About the Author

হৃদয় বাপ্পী
Hello Friends, My Name is Bappy and Welcome To Our Website. My Passion is to Share Knowledge With Everyone. Also I am a writer.

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.