আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রতি শনিবার, সোমবার এবং বুধবার রাত ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে ওয়েবসাইটে পোস্ট হবে।

Want Premium Membership!

Demon King পর্বঃ ৯১

হৃদয় বাপ্পী
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

[প্রথমেই বলি গল্পটা পুরো কাল্পনিক, কেউ বাস্তব কিংবা ধর্মের সাথে তুলনা করবেন না]

#Demon_King#

পর্ব:৯১

লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
.
(ড্যানজন)

এলেক্সের সাথে একটা এস র‍্যাংক টিমের সাথে ফাইট হয়েছে। যদিও সেই টিমে মাত্র তিনজনই এস র‍্যাংকে ছিলো তারপরও তাদের এস র‍্যাংক টিমই ধরা হয়। ফাইটের শেষ অংশে এলেক্স তার ফ্যামিলিয়ার কাইসেলের সাথে প্রজেস ব্যবহার করে খুব সহজেই একটা এস র‍্যাংক টিমকে হারিয়ে দিয়েছে। অবশ্য সহজে বললে ভুল হবে, 

"এই জয়ীটা আমার কাছে কেমন জানি ঘটকা লাগছে।" (এলেক্স ভাবছে)

এলেক্স ভেবেছিলো আর ভালো একটা ফাইট হবে কারন তাদের কাছে আরো দুজন শক্তিশালী ব্যক্তি ছিলো, তবে তার পূর্বেই তাদের লিডার হার মেনে নিয়েছে। এলেক্স কোনো মনস্টার নয় যে সে হার মেনে নেওয়া লোকদেরও এট্যাক করবে। তাই তাদেরকে তাদের মতো ছেড়ে দিয়েছে এলেক্স এবং নিজের কাজে মনোযোগ দিয়েছে। এতোক্ষনে ডিউক কন্যা হেয়া এবং তার চার টিমের সদস্যই ড্যানজন থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। এলেক্স তাদেরকে তেমন ভাবে এট্যাক করে নি। সেন্স হারিয়ে ফেলবে শুধু এরকম এট্যাকই করেছিলো। টুর্নামেন্টের সময় না হলে এলেক্স এতো সহজে তাদের ছেড়ে দিতো না। যেহেতু টুর্নামেন্টের নিয়ম কাউকে হত্যা করা যাবে না, তাই এলেক্স নিজের পাওয়ারকে কন্ট্রোলে রেখেছিলো।

"আমি অনেকটা এনার্জি ব্যবহার করেছি। কিন্তু কাইসেলের কারনে সেটা দ্রুতই ফেরত পেয়েছি।" (এলেক্স ভাবছে)

এলেক্সের রিং এ সব ধরনের এনার্জি স্টোর হতে পারে। হোক সেটা মানা, অউরা, ডিমনিক বা প্রাণ। এলেক্স এনার্জির এই বিষয় নিয়ে তেমন কিছু এখনো জানে না তাই সে এদিকে বেশী নজর এখনো দেই নি। তবে এখন যেহেতু সে তার টিম মেম্বারদের সেন্স ফেরার জন্য অপেক্ষা করছিলো তাই এটাই সময় ছিলো তার এনার্জি সম্পর্কে ভালো করে জানার।

"সাম্মন একলিপ্স"

আপাতোতো তার প্রশ্নগুলোর উত্তর একজনই দিতে পারবপ, আর সেটা হলো একলিপ্স। সে একজন মনস্টার বিস্ট ফ্যামিলিয়ার হলেও এক সময়ে সে একজন ডেড গড ছিলো, যার কাছে রুলার অপ ডেডের টাইটেল ছিলো। তাই এসব সম্পর্কে হয়তো তার কোনো ধারনা আছে।

[মাস্টার আমাকে সাম্মন করেছেন। আমি কি করতে পারি মাস্টারের জন্য।]

একলিপ্স মাথা নিচু করে এলেক্সকে সম্মান জানিয়ে কথাটা বলতে লাগলো। প্রথম প্রথম সে এলেক্সকে এতোটা সম্মান করতে না। তবে যেদিন থেকে এলেক্স ডিমনিক ক্যাটকে নিজের ফ্যামিলিয়ার তৈরী করেছে সেদিন থেকে সে এলেক্সের পুরো বাধ্য হয়ে গিয়েছে। মাথাকে সে উচু করে এলেক্সের দিকে তাকালো এবং একটা উত্তরের অপেক্ষা করতে লাগলে।

-->> আমাকে আমার এনার্জি সম্পর্কে একটু বলো। নিশ্চয় এটা সম্পর্কে তুমি জানো। (এলেক্স)

এলেক্সের কথা শুনে একলিপ্স কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলো। এলেক্স তার ডান হাতের তালু উপরের দিকে মুখ করে করে রেখেছে। এবং তার রিং এর মধ্যে স্টোর হয়ে থাকা এনার্জিকে সে ছোট একটা বলের আকার দিয়ে দিলো। এলেক্স এনার্জি ম্যানিপুলেশন করতে পারে না, তার দ্বারা মাত্র এটুকুই সম্ভব হচ্ছে আপাতোতো। একলিপ্স এনার্জির গোল  বলের দিকে তাকালো। সে যেহেতু পূর্বে ডিম্যান প্রিন্সদের সাথে মোলাকাত করেছে তাই কম বেশী তাদের সম্পর্কে জানে।

[মাস্টার আপনি আপনার এনার্জি সম্পর্কে যতটুকু জানেন আমিও সেটুকুই জানি। তবে একটা বিষয় আমি শুধু গুজবেই শুনেছি। শুধু মাত্র ডিম্যান কিং এবং ডিম্যান প্রিন্স ব্যতীত কেউই এই এনার্জি ব্যবহার করতে পারতো না। আপনার এই এনার্জিটা যদিও ডার্ক এনার্জির মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী না তারপরও এটার কিছু স্পেশাল দিক রয়েছে এতোদিনে হয়তো সেটা আপনিও বুঝে গিয়েছেন।]

একলিপ্সের কথার সাথে এলেক্স তার মাথা নারিয়ে পজিটিভ উত্তর জানালো। সে একটা জিনিস বুঝতে পেরেছে অনেক দিন হলো। আর সেটা হলো,

"আমার কাছে তিন ধরনেরই এনার্জি রয়েছে।" (এলেক্স ভাবছে)

এই ওয়ার্ল্ডে অনেক ধরনের এনার্জি থাকলেও মানুষ শুধু তিন ধরনের এনার্জিকেই ব্যবহার করতে পারে। একটা মানুষ একাধিক এট্রিবিউট ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারলেও আজ পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি দুই ধরনের এনার্জি ব্যবহার করতে পারে নি। তবে এলেক্সের ব্যাপারটা আবার ভিন্ন। সে এতোদিন খেয়াল করে নি সেভাবে। তবে সে তিন ধরনের এনার্জিই ব্যবহার করতে পারে। যদিও অফিসিয়াল ভাবে সে একজন মানা ইউজার। কিন্তু এলেক্স তিন ধরনের এনার্জিই ব্যবহার করতে পারে। প্রথমে এলেক্স সেটা বিশ্বাস করতে পারে নি। তবে যখন সে তার ব্লাডলাস্ট মুডে চলে যায় তখন সে যে এনার্জিটা ব্যবহার করে সেটা মোটেও মানা এনার্জি না। তার চারিদিক দিয়ে লাল রঙের এনার্জি বের হতে থাকে যেটা অউরা এনার্জি। আবার সে যখন তার মেডিক স্কিল ব্যবহার করে তখন তার শরীর থেকে সবুজ কালারের একটা এনার্জি বের হয় যা প্রাণ এনার্জির কালার। সব মিলিয়ে এলেক্স যেটা বের করতে পেরেছে তা হলো,

"আমার রিং এ মূলত ডার্ক এনার্জি জমা হয়। এটা এমন একটা ডার্ক এনার্জি যা যেকোনো এনার্জি হিসেবেই ব্যবহার হতে পারে।" (এলেক্স ভাবছে)

এলেক্স এবং তার ফ্যামিলিয়ারের মধ্যে আর কথা হতে পারলো না। কারন সেই সময়েই আরোহী চলে আসলো কোথায় তার সামনে। আরোহী একলিপ্সকে দেখার সাথে সাথে দ্রুত উড়ে তার দিকে আসতে শুরু করলো। অন্য দিকে একলিপ্স আরোহীকে দেখার সাথে সাথে তার শরীর কেঁপে উঠলো। সে এলেক্সের কাছে সুরক্ষার জন্য যেতে চাইলেও আরোহী তাকে সেটা করতে দিলো। তাকে দুই হাত দিয়ে শক্ত করে জরিয়ে ধরে ঘুরতে লাগলো হাওয়ার মধ্যেই। 

-->> কোথায় ছিলে এতোক্ষন? (এলেক্স)

এলেক্সের কথা শুনতে পেয়ে আরোহী মুখে একটা মুচকি হাসি দিলো। সে নাক ফুলিয়ে গর্ব করে বলতে শুরু করলো।

-->> হিহিহিহি, আমি এই ড্যানজনের আশেপাশের কিছু ড্যানজন থেকে ঘুরে এসেছি। সেই সাথে কিছু গিফট ও নিয়ে আসছি। (আরোহী)

আরোহীর জামার মধ্যে ছোট একটা পকেট ছিলো। যার মধ্যে আরোহী এক হাত দিয়ে আস্তে আস্তে কয়েন বের করতে শুরু করলো। একের পর এক কয়েন শুধু বের করেই যাচ্ছে আরোহী যা এলেক্সকে বিরক্ত করছিলো। 

"ইগ্রিত"

এলেক্সের ডাকের সাথে সাথে তার বিশাল দেহী নাইট কালো এক ধরনের পানির মধ্য থেকে উঠে গেলো। এলেক্স তার মাইন্ডের সাহায্যে তার আনডেড নাইট ইগ্রিতকে অর্ডার দিলো। এলেক্সের আদেশ পাওয়া মাত্র ইগ্রিত আরোহীর পা ধরলো এবং তাকে উল্টো করে ঝাঁকি দিতে লাগলো। আরোহী ইগ্রিতকে প্রথমে খেয়াল করে নি। যখন তার পা ইগ্রিত ধরলো তখন সে ভেবেছিলো এলেক্স ধরেছে তাই তেমন কিছু মনে করে নি। কারন এখন একমাত্র এলেক্স বাদে অন্য কোনো মানুষ তাকে দেখতে পারবে না। তাই সে ভাবছিলো এলেক্সই তাকে ধরেছে। যেহেতু আরোহী পূর্বে মানুষ বাদে অন্য কোনো স্পিসিজদের দেখে নি তাই সে তাদের নিয়ে বেশী কিছু জানে না। প্রথমে অবাক হয়েছিলো এটা দেখতে পেরে যে এলেক্সের পেট ড্রাগন তাকে দেখতে পারছিলো, তবে এবার আরো অবাক হয়েছে আরেকটা পেট তাকে দেখতে পারছে সেটা নিয়ে। সেই সাথে এখন লাল আর্মারে থাকা এক ব্যক্তি যে তাকে দেখতে এবং ধরতে পারছিলো সেটা দেখে সে আরো অবাক হয়েছে। শুধু অবাক নয়, অনেকটা ভয়ও পেয়েছে। ভয়ের কারনে তার চোখ দিয়ে পানিও পরছে। সব গুলো কয়েন আরোহীর পকেট থেকে পরে যাওয়ার পর ইগ্রিত ছেড়ে দিলো আরোহীকে। আরোহীর মাথা ঘুরতে শুরু করলো। সে কোনো রকমে একলিপ্সকে কোলে নিয়েই এলেক্সের পিছনে চলে গেলো এবং এলেক্সের ঘাড়ে হাত দিয়ে মাথা লুকানোর চেষ্টা করলো।

-->> আমি ভাবতেও পারি নি এতো গুলো কয়েন সংগ্রহ করতে পারবে। (এলেক্স)

এলেক্সের কথার সাথে সাথেই ইগ্রিত আবারো কালো পানির মধ্যে প্রবেশ করলো, যার পরে আরোহী কিছুটা স্বাভাবিক হলো।

-->> ঔটা কি ছিলো? (আরোহী)

-->> আমার নাইট। (এলেক্স)

-->> নাইট বলতে, ঔযে ঘোড়ায় বসে থাকে ঔগুলো? (আরোহী)

-->> হ্যাঁ। (এলেক্স)

-->> আমি টিভিতে দেখেছি প্রিন্স বা প্রিন্সেসদের এরকম নাইট থাকে। তাহলে কি তুমি কোনো প্রিন্স? (আরোহী)

এলেক্সের মন চাচ্ছিলো আবারো ইগ্রিতকে ডাকতে, কিন্তু সে একটা মেয়ের সাথে অবিচার করতে পারে না এভাবে। বিশেষ করে যে তার সাহায্য করেছে। সে আবারো কয়েনগুলোর দিকে ফোকাস করলো। যা দেখে সে বুঝলো পুরো ড্যানজনের কয়েন সে নিয়ে এসেছে। এলেক্সকে চুপ থাকতে দেখে আরোহী নিজেই বলতে শুরু করলো।

-->> আমি তিনটা ড্যানজনে প্রবেশ করেছিলাম। ড্যানজনের মধ্যে এই কয়েন গুলো কম থাকলেও বেশ কিছু প্লেয়ারদের সাথে আমার সাক্ষাত হয়েছিলো। অবশ্য তারা আমাকে দেখতে পারে নি। তাই তো আমি সেই সুযোগে তাদের থেকেও কয়েন নিয়ে এসেছি। (আরোহী)

সেখানে কয়েনের মাত্রা অনেক ছিলো। এলেক্স বুঝতে পারলো না এতো কয়েন সে এতো কম সময়ে কিভাবে আনলো। তবে একটা জিনিস সে ঠিকই বুঝতে পারলো তাদের এই রাউন্ডে ততটা কষ্ট করতে হবে না।

"আপাতোতো কয়েনগুলো আমার কাছেই সবচেয়ে সুরক্ষিত থাকবে।" (এলেক্স ভাবছে)


"ইনভেন্টরি"

এলেক্স তার সিস্টেম এর ইনভেন্টরি অপশনটা সামনে আনলো। এলেক্সের সামনে তার সিস্টেম এর ইনভেন্টরিতে যা ছিলো সব কিছু দেখাচ্ছে এখন। যদিও এলেক্সকে কোনো কিছু বের করতে হলে শুধু তার নাম বলে সিস্টেমকে কমান্ড করলেই সেটা বেরিয়ে আসে, তবে কোনো কিছু প্রবেশ করতে চাইলে এলেক্সকে সে জিনিসটা স্পর্শ করাতে হয় তার থ্রিডি স্ক্রিনে। এলেক্স একটা কয়েন হাতে নিলো এবং সেটাকে তার ইনভেন্টরির স্ক্রিনে টাচ্ করালো।


-""মাস্টার আপনি কি আপনার সামনের সব কয়েন গুলোকে স্টোর করবেন ইনভেন্টরির মধ্যে।""-


সাথে সাথে সিস্টেম থেকে একটা মেসেজ আসলো। সেখানে হ্যাঁ/না অপশন ছিলো। এলেক্স হাওয়ার মধ্যে চাপাচাপি করে নিজেকে আরোহীর সামনে বোকা বানাতে চাচ্ছিলো না। তাই সে কুল মুভ ব্যবহার করলো।

"স্টোর"

সাথে সাথে সমস্ত কয়েন গুলো স্টোর হয়ে গেলো তার ইনভেন্টরির মধ্যে। একটা স্লট এর মধ্যে সব কয়েন থাকার কারনে সেখানে কত গুলো কয়েন ছিলো তা এলেক্স হিসাব করা ছাড়াই দেখতে পেলো।

-->> পাচঁ হাজার! খারাপ না। (এলেক্স)

এলেক্সের কথা শুনে আরোহী একটু পূর্বের ভয়ের কথা একদমই ভুলে গিয়েছে। তার ভালো লাগে যখন কেউ তার প্রশংসা করে। বিশেষ করে এলেক্স যখন তার প্রশংসা করে তখন তার ভালো লাগে। 

-->> ও হ্যাঁ, আমি আরো দুই ধরনের কয়েন পেয়েছি। তুমি সেগুলো দেখাও নি বলে আমি তেমন গুরুত্ব নিয়ে খুঁজি নি, তবে মনে হয় এটা স্পেশাল কিছু হতে পারে। (আরোহী)

আরোহী এলেক্সের হাতে তিনটা কয়েন ধরিয়ে দিলো। কয়েন তিনটা সে চুলের মধ্যে খুঁজে রেখেছিলো স্টাইলের কারনে। তবে সেটা এলেক্স যেহেতু সে স্টাইল লক্ষ করে নি তাই আরোহীর আর সেগুলোর প্রয়োজন ছিলো না। সাধারণত যে কয়েন গুলো আরোহী এনেছিলো তার সবই সিলভার কয়েন ছিলো। সিলভার দিয়েই তৈরী করা হয়েছিলো তবে সপগুলো শুধুমাত্র এই টুর্নামেন্টের জন্য তৈরী হয়েছিলো স্পেশাল ভাবে। তাই সেগুলো আর্থিক লেনদেনে ব্যবহৃত হবে না। সেগুলো আকারো এমনি সিলভার কয়েনের থেকে দ্বিগুন ছিলো। তবে আরোহী এবার যে তিনটা কয়েন এলেক্সের হাতে ধরিয়ে দিলো তা সম্পূর্ন ভিন্ন ছিলো পূর্বের গুলোর থেকে। 

-->> দুটো গোল্ড কয়েন এবং আরেকটা প্লাটিনাম কয়েন! (এলেক্স)

দুটো কয়েন ছিলো গোল্ডের। যা সাধারণ ব্যবহৃত গোল্ড কয়েনের থেকে দ্বিগুন ছিলো। আর অন্য একটা ছিলো প্লাটিনাম কয়েন। এসবের ব্যাপারে এলেক্স কিছু জানে না তাই তিনটা কয়েন আপাতোতো সে তার পকেটের মধ্যে রেখে দিলো। 

-->> তোমার বন্ধুরা উঠতে শুরু করেছে। (আরোহী)

আরোহীর কথা শুনে এলেক্স তাকালো। স্নেরা যাকে এলেক্স হালকা আঘাত করে সেন্স লেস করে দিয়েছিলো সে উঠতে শুরু করেছে। এলেক্স কোনো রকম সন্দেহ তৈরী করতে না চাওয়ার জন্য প্রথমে একলিপ্সকে বিস্ট ওয়ার্ল্ডে পাঠিয়ে দিলো এরপর সে ড্যানজনের ফ্লোরের উপরে বসে পরলো।


* * * * *

(টাওয়ার অফ স্লোথ)

কিছু কিছু ইউনিভার্স রয়েছে যাদের মধ্যকার সময় গুলো দ্রুত আবার কিছু কিছু ইউনিভার্স রয়েছে যাদের সময় গুলো ধীর গতিতে চলে। দ্রুত চলে যেসব ইউনিভার্স তারা সাইন্সের দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে গিয়েছে। আর যাদের ইউনিভার্সের সময় ধীরে চলে তারা এখনো আধুনিকতা থেকে অনেক পিছিয়ে আছে। সময় দ্রুত চলে ঠিক এমনি একটা ইউনিভার্সের একটা প্লানেটের মধ্যে টাওয়ার অফ স্লোথ দেখা দিয়েছিলো। সাত ডিম্যান টাওয়ারের মধ্যে টাওয়ার অফ স্লোথের স্পেশাল একটা বিষয় আছে। এটার নামের সাথে এটার কাজ ও একই। একজন ব্যক্তি ঘুমালে যেমন কতটা সময় পার করেছে তার ঘুমে সেটা বুঝতে পারে না ঘড়ির সাহায্য ছাড়া। ঠিক তেমনি টাওয়ারের মধ্যে কতটা সময় একজন কাটিয়েছে তা ঘড়ির সাহায্য ছাড়া বুঝতে পারে না।

একটা খোলা মাঠের মধ্যে বিশাল বড় বড় ক্যাম্প তৈরী করা হয়েছে। খোলা মাঠ বললে ভুল হবে। জায়গাটা একটা যুদ্ধের ময়দান ছিলো। মানুষ ভার্সেস মনস্টার। অনেক ভয়ানক একটা যুদ্ধ শেষ হয়েছে। যেটার আসায় মানুষ অনেক দিন বসে ছিলো।

-->> তাহলে আমরা টাওয়ারকে অবশেষে শেষ করতে পেরেছি। 

-->> হ্যাঁ, আমরা তাহলে শেষ মেষ এই হেল থেকে বের হতে পারবো। 

-->> আমি আমার ফ্যামিলির সাথে তাহলে দেখা করতে পারবো।

-->> পনেরোটা বছর পার হয়েছে, আমি ভাবছি আমার পরিবার কি আমাকে এখনো মনে রেখেছে?

-->> আরে গাধা এখানে পনেরো বছর পার হলেও বাইরে তেমন বেশী বছর হয় নি।

-->> এখনো কি কেউ আরো উপরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিবে?

-->> আমি সেটা সঠিক বলতে পারছি না। তবে আমার মনে হয় শক্তিশালী ক্লান গুলো পুরো টাওয়ারকে ক্লিয়ার করার চেষ্টা করবে। 

-->> আমার মনে হয়। তারা এমনিতেও অনেক শক্তিশালী। আমার মনে হয় না উপরের ফ্লোর গুলোতে তাদের যেতে কষ্ট হবে।

পুরো ক্যাম্পের মধ্যে সবারই একই কথা। তারা এই জায়গা থেকে বের হতে পারবে। আজ প্রায় পনেরো বছর হয়ে যায় তারা এই জায়গার মধ্যে আটকা পরে আছে। টাওয়ারের মধ্যে তাদের জোরপূর্বক প্রবেশ করানো হয়েছে। কিভাবে বের হবে এটা কেউ জানতো না, তবে তখনি একজন গাইডের সাথে দেখা হয় তাদের সবার। যে তাদেরকে বলেছিলো সবাই পঞ্চাশতম ফ্লোর ক্লিয়ার করলেই তারা টাওয়ার থেকে বের হতে পারবে। এছাড়াও সবার একটা করে উইশ পূর্ন হবে তাদের ইফোর্ট অনুযায়ী। তাই তো সবাই তাদের জান প্রান দিয়ে চেষ্টা করেছে পঞ্চাশতম ফ্লোর ক্লিয়ার করার জন্য।

পুরো জায়গাটার মধ্যে হাজারো হাজারো লাশ পরে ছিলো। সেই লাশেরই এক পাশে ক্যাম্পর তৈরী করে মানুষগুলো তাদের বিজয় পালন করছিলো। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন রকম ক্লান এখানে ছিলো, যারা এই যুদ্ধে অনেক ইফোর্ট দান করেছে। তাদের মধ্যেই বাংলাদেশী ক্লান একটা। প্রতিটা ক্লানের আলাদা ক্যাম্প ছিলো। দেশীয় ক্লান বাদেও আরো শত শত স্বাধান ক্লান গুলো অংশ নিয়েছিলো এই যুদ্ধে, যাদের অধিকাংশদেরই এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাংলাদেশী ক্যাম্পের ভিতরে আপাতোতো দুজন ব্যক্তি বসে আছে। বাকি সবাই বাইরে আছে। ক্লানের লিডার এবং ভাইস লিডারের মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে। তাই সবাই তাদের দুজনকে একটু প্রাইভেসি দিয়েছে।

-->> মাহাবি, তুমি দেখেছো তাই না? আমি এখন সেই আমেরিকা ক্লানের লিডারের থেকেও শক্তিশালী হয়ে গিয়েছি। জাপানের ঔ বিস্টটাকে হারাতে পারলেই আমি টাওয়ারের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি হয়ে যাবো। এখন তো অন্তত আবার আমার কাছে ফিরে আসো। (আবির)

বাংলাদেশ ক্লানের লিডার আবির এবং ভাইস লিডার মিরা মাহাবি মেঘার টাওয়ারের বাইরে কলেজ জীবনে সম্পর্ক ছিলো। তবে মাহাবির বিয়ের জন্য তাদের সম্পর্কে ভেঙে গিয়েছে। আবির হাজারো চেষ্টা করেছিলো তাদের দুজনকে আলাদা করতে, কিন্তু সেই সুযোগ কখনো পাই নি। মাহাবি এক সময়ে তাকে ভালোবাসতো তাকে অন্যের সাথে সুখের সংসার করতে সে দেখতে পারছিলো না। তবে একটা সুযোগ তার কাছে চলে আসে টাওয়ারের মধ্যে। যদিও সে নিজ হাতে করতে পারে নি তবে সে মাহাবি এবং তার স্বামীকে আলাদা করতে পেরেছিলো। আবির ভেবেছিলো মাহাবির স্বামী মারা যাওয়ার পর তাদের বিষয়টা আবারো পূর্বের মতো হয়ে যাবে, তবে সে ভুল ছিলো। তেরো বছর হয়ে যায় তবে এখনো মাহাবি রাজি হয় নি। 

-->> সময় কোথায় দিয়ে পার হয়ে গিয়েছে সেটা বুঝতেই পারি নি। দেখো আবির তোমাকে আমি অনেক বার বলেছি এবং আবার বলেছি, একটা মানুষের একবারই বিবাহ হয়। যদিও আমি সবচেয়ে অন্যায়ের কাজটা করেছি তারপরও সেটা আমার স্বামীর ভালোর জন্যই করেছি। যদিও সে আমাকে আর বিশ্বাস করবে না, তারপরও আমি এভাবে তার বিশ্বাস ভাঙতে চাই না। (মাহাবি)

-->> তোমার মুখে কি এটা মানায়? যে তার নিজ স্বামীকে তার বয়ফ্রেন্ডের জন্য হত্যা করতে পারে তার মুখে এখন কি এটা মানায়? (আবির)

-->> আমি তখনো বলেছি এখনো বলছি, আমি যা করেছি সেটা তোমার জন্য বা তোমার সাথে তার কোনো সম্পর্ক ছিলো না। আমাদের সম্পর্ক যেদিন ভেঙেছে সেদিন থেকেই সেটা আর হওয়ার যোগ্য ছিলো না। (মাহাবি)

-->> তুমি মজা করছো তাইনা? এই সব কিছু আমি তোমার জন্য করছি আর তুমি এখনো এসব কথা বলছো আমাকে। (আবির)

-->> এখানে আটকা পরে তুমি তোমার পনেরো বছর নষ্ট করে ফেলছো, একজন ভালো বন্ধু হিসাবে আমি উপদেশ দিবো আমার জন্য আর নিজের সময়টা নষ্ট করো না। একটা ভালো মেয়ে দেখে বিয়ে করে নাও। (মাহাবি)

মাহাবির কথাটা শুনে আবিরের রাগ সে আর কন্ট্রোল করতে পারলো না। সে মাহাবিকে জোর গলায় বলতে লাগলো,

-->> তাহলে আমি নিশ্চিত তোর অন্য কারো সাথে গোপন রিলেশনে আছে। আর তোর স্বামীকে অবশ্যই তার জন্যই মেরে ফেলছিস। অবশ্য যে ব্যক্তি কোনো আইটেম ব্যবহার করতে পারে না তাকে আবার কোন মেয়ে স্বামী হিসেবে রাখবে। মেয়েরা তো সব সময় চাই শক্তিশালী মেয়েদের পিছনে ঘুরতে। এক মিনিট, আমি তো তোকে বেশ কয়েকবার জাপানের ক্লানে প্রবেশ করতে দেখেছি৷ তাহলে নিশ্চয় নিজের শরীরটা জাপানের ক্লান লিডারের কাছে দিয়ে দিয়েছিস। তাইতো আমাকে মেনে নিতে চাচ্ছিস না। (আবির)

কথা আবির তার রাগকে কন্ট্রোল করতে না পেরে বলে উঠলো। মাহাবি অন্য কথা আশা করলেও এরকম কোনো কথা আশা করে নি আবিরের থেকে। তাই সে নিজেও রেগে গেলো। সে কথা দিয়ে নয় বরং নিজের এনার্জি ব্যবহার করতে লাগলো। তার শরীরের চারিদিক দিয়ে এনার্জি বের হচ্ছিলো যার মধ্যে পয়জন ছিলো। এবার একটা ছোট ড্যাগার হাতে নিয়ে সে আবিরের বুক বরাবর এট্যাক করলো। তবে ড্যাগারটা আবিরের শরীরে কোনো রকম ক্ষতি করলো না।

-->> আমি তোকে একটা সুযোগ দিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম হয়তো একদিন আমার ভালোবাসা বুঝতে পেরে আমার কাছে ফেরত চলে আসবি। কিন্তু সেটা না করে আজ তুই উল্টে আমাকে এট্যাক করলি। তাহলে আমি তোকে পাঠিয়ে দিচ্ছি তোর স্বামীর কাছে, যাকে ধোঁকা দিয়ে তুই এখন অন্যদের সাথে লুতুপুতু করছিস। (আবির)

আবির টাওয়ার অফ স্লোথের মধ্যে পাওয়া সব থেকে শক্তিশালী আর্মার পরে ছিলো। যেটা পরলে কোনো রকমের পয়জন তার উপরে কাজ করবে না। তাইতো মাহাবি কোনো কিছু করতে পারলো না। আবির তার হাত দিয়ে মাহাবির গলা ধরলো এবং নিজের কাছে টেনে নিতে চাইলো। তার উদ্দেশ্য ভালো ছিলো না, তবে মাহাবি তার শক্তি দিয়েও তার হাত থেকে ছুটতে পারছিলো না। যদিও সে অনেকটা শক্তিশালী তারপরও ক্লোজ রেঞ্জে আবিরের কাছে সে কিছুই না। 

-->> আমি জানি তুমি কি করতে চাচ্ছো আমার সাথে। তবে আমি বেঁচে থাকতে দ্বিতীয় কোনো পুরুষ আর আমার শরীর ভোগ করতে পারবে না। (মাহাবি)

আবির এবং মাহাবির মধ্যে শুধু কিস ছাড়া কিছুই হয় নি তাদের সম্পর্কের সময়ে। তাই তো আবির এখন জোর করেই মাহাবিকে নিজের করতে চাচ্ছিলো এবং নিজের করার শেষে তাকে হত্যা কিংবা অর্ধমৃত করে ফেলে রাখবে। এক কথায় সে এখানে মাহাবিকে র‍েপ করতে চাচ্ছিলো। তবে মাহাবি সেরকম কোনো সুযোগই দিলো না আবিরকে। সে তার হাতের সেই পয়জন ব্লেডটা নিলো যেটা দিয়ে সে তার স্বামীকে গুরুতর আহত করেছিলো এবং সেটা নিয়ে নিজের পেটে আঘাত করলো। সাথে সাথে মাহাবি পয়জন হয়ে গেলো। 

-->> র‍েপ করতে চাচ্ছো? তাহলে দেখি নিজের জীবন দিয়ে করতে পারো কিনা। (মাহাবি)

আবির অবাক হলো মেয়েটার কাজ কাজকর্ম দেখে। তার রাগ কিছু সময়ের জন্য কমে গেলো। সে মাহাবির গলাটা ছেড়ে দিলো এবং তাকে সেখানে রেখেই নিজে বাইরে চলে গেলো। মাহাবি টাবুর ভিতরে ফ্লোরের উপরে পরে রইলো। মাহাবির কাছে এন্টিডট ছিলো এই পয়জনের, তবে সে সেটাকে ব্যবহার না করে নিজের মৃত্যুকে আপন করে নিলো।

-->> হৃদয়, হয়তো তুমি আমাকে মাফ করে দিবে। (মাহাবি)

মাহাবির চোখ দিয়ে অঝোরে পানির বের হতে লাগলো। সে মারা যেতে চাচ্ছিলো না। অন্তত পক্ষে হৃদয়কে আবারো একবার না দেখে মরতে চাচ্ছিলো না। তবে এখন আর কিছু করার নেই এখানে। মাহাবি তার চোখকে বন্ধ করলো। পনেরোটা বছর টাওয়ারে কাটানোর পর এখন তার বয়সও বেরে গিয়েছে। যদি সে তার স্বামীকে আবার দেখতে পারতো তাহলে কি তার স্বামী তাকে চিনতে পারতো? সে তার চোখ দুটো বন্ধ করে এটা ভেবে যে আর কখনো চোখকে খুলতে পারবে না। তবে চোখ বন্ধ করার পরই মাহাবি তার চোখ খুলতে পারলো। তবে সে আর সেই ক্যাম্পের মধ্যে ছিলো না। একটা সাদা জায়গার মধ্যে সে ভাসমান ছিলো। তার সামনের সব কিছু শুধু সাদা ছিলো। 

-->> তাহলে কি এটা আমার আফটার লাইফ। (মাহাবি)

মাহাবি চারিদিকে তাকিয়ে দেখতে লাগলো। তার কাছে মনে হচ্ছিলো সে একটা সাদা রঙের সাগরের মধ্যে ভাসছিলো তবে মাহাবির শ্বাস নিতে কোনো সমস্যা হচ্ছিলো না। তাই সে ভাবলো এটা কোনো পানির নিচের জায়গা না।

[কনগ্রাচুলেশন, তুমি মারা গিয়েছো।]

মাহাবির কানে হঠাৎ একটা আওয়াজ চলে আসলো। মাহাবি বুঝতে পারলো না তার মৃত্যুতে একজন কনগ্রাচুলেশন কেনো বলতে যাবে। তাই সে পিছনের দিকে তাকালো।

-->> গাইড! (মাহাবি)

এটা সেই ব্যক্তি ছিলো যে টাওয়ারের দশম ফ্লোর ক্লিয়ার করার পর প্রথম উদয় হয়েছিলো এবং সবাইকে টাওয়ারের নিয়ম সম্পর্কে বলেছিলো। তাকে এখানে দেখতে পেরে মাহাবি কিছুটা অবাক হলো।

[আমার নাম জিরো এবং আমি এই টাওয়ারের মালিক আমার মাস্টারের রয়েল মেইড।]

-->> আমি তো মারা গিয়েছি, এটা কি তাহলে আফটার লাইফ? (মাহাবি)

[তুমি মারা যাও নি। বরং মারা যাওয়ার প্রসেসে রয়েছো। আমার মাস্টার একটা নিয়ম করেছিলো, যেসব ব্যক্তি পঞ্চাশতম ফ্লোর ক্লিয়ার করতে পারবে তাদের সবাইকে তাদের ইফোর্ট অনুযায়ী একটা করে স্বপ্ন পূর্ণ করে দেওয়া হবে। আর আমি চাচ্ছি না আমার মাস্টারের নিয়মটা ভেঙে যাক। তাই তোমার মৃত্যুর পূর্বে আমি এসেছি তোমার স্বপ্নটা পূর্ণ করতে।] (জিরো)

[পঞ্চাশ ফ্লোর ক্লিয়ারের মধ্যে সবচেয়ে বেশী ইফোর্ট গিয়েছে তোমার উপরে। তাই কি তোমার স্বপৃন যেটা তুমি পূর্ন করতে চাচ্ছো?]

জিরো দাঁড়িয়ে ছিলো এবং মাহাবির কথার জন্য সে অপেক্ষা করতে লাগলো। মাহাবির মুখে একটা হাসি ফুটে উঠলো। সে বলতে লাগলো,

-->> আমি, আমি, আমি আমার স্বামীর সাথে দেখা করতে চাই। (মাহাবি)

মাহাবির কথা শুনতে পেরে জিরো তার নিজের দুই হাতকে শক্ত করে ধরলো। একটা প্রার্থনার মতো সে করতে লাগলো। তার শরীর থেকে এক ধরনের ধরনের এনার্জি ভাসতে শুরু করলো। চোখ দুটো বন্ধ ছিলো তার। সে চোখ দুটো খুললো এবং বলতে লাগলো,

[আমি দুঃখিত তবে তোমার এই স্বপ্নটা পূর্ণ করার মতো সামর্থ আমার নেই। তুমি অন্য কোনো স্বপ্নের কথা বলো।]

মাহাবি কথাটা শুনতে পেরে কিছুক্ষন চুপ রইলো। সে ভেবেছিলে একটা আশা হয়তো তার ছিলো তবে সেটা হারিয়ে সে জিরোর দিকে তাকালো এবং মুখটা বাকা করে মুচকি একটা হাসি দিলো তার দাঁত বের করে।

-->> ধন্যবাদ, তবে আমার আর কোনো স্বপ্ন নেই। (মাহাবি)

মাহাবি কথাটা বললো তার মনের মধ্যে সব কষ্টকে এক সাইডে করে। সে আবারো চোখ বন্ধ করলো এবং ভাবলো হয়তো এই জায়গা থেকে এখন সে আফটার লাইফে চলে যাবে তবে সেটা হয়তো তার ডেস্টিনির মধ্যে ছিলো না। হঠাৎ জিরো কিছু একটা অনুভব করলো। সে এই অনূভুতি কখনই ভুলতে পারবে না। তার মাস্টারের সউল তাকে কিছু বলার চেষ্টা করছিলো। 

[তোমার বডি পয়জনে নষ্ট হয়ে গিয়েছে, তাই আমার মাস্টার তোমার শরীরে আর রেইনকার্নেট হতে পারবে না। তবে আমার মাস্টার তোমার ভালোবাসাটা দেখতে পেরে তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটা তোমাকে দান করছে। যদিও এতে সরাসরি তোমার উইশ পূর্ণ হবে না। তবে হয়তো তুমি এক সময়ে তোমার ভালোবাসার মানুষকে দেখতে পারবে। এটাই আমার মাস্টারের মেসেজ তোমার জন্য।] 

জিরো কথাটা বলে হাতের আঙ্গুল দিয়ে চুটকী বাজালো। তার চুটকীর সাথে সাথে সেখানে একটা বডি চলে আসলো। একটা মেয়ের বডি যার বয়স হয়তো পনেরো থেকে আঠারো হবে। শরীরটা এতো সুন্দর ছিলো যে তার সেটা থেকে উজ্জ্বল আলো বের হচ্ছিলো। শরীরটা জীবিত ছিলো না তারপরও দেখে সেটাকে জীবিত মনে হচ্ছিলো। মাহাবি এবং জিরো দুজনেই মেয়ে তারপরও শরীরটা তাদেরকে আকর্ষন করছিলো। একটা চার্ম এনার্জি বের হচ্ছিলো সেই শরীর থেকে। যার চেহারাতে তাকালে শুধু তাকিয়েই থাকতে মন চাই।

[সাত ডিম্যান প্রিন্সের মধ্যে আমার মাস্টার ডিম্যান প্রিন্স অফ স্লোথ একজন মেয়ে ছিলেন। যার এই পরিচয় হয়তো আমি আর তুমি ছাড়া আর কেউ জানে না। আমার মাস্টারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ট্রেজার এটা। তাই আমার মাস্টার চাচ্ছে এটার গুরুত্ব নিতে।]

জিরো কথাটা বললো এবং হাতের পাম দিয়ে সামনের দিকে সে ইশারা করলো। মাহাবির শরীরের সাথে উক্ত শরীরটা মার্জ হয়ে গেলো। এবং সাথে সাথে মাহাবির কাছে মনে হচ্ছিলো সে পানির নিচে ছিলো। তার শ্বাস ভারি হতে শুরু করলো। সে কোনো রকমে কষ্ট করে পানির ভিতর থেকে বের হলো। বের হওয়ার পর সে লক্ষ করলো একটা ব্লাডের পুকুর ছিলো যার মধ্য থেকে সে বের হয়েছে। মাহাবির শরীরে কোনো কাপড় ছিলো না, তবে ব্লাডের পুকুর থেকে অনেকটা ব্লাড উড়ে এসে মাহাবির নতুন শরীরটাকে ঘিরে ফেললো। একটা গোল বাবলের মতো তৈরী করলো বাবলটা যখন ফেটে গেলো তখন মাহাবির শরীরে লাল টকটকে একটা জামা দেখা যাচ্ছিলো। জামাটা দিয়ে তার পুরো শরীরই ঢাকা ছিলো যার কারনে তার রূপের কোনো অংশই দেখা যাচ্ছিলো না। হঠাৎ শত শত বাদুড় উড়ে আসলো কোথায় থেকে এবং তা এক এক করে একত্র হয়ে একটা ছাতা তৈরী করলো। যা মাহাবির হাতে চলে আসলো। 

-->> হৃদয়, শুধু অপেক্ষা করো আমার জন্য। আমি কথা দিচ্ছি আমি মারা গেলে শুধু তোমার হাতেই এবং তোমার সাথেই মারা যাবো। (মাহাবি)


(৩৫৯৮ শব্দ)


* * * 

To Be Continued 

* * * 

কেমন হলো জানাবেন।

About the Author

হৃদয় বাপ্পী
Hello Friends, My Name is Bappy and Welcome To Our Website. My Passion is to Share Knowledge With Everyone. Also I am a writer.

2 comments

  1. ভাই পর্বটা খুবই ভালো লাগলো এবং অনেক রহস্য লুকিয়ে আছে যা মনে হয় খুব তাড়াতাড়ি সমাধান হবে এবং অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার এরকম একটা সুন্দর রহস্যময় পর্ব উপহার হিসেবে দেবার জন্য
  2. Awesome akta part cilo..
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.