আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রতি শনিবার, সোমবার এবং বুধবার রাত ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে ওয়েবসাইটে পোস্ট হবে।

Want Premium Membership!

সুপ্রিম বিয়িং পর্বঃ ৭৬

হৃদয় বাপ্পী
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated
[প্রথমেই বলি গল্পটা পুরো কাল্পনিক, কেউ বাস্তব কিংবা ধর্মের সাথে তুলনা করবেন না]

#ডিম্যান_কিং_সিরিজ#

#সুপ্রিম_বিয়িং#

পর্ব:৭৬

লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
.
(টাওয়ার অফ গ্রিড)

এটা সাত ডিম্যান টাওয়ারের মধ্যে একটা। যার মূল উৎস জীবিত স্পিসিজদের লোভ এবং লালসা। সবার লোভ এবং লালসাকে এই টাওয়ার এবজোর্ব করে সেটাকে এনার্জি আকারে ব্যবহার করে। আর এই এনার্জি ব্যবহার করতে পারে ভিতরে থাকা প্লেয়াররা। গ্রিড বা ম্যামন টাওয়ার অফ গ্রিডের এনার্জিকে নাম দিয়েছে এস এনার্জি। এটা এমন একটা এনার্জি যাকে একের ভিতরে সবও বলা যায়। এস এনার্জির রং লাল হয়ে থাকে। এই লাল রঙটা টাওয়ারের বিভিন্ন ব্যক্তির লোভ-লালসাকে বুঝিয়ে থাকে। 

-->> আমি একা থাকতে থাকতে বোর হয়ে গিয়েছি। (জ্যাক)

জ্যাক একটা গাছের ডালের উপরে বসে আছে। সে বসে বসে পা ঝুলিয়ে কিছু জিনিসকে সঠিক ভাবে বোঝাতে চাচ্ছে পাঠকদের। বিষয়টা তার এতো গুলো সউলের মার্জ সম্পর্কেই। প্রথমত পোসেইডন যে এক সময়ে একজন কন্সটেলেশন ছিলো। ইটার্নাল কার্সের কারনে বার বার পোসেইডনের সউল রেইনকার্নেট হয় এবং একটার পর একটা ইনকার্নেট তৈরী করে। প্রথম দিকে একটা ইনকার্নেট মারা না যাওয়া পর্যন্ত অন্য একটা ইনকার্নেট তৈরী হতো না পোসেইডনের। এই কার্স এতোটা শক্তিশালী ছিলো যে এটা পোসেইডনকে হাজারো বছর পর্যন্ত সুপ্ত অবস্থায় রেখেছে। পোসেইডন মানুষ হয়ে জন্ম নেওয়ার পর তার পূর্বের কোনো স্মৃতি মনে না থাকায় সে জানতেই পারতো না সে কেনো এসব শাস্তি ভোগ করছিলো। তার প্রতিটা ইনকার্নেটের ভাগ্য সবচেয়ে খারাপ বললেই বলা যায়। প্রতিটা ইনকার্নেটই তাদের জীবনে কখনো সুখ পাবে না। যদি পেয়েও থাকে তাহলে সেই সুখটাও দুঃখের জন্য। তবে সবশেষে একটা আশ্চর্যকর বিষয় লক্ষ করা যায়। পোসেইডনের সউল পাঁচ ভাগে ভাগ হয়ে যায় যেটা পূর্বে কখনো হয় নি তার সাথে। পাঁচটা ভাগ হওয়ার ফলে কার্সও পাঁচ ভাগে ভাগ হয়ে যায়। যার ফলে কার্সের ইফেক্ট কম হওয়ার ফলে পোসেইডন তার ইনকার্নেট গুলোর মধ্যেই লুকিয়ে থাকে। যেহেতু তার ভয় ছিলো সে বের হলে তার সম্পর্কে আর কেউ না জানলেও এথিনা ঠিকই জানতে পারবে। এরপরে আসা যাক উইশ মেকারের কাছে। যে পোসেইডনের দুটো ইনকার্নেটকে উইশ দিয়েছিলো যার ফলে তারা চলে আসে অন্য ইউনিভার্সের আকাশের শরীরের মধ্যে যে পোসেইডনেরই একটা ইনকার্নেট ছিলো মারা যাওয়ার পর। এরপরে গুহার কাহিনীর পর যখন সব গুলো সউল একত্রিত হয়ে যায় তখন পোসেইডন পরিপূর্ণ হয়ে যায়। তার পাঁচটা সউল একত্রিত হওয়ার ফলে তার পূর্ব স্মৃতিও ফিরে আসে যার কারণে ইটার্নাল কার্সও ক্যান্সেল হয়ে যায়। সব মিলিয়ে সে ফ্রি হয়ে যায় সকল বন্ধন থেকে। এই পর্যন্ত বিষয়টা মানা যায়। তবে এরপর যা হয় সেটার পুরোটায় অনেকটা লজিকের বাইরে।

-->> তাহলে সবটায় ছিলো ডিম্যান কিং এর প্লান। লোকটাকে আমি এমনি এমনি আমার আইডল মনে করি না। হাহাহাহাহা। (জ্যাক)


পোসেইডন পূর্বে ডিম্যান কিং যে উইশ মেকার এটা জানতো না। তবে স্টোন মাংকির সাথে মার্জ হওয়ার পরই সে এই বিষয়টা সম্পর্কে জানে। বিষয়টা এরকম হয়েছে। জ্যাক এবং উকং এর মাঝে একটা কন্ট্রাক হয়েছিলো। কন্ট্রাকটা উকং নিজে না তৈরী করলেও তার একটা ক্লোন করেছিলো। যেহেতু তার ক্লোন তারই একটা অংশ তাই বলা যায় কন্ট্রাকটা উকং নিজেই করেছিলো। কন্ট্রাকে বলা ছিলো জ্যাককে শক্তিশালী হতে সাহায্য করবে মাংকি কিং এবং এর বিনিময়ে মাংকি কিং কে সাহায্য করবে জ্যাক। ডিম্যান কিং শেষে কিছু একটা করেছে যার ফলে মাংকি কিং এর সউল একটা ডিমের মধ্যে বন্ধী হয়ে যায়। যেখান থেকে তার নতুন একটা শরীরের জন্ম হয়। আর সেটা মার্জড জ্যাকের কাছে চলে আসে। যা এক সময়ে ভেঙে যাওয়ার পর সেটা থেকে বের হয়ে যায় মাংকি কিং। মাংকি কিং তখন জানতো না কি হচ্ছিলো। পোসেইডনের সউলের সাথে মার্জ হয়ে যাওয়ার পর এখন সে বুঝতে পারছে। এ সব কিছু ডিম্যান কিং এর একটা প্লানের অংশ ছিলো।

-->> আপাতোতো আমি জ্যাক, আর পূর্বের মতো আমার মেইন পাওয়ার লুকিয়ে কোনো লাভ হবে বলে আমার মনে হয় না। যেহেতু অলিম্পাস এখন এজগার্ডের সাথে যুদ্ধে ব্যস্ত তাই এই সময়ে তারা আমার উপরে ফোকাস দেওয়ার সময় পাবে না। অন্যদিকে এই সময়ে হ্যাভেন ঠিকই আমার পরিচয় সম্পর্কে অবগত হয়ে গিয়েছে তাই আমার পাওয়ার লুকিয়ে কোনো লাভ হবে না। (জ্যাক)

আপাতোতো জ্যাকের পরিচয় সে নিজেই পোসেইডন এবং নিজেই মাংকি কিং। যেহেতু তার মধ্যে পোসেইডন এবং মাংকি কিং দুজনের সউল রয়েছে তাই তাদের সউলের স্মৃতিও তাদের মধ্যে রয়েছে। এক সময়ে দুজন ব্যক্তি জীবিত ছিলো তাই তাদের অস্তিত্ব মেনে নেওয়াটা অনেকটা কষ্টকর হলেও জ্যাক এটাকে সহজ ভাবে নেওয়ার চেষ্টা করছে। যেহেতু তার অনেক গুলো ইনকার্নেটের এক্সপেরিয়েন্স রয়েছে তাই দুটো সউলকেই সে দুটো ইনকার্নেটের মতো দেখে যাচ্ছে। জ্যাক ডালের উপরে বসে ছিলো। সে তার ডান হাতকে সামনের দিকে তুললো। হাতের তালুকে উপরের দিকে তাকিয়ে সেদিকে তাকিয়ে রইলো। তার ডান হাতের তালু থেকে কালো রঙের আগুনের মতো কিছু একটা বের হতে শুরু করলো। এটা কোনো আগুন ছিলো না তবে আগুনের মতো দেখতে ছিলো জিনিসটা। জ্যাক সেদিকে মনোযোগ দিয়ে তাকিয়ে ছিলো। 

-->> তাহলে এটাই কিং অফ ডার্কনেস এরেবাসের পাওয়ার। (জ্যাক)

জ্যাক কথা বলছিলো একজন প্রিমোর্ডিয়াল কন্সটেলেশন সম্পর্কে। যে এক সময়ে ডার্কনেসের উপরে শাসন করতো। জ্যাক পুরানো কিছু কথা মনে করতে লাগলো। 

"এই পাওয়ারটা মূলত কেরেলার ছিলো। যতদূর আমার মনে হয় কেরেলা এরেবাসের একজন অ্যাভেটার হতে পারতো। কেরেলার মেয়ে ছিলো মিয়ারা যে তার বাবার মতোই ডার্কনেসের ব্যবহার করতে পারতো। যেহেতু ছেলে কন্সটেলেশন কখনো কোনো মেয়েদের অ্যাভেটার বানাতে পারে না, তাই বলা যাচ্ছে মিয়ারা বায়োলজিকালি ডার্কনেস এর পাওয়ার পেয়েছিলো। আর তার মতো করেই হয়তো আমাদের দুজনের মেয়ে আরোহী ডার্কনেসের পাওয়ার পেয়েছিলো। এখন কথা হলো আমি কেরেলার থেকে কিভাবে ডার্কনেস এর পাওয়ার পেলাম? নাকি এটাও ডিম্যান কিং এর একটা প্লানের অংশ ছিলো?" (জ্যাক ভাবছে)

জ্যাক অনেক গভীর ভাবনায় ব্যস্ত ছিলো। তবে সে আর ভাবলো না। কারন পাঠক-পাঠিকাদের যা বোঝানোর ছিলো তা সে বুঝিয়ে দিয়েছে। তাই সে গাছের ডাল থেকে লাফ দিলো।

"ফ্লায়িং নিম্বাস"

আকাশ থেকে সাদা রঙের এক টুকরো মেঘ উড়ে জ্যাকের পায়ের নিচে এসে জ্যাককে উড়িয়ে নিয়ে যেতে শুরু করলো।

-->> আমি জানি না ডিম্যান কিং আমার জন্য আরো কি প্লান করে রেখেছে। তবে সে আমার জীবনটা আসলেই অনেক ইন্টারেস্টিং করে দিয়েছে। এখন আমি শুধু অপেক্ষায় আছি নতুন ডিম্যান কিং কে দেখার জন্য। (জ্যাক)


* * * * *

(আননোন একটা জায়গা)

৭০ তম ফ্লোর থেকে অনেকটা খুশি মনেই ফিরেছে ডিম্যান প্রিন্স অফ গ্রিড ম্যামন। সে মনে করেছে ডিম্যান কিং আরো একজন ডিম্যান প্রিন্স তৈরী করার চেষ্টা করেছিলো পূর্বে। তার জন্যই এরকম একটা আইটেম যেটা সম্পর্কে সে নিজেও জানে না সেটা তার টাওয়ার থেকে কিভাবে বের হবে। তাছাড়া বেশ কিছু আইটেম রয়েছে যেগুলো গ্রিডের জ্ঞানের বাইরে ছিলো যা হঠাৎ উদয় হয়েছিলো টাওয়ারের মাঝে। গ্রিড সেগুলোর ব্যবস্থা নিয়ে ফেললেও এই আন্ডার বিরুদ্ধে কিছু করতে পারে নি। তবে যেহেতু আন্ডার ব্যবহারকারী মারা গিয়েছে তাই সেটার আর কোনো অস্তিত্ব নেই বলে গ্রিড মনে করছে।

-->> এটা অনেকটা পূর্বের ছয়টা ড্রাগনের অস্ত্রের মতোই। হঠাৎ করে কোথা থেকে চলে আসছে। তখন দুটো ড্রাগন সোর্ডকে আমি আমার প্লেয়ার শপের মধ্যে এড করে বাকি চারটা আমার আই অফ এনাহিলেশন আইটেমকে দিয়ে এবজোর্ব করিয়ে ফেলি। তবে এখন আমার আফসোস হচ্ছে এটা ভেবে যে আমি সেই আন্ডাকে আর এবজোর্ব করাতে পারছি না। (গ্রিড)

গ্রিড সেই জায়গার মধ্যে এসেছে যেখানে সে তার গলায় থাকা আইটেমটা তৈরী করেছিলো। এই আইটেমটা এরকম একটা আইটেম যেটা সকল কন্সটেলেশনদের পাওয়ার, তাদের এনার্জি এবং অবস্থানকৃত পৃথিবীর ভেঙে যাওয়া লাইফ এনার্জি এবজোর্ব করে তৈরী হয়েছে।

-->> কিন্তু একটা জিনিসই আমি বুঝতে পারছি না। সেটা হলো এটাকে কিভাবে আমি একটিভ করবো। (গ্রিড)

সব গুলো আইটেম ব্যবহার কিছু নিয়ম আছে। একটা সোর্ড আইটেম ব্যবহারের জন্য সব সময় সেটাকে সুয়িং করতে হয়। এক ভাবে রেখে দিলে সেটা ব্যবহার হবে না কখনো। ঠিক তেমনি প্রত্যেকটা আইটেম ব্যবহারের নিয়ম রয়েছে। এমন নয় যে তার মধ্যে এনার্জি মারলাম আর সেটা আপনা আপনি ব্যবহার হতে শুরু করলো। অবশ্য আপনা আপনি শুরু হয় এরকমও অনেক আইটেম রয়েছে। যাইহোক গ্রিড তার এনার্জি সেটার মধ্যে ফোকাস করেও কোনো ভাবে সেটা ব্যবহার করতে পারে নি। সবশেষে একটা কনক্লুশনে সে আসে যে,

-->> হয়তো আমি ডিম্যান কিং টাইটেল না পাওয়া পর্যন্ত এই আইটেমটা ব্যবহার করতে পারবো না। (গ্রিড)

যেহেতু আই অফ এনাহিলেশন শুধুমাত্র ডিম্যান কিং ব্যবহার করতে পারে তাই গ্রিডও বুঝতে পারলো এই আইটেমটা যেহেতু তার এবিলিটিকে কপি করে তৈরী করা হয়েছে তাই এটার ব্যবহারও ঠিক ডিম্যান কিং করতে পারবে।

-->> তাহলে আমার লাস্ট স্টেজটা শেষ করে এরপর বাকি ডিম্যান প্রিন্সদের দিকে যেতে হবে। যেহেতু হেডিস আমার সাথে আছে তাই আমাকে মৃত্যুর ভয় করতে হবে না। (গ্রিড)


গ্রিড কথাটা বলে মেডিটেশনে চলে গেলো। পূর্বের একটা ফাইটে তার হোস্টের শরীর অনেক গুরুতর ভাবে আহত হয়েছিলো। যেহেতু একটা ডিম্যান যদি অন্য কাউকে প্রজেস করে তাহলে সেই প্রজেসকৃত শরীরকে হত্যা করলেই ডিম্যানটা হত্যা হয়ে যাবে তাই সব কিছুর পূর্বে গ্রিড তার শরীরের উপরে গুরুত্ব দিতে লাগলো। আর এমনিতেও তার টাওয়ার নিয়ন্ত্রন করার জন্য মোট দশজন মানুষকে সে নিয়োগ দিয়ে রেখেছে যাদেরকে সে ওয়ার্কার বলে থাকে।

-->> এই সময়টা দশজন ওয়ার্কার আমার টাওয়ারকে সুন্দর ভাবেই পরিচালনা করবে। (গ্রিড)


* * * * *

(৪০ তম ফ্লোর)

একটা ড্যানজনের মধ্যে মাস্ক পার্টির ছেলে গ্রুপ প্রবেশ করেছে। তারা একটা প্রতিযোগিতার মত করে বিষয়টাকে নিয়ে ড্যানজন ক্লিয়ার নিয়ে ব্যস্ত ছিলো। ছেলে গুলো যেহেতু অনেক নিচু লেভেলে ছিলো তাই ড্যানজনের প্রত্যেকটা মনস্টার হত্যা করতে করতে তাদের লেভেল অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ অবস্থায় তারা এই ড্যানজনের বস মনস্টারের বিপরীতে পিপড়ার মতো ছিলো। তবে বর্তমানে সেটা ভিন্ন একটা বিষয়। অসীম ট্রেনিং এবং সেই সাথে মনস্টার গুলো হত্যার ফলে লেভেল বৃদ্ধির কারণে তারা সবাই এই ড্যানজনের বস মনস্টারের থেকেও অন্য একটা লেভেলে পৌঁছে গিয়েছে। তাই তাদের বেশী সমস্যা হলো না সেটাকে হত্যা করতে। 

ড্যানজনের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলো মেয়ের গ্রুপটা। তারা চাইলে ছেলেদের গ্রুপকে সাহায্য করতে পারতো তবে সেটা করলে তারা তাদের এক্সপি পয়েন্টে ভাগ বসাতো। আর সেটা করলে মেয়েদের লেভেলও বৃদ্ধি হতো, যার ফলে তাদের মাঝে লেভেলের ডিফারেন্স অনেক হয়ে যেতো। তাই তাদের লেভেলের সমতা করার জন্যই ছেলেদের একা একা এই ড্যানজনে পাঠিয়েছে। তবে এটাই শেষ ছিলো। কারণ এরপরের ড্যানজনে মেয়েরা আর পিছনে পরে থাকবে না। সবাই একে অপরের সাথে কথা বলছিলো ঠিক তখনি এথিনা এবং এরিয়েল দুজনেই একটা জিনিস অনুভব করলো। এথিনা একজন কন্সটেলেশন এবং এরিয়েল গর্গনের বংশধর হওয়ার কারণে অনুভব করেছে।

"জ্যাকের প্রেজেন্স একটুর জন্য হারিয়ে গিয়েছিলো। এখন আবার সেই প্রেজেন্সকে আরো শক্তিশালী বলে মনে হচ্ছে।" (এথিনা এবং এরিয়েল ভাবছে)

জ্যাকের সাথে কিছু একটা হয়েছে এটা দুজনেই বুঝতে পারলো তবে কি হয়েছে তার সাথে তা সম্পর্কে কোনো রকম ধারনায় তাদের দুজনের নেই। তাই তারা অনেক গভীর একটা ভাবনায় পরে গেলো। তাদের ভাবনার মাঝে বাদ ফেলতে সেখানে একজন পরিচিত ব্যক্তির আবির্ভাব হলো। অবশ্য সেটা এরিয়েল শুধুমাত্র দেখতে পেয়েছিলো কিন্তু এরপর কি হলো সেটা তার চোখে আর থাকলো না। কারণ তাদের আশে পাশের সময় পুরো থমকে গেছে। এথিনা ক্রোনোসের স্পেশাল আইটেম "স্যান্ডগ্লাস" ব্যবহার করলো। যা ব্যবহারের সাথে সাথে তাদের আশেপাশের সময় আটকে গিয়েছে। এই সময়ে শুধু মাত্র কন্সটেলেশন লেভেলের ব্যক্তিরা স্বাভাবিক মতো চলাচল করতে পারবে। 

-->> এপোলো! তুমি এখানে কেনো? (এথিনা)

এথিনা এবং এরিয়েলের পেছনে এসেছিলো এপোলো। যেহেতু এরিয়ল এবং এথিনা সবার পিছনে ছিলো তাই তারা বাদে আর কেউই এপোলোকে দেখে নি। আর এরিয়েল এপোলোকে দেখে থাকলেও একজন কন্সটেলেশন না হওয়ার কারণে সে স্যান্ডগ্লাস আইটেমের ইফেক্টে যুক্ত হয়েছে তাই আপাতোতো যা কথাবার্তা হবে তা কেউ শুনতে পারবে না।

-->> সিস, আমি জানি তুমি আঙ্কেলকে ছাড়তে পারবে না। কিন্তু আমার মনে হয় না এটা ভালো সময় তোমার এখানে থাকার। (এপোলো)

-->> কি বোঝাতে চাচ্ছো তুমি? (এথিনা)

-->> অলিম্পাস আর এজগার্ডের বিশাল ওয়ার শেষ হয়ে গিয়েছে কিং অফ ডেস্টিনির কারণে। আর এই সময়ে আঙ্কেলের প্রেজেন্স সম্পর্কে অলিম্পাসের সবাই অবগত হয়েছে। (এপোলো)

-->> তুমি বলতে চাচ্ছো ফাদার জেনে গিয়েছে জ্যাকের সম্পর্কে? (এথিনা)

-->> হ্যাঁ সিস। আমি এখানে চাইলেও কিছু করতে পারছি না। কারণ এই পুরো বিষয় থেকে ফাদার আমাকে দূরে থাকতে বলেছে। তারপরও আমি তোমাকে কথাটা জানাতে আসলাম। (এপোলো)

-->> ফাদার কাকে পাঠিয়েছে? (এথিনা)

-->> এরেস। (এপোলো)

এপোলোর কথাটা শুনে এথিনার পুরানো কিছু কথা মনে পরে গেলো। পোসেইডন যখন অলিম্পাসের সাথে যুদ্ধ ঘোষনা করতে তখন এথিনাই পোসেইডনের সাথে যুদ্ধ করে তাকে হারিয়ে গ্রেফতার করে অলিম্পাসের ১২ কন্সটেলেশন এর সভার সামনে হাঁটু গেঁড়ে বসিয়ে রাখে। এই সময়ে পোসেইডনের শাস্তি অনেক বড় ছিলো কিন্তু সে এমন একটা অন্যায় করে নি যে তাকে হত্যা করে ইটার্নাল কার্সের শাস্তি দিতে হবে। এমনকি জিউসও কোনো আদেশ দেই নি পোসেইডনের শাস্তির। বরং এরেস নিজেই পোসেইডনকে সবার সামনে সেখানে হত্যা করে আর জিউস তার ছেলের ভুলটা সেখানে ঢাকার জন্য পোসেইডনকে অলিম্পাসের সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতকের নাম দিয়ে তাকে ইটার্নাল কার্সের শাস্তি দিয়ে দেই।

বিষয়টা এথিনার মনে আসার সাথে সাথে সে রাগে তার হাতকে মুঠো করে নিলো। তার চোখে মুখে রাগ দেখার সাথে সাথে এপোলো বলতে লাগলো,

-->> এরেসের অ্যাভেটার ততটাও শক্তিশালী না। তাই আমাদের আঙ্কেলের তেমন কিছু হবে বলে আমার মনে হয় না। কিন্তু আমার চিন্তা হচ্ছে তোমাকে নিয়ে। আমি বেশ কিছুদিন যাবৎ তোমাকে ফলো করে যাচ্ছি। তুমি যেদিকে যাচ্ছো আমার মনে হয় না আমাদের আঙ্কেল পূর্ব অবস্থায় থাকলে সেটা চেতো। (এপোলো)

এপোলোর কথাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। যা এথিনা কিছুটা ভাবার পর বুঝতে পারলো। এপোলো বোঝাতে চাচ্ছিলো পোসেইডন চেঞ্জ হয়ে গিয়েছে। সে আর পূর্বের পোসেইডন নেই যেটাকে তারা চিনতো বা জানতো। আর এটা খুব স্বাভাবিক বিষয়। ইটার্নাল কার্স এরকম একটা জিনিস যেটা থেকে আজ পর্যন্ত পোসেইডন বাদে কেউ মুক্ত হতে পারে নি। আর কেউ মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করতে গেলেই এই কার্স তাদের জীবিতই মেরে ফেলবে। যেহেতু পোসেইডন তার পুরাতন সকল দুঃখ কষ্ট ভরা জীবনের স্মৃতি নিয়ে এখনো বেঁচে আছে তাই তার চেঞ্জ হওয়ার বিষয়টা একদম স্বাভাবিক একটা বিষয়।

-->> আমার মনে হয় ফাদার ও অবগত হয়েছে যে তুমি এখানে আছো। তাই দু একদিনের মধ্যে হার্মিস তোমার কাছে আস্তে পারে ফাদারের বার্তা নিয়ে। আমি চাই তুমি সেই সময়ে সঠিক একটা পথ বেছে নিবে। (এপোলো)

এপোলো কথাটা বলে সেখান থেকে চলে গেলো। এথিনা আকাশের দিকে তাকিয়ে এখনো গভীর চিন্তায় ছিলো। সে বুঝতে পারছিলো না কি করবে সে। সব কিছু এখানেই শেষ হতে যাচ্ছিলো। এখানে জ্যাকের সাথে থাকতে হলে তাকে তার ভাইয়ের সাথে ফাইট করতে হবে। যদিও এথিনা মোটেও জিউস বাদে অন্য কাউকে ভয় করে না তারপরও এখানে সে তার ভাইয়ের সাথে ফাইট করতে অনেকটা ভয় পাচ্ছে। তার ভয় এক জায়গাতেই, 

"আমি আমার নিজের হাতে অন্তত আমার ভাই কিংবা বোনদের কাউকে হত্যা করতে চাই না" (এথিনা ভাবছে)

স্যান্ডগ্লাসের ইফেক্টের সময় শেষ হয়ে গেলো। সব কিছু আবার স্বাভাবিক হয়ে গেলো। এরিয়েল এপোলোকে এক নজর দেখেছিলো এবং এরপর এথিনার আইটেম ব্যবহারে পরই সে ফ্রিজ হয়ে যায় অন্যদের মতো। যদিও সে ফ্রিজ হয়ে যায় তারপরও তার কাছে গর্গনের পাওয়ার থাকার কারনে সে সব কিছু দেখতে এবং শুনতে পায় এথিনা এবং এপোলো কি বলছিলো সেটা সম্পর্কে।

-->> গভীর চাপে বিশ্বাস বিষয়টা অনেক ছোট হয়ে যায়। যার ফলে মানুষেরা খুব ছোট ছোট ভুলও করে ফেলে। এটা শুধু মানুষের উপরে প্রযোজ্য নয় বরং একই জিনিস অন্যান্য স্পিসিজদের সাথে হয় এমনকি কন্সটেলেশনদের সাথেও। (এরিয়েল)

-->> তুমি সব শুনেছো? (এথিনা)

-->> হ্যাঁ শরীর সময়ের সাথে যুদ্ধ না করতে পারলেও আমার কার্স চোখ দুটো তো রয়েছে সব কিছু দেখার। (এরিয়েল)

-->> তোমার কিছু চিন্তা করতে হবে না। আমি আমার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছি অনেকটা পূর্বে। তাই যে চাপই আসুক না কেনো আমি সেটাতে অটুট থাকবো। (এথিনা)

এথিনা বোঝাতে চাচ্ছিলো সে জ্যাকের সাথেই থাকবে। আর এরিয়েলও সেটা বুঝতে পারছে। তবে সে কিং অফ ডেস্টিনির মতো বিশাল প্রফেসি না দেখতে পারলেও প্রতি নিয়ত সংক্ষিপ্ত বিষয় তো দেখতেই পারে। তাই এথিনা ভবিষ্যতে কি করবে সেটা সম্পর্কে এথিনার থেকে আপাতোতো সময়ে এরিয়েলই ভালো জানে।

-->> সেটা তো সময়ই বলে দিবে। (এরিয়েল)


* * * * * 

(৭১ তম ফ্লোর)

জ্যাক ৭০ তম ফ্লোর ক্লিয়ার করে সোজা ৭১ তম ফ্লোরে চলে এসেছে। যেহেতু সাধারণ মনস্টার গুলো খুঁজে খুঁজে হত্যা করা অনেক সময়ের কাজ ছিলো তাই জ্যাক তার ১০ টা ক্লোন তৈরী করে তাদেরকে চারদিকে মনস্টার হত্যা করতে পাঠিয়ে দেই। তার ক্লোন গুলো একদম পারফেক্ট ছিলো যারা তার মতোই সকল এবিলিটি, স্কিল, অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। যদি জ্যাকের কাছে একটা রুয়ি থাকে তাহলে তার ক্লোনের কাছেও একটা রুয়ি থাকবে। বলা যায় ক্লোন এবিলিটির মধ্যে সর্বশেষ্ঠ এবিলিটিটা ছিলো স্টোন মাংকির, যা এখন তাকে ভয়ানক একটা জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিলো। দশটা ক্লোনকে চার পাশে পাঠিয়ে দিয়ে জ্যাক বস মনস্টারের সন্ধানে বের হয়েছে ফ্লায়িং নিম্বাসের উপরে বসে। জ্যাক তার নিম্বাসের উপরে বসে গাছের একটু উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিলো। ঠিক সেই সময়ে হঠাৎ কয়েকটা গাছ মনস্টারের মতো নাড়াচাড়া শুরু করলো। তাদের বিশাল বিশাল কান্ড এবং শিকড় দিয়ে জ্যাকের উপরে হামলা করতে শুরু করলো। প্রথম এট্যাকের জন্য জ্যাক প্রস্তুত ছিলো না তাই সেটা তার ফ্লায়িং নিম্বাসকে নষ্ট করে দেই। তবে সঠিক সময়ে সেটা দেখার কারণে গাছের সূঁচালো অংশটা শরীরে লাগার পূর্বেই জ্যাক তার এবিলিটি ব্যবহার করেছে।

"ট্রান্সফর্ম"

এটা স্টোন মাংকির একটা এক্সক্লুসিভ এবিলিটি। সে ৭২ টা স্পিসিজে ট্রান্সফর্ম হতে পারে। ট্রান্সফর্মের পর সে সেই ৭২ স্পিসিজদের ন্যাচারাল এবিলিটিও ব্যবহার করতে পারবে। এখন জ্যাক একটা প্রজাপতিতে ট্রান্সফর্ম হয়েছে যে উড়তে উড়তে আস্তে আস্তে মাটির উপরে চলে আসলো এবং তারপর নিজের আসল ফর্মে ট্রান্সফর্ম হলো।

-- ওয়াও, এটা অনেক ক্লোজ একটা কল ছিলো। (জ্যাক)

জ্যাকের কপালে ঘাম এসেছে সেটা মুছে কথাটা বললো জ্যাক। সে গাছে ভর্তি একটা জায়গার মধ্যে নেমেছে। যে গাছগুলো অনেকটা মনস্টারের মতো নাড়াচাড়া করছিলো। তাদের কান্ড এবং শিকড় গুলো অনেক বড় হয়ে বেরিয়ে আছে যা দেখে মনে হচ্ছে তারা কোনো স্পাইডার হবে। যাইহোক, একটা গাছের মধ্য থেকে হঠাৎ একটা মানুষ বের হয়ে গেলো। যাকে দেখে জ্যাক ভূত দেখার মতো ভয় পেয়ে গেলো। তবে পরক্ষণেই হাসতে শুরু করলো।

-->> আমি তো ভেবেছিলাম আমি আসলেই একটা ভূত দেখতে পেয়েছি। এখন তে বুঝলাম তুমি একটা প্লেয়ার। ওয়েট প্লেয়ার! এটা তো সম্ভব না। এতো উপরে আমি বাদে কোনো প্লেয়ার থাকার কথা না। (জ্যাক)

গাছের মধ্য থেকে হেঁটে বের হয়ে আসা ব্যক্তিটা তাকিয়ে ছিলো জ্যাকের দিকে। তার হাতে একটা বড় ট্যাবলেটের মতো কিছু একটা ছিলো। যার স্ক্রিনে সে কিছু একটা দেখছিলো। এবার সে বলতে শুরু করলো।

-->> আমার নাম সেভেন্থ ওয়ার্কার। আমি ৭০-৮০ ফ্লোর নিয়ন্ত্রণ করি। যেহেতু এখনো নিচের ফ্লোর গুলো ক্লিয়ার হয় নি। তাই সিস্টেমের একটা বাগ ছাড়া আর কিছু ধরতে পারছি না তোমাকে। আর আমাদের দায়িত্ব প্রতিটা বাগকে সম্পূর্ণ ভাবে মুছে ফেলা। তাই টাওয়ারের জন্য তোমাকে মরতে হবে।

লোকটা একটা রোবটের মতো কথাটা বলে ফেললো। যা বলার পর চারপাশের সমস্ত গাছপালা মাটি থেকে উঠে গেলো। তাদের কান্ড এবং শিকড় সূঁচালো হয়ে গেলো। যা দিয়ে তারা এট্যাক করার অপেক্ষাতেই ছিলো।

-->> ওয়েল মনে হচ্ছে শক্তিশালী কোনো ওপোনেন্টের সামনে পরেছি আমি। (জ্যাক)


* * * 

To Be Continued 

* * * 


কেমন হলো জানাবেন।

About the Author

হৃদয় বাপ্পী
Hello Friends, My Name is Bappy and Welcome To Our Website. My Passion is to Share Knowledge With Everyone. Also I am a writer.

1 comment

  1. Supreme being ta oo tahole interesting hocche aste aste,,, well-done keep going
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.