আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রতি শনিবার, সোমবার এবং বুধবার রাত ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে ওয়েবসাইটে পোস্ট হবে।

Want Premium Membership!

সুপ্রিম বিয়িং পর্বঃ ৭৮

হৃদয় বাপ্পী
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated
[প্রথমেই বলি গল্পটা পুরো কাল্পনিক, কেউ বাস্তব কিংবা ধর্মের সাথে তুলনা করবেন না]

#ডিম্যান_কিং_সিরিজ#

#সুপ্রিম_বিয়িং#

পর্ব:৭৮

লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
.
(টাওয়ার অফ এনভি)

প্রতিটা ওয়ার্ল্ড তাদের নিজস্ব সময় মতো চলে। আর এজন্যই এক্সব্লকের বাইরে টাইম ট্রাভেল করা সম্ভব হয়। এক একটা ওয়ার্ল্ড পরিবেশের নিয়ম অমান্য করে বলেই এক একটা ওয়ার্ল্ডের সাথে আরেকটা ওয়ার্ল্ডের কোনো সম্পর্ক নেই এক্সব্লকের বাইরে। তবে কিছুটা চেষ্টা এবং বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমেই একজন দুটো ওয়ার্ল্ডের মাঝের ব্রিজটা পার করতে পারে। যাইহোক আসল বিষয়ে ফেরা যাক। টাওয়ার অফ এনভির মধ্যে অনেকটা সময় পার হয়েছে। যেহেতু এক একটা ওয়ার্ল্ডের সময় এক এক ভাবে চলে তাই অন্যান্য টাওয়ার থেকে এই টাওয়ারের মধ্যে অনেকটা দ্রুত সময় পার হয়েছে। সময়ের সাথে সাথে ডিম্যান প্রিন্স অফ এনভি লেভিয়াথনও প্রস্তুত হয়েছে তার ফুল স্ট্রেন্থ নিয়ে। একটা ড্রাগনকে সে নিজের নতুন হোস্ট বানিয়ে তার দ্বারা অনেক দ্রুত শক্তিশালী হতে পেরেছ। যা লেভিয়াথনের প্লানকে ফলো করার সুযেগা করে দিয়েছে।

-->> ভাবতেই অবাক লাগছে আমার। এক সময়ের একজন প্রিমোর্ডিয়াল মনস্টার হওয়ার পরও আমার এরকম অবস্থা হবে। হয়তো অন্যদের উপরে একটু বিশ্বাস রাখলে আমার আজ এতোটা খারাপ অবস্থা হতো না। (লেভিয়াথন)

ডিম্যান প্রিন্স অফ এনভি তার সারাজীবনই অন্যান্যদের উপরে সন্দেহ করেছে। তার সন্দেহের সাথে হিংসাও মিশে ছিলো। তাই তো তার কথায় বা কাজে আজ পর্যন্ত কেউ বিশ্বাস করে নি। তাই সে সিওর হতে পারছে না যে তার পরবর্তী কথাও কোনো ডিম্যান প্রিন্স বিশ্বাস করবে কিনা। 

-->> আর কেউ না করলেও ম্যামন আমার কথায় ঠিকই বিশ্বাস করবে। আর আমাকে তার কাছেই এখন যেতে হবে। (লেভিয়াথন)

লেভিয়াথন আকাশের দিকে তাকালো। সে এখন একটা ড্রাগন, তাই তাকে ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল নিয়ে এখন আর ভাবতে হবে না। যদিও সে যে ওয়ার্ল্ডে ছিলো সে ওয়ার্ল্ডের কোনো ড্রাগনই এ সম্পর্কে জানতো না। তবে লেভিয়াথনই ভালো করে জানে যে ড্রাগন গুলো কি কাজে ব্যবহার হয়।

-->> বর্তমানে আমি নিজেই একটা টেলিপোর্ট গেইট। (লেভিয়াথন)

লেভিয়াথন তার হিউম্যানয়েড ফর্মে ছিলো। যেটা দেখতে মানুষের মতো হলেও তার কান এবং লেজ একটা ড্রাগনের মতো ছিলো। তবে এবার সে তার ড্রাগন ফর্মে চলে আসলো। বিশাল চার পা যুক্ত লাল কালারের একটা ড্রাগনে পরিণত হয়ে গেলো লেভিয়াথন। সে একটা লাফ দিয়ে আকাশের উপরে উড়তে শুরু করলো। তার উড়ার স্পিডের ফলে আকাশের মধ্যে একটা পোর্টাল তৈরী হলো যেটার মধ্যে সে প্রবেশ করলো,

[ম্যামন আমি আসছি তোমার কাছে।]


* * * * *

(টাওয়ার অফ স্লোথ)

টাওয়ারের এক একটা পুকুরের মধ্যে অবস্থান করছিলো টাওয়ারের গাইড জিরো। যে এক সময়ে ডিম্যান প্রিন্স অফ স্লোথ বেলফেগরের রয়েল মেইড ছিলো সে এখন টাওয়ার অফ স্লোথের কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করে। জিরো তার মাস্টারের টাওয়ারের সমস্ত বিষয় গুলোর দিকে নজর রাখছিলো। তাকে কোথাও যেতে হয় না বরং সে তার চোখ বুঝেও অনুভব করতে পারো টাওয়ারের কোথায় কি হচ্ছিলো। হয়তো এটা এই টাওয়ারেরই কোনো একটা স্পেশালিটি। যায়হোক জিরো মনোযোগ দিয়ে টাওয়ারের ঘটে যাওয়া বিষয় বস্তু অনুভব করছিলো। ঠিক তখনি তার কানে একটা শব্দ ভেসে আসে। শব্দটা ছিলো তার মাস্টারের। যে এখনল ইটার্নাল স্লিপের মধ্যে ছিলো। ইটার্নাল স্লিপ এমন একটা বিষয় যা ব্যবহার করে শক্তিশালী স্পিসিজরা তাদের সউলকে হ্যাভেন কিংবা আন্ডারওয়ার্ল্ড কোনোটার মধ্যে পাঠায় না। বরং একটা চিরন্তন ঘুমের মধ্যে চলে যায় তাদের সউল। এটা ব্যবহার করা হয় একটা কারণেই, যাতে ভালো মানের একটা হোস্ট পাওয়া গেলে তারা আবারো রেইনকার্নেট হতে পারে। সকল শক্তিশালী কন্সটেলেশন গুলোই এটা ব্যবহার করে এখন অব্দি বেঁচে আছে। অবশ্য কোনো ডিম্যান প্রিন্স এটা ব্যবহার করতে পারে না। বরং তাদের ইটানার্ল স্লিপের মধ্যে পাঠানোর হাত ছিলো ডিম্যান কিং এর। যেহেতু অনেক শক্তিশালী একটা কন্সটেলেশন ছিলো ডিম্যান কিং নিজেই তাই তার জন্য তার প্রিন্সদেরও ইটানার্ল স্লিপে পাঠানো কোনো বড় একটা ব্যাপার ছিলো না। যায়হোক ইটানার্ল স্লিপ থেকে কেউ কখনো কথা বলতে পারে না। তবে এখানে বেলফেগরের বিষয়টা সম্পূর্ণ ভিন্ন। সে তার সারা জীবন কাটিয়ে দিয়েছে শুধু ঘুমিয়েই। তাই ঘুমের মধ্যে কথা বলার ট্রিকটা হয়তো তার থেকে আর কেউ ভালো জানে না।

[জিরো, আমি অনুভব করতে পারছি লুসিফার, সাটান এবং লেভিয়াথন তাদের নিজ নিজ টাওয়ার থেকে দূরে আছে। সেই সাথে এসমোডিয়াসের টাওয়ার এবং তার নিজের প্রেজেন্স আমি অনুভব করতে পারছি না। খুব শীঘ্রই অনেক বড় কিছু হতে যাচ্ছে।]

শব্দটা শুধু জিরো একাই শুনতে পেলো। তার মাস্টার তাকে বর্তমানের অবস্থা সম্পর্কে বলছিলো। সাত ডিম্যান প্রিন্সই একে অপরের সেন্স অনুভব করতে পারে। কেনো পারে সেটা কেউ বলতে পারবে না ডিম্যান প্রিন্স ব্যতীত। আর যেহেতু তারা একে অপরের সেন্স অনুভব করতে পারে তাই দূর থেকেই বলতে পারে যে অন্য ডিম্যান প্রিন্স জীবিত আছে কিনা মারা গেছে। অবশ্য তাদের সামনে কোনো ডিম্যান প্রিন্স চেহারা বদলে বসে থাকলে সেখানে তারা তাদের প্রেজেন্স অনুভব করতে পারবে না। বিষয়টা সেরকম ভাবে কাজ করে না। তাই এই টাওয়ারের মধ্যে যদি লুকিয়ে কোনো প্রিন্স এসে বসে থাকে তাহলে কেউ বলতেই পারবে না। তবে সেটা বলা সম্বব হবে যদি কোনো ডিম্যান প্রিন্স তার পাওয়ার ব্যবহার করা শুরু করে। যাইহোক এরকম কিছু হয় নি তাই এই টপিকে যা গেলাম আর। 

[মাস্টার, আপনার কি তাহলে সেই সময়ে সেই মেয়েকে নিজের হোস্ট বানিয়ে ফেলা উচিত ছিলো না? এতে করে এখন আপনি সব বিষয় গুলো দেখতে পারতেন।] (জিরো)

জিরো তার মাস্টারকে কথাটা বললো। বেলফেগর আবারো উত্তর দিতে লাগলো,

[তুমি নিশ্চয় জানো আমি সেই মেয়ের অর্ধমৃত শরীরকে কোনো ভাবেই নিজের হোস্ট বানাতাম না। আর যদি বলি তাকে আমার বডি দেওয়ার বিষয়টা, তাহলে বলবো মেয়েটা আমার পছন্দ হয়েছে। প্রথম থেকেই আমি লক্ষ করেছি। যদিও আমি আমার ইটানার্ল স্লিপের মধ্যে আছি তারপরও এই টাওয়ারে যা হচ্ছে তা আমি স্বপ্নের মতো করে দেখতে পারছি। আর মেয়েটার সাথে যা হয়েছে তার সব কিছুই আমি জানি বা দেখেছি। হয়তো তুমি এই ছোট বিষয়টা খেয়াল করো নি। তবে সেই মেয়েটা একজনের অনেক স্পেশাল কেউ। তাই আমি তাকে আমার টাওয়ারের মধ্যেই মারা যেতে দিতে পারি নি।] 

বেলফেগর কথাটা বললো। তবে তার কথাটা শুনে এখনো সন্তুষ্ট নয় জিরো। তাই সে চুপ করেই রইলো। তাই বেলফেগর আবারো বলতে লাগলো।

[জিরো আমার মনে হয় ডিম্যান কিং এর প্লানে আমাদের অংশ নেওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে। তাই আমাকে আর এভাবে ইটার্নাল স্লিপে থাকলে চলবে না। তুমি জানো আমি এমনিতেই মানুষদের পছন্দ করি না। তাই তাদেরকে হোস্ট হিসেবে নিতে আমার মন চাচ্ছে না। তাই আমি তোমার মাস্টার হিসেবে বলছি, জিরো আমার হোস্ট হয়ে যাও তুমি।]


* * * * * 

(টাওয়ার অফ গ্রিড)

৭১ তম ফ্লোরের মধ্যে জ্যাক এবং ফ্লোর ওয়ার্কারের মধ্যে অনেক ভয়ানক একটা ফাইট হয়েছে। তবে অবশেষে ফাইটে জ্যাকের জয় হয়েছে এবং ওয়ার্কার হেরে গিয়েছে। ওয়ার্কারের হারের পর জ্যাক কিছুটা বিশ্রাম নেওয়ার জন্য একটা গাছের ডালে উঠে বসলো। পূর্ব সময়ে যখন সে মাংকি ফর্মে ছিলো তখন গাছে গাছে থাকতে থাকতে এই একটা অভ্যাস হয়ে গিয়েছে তার। ডালের উপরে বসে জ্যাক কিছুটা বিশ্রাম নিতে শুরু করলো।

-->> আমি ক্লান্ত। এই সব কি শেষ হবে না কোনোদিন? নাকি আমরা সব সময় দুজনের দাবার পিস হয়ে পরে থাকবো সারাজীবন? (জ্যাক)

জ্যাক আকাশের দিকে তাকিয়ে উক্ত কথাটা বললো। তার সাথে কথা বলার কোনো লোকই ছিলো না। তারপরও সে একা একা কথাটা বলতে শুরু করলো। তবে সে যে একদম একা ছিলো এমন নয়। তার সামনেই স্পেস ফেড়ে একজন ব্যক্তির এন্ট্রি হলো। যাকে সে কোনোদিনও দেখে নি। তবে তার শরীরের উজ্জ্বল হলুদ আলো দেখতে পেয়ে জ্যাক বুঝতে পারলো তার সামনে কে দাঁড়িয়ে ছিলো। জ্যাক ভেবেছিলো এক সময় না একসময় তার দেখা হবেই, কিন্তু এতো দ্রুত হবে সেটা সে চিন্তাও করে নি। জ্যাকের অজান্তেই তার পা দুটো কাঁপতে শুরু করলো। এরকম খুব কম হয় যে জ্যাক ভয় পেয়েছে। তার পুরো শরীর নাড়াচাড়া করতে পারছিলো না। তার শরীরের প্রতিটা অঙ্গ বলছিলো যে এখানেই সে মারা যাবে।

[স্টোন মাংকি প্লাস পোসেইডন। এইটা আসলেই মানার মতো বিষয় না। তারপরও স্টোন মাংকির জন্য সব কিছু সম্ভব। কারন সে আমার অ্যাভেটার ছিলো।]

জ্যাকের সামনে উপর থেকে একটা স্পেস পোর্টাল থেকে বেরিয়ে আসা ব্যক্তিটা আর কেউ না সান কন্সটেলেশনের একটা অ্যাভেটার ছিলো। অবশ্য এখন বলা যায় সান কন্সটেলেশন নিজেই এসেছে। কারণ অ্যাভেটারের শরীরকে সে প্রজেস করে রেখেছে এখন। জ্যাক এমন একজন ব্যক্তির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলো যার সামনে সে কিছুই করতে পারবে না। জ্যাককে তার অস্তিত্ব থেকে মুছে ফেলতে হলে শুধু তার সামনের ব্যক্তির চিন্তা করা যতটুকু সময়ের প্রয়োজন আর এরপর জ্যাককে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। দুজন সুপ্রিম কন্সটেলেশনের মধ্যে একজনের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলো জ্যাক। এক সময়ে তার অ্যাভেটারই ছিলো জ্যাক। অবশ্য স্টোন মাংকি ছিলো তার অ্যাভেটার। এখন যেহেতু তারা মার্জ হয়েছে একসাথে তাই জ্যাকেরই কন্সটেলেশন বলা যায়।

"আমার হার্ট বন্ধ হয়ে যেতে চাচ্ছে। এরকম প্রেসার ঠিক আমি হ্যাভেনলি কিং এর সামনে বোধ করেছিলাম। না এটা তার থেকেও মারাত্মক। হ্যাভেনলি কিং এই শক্তির ধারের কাছেও নেই।" (জ্যাক ভাবছে)

জ্যাকের উপর থেকে লোকটা আস্তে আস্তে হাওয়ার মধ্যেই হাঁটতে হাঁটতে জ্যাকের একদম সামনে এসে দাঁড়ালো। 

[ভয়ের কোনো কারণ নেই। আমি আমার কোনো অ্যাভেটারকেই কখনো কষ্ট দেই নি। তারা নিজেদের কষ্টকে নিজেরাই বেছে নিয়েছে। আর তোমার কথা বলতে গেলে, তুমি তো এখন আর আমার অ্যাভেটার নও, তাই তোমার কোনো ব্যাপারে আমি নাক গলাতে পারছি না।]

সুপ্রিম কন্সটেলেশনের কথা শুনে জ্যাকের মনে কিছুটা শান্তি আসলো এটা মনে করে যে সান কন্সটেলেশন তাকে হত্যা করতে আসে নি। বরং এখানের ব্যাপারটা পুরো উল্টো।

[আমি তোমার জন্য আরো বড় এবং ভালো একটা ইন্ডিং ভেবে রেখেছিলাম। কিন্তু যেহেতু নতুন একটা পথে চলতে শুরু করেছো তাই দূর থেকে দেখা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় নেই। যেহেতু এখন আর তুমি আমার কোনো অ্যাভেটার নও তাই তোমার কোনো বিষয়ে আমার হাত থাকছে না। এমনকি হ্যাভেনের বিপক্ষে পরলেও আমার কোনো রকম সাহায্য আর পাচ্ছো না।]

এই কথাটা বলা শেষ হলেই সান কন্সটেলেশনের অ্যাভেটারের পিছনে আবারো একটা পোর্টাল তৈরী হলো। যার মধ্য দিয়ে সে প্রবেশ করে চলে গেলো। জ্যাক বুঝতে পারলো না হঠাৎ কি হলো।

"সান কন্সটেলেশন তো এটুকু বলার জন্য আমার সাথে এভাবে দেখা করবে না! যে আমাকে অ্যাভেটার বানানোর পূর্বে এবং পরে একবারও দেখা করে নি এমনকি কথাও বলে নি একবারো। সে হঠাৎ এভাবে দেখা করবে কেনো সেটা বুঝতে পারলাম না। যাইহোক আসল ব্যাপার হলো সে আমার ব্যাপারে আর নাক গলাবে না মানে তাকে এটা সিওর যে সে আমাকে হত্যা করবে না।" (জ্যাক  ভাবছে)

জ্যাকের মাথায় অনেক কিছুই ছিলো। তার ভাবনা নিয়ে সে ঘুমিয়ে গেলো। এটা তার পুরানো একটা অভ্যাস। অবশ্য পোসেইডন এবং স্টোন মাংকি দুজনেরই পুরাতন একটা অভ্যাস এটা। বেশী চিন্তা করলো তারা ঘুমিয়ে যায়। একটু পূর্বে যে জ্যাক ভয়ে নরতে পারছিলো না সে এখন গাছের ডালের উপরে শান্তিতে ঘুমাচ্ছিলো। 


* * * * *

অন্যদিকে,

আজকে সাতদিন হয়েছে গ্রিড জ্যাককে নিয়ে কোথাও চলে গিয়েছ। আর তাদের পিছনে পরে আছে ডোয়ার্ক মল্ট, যে উপরের ফ্লোর গুলো কোনো রকম অপেক্ষা করা ছাড়ায় ক্লিয়ার করে দিচ্ছে। ফ্লোর গুলো অনেক বড় হওয়ার কারনে শুধু মল্টের যাতায়াতের সময়ই লাগছিলো। আর এর মাঝে যেসব মনস্টার বা বস আসছিলো তাদেরকে পিঁপড়ার মতো পায়ের নিচে পিষিয়ে হত্যা করে উপরের ফ্লোরে প্রবেশ করছে। টাওয়ারের মধ্যে প্রতিটা প্লেয়ার বিশ্বাস করতে পারছে না যে ডোয়ার্ক মল্ট সাত দিনে চারটা ফ্লোর ক্লিয়ার করেছে। মল্টের ভয়াবহতা সম্পর্কে সবাই টাওয়ারে আসার পর খেয়াল করেছে। কিন্তু তার শক্তির নমুনা এতোটা হবে সেটা কেউ আশা করে নি। সবার হাতে যেহেতু মোবাইল রয়েছে এবং কে বা কোন পার্টি ফ্লোর ক্লিয়ার করলো সেটা সবার মোবাইলে মেসেজ আকারে চলে যায়। এজন্য সবাই অবগত মল্ট কি করেছে। যাইহোক ৭০ তম ফ্লোরে আসার পর একটা জায়গায় মল্ট থেমে যায়।

-->> আমি অনেকটা হাঁপিয়ে গিয়েছে  এতোটা স্পিড আমি পূর্বে কখনো ব্যবহার করি নি। আমার লাইফ এনার্জি অনেকটা কমেছে। এখন যদি আমি জ্যাককে জীবিত না পায় তাহলে আমার এই জীবনটা আর কেউ শেষ করতে পারবে না। (মল্ট)

মল্ট নিজেকেই কথাটা বললো। সে জ্যাককে খোঁজার জন্য পাগলের মতো এখানে ছুটে এসেছে। এমন নয় যে তার স্টুডেন্টের জন্য মায়ায় সে এসেছে। বরং এটাই একমাত্র উপায় তার মৃত্যুর। মল্ট যদি মারা যেতে চাই তাহলে তাকে জ্যাককে খুঁজতে হবে এবং তার হাতেই মৃত্যু বরণ করতে হবে তাকে। তা নাহলে,

"তা নাহলে সব কিছু আবারো উল্টো হয়ে যাবে।" (মল্ট ভাবছে)

মল্ট যে জায়গায় এসে দাড়িয়েছে সেখানে সে ফাইটের কিছু নিশানা দেখতে পাচ্ছে। ডিম্যান প্রিন্স অফ গ্রিড ম্যামন জ্যাককে যে কোনো একটা জায়গায় নিয়ে যেতে পারতো। কোনো ড্যানজন এমনকি নিচের কোনো ফ্লোরেও। কিন্তু মল্ট জানে সে সেটা করবে না। বরং উপরের কোনো একটা ফ্লোরের মধ্যে জ্যাককে নিয়ে আসার সম্ভবনা বেশী ছিলো। আর বর্তমানে মল্ট যে জায়গায় আছে সেখানে বিশাল একটা ফাইটের তৈরী হয়েছে। আর এটা দেখেই মল্ট বুঝে গেলো জ্যাককে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। মল্ট তার হাতে থাকা ফোন বের করলো। একটা মেসেজ মাত্র এসেছে যে ৭১ তম ফ্লোর ক্লিয়ার হয়েছে। তাই মল্ট বুঝতে পারলো জ্যাক এখানে ছিলো এবং হয়তো গ্রিডের কাছ থেকে বেঁচেছে নাহলে গ্রিডের নতুন হোস্ট হয়েছে। 

-->> আমি এখনো সিওর না। আমাকে সিওর হতে হলে প্রথমে জ্যাকের সাথে দেখা করতে হবে। (মল্ট)

এটা বলেই মল্ট যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হলো। তবে একটা বিষয় তাকে ভাবাচ্ছিলো। আশে পাশে সে অনেক পরিচিত একটা এনার্জির ঘ্রাণ অনুভব করতে পারছিলো। যদিও ডোয়ার্ক মল্ট নিজে চি এনার্জি ব্যতীত অন্য কোনো এনার্জি ব্যবহার করতে পারে না, এমনকি সে অন্য কোনো এনার্জি দেখতেও পারে না। তবে সে সকল এনার্জির ঘ্রাণ নিতে পারে। এটা তার এমন একটা এবিলিটি যে একই ধরণের এনার্জি ব্যবহার করা শত ব্যক্তির মধ্য থেকেও যদি একজনকে বেছে নিতে বলা হয় তাহলে সে ঘ্রাণের মাধ্যমে খুজে বের করতে পারবে। আর মল্টের কাছে আশেপাশের একটা এনার্জির ঘ্রাণটা অনেক পরিচিত মনে হতে লাগলো।

-->> এখন কি এটাও আমাকে দেখতে হবে এই বয়সে? (মল্ট)

মল্ট আর সেখানে থাকলো না। সে সোজা রওনা দিলো ৭১ তম ফ্লোরের দিকে। যেখানে সে সিওর ছিলো যে তার সাথে জ্যাকের দেখা হবে। কারন মোবাইলের মেসেজে ক্লিয়ার পার্টির নাম ছিলো মাস্ক পার্টি। তাই মল্ট এটুকু সিওর ছিলো যে সেটা জ্যাকই ছিলো এখন শুধু তার দেখতে হবে সেটা আদৌও জ্যাক নাকি গ্রিড যে জ্যাককে নতুন হোস্ট তৈরী করেছে।


* * * * *

(এক্সব্লক)

অলিম্পাসের ১২ কন্সটেলেশনের সভায় তিনজন বাদে সবাই বসে ছিলো। তিনজন যারা উপস্থিত ছিলো না তাদের মধ্যে এরেস, এথিনা এবং হেডিস ছিলো। পোসেইডনের সিট অনেক পূর্বেই আরেকজন কন্সটেলেশন দিয়ে ভরে গিয়েছে। সিট বলতে বিশাল বিশাল বারোটা পিলার তৈরী করা ছিলো। যার উপরে একটা করে বসার আসন ছিলো। এখানে যার মর্যাদা বেশী তার পিলারটাও বেশী বড় ছিলো। জিউস যে অলিম্পাসের রুলার তার পিলারটা ছিলো সবার উপরে। সে তার নর্মাল ফর্মে বসে ছিলো তার সিংহাসনের উপরে।

-->> এই বিষয়টাকে আর বেনজর করতে পারি না আমরা। উইশ মেকার নামক ব্যক্তিটা জায়গায় জায়গায় ঘুরে বেরাচ্ছে এবং আমাদের জন্য অনেক ঝামেলার তৈরী করছে। প্রথমত এজগার্ডের সাথে যুদ্ধ এখন পোসেইডনের কার্স মুক্ত করা। আমার মনে হয় আমাদের কিং অফ ডেস্টিনির প্রফেসির পিছনেও এই উইশ মেকারের হাত রয়েছে। (হেরা)

রুলার অফ অলিম্পাস জিউসের স্ত্রী হেরা যে কিনা কন্সটেলেশন অফ ম্যারেজ, সে উক্ত কথাটা বলে উঠলো। তার কথাটা শুনে জিউস এবার বলতে শুরু করলো।

-->> পোসেইডনের ব্যাপারটা দেখার জন্য এরেস তার অ্যাভেটারের মাধ্যমে সেখানে গিয়েছে। তবে হের্মিস এথিনাকে কি আমার মেসেজটা পৌঁছে দিয়েছো? (জিউস)

জিউস ভারী কন্ঠে কথাটা বললো। তার কথায় পুরো হল স্তব্ধ হয়ে গেলো। জিউসের প্রশ্নে হের্মিস কথা বলতে শুরু করলো।

-->> ফাদার, আমি এথিনার কাছে গিয়েছিলাম আপনার মেসেজটা পৌঁছানোর জন্য। কিন্তু এথিনা ফিরতে রাজি নই। সে বলেছে তার ছুটি এখনো শেষ হয় নি। তাই সে তার ছুটি শেষ হলেই এখানে ফিরবে। (হের্মিস)

-->> এটা ঠিক যে আমি তাকে এক বছর সময় কাটানোর সুযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু এটা আমার আদেশ ছিলো। আর আমার সন্তানরা যদি আমার আদেশ অমান্য করে তাহলে প্রজারা তো করবেই। ঠিক আছে, মনে হচ্ছে আমাকেই সেই ছোট জায়গায় যেতে হবে। এমনিতেই আমি আমি ভাবছিলাম একটা ডিম্যান টাওয়ারের খবর কেনো আমার থেকে গোপন যাবে। যেহেতু হেডিস সেই ডিম্যান টাওয়ারের পিছনে ছিলো তাই আমি এতোদিন কিছু করি নি। তবে এখন সময় হয়েছে সেটার মালিক সহ ভিতরের সকল মানুষকে হত্যা করবার। তাদেরকে দেখিয়ে দিতে হবে ডিম্যানদের সাহায্য নিলে তাদের সাথে কি হয়। (জিউস)

জিউস ভারী কন্ঠে আবারো বলে উঠলো কথাটা। এবার কথার সাথে সে হালকা মুচকি হেসেও দিয়েছে।


* * *

To Be Continued 

* * * 


কেমন হলো জানাবেন।

About the Author

হৃদয় বাপ্পী
Hello Friends, My Name is Bappy and Welcome To Our Website. My Passion is to Share Knowledge With Everyone. Also I am a writer.

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.