#Demon_King#
পর্ব:১১৩
লেখকঃ হৃদয় বাপ্পী
.
.
.
টাওয়ার অফ গ্লাটোনি,
ব্লু কিংডমের এরিনার মধ্যে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্ট শেষ হয়েছে। প্রিন্সিপাল তার ভাষন শুরু করেছে ঠিক তখনি তার উপরে একজন পরিচয়হীন ব্যক্তি এট্যাক করে বসে। প্রিন্সিপাল সহ একাডেমির কোনো ব্যক্তিই তাকে চিনে না। তাই প্রথমে সহজেই তাকে হারানোর মতো মনোভাব শিক্ষকদের মাঝে থাকলেও প্রিন্সিপাল সেই ব্যক্তি এবং নিজেদের মধ্যের পার্থক্য বুজতে পেরে প্রথমেই সকল শিক্ষকদের এবং গ্যালারিতে অবস্থিত সকল স্টুডেন্ট এবং পাবলিকদের টেলিপোর্ট করে দূরে পাঠিয়ে দিয়েছে। প্রিন্সিপালের বিপক্ষে ফাইটে অংশ নেওয়া ব্যক্তি সাটান ছিলো। একজন ডিম্যান প্রিন্স হওয়ার কারণে সে ডিমনিক এনার্জি ব্যবহার করতে পারছিলো। আর ডিমনিক এনার্জি ব্যবহারের ফলে সাটানের পাওয়ার ছিলো তুলনার বাইরে। প্রিন্সিপাল সাটানের সাথে ফাইট করতে করতে নিজের এনার্জি প্রায় শেষ করে ফেলেছে। তাই তার স্ত্রী এবং একাডেমি ভাইস প্রিন্সিপাল তাকে সাহায্য করতে যায়। তবে সাটান সেখানেই থামে নি। সে ব্যারিয়ারের মধ্যে থাকা প্রিন্সিপালকে এট্যাক করার জন্য এগিয়ে আসে কিন্তু ঠিক সেই সময়। ভিআইপি রুমের উপর থেকে এক ব্যক্তি বুলেটের মতো স্পিডে সাটানের দিকে চলে যায় এবং সাটানের মুখে কিক মারলো। যার কারণে সাটান মাটিতে পরলো অনেক স্পিডে এবং গলিত লাভার মধ্যে ঢুবে গেলো।
টকবগানো লাভার মধ্য থেকে শরীরে কোনো রকম ক্ষত না নিয়েই সাটান বের হয়ে আসলো। তার মুখে একটা ভয়ঙ্কর হাসি দেখা গেলো। যা দেখে যেকোনো সাধারণ ব্যক্তিরই হবে তাদের সামনে একটা মনস্টার দাঁড়িয়ে ছিলো যে হত্যা পাগল। সাটান তার সামনের ব্যক্তির সাথে কথা বলার চেষ্টা করছিলো কিন্তু সাটানের কথার পরও তার প্রতিপক্ষ কোনো রকম উত্তর দিলো না। সাটান তার সারা জীবনে বেশ কিছু জিনিসে অনেক রাগ করে। যার মধ্যে একটা হলো কোনো মেয়ের চেহারা না দেখতে পারা এবং আরো একটা রয়েছে যেখানে তার কথায় কোনো একটা মেয়ে উত্তর না দিলে। সাটান কথা বলছিলো কিন্তু তার সামনে দাড়িয়ে থাকা সাদা একটা মুখোস পরিহিতা মেয়ে কোনো রকম কথা বলছিলো না।
পুরো সাদা একটা মুখোস বা মাস্ক পরা এক মেয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো সাটানের সামনে। মেয়েটার চুল গুলো বেণী করে বাঁধা ছিলো যা পিছনের দিকে উড়ছিলো। সে চুলের একদম শেষ প্রান্তে একটা ড্যাগার বাঁধা ছিলো। যা চুলের সাথে সাথেই উড়ছিলো। সাটান মেয়েটার থেকে কোনো রকম উত্তর না পেয়ে অনেকটা রেগে গেলো। যার কারণে তার শরীর থেকে ডিমনিক এনার্জি অনেক মাত্রায় বের হতে শুরু করলো। সাটানের শরীরের চারপাশ দিয়ে কালো ধোঁয়ার মতো ডিমনিক এনার্জি বের হচ্ছিলো। সাটানের পুরো শরীরের মাংসপেশিগুলোও আস্তে আস্তে ফুলতে শুরু করলো। মুখে একটা ভয়ঙ্কর হাসি নিয়ে সাটান চলে আসলো মেয়েটাকে এট্যাক করার জন্য। সাটানের স্পিড পূর্বের থেকে ভয়ানাক আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভিআইপি রুমের মধ্যে থাকা সাধারণ শিক্ষক সে মুভমেন্ট গুলোকে নিজের চোখে দেখতে পারছিলো না। একের পর এক পান্স এবং একের পর এক কিক মারতে শুরু করেছে সাটান। প্রিন্সিপালের সাথে ফাইটের সময় সাটানের কিক কিংবা পান্সে তেমন কিছু না হলেও এবার সেটা যে জায়গায় স্পর্শ করছিলো সেটাই ব্লাস্ট হয়ে যাচ্ছিলো। এতো কিক কিংবা পান্স দেওয়ার পরও তার সামনের মেয়েটার কিছুই হলো না। সে মেয়েটা খুব সাবধানতা বজায় রেখে অনেক আরামেই সাটানের পান্স এবং কিক গুলোকে এরিয়ে চলতে পেরেছে। শুধু তাই নয় সাটানের এট্যাক থেকে যে ব্লাস্ট তৈরী হচ্ছিলো সেটাও মেয়েটাকে কিছু করতে পারে নি।
❝আমি এক্সব্লক থেকে বের হয়ে আসার পর এমন কাউকে দেখি নি যে আমার এট্যাক থেকে এভাবে নিজেকে বাঁচাতে পারবে। আমার মনে হচ্ছে, আমি কি এট্যাক করবো তার প্রতিটাই এই মেয়েটা বুঝতে পারছে। এটা কি মাইন্ড রিডিং এবিলিটি নাকি ফিউচার সাইট? যেটাই হোক, আমি সেটাকে আমার উপরে কাজ করতে দিতে পারি না। বিশেষ করে এরকম জায়গায় নয় যেখানে আমি আমার স্বপ্নকে পাওয়া থেকে মাত্র এক কদম পিছনে❞ (সাটান ভাবছিলো)
সাটান তার চিন্তাকে এক সাইটে রেখে ডান হাতের মধ্যে কিছুটা এনার্জি ফোকাস করলো এবং একটা পান্স সে মাটিতে মারলো। ডান হাতে কালো ডিমনিক এনার্জি সংগ্রহ হয়ে আবারো মাটিতে আঘাত করলো। পূর্বেরটা তো একটা সাধারণ পান্স ছিলো, তবে এবারের পান্সটা অনেক মারাত্মক ছিলো সেটার থেকে। এবারে ভেঙে যাওয়া গ্যালারি সহ আরো অনেকটা জায়গা নিয়ে মাটি ফেটে গেলো। শুধু মাটি ফাটলো না বরং সে পুরো মাটি গর্ত হয়ে নিচে পরে গেলো। এমনিতেই পূর্বে লাভা বের হয়েছে মাটি থেকে যা আস্তে আস্তে গর্ত হয়ে যাওয়া জায়গার মধ্যে পরতে শুরু করলো। ভাইস প্রিন্সিপাল তার লাইট ব্যারিয়ার এট্রিবিউটের সাহায্যে প্রিন্সিপাল এবং নিজেকে একটা ব্যারিয়ারের মধ্যে আটকিয়ে ভিআইপি রুমের মধ্যে উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো। অন্যদিকে সাটান তার পান্সের ফলে তৈরী হওয়া নতুন গর্তের মধ্যে একটা বড় পাথরের মতো স্তূপের উপরে দাঁড়িয়ে ছিলো। অন্যদিকে গর্ত তৈরী হওয়ার পরে সাটানের বিপক্ষে যে মেয়ে ফাইট করছিলো সে তার হাতে থাকা ছোট ছাতাটা খুলে আস্তে আস্তে নিচে পরেছে। একটা ছোট মাটির টুকরোর উপরে সে দাঁড়িয়েছে ছিলো। গর্তের মধ্যে মাটি ফেটে লাভা বের হয়েছে, সেই সাথে উপর থেকে এখনো গলিত লাভা তো পরছিলোই। সাটানের উপরে লাভার কিছু টুকরো স্পর্শ করলো যাতে তার কিছুই হলো না। অন্যদিকে মেয়েটার ছাতা খোলা অবস্থায় থাকার কারণে সব গুলো গলিত লাভার টুকরো তার ছাতার উপরেই লাগলো যার কারণে সে ও কোনো ইনজুরি লাভ করলো না।
-> কেমন লাগলো আমার হাতে বানানো জায়গাটা? এটা তো শুধু একটা নমুনা ছিলো। আমি জানি না কি ট্রিকস ব্যবহার করে আমার পান্স এবং কিক গুলো এভোইড করতে পারছো। তবে এখন থেকে আর এটা কোনো কাজে দিবে না। কারণ আমি এখন আমার ফুল পাওয়ার ব্যবহার করছি। (সাটান)
সাটান মেয়েটাকে উক্ত কথাটা হাসি মুখে বললো। এবার তার হাসিটা অনেক জোড়ালো হয়ে গেলো। হাসির সাথে সাথে সে একটা চিৎকারও দিলো। যে চিৎকারে তার কপালের দুই পাশ দিয়ে লম্বা কালো শিং বেরিয়ে আসলো। চুলের কারণে তার চেহারা ভালো করে না দেখা গেলোও শিং দুটো তার চেহারাকে আরো ভয়ঙ্কর করে তুলছিলো। তবে এ পরিবর্তনে মেয়েটা একটুও অবাক হয় নি। বরং সে তার জায়গা মতো দাঁড়িয়ে ছিলো। স্বাভাবিক মানুষের কাছে একটা চোখ পলক ফেলার সময় যতটুকু ঠিক সেই সময়েই সাটান তার এবং মেয়েটার মধ্যকার দূরত্ব শেষ করে একদম মেয়েটার সামনে চলে আসলো।
-> অসীম শক্তি এবং স্পিডের কাছে মাইন্ড রিডিং কিংবা ভবিষ্যৎ এর দৃশ্য দেখা কোনোটায় কাজ করবে না। (সাটান)
সাটান কথাটা বলেই তার ডান পা দিয়ে মেয়েটার মাথার ডান পাশ বরাবর একটা কিক মারলো। শরীরের এনার্জি হঠাৎ কালো থেকে বেগুনি কালারে রূপ নিয়েছে যেটা ডিমনিক এনার্জির মূল রঙ। বেগুনি কালারের এনার্জি তার পায়ে ফোকাস হয়েছিলো। যে কারণে এই একটা কিক দিয়েই সে তার টাওয়ারের ১০০ তম লেভেলের বসকে হত্যা করতে পেরেছিলো।
❝আফসোস এই কিকের পরে তোমার মাথার একটা অংশকেও আর খুজে পাওয়া যাবে না। নাহলে মাস্কের মধ্যে কতটা সৌন্দর্য লুকিয়ে ছিলো সেটা আমি দেখতে পারতাম।❞ (সাটান ভাবছিলো)
সাটান তার কিকটা মেয়েটার মাথা বরাবর মারলো। তবে কান বরাবর তার কিকটা লেগে সাটানের পা আটকে যায়। যা সাটান তার চোখ দিয়ে বিশ্বাস করতে পারছিলো না।
❝এটা কিভাবে সম্ভব। আমার এনার্জিটা বাকি প্রিন্সদের থেকে ভিন্ন। যার কারণে সেটার সংস্পর্শে যা আসবে সেটাই ব্লাস্ট হয়ে যাবে। মাত্র ব্যবহার করা কিকটা একটা ১০০ লেভেলের বসের শরীরকে খুঁজে না পাওয়ার মতো করে দিয়েছিলো। কিন্তু এই মেয়েটা একদম ঠিক আছে। আর শুধু তাই নয়। আমার কেনো মনে হচ্ছে আমি একটা শক্ত ধাতুতে কিক দিয়েছে যার কারণে পায়ে যন্ত্রনা শুরু করেছে।❞ (সাটান ভাবছে)
সাটানের কিকটা এতোটা মারাত্মক ছিলো যে মেয়েটার দাঁড়িয়ে থাকা জায়গার পিছনে যতটা গলিত লাভা ছিলো তা সব কিছু সুনামির মতো পিছনে চলে গিয়েছে এবং একসাথে ব্লাস্ট হয়েছে। যার কারণে পিছনের অনেকটা জায়গাও এরকম গর্ত হয়েছে। ঠিক জায়গায় জায়গায় বোমা ফেললে যেরকম অবস্থা হয় ফাইটিং এরিনার চারপাশ দিয়ে সেরকমই হচ্ছিলো। কিকটার ফলে মেয়েটার কিছুই হলো না। সে যেভাবে দাঁড়িয়ে ছিলো সেভাবেই দাঁড়িয়ে আছে। এক ইঞ্চিও সে তার জায়গা থেকে সরে নি।
-> তোমাদের সময় হয়ে এসেছে। যেখানে তোমাদের অনেক পূর্বেই মরে যাওয়ার কথা ছিলো, সেখানে আমার একটা ভুলের কারণে তোমরা হাজারো বছর বেঁচে আছো। তাই এখন সময় হয়েছে আমার ভুলটা সংশোধন করার। (মেয়েটা)
মেয়েটা অনেক মিষ্টি একটা কন্ঠে উক্ত কথাটা বললো। তার কথার মাঝে অনেকটা রহস্য লুকিয়ে ছিলো যার কোনোটাই বুঝতে পারলো না সাটান।
-> তোমার ভুলের কারণে আমরা বেঁচে আছি, পাগল হয়েছো এটা তোমার বাসার মানুষ জানে? এদিকে আসো এবং আমার দুটো পান্স খাও। তাতেই বুঝতে পারবে কোথায় মজা করতে হয় আর কোথায় সিরিয়াস হতে হয়। (সাটান)
সাটান মেয়েটার কথাকে বুঝতে পারে নি। তবে সে রেগে গিয়েছে অনেকটা কথাটা শুনে। যেহেতু সাটানের পাওয়ার তার রাগ থেকেই বৃদ্ধি পায় তাই এবারো তার পাওয়ার পূর্বের থেকে বৃদ্ধি পেয়ে দ্বিগুণ হয়ে গেলো।
-> আমি জানি না তুমি কিভাবে আমার কিকটা থেকে বেঁচে আছো। কিন্তু এবার আর আমি এতো সহজ একটা এট্যাক করছি না। এই এক এট্যাকে আমি তোমাকে সহ এই ফ্লোরে থাকা সকল ব্যক্তিকে হত্যা করে ফেলবো। (সাটান)
(ডোমেইনঃ ডিসট্রাকশন)
সাটান তার ডোমেইন একটিভ করলো। যেটা আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাচ্ছিলো। সে যে জায়গার মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলো সেটা থেকে গোল হয়ে তার ডোমেইন বৃদ্ধি পাচ্ছিলো। এটা এমন একটা ডোমেইন ছিলো যা এই পুরো ফ্লোরকে কভার করতে পারতো। ডোমেইনের মধ্যে যেসকল জীবিত বস্তু পরবে তা যতই শক্তিশালী হোক আপনা আপনি ব্লাস্ট হয়ে যাবে। যা মাটিতে থাকা ঘাস থেকে শুরু হয়েছে। ডোমেইনের মধ্যে মেয়েটা পরে গেলেও তার কিছুই হলো না। যা দেখতে পেয়ে সাটান আবারো অবাক হয়ে গেলো।
❝এটা অসম্ভব, আমার ডোমেইন দিয়ে আমার টাওয়ারে আমি এক লক্ষ ব্যক্তিকে হত্যা করেছিলাম যারা আমার বিপক্ষে গিয়েছিলো। কিন্তু আমি এই সামান্য একটা মেয়েকে হত্যা করতে পারছি না। এর থেকে লজ্জাজনক আর কি হতে পারে। তবে আমি জানি না কেনো, তবে এই মেয়েটার শরীর থেকে এমন একটা কিছু আমি ফিল করতে পারছি যেটা আমাকে এখনি এই জায়গা থেকে পালিয়ে যেতে বলছে।❞ (সাটান ভাবছে)
সাটানের হাত পা হালকা হালকা কাপছিলো। যা সে মাত্র লক্ষ করলল। সে এরকম অনূভুতি পূর্বে অনুভব করে নি। এটা ভয় ছিলো যা সে পূর্বে কখনো অনুভব করার সুযোগই লাভ করে নি। তাই এই পরিস্থিতিতে সে কি করবে বুঝতে পারছিলো না।
-> ভেবেছিলাম একটু সময় নিয়ে টর্চার করে তোমাকে হত্যা করবো। কিন্তু মনে হচ্ছে সেটা করলে নিষ্পাপ কিছু ব্যক্তির জীবন ঝুঁকিতে পরতে পারে। তাই এটাকে এখনি শেষ করা যাক। আন্ডারওয়ার্ল্ড তোমাকে ধ্বংস করার জন্য অপেক্ষা করে আছে। (মেয়েটা)
হঠাৎ সময় আটকে গেলো। সব কিছু পাথর হয়ে গিয়েছে। সাটানের ডোমেইনও আর বৃদ্ধি পাচ্ছিলো না। প্রতিটা ব্যক্তি নরতে, দেখতে কিংবা শুনতে পারছিলো না। সবাই দেখতে বা শুনতে না পারলেও শুধুমাত্র সাটান তার চোখ দিয়ে সব কিছু দেখতে পারছিলো। সে নরতে পারছিলো না, মুখ দিয়ে কথাও বের হচ্ছিলো না। এমনি সময় এক পা দু পা করে মাস্ক পরা মেয়েটা সাটানের সামনে এগিয়ে আসলো। তার হাতের ছাতাটা বন্ধ হয়ে আছে। যার হাতল ধরে একদম শীর্ষ স্থানটা সাটানের কপাল বরাবর লাগালো।
-> ও আন্ডারওয়ার্ল্ডে গিয়ে এসমোডিয়াসকে আমার তরফ থেকে হাই জানাতে ভুলো না। অবশ্য আমার মনে হয় না সে অবস্থা তোমাদের হবে। (মেয়েটা)
মেয়েটা ছাতা দিয়ে সাটানের কপালে হালকা করে একটা টুকা দিলো মাত্র। যে টুকাতে সাটানের পুরো শরীর ব্লাস্ট হয়ে গেলো। সাটান শুধুমাত্র তার চোখ দিয়ে এই ভয়ানক দৃশ্যটা দেখে গিয়েছে। যার বিপক্ষে একজন ডিম্যান প্রিন্স হওয়ার পরও সে কিছুই করতে পারে নি। সাটানের শরীরের কোনো টুকরো আর খুঁজে পাওয়া গেলো না। এমন মনে হচ্ছিলো সেখানে সাটান কখনো ছিলোই না। সময় এখনো আটকে ছিলো। যার মাঝে মাস্ক পরা মেয়েটা একাই নরাচরা করতে পারছিলো। সে আশেপাশে তাকালো এবং অনেকটা হতাশ হলো সব ডিসট্রাকশন দেখতে পেয়ে। তাই সে তার হাতের ছাতাটা খুললো। যার সাহায্যে সে হাওয়ার মধ্যে ভাসতে শুরু করলো। অনেকটা উপরে উঠার পর সে তার ডান হাত পিছনে চুলের শীর্ষে বাঁধা ড্যাগারটা খুললো। যেটা সে তার ডান হাত দিয়ে মাটিতে নিক্ষেপ করলো। ড্যাগারটা মাটিতে নিক্ষেপ করার পরে সেখানে হয়ে যাওয়া সমস্ত ড্যামেজ আস্তে আস্তে পূর্বের মতো হয়ে গেলো। মাটি ঠিক হয়ে গেলো, ফাইটিং এরিনাও পূর্বের মতো হয়ে গেলো।
❝আমার মনে হচ্ছে কিছু ব্যক্তির তাদের প্রমিস অমান্য করতে অনেক ভালোই লাগে।❞ (এলমন্ড)
সময় আটকে থাকলেও শুধুমাত্র একটা ব্যক্তি স্বাধীন মতো চলাচল করতে পারছিলো। এলমন্ড ভিআইপি রুমের মধ্য থেকে বাইরে আকাশে ভাসমান মেয়েটার সাথে ট্যালিপ্যাথির সাহায্যে কথা বলছিলো। মেয়েটাও উত্তর দিলো,
❝আমিও আশা করি নি আমাদের এখানে আবারো দেখা হবে ড্রাগন স্লেয়ার।❞ (মেয়েটা)
❝আসল কথায় আসা যাক। নতুন অ্যাভেটার নিয়ে আপনি এখানে আসবেন, এটাকে আমাদের মধ্যকার প্রমিসের বাইরে পরে না?❞ (এলমন্ড)
❝তোমার চিন্তা করতে হবে না। আমার এখানে মোট তিনটা কাজ রয়েছে। একটা শেষ হলো। আরেকটা করেই চলে যাবো, তবে আবারো এক সময়ে হয়তো তিন নম্বরটা করতে আসবো।❞ (মেয়েটা)
মেয়েটা বলেই আর থামলো না। সব কিছু আবারো পূর্বের মতো হয়ে গেলো। ঠিক এরিনার মাঝখানে ড্যাগারটা গাঁথা ছিলো। ছাতাটা বন্ধ করে মেয়েটা সেখানে নামলো এবং ড্যাগারটা তুলে নিজের চুলে বেঁধে সেখান থেকে টেলিপোর্ট হয়ে গেলো। তার যাওয়ার সাথে সাথে সব কিছু আবার স্বাভাবিক হয়ে গেলো। অন্যদিকে এলমন্ড তার জায়গায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবছিলো,
❝মনে হচ্ছে আমাকেও আমার প্রমিস ভাঙতে হবে এক সময়।❞ (এলমন্ড ভাবছিলো)
সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে গেলো। যার একটু আগেও একটা ভয়ানক ফাইট লক্ষ করে ছিলো তাদের সামনে সব কিছু আবারো স্বাভাবিক হয়ে গেলো। কেউ কেউ তো সেটাকে নিজের মনের ভুল বলে ভেবে নিচ্ছে। আবার অনেকের তো বিশ্বাস করতেই কষ্ট হচ্ছিলো যে সেখানে একটা ফাইট হয়েছিলো।
-> আমার মনে হয় এই ব্যাপারটা আমাদের মাঝেই রেখে দেওয়া আমাদের জন্য ভালো হবে। আর তাছাড়া সময়টা স্টুডেন্টদের জন্য উৎযাপন করার তাই আমাদের নিজ নিজ কাজে চলে যাওয়ায় ভালো হবে। (মারিয়া)
পরিবেশ অনেকটা ঠান্ডা ছিলো, যেটাকে স্বাভাবিক করার জন্য মারিয়া সুন্দর একটা কথা বললো। যে কথা শুনে সবাই সম্মতি জানালো।
এক সপ্তাহ পরে,
টুর্নামেন্টের শেষে যে ফাইটটা হয়েছিলো সেটা সম্পর্কে সবাই ভুলে গিয়েছে। যেহেতু ফাইটের কোনো রেকর্ড কিংবা কোনো ড্যামেজ খুঁজে পাওয়া যায় নি তাই একাডেমি সেটাকে একটা সারপ্রাইজ ইলুশান হিসেবে পরিচয় দিয়ে সবার ভয় মুক্ত করে দিয়েছে। এই এক সপ্তাহের মধ্যে অনেক কিছু হয়ে গিয়েছে। যা সম্পর্কে একাডেমির সকল ব্যক্তি অবগত থাকলেও শুধুমাত্র একজন সেটা সম্পর্কে কিছুই জানতো না। আর সেই এক ব্যক্তি হলো এলেক্স। সে একাডেমির টুর্নামেন্টের শেষে স্যামের সাথে ফাইট করার ফলে নিজের সেন্স হারিয়ে ফেলে। আর সেদিনের পর থেকে এক সপ্তাহ পরে আজ এলেক্সের জ্ঞান ফিরেছে। আজ সকালের দিকে এলেক্সের জ্ঞান ফিরেছে। একাডেমির হিলার বা প্রাণ এনার্জি ইউজার শিক্ষকরা এলেক্সকে সম্পূর্ণ সুস্থ দাবী করার ফলে একাডেমিকে আর কোনো চিন্তা করতে হচ্ছিলো না। মূলত চিন্তা একাডেমি করছিলো না বরং এলেক্সের টিম মেম্বার করছিলো। তারপরও এলেক্স এখনো তাদের সাথে সাক্ষাত করার সুযোগ পায় নি।
❝তাহলে সত্যি আমার কোর ড্যামেজ হয়েছিলো?❞ (এলেক্স ভাবছে)
এলেক্সের সামনে তার সিস্টেম থেকে একটা মেসেজ ভাসছিলো। মেসেজটা তার সেকেন্ডারি কোর সম্পর্কে ছিলো। সেটা কিছুদিন পূর্বে প্রায় ২০% এ নেমে এসেছিলো যা মূলত কোরের ড্যামেজ সম্পর্কে বোঝায়। অন্যদিকে সেটা এখন ১০০% এ আছে যেটা কিভাবে হয়েছে তা সম্পর্কে কোনো কিছুই এলেক্স জানে না। তাইতো খুব মনোযোগ দিয়ে সে ভাবতে লাগলো। তবে কোনো উত্তরই সে পেলো না।
❝আমি বুঝতে পারছি না কেনো তবে, আমার বুকের ডান পাশে খুব পরিচিত কিছু অনুভব করছি।❞ (এলেক্স ভাবছে)
এলেক্স পুরো এক সপ্তাহের মতো সেন্স হারিয়ে পরে ছিলো। এই সময়ে তাকে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা রুমের মধ্যে এনে রাখা হয়েছে। এই রুমের মধ্যে শুধুমাত্র কয়েকজন শিক্ষক ব্যতীত অন্যকারো আসা নিষেধ রয়েছে। তাই আজ সকালে এলেক্স তার সেন্স ফিরে পাওয়ার খবর একাডেমির অন্যান্য স্টুডেন্টরা জানে না।
সময়টা প্রায় দুপুরের। এলেক্সকে যে রুমে রাখা হয়েছিলো সেখানে সে দাঁড়িয়ে পূর্বের বিষয় নিয়ে ভাবতে লাগলো। সে বুঝতে পারছিলো না কি করবে সে।
-> আমার কি যাওয়া ঠিক হবে? এসব বিষয় তো আমার মোটেও ভালো লাগে। যেহেতু আমি আজ সেন্স ফিরে পেয়েছি এবং একদম ঠিক আছি তাই না যাওয়াতে হয়তো কিং এর খারাপ নজরে পরে যাবো আমি। (এলেক্স)
এলেক্স সকালে সেন্স ফিরে পাওয়ার পরই এক শিক্ষকের কাছ থেকে শুনতে পেরেছে আজ কিং তার স্পেশাল পার্টির ব্যবস্থা করেছে। যেখানে একাডেমির টপ দশ টিমকে ইনভাইট করা হয়েছে। অন্য সবার কাছে এটা অনেক বড় ব্যাপার হলেও এলেক্সের এসব জিনিস কখনোই ভালো লাগে নি। সে আগের জীবন থেকেই পার্টি আড্ডা এসবকে মন এবং প্রাণ থেকে ঘৃনা করে এসেছে। তাই তার মন বলছিলো না সেখানে যেতে। কিন্তু না যেয়েও সে পারছিলো না। কারণ না গেলে কিং কে অসম্মান করা হবে যা এলেক্স করতে চাচ্ছিলো না। ঠিক তখনি রুমের মধ্যে আরোহীর প্রবেশ হলো। যে দেওয়াল ভেদ করে ভাসতে ভাসতে এলেক্সের কাছে চলে আসলো। আরোহী ভেবেছিলো এলেক্স এখনো নিজের সেন্স ফিরে পায় নি। তাই একবার চেক করতে এসেছিলো। এলেক্স দাঁড়িয়ে থাকবে সেটা একদমই আশা করে নি আরোহী। তাই সে এলেক্সকে দেখামাত্র লজ্জায় লাল হয়ে গেলো। সে কি বলবে ভেবে পাচ্ছিলো না।
❝শিট, আমি এলেক্স উঠলে কি বলবো সে রচনাটা এখনো মুখস্ত করি নি। এখন কি হবে?❞ (আরোহী ভাবছিলো)
এলেক্স মুখে কোনো রকম এক্সপ্রেশন না বানিয়েই আরোহীর দিকে তাকালো। সে বরাবরের মতোই কিছু বললো না। আবারো নিজের ভাবনায় ব্যস্ত হয়ে গেলো।
-> সবাই প্যালেসে চলে যাচ্ছে ক্যারেজে করে। তুমি এখনো রেডি হও নি! তুমি কি যাবে না? (আরোহী)
আরোহী প্রথমে এলেক্সকে বলতে চাচ্ছিলো সে তাকে অনেকটা মিস করেছে কিন্তু লজ্জায় সেটা বলতে পারে নি। তাই কিছু বলার জন্য আসল কথাটাই বলে দিলো।
-> যাওয়ার দরকার প্যালেসে। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে না যাওয়াটাই ভালো হবে আমার জন্য। (এলেক্স)
-> না না এটা হতে পারে না। আমার একমাত্র পার্টনার যাবে না সেটা হতে পারে না। তুমি না গেলে আমিও যেতে পারবো না। আর তাছাড়া এই ওয়ার্ল্ডের রয়েল প্যালেস দেখার ইচ্ছা আমারও অনেকদিনের। যেহেতু আমিও একজন প্রিন্সেস যার বাবা পুরো পৃথিবীতে রাজ করে তাই আগ্রহ তো হতেই পারে। (আরোহী)
এলেক্স একবার আরোহীর দিকে তাকালো। সে এলেক্সকে কি বলেছে সেটা লক্ষ করে নি, তবে মেয়েটা আসলেই এলেক্সের থেকে বেশী দূরে যেতে বা থাকতে পারবে না। আর তাছাড়াও তার নিজস্ব কোনো শরীর ছিলো না। তাই তো এলেক্স হঠাৎ যওয়ার কথায় চিন্তা করলো।
-> ঠিক আছে আমি যাবো। (এলেক্স)
-> ইয়াহু। তুমি তো এখনো রেডি হওনি। তোমাকে একদমই চিন্তা করতে না। আমি একজন প্রিন্সেস হলেও এক নম্বরের মেকআপ এক্সপার্ট ছিলাম আমার ওয়ার্ল্ডের। তাই তুমি এখন একজন এক্সপার্টের হাতে আছো বলে নিশ্চিন্তে থাকো। আমি আজকে তোমাকে এরকম একটা ব্যক্তিতে রুপান্তর করবো যে পার্টির সব মেয়ের চোখ তোমার দিকে থাকবে। (আরোহী)
এলেক্স কোনো কথা বললো না। সে চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলো। বেশ কিছুক্ষণ আরোহী এলেক্সের উপরে মেকআপ করার পর একনজরে তাকিয়ে ছিলো কিছুক্ষণ।
-> হ্যাঁ, এটুকুতেই হবে। এর থেকে বেশী মেকআপ করলে আবার মেয়েরা তোমাকে ছিনিয়ে নিতে পারে, তাই এতোটা রিক্স আমি নিতে চাচ্ছি না। (আরোহী)
আরোহী কথাটা বলে সেখান থেকে একটু বেরিয়ে গেলো। কারণ এই সময়ে এলেক্স ড্রেস চেঞ্জ করবে। কিছুক্ষণের মধ্যে এলেক্স তার রুম থেকে বের হলো। যার দিকে আরোহী এক নজরে তাকিয়ে ছিলো। এলেক্সের মুখে কোনো এক্সপ্রেশন ছিলো না। তারপরও ফর্সা একটা শরীরে কালো একটা প্যান্ট এবং কালো শার্টে এলেক্সকে পুরো অন্যরকম একটা ব্যক্তিতে পরিণত করেছিলো। এলেক্স মাত্র যে পোষাক পরেছে এটা মূলত কিংডমের নোবেল এবং রয়েল ব্যক্তিরাই পরিধান করতে পারে। কখনো কোনো কমনারের সুযোগ হয় না। এমনকি কমনারদের এই পোষাকগুলো পরিধান করা আইনের দিক দিয়ে অপরাধ। কারণ এটা এমন একটা ওয়ার্ল্ড যেখানে একজনের ড্রেস দেখেই নির্ধারিত হয় সে কোনো ক্লাসের ব্যক্তি। যাইহোক শার্টের হাতা ভাজ করা অবস্থায় এলেক্স বের হয়েছে রুম থেকে। তার ডান কাঁধে কালো ব্লেজারের মতো একটা জামা ছিলো যেটাকে এলেক্স তার ডান হাত দিয়ে ধরে রেখেছে। এলেক্সের দিকে তাকিয়ে আরোহীর মুখটা আরো লাল হয়ে গেলো। সে কোনো কথায় বলতে পারছিলো না।
❝আমার মনে হচ্ছে মেকআপের কোনো প্রয়োজনই ছিলো না। এলেক্স এমনিতেই অনেক হ্যান্ডসাম।❞ (আরোহী ভাবছিলো)
এলেক্স কোনো কথা না বলে আস্তে আস্তে হাঁটতে লাগলো। এতোক্ষণে দশটা টিমের ক্যারেজ প্যালেসের মধ্যে চলে গিয়েছে। তাই আপাতোতো কোনো ক্যারেজ অবশিষ্ট ছিলো না যেটা এলেক্সকে প্যালেসে নিয়ে যাবে। তাই এলেক্স ভাবলো হয়তো তাকে পায়ে হেটেই একাডেমি থেকে বের হতে হবে এবং বাইরে থেকে প্যালেসে যাওয়ার জন্য একটা ক্যারেজ ঠিক করতে হবে। তবে এলেক্সকে তার রুম থেকে বের হয়ে বেশী দূর যেতে হলো না। এলেক্স এতোক্ষণে শিক্ষকদের ডোর্মের একটা রুমের মধ্যে ছিলো। ডোর্ম থেকে রাস্তায় বের হওয়ার সাথে সাথে একটা ক্যারেজ তার সামনে দিয়ে অতিক্রম হচ্ছিলো। যেটা এলেক্সকে দেখতে পেয়েই থেমে গেলো। ক্যারেজের দরজা খোলার সাথে সাথেই এলেক্স ভিতরে প্রিন্সিপাল এবং ভাইস প্রিন্সিপালকে দেখতে পেলো।
রয়েল প্যালেস,
শেষ বিকালের সময়, রয়েল প্যালেসের মধ্যে প্রায় সকল গেস্টই প্রবেশ করেছে। আরো কয়েকজন গেস্টের অপেক্ষায় ছিলো সবাই। এরপরই কিং আসবে এবং পার্টি অফিসিয়াল ভাবে শুরু হবে। পার্টির মধ্যে টাইটেল যুক্ত সকল নোবেলই পরিবারকেই ইনভাইট করা হয়েছে। প্রতিটা নোবেল পরিবার থেকে মাত্র তিনজন করে ব্যক্তি এখানে আসার সুযোগ পেয়েছে। রুমের মধ্যে হিসাব করলে প্রায় অনেক মানুষ বের হবে, কিন্তু জায়গাটা এমন যে মনে হচ্ছিলো খুব কম মানুষই এখানে এসেছে। এই পার্টির মধ্যে সবাই সুন্দর করে সেজে এসেছে। সবাইকে তাদের সুন্দর কিংবা হ্যান্ডসাম রূপেই দেখা যাচ্ছিলো। যেহেতু রাজ্যের সকল গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা এখানে উপস্থিত ছিলো তাই সবারই একটু আকটু তো সাজার প্রয়োজন ছিলোই। সবার পোষাকেও অনেক শালিনীতা রয়েছে। বিশেষ করে মেয়েরা প্রায় একই রকম ড্রেস "গাউন" পরে থাকলেও টাইটেল অনুযায়ী তাদের ড্রেস গুলোর কালার এবং সৌন্দর্যও এক রকম ছিলো। পার্টির মাঝে সবাই একে অপরের সাথে গল্প নিয়ে ব্যস্ত ছিলো। তাই অন্যদের দিকে নজর দেওয়ার সময় প্রায় সবারই হয়ে উঠছিলো না। ঠিক তখনি এন্ট্রি গেইট দিয়ে তিনজন ব্যক্তি প্রবেশ করলো, যা সবার নজর সেদিকেই নিয়ে গেলো। দুজনকে তো সবাই সাথে সাথেই চিনতে পারলো। কারণ তারা একাডেমির ভাইস প্রিন্সিপাল এবং প্রিন্সিপাল ছিলেন। অপরদিকে আরেকজন ছিলো যাকে প্রায় অনেকেই চিনতে পারছিলো না। সবার নজর প্রিন্সিপাল কিংবা ভাইস প্রিন্সিপালের দিকে ছিলো না। বরং তাদের সাথে আসা ছেলেটার দিকে যার চেহারা এতোটাই সুন্দর ছিলো যে তারা তাদের চোখ সরিয়ে রাখতে পারছিলো না।
* * *
To Be Continued
* * *
কেছা লাগা?