আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রতি শনিবার, সোমবার এবং বুধবার রাত ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে ওয়েবসাইটে পোস্ট হবে।

Want Premium Membership!

Demon King পর্বঃ ১২৭

হৃদয় বাপ্পী
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated
[প্রথমেই বলি গল্পটা পুরো কাল্পনিক, কেউ বাস্তব কিংবা ধর্মের সাথে তুলনা করবেন না]

#Demon_King#

পর্ব:১২৭


লেখকঃ হৃদয় বাপ্পী
.
.
.

     এগনোলেনিয়া,

এলেক্সের কান্ড দেখে সবাই অবাক হয়েছে। যদিও এলিন এবং মাইরা বাদে কেউই ফায়ার এম্পায়ারের প্রিন্সকে চিনতে পারে নি, তারপরও মাইরা যখন তার আসল পরিচয় সম্পর্কে বললো তখন সবার চোখ কপালে না উঠে পারলো না। সবাই এলেক্সের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।

-> এলেক্স তুমি জানো তুমি এটা কি করেছো? এম্পায়ারের প্রিন্সকে কিডন্যাপ করা মানে এই পুরো কিংডমের সাথে এম্পায়ারের যুদ্ধ ঘোষনা করা। যদিও ডিমনিক ফরেস্টের জন্য এই কিংডমের উপরে এম্পায়ার যুদ্ধ ঘোষনা করবে না, তবে তোমার পরিবার এবং সেই সাথে আমাদের সবাইকে অনেক কঠোরতম শাস্তি দিবে তারা। (মাইরা)

-> এলেক্সের কি দোষ, একটু আগেই তো তোমরা বললে যে প্রিন্সকে কিডন্যাপ করতে। যেহেতু সেটা অসম্ভব ছিলো, এলেক্স সেটা করে দেখিয়েছে, তাই আমাদের তো আরো প্রশংসা করা দরকার এলেক্সের। (স্নেরা)

-> একজন নোবেলের মেয়ে হওয়ার ফলে তুমি তো জানো আমাদের অবস্থা এখন কি রকম। যদিও আমার বাবা একজন ডিউক, তারপরও প্রিন্সের কিডন্যাপ সম্পর্কে এম্পায়ারের আর্মি জানতে পারলে আমার বাবাও শাস্তি থেকে বাঁচতে পারবে না। (মাইরা)

-> তাহলে তো আমাদের এরকম কিছু করতে হবে যেটার কারণে কেউ জানবেই না যে প্রিন্স কিডন্যাপ হয়েছে। (এলেক্স)

বিছানার পাশে একটা টেবিল ছিলো, যার উপরে একটা ছোট ছুরি পরে ছিলো। এলেক্স সেই ছুরিটা হাতে নিয়ে সোজা নিচে পরে থাকা হাত পা এবং মুখ বাঁধা ছেলেটার গলায় চালাতে গেলো। কিন্তু সেটা করার আগেই ডুফেস এবং জেয়াব এলেক্সকে থামিয়ে ফেললো।

-> তুমি দিন দিন মনে হচ্ছে পাগল হয়ে যাচ্ছো। একটা সাধারণ নলেজ তো থাকা দরকার তোমার তাই না। একটা প্রিন্সকে কিড্যাপ করলে হয়তো এম্পেরোর আমাদের মৃত্যু দণ্ড এবং আমাদের পরিবারদের কারাদণ্ড দিয়েই থেমে যাবে। কিন্তু এম্পেরোর এর ছেলেকে যদি আমরা হত্যা করি তাহলে আমাদেরকে তো মৃত্যু দণ্ড দিবেই, সেই সাথে আমাদের পরিবার এবং তাদের প্রতিটা জেনারেশনকেই স্লেভারির শাস্তি দিবে। বংশের পর বংশ তারা একদম নিম্ন লেভেলের চাকর হয়ে কাটাবে, যাদের কোনো অধিকারই থাকবে না। (জেয়াব)

জেয়াবের কথায় এলেক্স তার ছুরি রেখে দিলো টেবিলের উপরে। এই সময়ে কারো মাথায় কোনো কিছু খেলছিলো না। তারা এখানে কি করবে সেটা বুঝে উঠতে পারছিলো না।

-> যা হওয়ার সেটা হয়ে গিয়েছে। এখন আমাদের কিছু করার মতো দেখছি না। তবে আমার মাথায় একটা নতুন একটা প্লান আসছে যেটার জন্য আমাদের একটা আইটেম ব্যবহার করতে হবে। তবে সমস্যা হলো এরকম আইটেম আমাদের কারো কাছেই নেই। (মাইরা)

-> কি রকম আইটেম? (ডুফেস)

-> ট্রান্সফর্মেশন আইটেম। যেটার সাহায্যে নিজের শরীর এবং চেহারা অন্য কারো মতো বানানো যায়। (মাইরা)

-> ট্রান্সফর্মেশন আইটেম দিয়ে কি করবে এই সময়ে? (ডুফেস)

-> আমাদের মধ্য থেকে কেউ একজন প্যালেসের মধ্যকার একজনের চেহারায় ট্রান্সফর্ম হয়ে প্যালেসে প্রবেশ করতে পারতো কোনো রকম সন্দেহ ছাড়ায়। আর একবার কেউ প্যালেসে প্রবেশ করতে পারলেই সে এনরির অবস্থা বুঝে তাকে প্যালেসের মধ্য থেকে বের করে নিয়ে আনতে পারবে। (মাইরা)

-> কারো কাছে ট্রান্সফর্মেশন আইটেম থাকলে আমাকে দাও সেটা। আমি আমার প্রিন্সেসকে উদ্ধার করতে যায় সেটা দিয়ে। (ডুফেস)

-> কিন্তু ট্রান্সফর্মেশন আইটেমের তো একটা সময়ের লিমিট থাকে। তাও সে সময় অনেক কম। তাই আমাদের মধ্য থেকে যেই প্রবেশ করুক না কেনো কিছুক্ষণের মধ্যেই সে ধরা পরবে। আমার মনে হয় না আমাদের ভূরিম্যান রিস্কের কথা শুনলে সেটা নিতে চাইবে। (হেয়া)

        ❝আমার মনে হয় না কারো কাছেই ট্রান্সফর্মেশন আইটেম রয়েছে। তাই একটু হিরো তো হওয়ায় যায় এখানে। পরে আমি প্রিন্সেসকে বলতে পারবো, "আমি তোমার জন্য রিস্ক নিতেই যাচ্ছিলাম কিন্তু সবাই আমাকে জোর করে সেন্সলেস করে সেটা হতে দেই নি। নাহলে এখন আমি আর তুমি এক সাথে থাকতাম।"❞ (ডুফেস ভাবছে)

ডুফেসের দিকে কেউ তাকালো না। কারণ এলেক্স কথা বলতে শুরু করেছে। যদিও একসময়ে এলেক্সের টিমের সবাই এলেক্সকে ছোট বাচ্চা মনে করে ইগনোর করতো কিন্তু এখন সেই এলেক্সই তাদের টিমের মধ্যে শক্তিশালী একটা ছেলে যে কম কথা বললেও যখন কোনো কিছু বলে তখন যুক্তিগত কিছুই বলে।

-> যদি তোমরা প্যালেসের মধ্যে প্রবেশ করতে চাও কারো নজরে না এসেই, তাহলে সেটা আমি সম্ভব করে দিতে পারি। (এলেক্স)

-> ট্রান্সফর্মেশন আইটেম ব্যতীত তুমি এটা কিভাবে করবে? যদিও আমরা টাওয়ারের ভিতর থেকে আসছি। তারপরও একটা কিংডমের প্যালেসের মধ্যে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করাটা কোনো কিংডমই ভালো চোখে দেখবে না। (স্যাম)

-> এখানে আমিই একমাত্র কমনার। তোমাদের মতো নোবেল পরিবারের কেউ প্যালেসে প্রবেশ করে ধরা পরুক সেটা আমি চাই না। যেহেতু আমি একজন কমনার তাই আমি কিছু একটা করলে সেটা তোমাদের ঘারে কেউ সহজেই চাপিয়ে দিতে পারবে না। এজন্য আমার মনে হয় কাজটা আমারই করা দরকার। (এলেক্স)

-> কিন্তু কিভাবে? (জেয়াব)

কেউই বুঝতে পারছিলো না এলেক্স কিভাবে প্যালেসে প্রবেশ করবে। কেউ ধারণা করছে হয়তো এলেক্স সেই টেলিপোর্টেশন আইটেম ব্যবহার করবে যেটা এলেক্সকে ডুফেসের আইটেমের মতো টেলিপোর্ট করবে ছোট একটা এরিয়ার মধ্যে। অথবা ঔরকম কিছু একটা। পুরো টিমই সংকোচ বোধ করছিলো। যেহেতু তাদের হাতে আর কোনো উপায় ছিলো না, তাই কেউই এলেক্সকে জোর পূর্বক মানা করতে পারছিলো না। ব্যাপারটা সবার হাত থেকেই বের হয়ে গিয়েছে। যেহেতু এম্পায়ারের সাথে সম্পর্কিত ছিলো এখন তাই কেউ এর বিরোধিতা করে রিস্ক নিতে চাচ্ছে না। মনে মনে এলেক্সের টিম মেম্বারের মধ্যেও সংকোচ ছিলো। শুধু এলেক্স এবং টাওয়ার থেকে আসা ব্যক্তিরাই এটা নিয়ে তেমন কিছু ভাবছিলো না। 

এলেক্স কাউকে বললো না সে কিভাবে প্যালেসে প্রবেশ করবে। তাই সবাই কিছুটা সিওর ছিলো যে হয়তো এলেক্সের কাছে কিছু একটা প্লান ছিলো। এ পর্যন্ত এলেক্স যা করেছে সেটা সবাইকে অবাক করেছে। তাই এবারো সে সিওর ছিলো যে এলেক্স অসম্ভবকে সম্ভব করে দিবো। তাদের প্লানিং শেষ হয়ে গেলে সবাই নিজ নিজ বাসায় চলে গেলো। রুমের মধ্যে শুধু ক্রিস এবং স্যাম ছিলো। অবশ্য আরো একজন ছিলো যে এখনো বাঁধা অবস্থায় ছিলো। সমস্ত চিন্তার মাঝে সবাই তার কথা ভুলেই গিয়েছে। হাত পা এবং মুখ বাঁধা অবস্থায় থাকার কারণে সে নিজের সেন্সে আসার পরও নারাচরা এবং শব্দ না করতে পারার কারণে কেউই বুঝতে পারে নি।

-> কি করবে তুমি? (স্যাম)

-> দেখা যাক কি করা যায়। (এলেক্স)

-> তাহলে আমি যায় তোমার সাথে। (ক্রিস)

-> না তোমরা দুজন এখানেই থাকবে এবং এই প্রিন্সের খেয়াল রাখবে ভালো মতো। ভালো ট্রিটমেন্ট করবে দরকার পরলে। (এলেক্স)

এলেক্স স্বাভাবিক চোখে তাকালো প্রিন্সের দিকে। যদিও এলেক্স খেয়াল করেছে তবে ক্রিস এবং স্যাম এখনো খেয়াল করে নি।

     ❝তাহলে কি এই ছোট বাচ্চাটা এদের টিমের লিডার। এটা কিভাবে সম্ভব। শেষ মেষ আমার মতো একটা প্রিন্স ছোট একটা বাচ্চার হাতে কিডন্যাপ হয়েছে, এটা কি আদৌও ভাবা যায়। মনে হচ্ছে ছেলেটা বুঝতে পেরেছে আমি আমার সেন্স ফিরে পেয়েছি। তাই আমাকে নাটক করতে হবে আরো একটু।❞ (ছেলেটা ভাবছিলো)


           * * * * * 

   সেদিন রাতের সময়,

রাতের সময় স্যাম এবং ক্রিস দুজনেই ঘুমিয়ে গিয়েছে। এলেক্স রুমের ভিতর ছিলো না। এম্পায়ারের প্রিন্সকে একটা চেয়ারের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে। স্যাম এবং ক্রিস দুজনেই ঘুমাচ্ছিলো কোনো চিন্তা ছাড়ায়। 

      ❝আমি এতোক্ষণ নিশ্চুপ ছিলাম এটা দেখার জন্য যে এদের গ্রুপে আরো কেউ আছে কিনা। কিন্তু মনে হচ্ছে তারা আমার মতো প্রিন্সকে একটু ছোট করে দেখছে। তাই এখনি দেখাতে হবে আমি কি করতে পারি।❞

এম্পায়ারের প্রিন্সের হাত থেকে আগুন তৈরি হলো, যা তার হাতে বাধা দড়িকে পুরিয়ে তার হাতের বাঁধন খুলে দিলো। এরপরে সে আস্তে আস্তে তার মুখের এবং পায়ের বাঁধনও খুলে নিলো। চেয়ার থেকে উঠে সে নিজের হাত পা একটু নারিয়ে নিলো। দীর্ঘক্ষণ বাঁধা অবস্থায় থাকার কারণে তার শরীরে একটু ব্যথা তৈরি হয়েছে। 

-> তাহলে এবার কিছু মানুষ ফ্রাই করা যাক। (প্রিন্স)

এম্পায়ারের প্রিন্স তার একটা আঙ্গুল উঁচু করলো যার মাথায় আগুন তৈরি হলো। সে একটা স্পেল ব্যবহার করতে যাচ্ছিলো। ঠিক সেই সময়ে সেই রুমের মধ্যে একটা এবং ঠিক তার সামনে একটা ব্যক্তি এসে উপস্থিত হলো। যাকে সে কোনো দিন দেখেও নি।

     ❝এইটা আবার কে? লম্বা চুল, হ্যান্ডসাম ব্যক্তি। শরীর থেকে উজ্জ্বল সাদা স্পার্ক বের হচ্ছে। যতই দেখছি ততই আমার হার্টবিট বেরে যাচ্ছে।❞ (প্রিন্স ভাবছে)

এম্পায়ারের প্রিন্সের মুখ লাল হয়ে গেলো লজ্জায়। তার হার্ট অস্বাভাবিক ভাবে বিট করছিলো। মুখের মধ্যে সে আর কথাটা লুকিয়ে রাখতে পারলো না এখন।

-> আমাকে বিয়ে করবে? আমি সারা জীবন তোমাকে ভালোবেসে যাবো। (প্রিন্স)

এম্পায়ারের প্রিন্স অনেক লজ্জাজনক একটা কথা বললো। তবে সেটা তার সামনের ব্যক্তির চেহারায় কোনো এক্সপ্রেশন তৈরি করলো না। সে তার হাতটা প্রিন্সের মুখের উপরে রাখলো। তার হাত প্রিন্সের মুখে পরার সাথে সাথে প্রিন্স চোখ বন্ধ করেই একটা মেয়ের মতোই অনুভব করতে শুরু করলো। যদিও সে মেয়ে না। তারপরও তার এক্সপ্রেশন দেখে যে কেউ বলবে সে একজন মেয়ে কিংবা থার্ড জেন্ডার। 

       (একটিভ স্কিলঃ ট্রান্সফর্মেশন)

প্রিন্সের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলো এমিয়াস। যে এলেক্স নয়, বরং এলেক্সেরই একটা সাইড ক্যারেক্টার। তার চার্ম স্ট্যাটের কারণে এম্পায়ারের প্রিন্স একদম লজ্জাজনক ব্যবহার করছিলো। যেটা হয়তো এমিয়াস তার সামনে থেকে চলে গেলে তার সুইসাইড করার কারণ হিসেবে গণ্য হবে। যাইহোক, এমিয়াস তার স্কিল একটিভ করলো। যেটার কারণে প্রিন্সের পুরো চেহারা একদম হুবহু কপি হয়ে গেলো এবং সেটা এমিয়াসের হয়ে গেলো। অন্যদিকে প্রিন্স স্বাভাবিকই রইলো। তবে এমিয়াস তাকে স্বাভাবিক থাকতে দিলো না। সে একটা স্পেল ব্যবহার করলো।

     (লাইটনিং স্পেলঃ লাইটনিং শক)

প্রিন্স একটা লাইটনিং শক দিলো যেটার সাথে সাথে প্রিন্স নিজের সেন্স হারিয়ে ফেললো। এবার এমিয়াস তাকে আবারো চেয়ারের উপরে বেঁধে দিয়ে সে রুম থেকে চলে গেলো। পাবের বাইরে এসেই সে পাবের উপরে উঠে গেলো। এরপর একের পর এক বাড়ির ছাদের উপরে লাফিয়ে সে প্যালেসের উদ্দেশ্যে রওনা হলো। রাত এখনো বেশি হয় নি, তাই কোনোরকম চিন্তা তাকে করতে হবে না। যদিও এই সময়ে একজন প্রিন্সের প্যালেসে প্রবেশ করার কথা না কিন্তু যেহেতু সে এরকম একটা পাবের মধ্যে ওয়াইন পান করতে আসতে পারে সে সব কিছুই করতে পারে। তাইতো এমিয়াস কোনোরকম চিন্তা না করেই প্যালেসের দিকে রওনা দিলো। 

কিছুক্ষণের মধ্যেই সে প্যালেসের সামনে চলে আসলো। এবার আর উপর দিয়ে যাওয়ার কোনো পথ না থাকার কারণে সে পায়ে হেঁটেই প্যালেসের গেইটে চলে আসলো। বেশ কিছু গার্ড দাঁড়িয়ে ছিলো গেইটের সামনে। রাত হলেও তারা খুব দক্ষ ভাবেই গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলো। তাই তাদের মাঝ দিয়ে বা উপর দিয়ে কোনো ভাবেই ভিতরে প্রবেশ করা সম্ভব নয়। এমিয়াস নিজের দিকে একটু তাকালো। যদিও মুখ দেখতে পারছিলো না সে তবে সে তার শরীর দেখছিলো। 


××× স্কিল ইনফো ×××

স্কিল নেইমঃ ট্রান্সফর্মেশন 
লেভেলঃ Low(০%)
স্ট্যাটাসঃ একটিভ

ইফেক্টঃ 

১) হোস্ট টার্গেটের শরীর স্পর্শ করে স্কিলটা একটিভ করলে তার চেহারা সহ শরীরে ট্রান্সফর্ম হতে পারবে।

২) স্কিল একটিভ হলে টার্গেটের শরীরের কাপড় হোস্টের কাপড় দিয়ে এক্সচেঞ্জ হবে।

৩) এই সময়ে খুব কম ব্যক্তিই হোস্টের মধ্যে পার্থক্য লক্ষ্য করবে।

এনার্জিঃ ৫/১০০ (একটিভ করতে) এবং ০.০০১/১০০ (প্রতি সেকেন্ডে)

কুলডাউনঃ এক দিন।

××× ×××

এটা ছিলো এমিয়াসের স্কিলের বিবরণ। যেটা ব্যবহার করার ফলে এমিয়াস এম্পায়ারের প্রিন্স হওয়ার সাথে সাথে তার জামাও নিয়ে এসেছে। ভিতরে একটা রয়েল জামা ছিলো যার উপরে রোব থাকায় সেটা ঢাকা অবস্থায় ছিলো। এমিয়াস গেইটের সামনে চলে আসার সাথে সাথে গার্ডরা তাদের কোমরে থাকা খাপ থেকে সোর্ড বোর করে সেটা ইঙ্গিত করলো এমিয়াসের দিকে। 

-> কে তুমি? এই সময়ে রয়েল প্যালেসে কি কাজ রয়েছে তোমার?

যেহেতু রোব পরা ছিলো ব্যক্তিটা তাই সন্দেহ জমছিলো গার্ডদের। তাই তারা আক্রমণ করার জন্য প্রস্তুত ছিলো। তবে এমিয়াস তার রোবটা খুলে ফেললো যেটার কারণে তার চেহারা এবং রয়েল ড্রেস বেরিয়ে আসলো। যদিও অনেকে এম্পায়ারের প্রিন্স দেখে নি, তারপরও এই ড্রেসে থাকা সংকেতটা সবাই দেখেছে। একটা ব্যাজ ছিলো প্রিন্সের বুকে যেটা শুধুমাত্র এম্পায়ারের প্রিন্সের কাছেই থাকে। তাই গার্ডটা সাথে সাথে সেটা চিনতে পেরে তাদের সোর্ড ফেলে দিলো এবং সম্মান দেখাতে শুরু করলো।

-> এই নিম্নমানের নাইট এম্পায়ারের প্রথম প্রিন্সকে সম্মান জানাচ্ছে। 

একজন নাইট উক্ত কথাটা বললো। এমিয়াস কোনো রকম কথা না বলে সেখান থেকে হেঁটে হেঁটে ভিতরে চলে গেলো। এমিয়াস ভিতরে যাওয়ার পর সব নাইট একে অপরের সাথে কথা বলতে শুরু করলো।

-> হঠাৎ তিন চারদিন পর প্রিন্স কোথা থেকে আসলো। তার না বিয়ে আর দুই-একদিন পরেই প্রিন্সেস এর সাথে।

-> ছিলো কোনো পাবের মধ্যে পরে মেয়েদের সাথে। আমি তো শুনেছি প্রিন্স একটা পাক্কা মেয়েবাজ। 

-> হুস, এই কথা ভুলেও জোরে বইলো না তোমরা। নাহলে তোমাদের সহ তোমাদের সমস্ত পরিবারের জীবন থাকবে না।

-> আমার শুধু কষ্ট লাগছে প্রিন্সেসের জন্য। আজ কিং জীবিত থাকলে এরকম কিছু কখনোই হতে দিতো না। 

-> হ্যাঁ এটা সিওর। একাডেমি থেকে প্রিন্সেস এর পাওয়ার সম্পর্কে কিছু গুজব বের হওয়ার সাথে সাথেই এম্পায়ার থেকে বিয়ের প্রপোজাল চলে আসে।

-> আমাদের প্রথম প্রিন্স তো অনেক চালাক মানুষ। সে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দ্বিতীয় প্রিন্সকে নিচে নামাতে চাচ্ছে। 

এমিয়াস গার্ডদের কথা কানে না লাগিয়ে নিজের মতো হাঁটতে হাঁটতে প্যালেসের মধ্যে চলে গেলো। প্রতিটা প্যালেসেরই নিজ তলায় থাকে ক্রাউন রুম। যেখানে কিং এবং প্যালেসের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা একত্র হয়। এর উপরের ফ্লোর গুলোতে বিভিন্ন রকমের রুম রয়েছে। মোট ছয় তলার মধ্যে তৃতীয় তলার একটাতে প্রিন্সেস থাকে এবং চতুর্থ তলার দুটো রুমে দুই প্রিন্স। একদম ষষ্ঠ তলায় রয়েছে একটা রুম যেখানে কিং এর পারশোনাল একটা রুম রয়েছে। যেহেতু এখন কিং জীবিত নেই তাই সেটা পরে আছে খালি অবস্থায়। এমিয়াসের গন্তব্য এখন তৃতীয় তলার প্রিন্সেসের রুমে ছিলো। যেহেতু দুই প্রিন্সের মধ্যে এখন ভয়ানক যুদ্ধ চলছে তাই তারা রাতের সময়ে প্যালেসে অবস্থান করে না। প্রথম প্রিন্স তার শ্বশুর ডিউকের ম্যান্ডেলার ম্যানশনে থাকে এবং দ্বিতীয় প্রিন্স প্যালেসের পিছনে তার নিজস্ব ম্যানসনের মধ্যে থাকে। 

       ❝প্যালেসের বাইরে অনেক গার্ড হলেও ভিতরে গার্ডের সংখ্যা অনেক কম রয়েছে। তাছাড়া একটা জিনিস আমার ভালোই লাগছে। এরপর থেকে এই চরিত্রে থাকলে আমি আমার ট্রান্সফর্মেশন স্কিলই ব্যবহার করে থাকবো।❞ (এমিয়াস ভাবছে)

এমিয়াস কিছুটা অবাক হয়েছে। কারণ তার চার্ম এখন আর কোনো কাজ করছিলো না। তা নাহলে প্যালেসের বাইরে থাকা শত শত গার্ড পাগলের মতো ব্যবহার করতো। এমিয়াস  এই প্যালেসে আসে নি পূর্বে। এলেক্সও এই জায়গায় আসে নি পূর্বে। তারপরও সে এলিন এবং মাইরার বিবরণে এই জায়গা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত একটা ধারণা পেয়েছে। আজ দিনে সবাই যখন একত্র হয়েছিলো তখন প্যালেসের কোথায় কি আছে এটা সম্পর্কে মাইরা ছোট করে একটা বিবরণ দিয়েছিলো, যা এখন এমিয়াসের কাজে দিচ্ছে। সিঁড়ি বেয়ে এমিয়াস একদম তৃতীয় তলায় চলে আসলো।যেখানেও কোনো রকম গার্ডের দেখা এলেক্স পেলো না। তাই খুব তাড়াতাড়ি সে প্রিন্সেসের রুমের দিকে চলে গেলো। প্রিন্সেস এর রুমের সামনে এসে এমিয়াস থমকে দাড়ালো। যেহেতু এখনো পর্যন্ত কোনো গার্ডের দেখা সে পায় নি তাই তার কাছে কিছুটা সন্দেহ মনে হলো। তারপরও সন্দেহকে মনের মধ্যেই রেখে এমিয়াস রুমটা খুলে ভিতরে প্রবেশ করলো। ভিতরে প্রবেশ করার পর সে এনরিকে বিছানায় শুয়ে থাকতে দেখলো। পাতলা একটা টাইগারের চামড়ার কাঁথা গায়ে দিয়ে এনরি ঘুমাচ্ছিলো। যার দিকে এমিয়াস তেমন একটা ফোকাস দিলো না। সে এগিয়ে যেতে লাগলো এনরির দিকে। একদম কাছে যাওয়ার পূর্বেই এনরির ঘুম ভেঙে গেলো এবং সে তাকালো একবার এমিয়াসের দিকে। যেহেতু এমিয়াস এম্পায়ারের প্রিন্সে ট্রান্সফর্ম হয়েছে তাই এনরি তাকে প্রিন্সই মনে করছে।

-> আমাদের এখনো কোনো রকম সম্পর্ক তৈরি হয় নি, তাই আমি উপদেশ দিবো আপনি এখনি আমার রুম থেকে বের হয়ে যান। তা নাহলে আমি চিৎকার করবো। (এনরি)

এনরি চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে কথাটা বললো। তার চোখের ভিতরে ভয়ের ছাপ দেখা দিচ্ছিলো। সে চাচ্ছিলো না এই বিয়েটা করতে, তারপরও এখানে তার কিছু করার নেই। যেহেতু এম্পায়ারের নজর এখন তার দিকে পরেছে, তাই সে নজর সরানোর জন্য তাকে এ বিয়ে করতেই হবে নাহলে মারা যেতে হবে। যার দুটোই করার সাহস পাচ্ছিলো না এনরি। তাই কোনো রকম একটা আশ্চর্যজনক জিনিস হবার অপেক্ষায় ছিলো সে। এমিয়াস কিছু বলতে যাবে ঠিক তখনি একজন ব্যক্তির প্রবেশ হলো সেখানে। এমিয়াস দ্রুত পিছনে ফিরলো। রুমের দরজার সামনে একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো। মেয়েটার মুখে সাদা একটা মাস্ক ছিলো সেই সাথে সে তার চুল প্রায় ফ্লোর পর্যন্ত লম্বা ছিলো। চুলের মাথায় একটা ড্যাগার বাঁধা ছিলো। এমিয়াস তার দিকে তাকানোর সাথে সাথেই বুঝতে পারলো এই সেই ব্যক্তি যে এনরিকে টাওয়ারের মধ্য থেকে কিডম্যাপ করে নিয়ে এসেছে এখানে। 

-> আমি ভাবছিলাম কে হবে? কিন্তু পরিচিত কারো সন্তানকে এখানে দেখতে পারবো সেটা আশা করি নি। তারপরও, যেহেতু আমি কথা দিয়েছি যে এই মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিবো তাই পরিচিত কেউ আসলে তাদেরও হত্যা করতে দ্বিধাবোধ করতাম না। 

মাস্ক পরা মেয়েটা যা বললো তার কিছুই এমিয়াস বুঝতে পারলো না। তাই সে তাকিয়ে ছিলো মেয়েটার দিকে। পিছনে এনরি ছিলো যে কিছুই বুঝতে পারছিলো না। সে যতটুকু জানে যে এম্পায়ারের প্রিন্সের পারশোনাল কোনো লোকই এই মাস্ক পরা মেয়েটা। কিন্তু এখন তার কথায় এটুকু বুঝতে পারলো যে তার সামনের ছেলেটা প্রিন্স নয়। এমিয়াস শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো। মাস্ক পরা মেয়েটা তার একটা পা সামনে বারালো। তার এক কদম সামনে বারানোর কারণে একটা সিলভার কালারে ওয়েব বের হলো। যেটা এমিয়াসের শরীরের সাথে বারি খাওয়ার সাথে সাথে এমিয়াসের ট্রান্সফর্মেশন ক্যান্সেল হয়ে গেলো। এমিয়াস এবার তার আসল রূপে চলে আসলো। যেটা দেখলে যেকোনো ব্যক্তিরই হার্ট বিট বৃদ্ধি হয়ে যায়। কিন্তু তার সামনে থাকা মাস্ক পরা মেয়েটার উপরে এমিয়াসের চার্ম কাজ করলো না।

-> এটা কিভাবে সম্ভব? আমি তো তোমার শরীর থেকে অন্য রকম একটা লিংক পাচ্ছিলাম। কিন্তু, আসল কথা তোমাকে আমি হত্যা করেছি। তুমি আন্ডারওয়ার্ল্ডে না গিয়ে এখানে আসলে কিভাবে? 

মেয়েটা এমন কিছু বললো যা এবারো এমিয়াসের মাথায় ঢুকলো না। মেয়েটা যা বোঝাতে চাচ্ছিলো দেখি আপনারা কেউ বুঝেন কিনা, কমেন্টে জানান।


* * *

To Be Continued 

* * *

কেমন হলো জানাবেন।

About the Author

হৃদয় বাপ্পী
Hello Friends, My Name is Bappy and Welcome To Our Website. My Passion is to Share Knowledge With Everyone. Also I am a writer.

11 comments

  1. Still waiting
  2. Koi
  3. sir 9 pm er beshi somoy ekhon?
  4. Golpo koi
  5. 9 ta may bee hoy nai,,, 🤬🤬🤬🤬🤬
  6. vai 9 ta baje
  7. Ato din pora golpo palam taw abar ato tuku...
    Strange,
  8. mayeti bujhate cheyechi JE SE PURBE EMIAS KE MERECHILO. EBONG EMIAS ER EKHON THAKAR KOTHA CHILO UNDERWORLD E ..... KINTU SE EI JAYGAY KI KORCHE....
    TAR MANE BUJHA JACCHE JE MIU SADHARON KEW NOY.
  9. Ohh... Tahola ai jonnoi Alex mara geacelo demonic forest.a
  10. Demon Prince Asmodeus
  11. ড‍্যাগারওয়ালী এই মেয়ে শুধু ডিম‍্যান প্রিন্স না বরং অনেক বিখ্যাত বিখ্যাত ডিম‍্যানকেও হত‍্যা করেছে, যার মধ‍্যে আমাদের চার্মিং লাকি ম‍্যান এমিয়াসও ছিল। তাকে হত‍্যা করার পর তাকে আন্ডারওয়ার্ল্ডে যাওয়া কথা কিন্তু সে এখানে জীবিত দেখে মেয়েটি অনেকটা অবাক হয়েছে! এটাই🙂
    এখন আসি মেয়েটার পরিচয় নিয়ে,
    প্রথম সন্দেহ, শ্পর্শিয়া নামের সেই চরিত্র, যে এলেক্সের ভিসনে এসে ফ‍্যামিলিয়ারদের রাণী সেজেছিল! তার কোনো এভাটর হবে হয়তো এই মেয়ে।
    দ্বিতীয় সন্দেহ, মুন বা সান সুপ্রিম বিয়িংদের কোনো এভাটর হয়তো। কিন্তু এটা সম্ভবনা অনেক কম, কারণ তাদের কোনো কারণ নেই এইসব তুচ্ছ টাওয়ারের তুচ্ছ রাজ‍্যের কোনো প্রিন্সের পক্ষে থাকার!
    তৃতীয় সন্দেহ, একটা দুনিয়ার কথা বলা হয়েছিল, যেখানে কিছু পিলার ছিলো, যাদের মধ‍্যে একজন মেয়ে ছিল। হয়তো তার কোনো avatar.
    চতুর্থ সন্দেহ,Ex Demon king বা বিলজবাবের কোনো গোলাম, ভক্ত, বা ফলোয়ার হবে হয়তো, যে demon king এর কাজ সহজ করার জন‍্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু এখানেও হিসাব মিলে না, তাহলে যে এলমন্ডকে চিনে কিভাবে আর ডিম‍্যানদের এতো ঘৃণা করে কেনো!🥴
    কিন্তু যতোই হোক, দিনশেষে এই মেয়ের কাজকর্মের কোনো আগামাতা বুঝতেছি …
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.