আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রতি শনিবার, সোমবার এবং বুধবার রাত ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে ওয়েবসাইটে পোস্ট হবে।

Want Premium Membership!

Demon King পর্বঃ ১৩৯

হৃদয় বাপ্পী
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated
[প্রথমেই বলি গল্পটা পুরো কাল্পনিক, কেউ বাস্তব কিংবা ধর্মের সাথে তুলনা করবেন না]

#Demon_King#

পর্ব:১৩৯

লেখকঃ হৃদয় বাপ্পী
.
.
.

       টাওয়ার অফ গ্লাটোনি,

ব্লু কিংডমের প্যালেসের মধ্যে,

কিং হোমস এর সামনে উপস্থিত রয়েছে দুজন ব্যক্তি, প্রথম ব্যক্তি হলো একাডেমির প্রিন্সিপাল এবং দ্বিতীয় ব্যক্তি হলো ব্লু কিংডমের হান্টার এসোসিয়েশন এর লিডার। কিং হোমস দুজনের দিকে অনেক সিরিয়াস একটা লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে।

-> জয়েন্ট টুর্নামেন্টের নিয়ম গুলো বের হয়েছে, যেখানে আমাদের তিন কিংডম থেকে একাডেমির স্টুডেন্ট সহ হান্টাররা অংশগ্রহন করতে পারবে। এজন্যই তোমাদের দুজনকে আমি এখানে দেখেছি। (কিং)

-> ইউর হাইনেস, টুর্নামেন্টে স্টুডেন্টদের প্রবেশ এক কথা ছিলো কিন্তু হান্টারদের প্রবেশটা একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে না? (প্রিন্সিপাল)

-> শর্ত অনুযায়ী ২৫-৩০ বছরের হান্টার এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহন করতে পারবে। যেহেতু সিকরেট কিংডমের কাছে বয়স চেক করার আইটেম রয়েছে তাই এখানে চিটিং করার কোনো প্রশ্নই আসে না। (কিং)

-> কিন্তু এটা কি স্টুডেন্টদের মধ্যে কিছুটা সমস্যা তৈরি করবে না? (প্রিন্সিপাল)

-> এলফেডো তোমাকে এতো কিছু নিয়ে ভাবতে হবে। হান্টারদের নিয়ে ভাবার জন্য তো আমাদের হান্টার এসোসিয়েশনের লিডার রয়েছেই। (কিং)

-> জ্বী ইউর হাইনেস। (প্রিন্সিপাল)

প্যালেস থেকে বের হয়েছে প্রিন্সিপাল এবং হান্টার এসোসিয়েশন এর লিডার। হান্টার এসোসিয়েশন লিডারের মুখে ছিলো তৃপ্তির একটা হাসি। যে হাসি দেখে একাডেমির প্রিন্সিপালের মনের মধ্যে আবার আগুন জ্বলছিলো। তারপরও সে মুখের মধ্যে সুন্দর একটা হাসি নিয়ে হেটে যাচ্ছে। প্রিন্সিপালের আনইজি হওয়ার একটা কারণ ছিলো, বেশ অনেকদিন হলো সে সহ পুরো ব্লু কিংডমের মধ্যেই একটা নিউজ অনেক ভাইরাল হয়েছে। যে নিউজটা মূলত একজন হান্টারের ছিলো। একজন নতুন হান্টার যে তার আকর্ষনীয় চেহারা এবং ম্যাজিকাল পাওয়ারের জন্য জনপ্রিয় হয়েছে সবার মাঝে। যেহেতু সে হান্টার একাই একটা A লেভেলের ড্যানজন ক্লিয়ার করেছে যেটা হান্টার এসোসিয়েশনের আন্ডারে ছিলো, তাই পুরো ব্লু কিংডমের মধ্য সেই হান্টারকে অনেক জনপ্রিয় করে দিয়েছে। 

       ❝হান্টারটা নাকি দেখতে অনেক সুন্দর, এজন্যই কিংডমের প্রায় মেয়েরা তার জন্য একটা সংগঠন তৈরি করেছে, যেটাকে কি নাম দিয়েছে যেনো? ও মনে পরেছে "এমিয়াস ফ্যানক্লাব"। শুধু কি এটাই সে ফ্যানক্লাবে নাকি অনেক ছেলে সদস্যরাও রয়েছে যারা এখন সেই হান্টারের বিরুদ্ধে কিছু বললে নিজেদের জীবনও দিতে প্রস্তুত আছে।❞ (প্রিন্সিপাল ভাবছে)

প্রিন্সিপালের মনে মূলত হিংসার জন্ম নিয়েছে হান্টার এসোসিয়েশনের জন্য। যার মূল কারণ সেই হান্টারই ছিলো। গুজব অনুযায়ী সেই হান্টারের বয়সও ৩০ এর মধ্যে ছিলো, যার কারণেই প্রিন্সিপাল বিষয়টাকে সহজ ভাবে নিতে পারছে না।

       ❝কুল কুল, যদিও হান্টার এসোসিয়েশন এর কাছে একটা হিডেন কার্ড রয়েছে, আমাদের কাছেও এবার অনেক ট্রাম্প কার্ড রয়েছে।❞ (প্রিন্সিপাল ভাবছে)

প্রিন্সিপাল নিজের মনকে শান্তনা দিলো একটু। পাশে থাকা হান্টার এসোসিয়েশন এর লিডার কিছুটা মুচকি আসলো। তার হাসি দেখে প্রিন্সিপালের একদমই সহ্য হচ্ছিলো না। সে চাচ্ছিলো এখনি হান্টার এসোসিয়েশনকে একটা লং জার্নিতে পাঠিয়ে দিতে, কিন্তু নিজেকে কন্ট্রোল করে একটা মুচকি হাসি হেসে প্রিন্সিপাল সেখান থেকে চলে গেলো। ব্লু কিংডমের প্রিন্সিপাল বৃদ্ধ একটা ব্যক্তি। তারপরও তার শরীর দেখলে বোঝা যায় না তার বয়স সম্পর্কে। অন্যদিকে ব্লু কিংডমের হান্টার এসোসিয়েশন এর লিডার এর বয়স তার শরীরের ভাজেই বোঝা যায়। দুজনের মধ্যে অনেকটা পার্থক্য রয়েছে। প্রিন্সিপাল প্যালেস থেকে দ্রুত বের হলেও বৃদ্ধ হান্টার এসোসিয়েশন এর লিডার আস্তে আস্তে বের হতে শুরু করলো। প্যালেসের বাইরেই হান্টার এসোসিয়েশন এর ভাইস লিডার দাঁড়িয়ে ছিলো। সম্পর্কে সে লিডার এর মেয়ে হয়। 

-> ইউর হাইনেস কি বললো বাবা?

আগ্রহ নিয়ে লিডারকে তার মেয়ে জিজ্ঞেস করলো উক্ত প্রশ্নটা। বৃদ্ধ লিডার তার মুখে একটা মুচকি হাসি নিয়ে বলতে শুরু করলো,

-> এই টুর্নামেন্টে আমাদেরও অংশগ্রহন করতে হবে। ৩০ বছরের মধ্যে যারা আছে সবাইকে একত্র করো। আর এবার সময় এসেছে এই এমিয়াস এর সাথেও দেখা করার। (লিডার)

কথাটা বলার সাথে সাথেই দুজনে প্যালেস থেকে আস্তে আস্তে বের হতে শুরু করলো। 


* * * * *

      রেড কিংডম,

টাওয়ার অফ গ্লাটোনির প্রথম ফ্লোরে মোট তিনটা কিংডম রয়েছে। যার একটা হলো রেড কিংডম। সিকরেট কিংডম সব সময় নিরপেক্ষ হয়ে থাকলেও প্রতিটা সময় রেড কিংডম আক্রমনাত্মক ব্যবহার করে থাকে। তিন কিংডমের মধ্যে সব ব্যক্তিই জানে রেড কিংডম এতোদিন ব্লু কিংডমকে জয় করে তাদের পাওয়ার একত্র করে সিকরেট কিংডমের বিপক্ষে যুদ্ধ ঘোষনা করতে চাচ্ছিলো। কিন্তু সব কিছু এখন শেষ হয়ে গিয়েছে সিকরেট কিংডমের পদক্ষেপের কারণে। হুট করে শান্তি চুক্তির মতো কিছু একটা নিয়ে আসবে সিকরেট কিংডম সেটা রেড কিংডম আশা করে নি।

      রেড কিংডমের প্যালেসের মধ্যে,

রেড কিংডমের বিশাল লাল রঙের প্যালেসের মধ্যে বিশাল একটা বাঘের ভাস্কর্যের মতো সিংহাসনের উপরে পায়ের উপরে পা তুলে বসে ছিলো রেড কিংডমের কিং গালাটুস। তার আলাদা রকম একটা স্টাইল ছিলো যেটার সাথে অন্য কারোর তুলনা করা সম্ভব নয়। 

-> সব তো শুনেছো তোমরা। তাহলে এবার নিজেদের কাজে লেগে পরো। সরাসরি যুদ্ধ না হলেও কিন্তু এটা এক প্রকার যুদ্ধই, তাই আমি কোনো ভাবেই হার মেনে নিতে প্রস্তুত নই। (কিং)

কিং গালাটুস খুব জোরে কথাটা বললো। তার কথায় পুরো সিংহাসনের রুমটা নিরব ছিলো। তারা মনোযোগ দিয়ে শুধু শুনেই যাচ্ছিলো। এখানে তাদের বলার মতো তাদের কিছুই ছিলো না।

-> ব্লু কিংডমের কিছু ছেলে মেয়ে রয়েছে যাদের উপরে আমি একটু ইন্টারেস্টেড, তাই আমাদের বেস্টদেরও প্রস্তুত করার দায়িত্ব তোমাদের হাতে এখন। (গালাটুস)


* * * * *

       সিকরেট কিংডম,

সিকরেট কিংডমের প্যালেসের মধ্যে নিজের রুমের মধ্যে দাড়িয়প ছিলো মারিয়া। যার পিছনে হঠাৎ তার স্বামী এলমন্ড চলে আসলো। পিছন থেকে মারিয়াকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো এলমন্ড। গলা বরাবর একটা কিস করলো এলমন্ড। মারিয়া কিছুটা বিরক্ত হয়ে ঘুরলো এলমন্ডের দিকে। মারিয়ার চেহারায় চিন্তিত ভাব দেখা যাচ্ছিলো। এলমন্ড ভালো করেই জানে মারিয়া কি নিয়ে ভাবছিলো। তাইতো সেই চিন্তাকে দূর করার চিন্তা করছিলো এলমন্ড। কিন্তু সেটা কাজে দিলো না।

-> এতো বড় একটা ইভেন্ট হতে যাচ্ছে, আমাদের কি ঠিক হচ্ছে নিজেদের ছেলেকে অন্য একটা কিংডমে রাখা? (মারিয়া)

-> তুমি অযথা চিন্তা করছো। এলেক্সকে ওর জীবনটা কাটাতে দাও ওর মন মতো। কারণ সামনে এই সময়টা ও ওর কাছে থাকবে না। (এলমন্ড)

-> না! এখনি সময় হয় নি। তাই না? এতো দ্রুত সেই সময় হতে পারে না। (মারিয়া)

-> আমাদের যেতে হবে এই সব কিছু ছেড়ে কিছুদিন পরই। সেটা হয়তো আমার কাছে কিছুদিন লাগতে পারে, কিন্তু তোমাদের তুলনায় বললে এখনো বেশ কিছু সময় রয়েছে তোমাদের কাছে। তাই এই সময়টা এলেক্সকে এলেক্সের মতো থাকতে দাও। কারণ একবার সেখানে প্রবেশ করলে এলেক্স এ সময় গুলো আর পাবে না। বন্ধু বান্ধব সেটা তো সেখানে শুধু মায়া মাত্র। তাই এখানেই ওকে বন্ধু বান্ধবের মূল্য বুঝতে দাও। (এলমন্ড)

এলমন্ডের চোখের দিকে তাকিয়ে মারিয়া বুঝতে পারলো এলমন্ড তাকে কি বোঝাতে চাচ্ছিলো। তাই কোনো রকম কথা না বলেই সে চোখের কয়েক ফোটা পানি ফেললো শুধু। 

-> যেহেতু এই জয়েন্ট টুর্নামেন্টের প্রধান পরিচালক হিসেবে তুমি আমাকে যুক্ত করেছো তাই আমার অনেকটা কাজ রয়েছে। কিন্তু আমি আমার প্রিন্সেস এর চোখে পানি দেখতে পারি না সেটা তো ভালো করেই জানো তাই না? (এলমন্ড)

এলমন্ডের কথা শুনে মারিয়া তার চোখের পানি মুছে নিলো। এবার এলমন্ড মারিয়াকে বুকে টেনে দিলো এবং কপালে একটা কিস করে সেখান থেকে বেরিয়ে গেলো। মারিয়া দাড়িয়েই রইলো তার রুমের মধ্যে। বাইরের খোলা আকাশ দেখে যাচ্ছিলো সে বিশাল জানালা দিয়ে। 

-> তাহলে কি এই জায়গা আমাদের সত্যিই ছেড়ে যেতে হবে? (মারিয়া)

মারিয়া তার হাতের দিকে তাকালো। তার হাতের তালুর কিছুটা উপরেই একটা সাদা পালকের মতো ট্যাটু আঁকানো ছিলো, যেটা কিছুটা উজ্জ্বল আলো দিতে শুরু করলো এখন। জামার কাপড় দিয়ে মারিয়া সেটাকে ঢেকে ফেললো। 

-> এলমন্ডের কথা অনুযায়ী তো বাকিরা মারা গিয়েছে, তাহলে কেনো আমি মনে করতে পারছি না পুরানো কথা গুলো? (মারিয়া)

মারিয়া আকাশের দিকে তাকিয়ে নিজের মনের মধ্যে থাকা কথা গুলো ভাবতে লাগলো। অন্যদিকে রুম থেকে বেরিয়ে যাওয়া এলমন্ড হাঁটতে হাঁটতে ভাবছিলো,

       ❝আর হয়তো কিছু সময়। এরপরই এই স্বপ্নের গোলকধাঁধা থেকে আমরা সবাই মুক্ত হতে পারবো। আর এই সময়টাই শুধু সেই ব্যক্তিগুলোর শান্তির সময়। কারণ একবার আমি ফেরত গেলে আমার কাছ থেকে তারা যতকিছু কেড়ে নিয়েছে তার থেকেও হাজার লক্ষ্য গুণ বেশি আমি তাদের থেকে কেড়ে নিবো।❞ (এলমন্ড ভাবছে)


* * * * * 

       ব্লু কিংডম,

একাডেমির মধ্যে একটা উৎসবের মতো আয়োজন করা হয়েছে। কিসের কারনে আয়োজন করা হয়েছে এটা এখনো অজানা এলেক্সের জন্য। এলেক্স মাত্র একাডেমিতে প্রবেশ করেছে। আর সে প্রবেশ করেই বুঝতে পারছে না কি হচ্ছে। তবে কোনো রকম আগ্রহ না দেখিয়েই এলেক্স তার ডোর্মের দিকে চলে যাচ্ছিলো। তবে এখন একাডেমির মধ্যে তার জনপ্রিয়তার কারণে তার ডোর্মের দিকে যাওয়াটা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। যদিও এলেক্স একাডেমির টুর্নামেন্টে অনেক ভালো পারফরম্যান্স করেছিলো, তারপরও সে অনুযায়ী তার তেমন ভক্ত হয় নি। যার মূল কারন হলো এলেক্স একজন কমনার। আর এটাই কোনো উচ্চ বংশের নোবেলই চাই না একটা কমনারকে ফলো করতে। অবশ্য কিছু নোবেল রয়েছে যারা এটাকেও এক সাইডে রেখে এলেক্সকে ফলো করে, কিন্তু সেটার মান কম। তাই আপাতোতো একাডেমির মধ্যে সকল কমনার ব্যক্তিরাই এলেক্সের জন্য পাগল। আর তারাই এখন এলেক্সকে একদম ঘিরে ধরেছে। এলেক্স এখানে কি করবে বুঝতে না পেরে নিজের স্কিল ব্যবহার করলো এবং দ্রুত সেখান থেকে চলে আসলো,

      (একটিভ স্কিলঃ ব্লিংক)

এলেক্স তার ব্লিংক স্কিলের মাধ্যমে সবার মাঝ থেকে অনেকটা দূরে চলে গেলো এবং সেখান থেকে সময় নষ্ট না করে সে ডোর্মের দিকে রওনা দিলো। ডোর্মে নিজের রুমের দরজা খোলার পর এলেক্স ভিতরে প্রবেশ করলো। কিন্তু সে তার রুমে প্রবেশ না করে প্রিন্সিপালের রুমের মধ্যে ঢুকে গেলো। প্রিন্সিপাল টেবিলের পাশে চেয়ার নিয়ে বসে ছিলো এবং এলেক্সেরই অপেক্ষা করছিলো। এলেক্সের প্রবেশের সাথে সাথে প্রিন্সিপাল বলতে শুরু করলো,

-> তুমি কি এলেক্স? (প্রিন্সিপাল)

প্রিন্সিপাল সিরিয়াস একটা চেহারা নিয়ে এলেক্সকে প্রশ্নটা জিজ্ঞাসা করলো। কিন্তু এলেক্স কোনো রকম উত্তর না দিয়েই দাঁড়িয়ে রইলো। তার ইমোশনহীন চেহারা দেখে প্রিন্সিপাল বুঝতে পারলো সেটাই এলেক্স, কিন্তু তার নিজের কাছেও বিশ্বাস হচ্ছিলো না। যদিও এলেক্সের মতো অন্য ব্যক্তিরা অন্যদের লেভেল দেখতে পারে না, তারপরও একজনের শক্তি সম্পর্কে ধারণা করার আরো উপায় রয়েছে যা এলেক্সের অজানা। একজন উচ্চ লেভেলের ম্যাজিসিয়ান হওয়ার কারণে প্রিন্সিপাল খুব সহজেই বুঝতে পারছিলো এলেক্স এই সময়ে কি করতে পারবে।

       ❝আমি শুধু শুনেছি একটা ড্রাগন ফ্যামিলিয়ার থাকলে অন্যান্যদের থেকে দ্রুত শক্তিশালী হওয়া যায়। কিন্তু এই প্রথম কাউকে এতো কম সময়ে এতোটা শক্তিশালী হতে দেখলাম। মনে হচ্ছে টুর্নামেন্ট নিয়ে আমার আর কোনো চিন্তা করতে হবে না। যে হিডেন ট্রাম্প কার্ডকে আমি প্রস্তুত করতে চাচ্ছিলাম সে এখনি রেডি হয়ে আছে।❞ (প্রিন্সিপাল ভাবছে)

প্রিন্সিপাল এক মনে ভাবতে ছিলো অনেক কথা, যেটা শেষ করে সে এবার এলেক্সের দিকে ফোকাস হলো।

-> সামনে সপ্তাহেই জয়েন্ট টুর্নামেন্ট শুরু হতে যাচ্ছে। যেখানে তিনটা কিংডমের একাডেমির সকল স্টুডেন্ট এবং ত্রিশ বছরের কম বয়সী সকল হান্টার যোগ দিতে পারবে। এই টুর্নামেন্ট শুধু নিজের স্ট্যাটাস এবং সম্মানের উপরে নির্ভর করছে না বরং সেই সাথে প্রতিটা কিংডমের সম্মানও এর ভিতরে নির্ভর করছে। তাই যেভাবেই হোক এটা আমাদের জিততে হবে। (প্রিন্সিপাল)

বাইরে একটা বাজি ফোঁটার মতো শব্দ হলো। যেটা শোনার সাথে সাথে এলেক্সের নজর জানালার দিকে চলে গেলো। কিন্তু প্রিন্সিপালের অফিসের জানালা দিয়ে সে কিছুই দেখতে পারলো না।

-> চিন্তার কোনো কারণ নেই। বিষয়টা বিরক্ত কর হলেও আমিও অনেক আগ্রহী। হান্টার এসোসিয়েশনের মধ্যে একজন হান্টার রয়েছে যার জনপ্রিয়তা এখন পুরো একাডেমির মধ্যেও ছড়িয়ে পরেছে। বিশেষ করে মেয়েদের মধ্যে। গুজব ছড়িয়েছে যে সে এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহন করবে না, তাই একাডেমির মতো সব জায়গাতেই "এমিয়াস ফ্যানক্লাব" এরকম উৎসবের আয়োজন করছে। অবশ্য এখনে আমার আগ্রহ যে সে আসলেই অংশগ্রহন করে কিনা। না করলে তো আমার থেকে খুশি ব্যক্তি আর দ্বিতীয় কেউ হবে না। (প্রিন্সিপাল)

এলেক্স এবার প্রিন্সিপালের কথা শুনে কিছুটা অবাক হলো। সে নিজের জানে না তার সাইড ক্যারেক্টার এমিয়াসের নামে কোনো ফ্যানক্লাব রয়েছে যারা একটা গুজবের কারণে পুরো ক্যাপিটালে উৎসব তৈরি করতেও দ্বিধা বোধ করছে না। যাইহোক এলেক্সের এসব বিষয়ে তেমন কোনো চিন্তা নাই তাই সে এসব নিয়ে ভাবলো না বেশি একটা।

-> আমি তোমার জন্য একটা পারফেক্ট টিমের ব্যবস্থা করেছিলাম, কিন্তু পরে মনে পরলো তুমি তোমার টিমের সাথেই ফাইট করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করো, যদিও তারা ঠিক আছে, তারপরও কিছু এডজাস্টমেন্ট করতে হয়েছে আমাকে নিজে থেকেই। যেহেতু এই টুর্নামেন্টে পাঁচজনের টিম প্রবেশ করতে পারবে, তাই তোমাদের টিমকে বৃদ্ধি করে আমি মোট তিনটা টিম বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সব ডিটেইলস ডিউকের পুত্র স্যামের কাছে রয়েছে। তাই আমি এখন তোমাকে বেশি একটা বিরক্ত করছি না। ড্যানজন থেকে এসেছো তাই বিশ্রাম নাও কিছুটা। (প্রিন্সিপাল)

প্রিন্সিপাল দুই আঙ্গুল দিয়ে একটা চুটকি বাজালো, সাথে সাথে পুরো রুম চেঞ্জ হয়ে গেলো। সেটা এলেক্সের ডোর্মের মতো হয়ে গেলো। এটা সেই ডোর্ম যেখানে এলেক্স তার টিম মেম্বারদের সাথে থাকতো। আপাতোতো কেউ এখানে ছিলো না, তাই এলেক্স চলে গেলো গোসল করতে এবং এসেই অনেক সুন্দর একটা ঘুম দিয়ে নিলো। এক ঘুমেই সে পুরো দিন শেষ করে ফেললো। ঠিক পরের দিন যখন এলেক্সের ঘুম ভাঙলো তখন সে নিজেকে খোলা একটা আকাশের নিচে পেলো। যেখানে শুধুমাত্র সে একা ছিলো না। পাশ দিয়ে গোল হয়ে বসা এবং দাঁড়িয়ে অবস্থায় আরো অনেকেই ছিলো। এরা এলেক্সের টিম মেম্বার ছিলো। সাথে একটা নতুন চেহারাও ছিলো। 

-> তাহলে তোমার ঘুম ভাঙলো? (ডুফেস)

এলেক্স কার কোলে মাথা দিয়ে ঘুমাবে এটা নিয়ে স্নেরা, মাইরা, এলিন এবং হেয়ার মধ্যে অনেক মারামারি হচ্ছিলো। এনরিও সেখানে যুক্ত হতে চাচ্ছিলো কিন্তু সে প্রিন্সেস হওয়ার কারণে এই অর্থহীন ফাইটে যেতে ইচ্ছুক ছিলো না। তবে শেষমেষে এলেক্সের স্থান হয় ডুফেসের কোলে। যেখানে অন্য কোনো ছেলে হলে এখন কষ্টে মরে যেতে চাইতো। কিন্তু এলেক্স একদম স্বাভাবিকই ছিলো।

-> দেখো বেশি কথা বলবো না। যেহেতু এলেক্স এখানে রয়েছে তাই আমাদের অনেক সুন্দর একটা ব্যাটেল প্লান দরকার। প্রিন্সিপাল সব গুলো নিয়মই আমাকে সুন্দর করে বুঝিয়ে দিয়েছে। তাই আমিও সবাইকে এই বিষয়ে ছোট একটা লেকচার দিতে যাচ্ছি। একবারই বলবো তাই সবাই মনোযোগ দিয়ে শোনার চেষ্টা করবে। (স্যাম)

সবাই স্যামের দিকে মনোযোগ দিলো। মূলত কিভাবে টুর্নামেন্ট হবে সেটার কয়েকটা নিয়ম বের হয়েছে, সেটাই এখন স্যাম বলতে যাচ্ছিলো তাছাড়া কি কি করতে হবে টুর্নামেন্টে তার সব কিছু তো টুর্নামেন্টের ভিতরেই উল্লেখিত করা হবে। 

-> প্রথমত এটা একটা জয়েন্ট টুর্নামেন্ট হওয়ার কারণে এখানে তিন কিংডমের স্টুডেন্ট এবং হান্টাররা যোগ দিতে পারবে। অবশ্যই হান্টারদের বয়স ত্রিশের মধ্যে থাকবে তাই আমাদের তেমন একটা ভয়ের কারণ নেই। ত্রিশের মধ্যে খুব কম হান্টারই রয়েছে যারা একটু বেশি শক্তিশালী। আমরা যদি টিম ওয়ার্ক ভালো করতে পারি তাহলে খুব সহজেই তাদের হারানো সম্ভব। (স্যাম)

স্যাম একটু থেমে আবারো বলতে শুরু করলো,

->এখন আসা যাক টিমের ব্যাপারে। আমাদের টুর্নামেন্টের মধ্যে দশজনের একটা টিম তৈরি হয়েছিলো। কিন্তু এখানে পাঁচজনের একটা টিম তৈরি হবে। অবশ্য আমার, হেয়ার এবং ক্রিসের আলাদা টিম ছিলো তারপরও কিং এর আদেশে আমাদের এক টিমে থাকতে হবে। এখন প্রশ্ন হলো পাঁচজন করে টিম হলে আমরা একসাথে থাকবো কিভাবে। সেটার জন্য আবার আমাদের এক্সট্রা টিম তৈরি করতে হবে। কিন্তু এখানে আবার প্রিন্সিপালের কড়া একটা আদেশ দিয়েছেন। তিনি আমাদের তিনটা টিমের লিডার নির্বাচন করে দিয়েছেন। (স্যাম)

স্যাম একটা কাগজ বের করলো তার স্পেস রিং এর মধ্যে। যার নিচে প্রিন্সিপালের সাক্ষর ছিলো। সেখানে তিনটা টিমের নাম এবং সেখানে থাকা লিডারদের নাম উল্লেখ আছে। যা স্যাম এবার পড়তে শুরু করলো।

-> প্রতিটা টিমে লিডারের পাশাপাশি ভাইস লিডারও থাকবে, যারা লিডারের পরিবর্তে টিমের কন্ট্রোল বজায় রাখতে পারবে। যদিও একটা টিমে প্রিন্সিপাল ভাইস লিডারের নাম উল্লেখ করে রাখলেও বাকিটাতে করে নি তাই আমাদের নিজেদেরই বাকি টিমের যোগ্য ভাইস লিডার নির্বাচন করে নিতে হবে। তিন টিমের মধ্যে প্রথম টিম হলো টিম A যেটা আমাদের প্রথম এবং প্রধান টিম থাকবে। আর এই টিমই আমাদের পুরো একাডেমি সহ ব্লু কিংডমকে রিপ্রেজেন্ট করবে। এই টিমের লিডার হবে আমাদের ক্রাউন প্রিন্স হ্যারি। ভাইস লিডার হিসেবে থাকবে মাইরা। (স্যাম)

মাইরা বাদে সবাই করতালি দিলো কথাটা শুনে। এলেক্সও প্রথমে দেই নি, কিন্তু সবার তালে তালে এলেক্সও করতালি দিতে শুরু করলো।

-> টিম A চলে গেলো। টিম B এর লিডার হিসেবে প্রিন্সিপাল আমাকেই নিয়োগ করেছে। আর অবশেষে টিম C এর লিডার হিসেবে প্রিন্সিপাল এলেক্সকে নিয়োগ করেছে। দ্বিতীয় টিমে থাকার কারণে দ্বিতীয় ভাইস লিডার নির্বাচন করার সুযোগ আমিই সবার আগে পাবো। আর আমি আমার টিমের ভাইস লিডার হিসেবে স্নেরাকে বেছে নিলাম। (স্যাম)

স্যাম সুযোগ বুঝে কোপ মেরে দিয়েছে। সে স্নেরাকে পছন্দ করে তাই সে স্নেরাকেই প্রথমে তার টিমে যুক্ত করে নিলো। যেটার বিরুদ্ধে স্নেরা কিছুই বলতে পারছিলো না। সে এলেক্সের দিকে একবার শুধু তাকালো। অন্যদিকে এলেক্স তাকালো ছিলো টিমের সবার দিকেই। 

-> এলিন, মিও, ক্রিস এবং এনরি আমাকে ফলো করো। আমরা একটা ড্যানজনে যাচ্ছি এখন। (এলেক্স)

সবাই ভেবেছিলো এলেক্স একটা ভাইস লিডার বেছে নিবে। কিন্তু এলেক্স তার টিমের সব মেম্বারই এখানে বেছে নিয়েছে যেটা সবাইকেই অবাক করে দিয়েছে। তারপরও এখানে তাদের তেমন কিছু বলার ছিলো না। যেহেতু এনরি একজন হিলার ছিলো এবং তিন টিমের মধ্যেই একজন করে হিলার লাগবেই, তাই এটা স্বাভাবিক ছিলো। ক্রিসকে সবাই ডুফেস এবং জেয়াবদের মতোই বা তাদের থেকে একটু শক্তিশালী মনে করে তাই এটাও স্বাভাবিক ছিলো। মিও এর পাওয়ার সম্পর্কে কেউই কিছু জানে না তাই সেটাও স্বাভাবিক ছিলো যদিও না সে টুর্নামেন্ট জিতিয়েছিলো স্যামকে। যায়হোক শুধু আসল বিষয়টা হলো এনরিকে। মূলত এখানে তিনটা ডিভাইন বিস্টকে তিন টিমে পাঠানোর প্লান ছিলো প্রিন্সিপালের। কিন্তু এলেক্স যেটা করতে চাচ্ছে তাতে এক টিমেই দুটো ডিভাইন বিস্ট হয়ে যাবে। যেটায় হ্যারির কোনো সমস্যা না থাকলেও স্যাম আপত্তি জানালো।

-> এলেক্স বাকি সবাই ঠিক আছে, কিন্তু এলিনকে তোমার টিমে নিলে দুটো ডিভাইন বিস্ট একসাথে হয়ে যাবে। যদিও সেটা তোমার টিমের শক্তি বৃদ্ধি করবে কিন্তু আমাদের তিন যৌথ টিমকে সেটা দুর্বল করে ফেলবে। (স্যাম)

-> না থাক। এলিন এলেক্সের কাছেই থাক। (হ্যারি)

-> ঠিক আছে, জেয়াব চলে আসো আমার টিমে। আমরা এখনি একটা ড্যানজন ক্লিয়ার করতে যাচ্ছি। (এলেক্স)

-> আমরা তো কোনো মিশন গ্রহন করি নি মিশন বোর্ড থেকে? (ক্রিস)

-> সেটার প্রয়োজন হবে না। আমার কাছে সকল ড্যানজনের এক্সেস কার্ড রয়েছে। (এলেক্স)

বাকিদের টিম তৈরি এখনো হলোই না তার মাঝেই এলেক্স তার টিমকে নিয়ে চললো ড্যানজন ক্লিয়ার করতে।


* * * 

To Be Continued 

* * *

কেমন হলো জানাবেন।

About the Author

হৃদয় বাপ্পী
Hello Friends, My Name is Bappy and Welcome To Our Website. My Passion is to Share Knowledge With Everyone. Also I am a writer.

2 comments

  1. খুব চমৎকার হয়েছে।
  2. Vai re ki attitude dekhailo
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.