[গল্পে ব্যবহৃত অধিকাংশ বিষয়বস্তু কাল্পনিক ও অবাস্তব, বাস্তব বা কোনো ধর্মের সাথে এ গল্পের কোনো সম্পর্ক নেই।]
#Demon_King#
The Beginning
পর্ব:২০২
লেখকঃ হৃদয় বাপ্পী
.
.
.
একটা ক্লাসের মধ্যে অনেক গুলো স্টুডেন্টদের সামনে দাড়িয়ে আছে লম্বা কান যুক্ত এক সুন্দরী মেয়ে। তার সৌন্দর্যে পুরো ক্লাস রুম মুগ্ধ ছিলো স্টুডেন্টদের তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ টপিক সম্পর্কে বোঝাচ্ছিলেন। ছোট ছোট বাচ্চা স্টুডেন্টদের মনে নানা ধরনের প্রশ্ন ছিলো। একটা ছোট ছেলে উঠে দাঁড়ালো এবং নিজের প্রশ্নটা করে ফেললো।
-> আচ্ছা এল্ফ ম্যাডাম। আপনি ড্রাগনদের সম্পর্কে আমাদের কিছু বলেন।
ক্লাস নিচ্ছিলেন একজন এল্ফ, যে মানুষের মতো দেখতে একটা স্পিসিজের অংশ। এল্ফ ছেলেটার প্রশ্ন শুনে তাকে বলতে লাগলো,
-> ড্রাগন! অনেক জটিল একটা স্পিসিজ। আমি নিশ্চিত আমি যেটা বলবো সেটা পূর্বে থেকেই তোমরা জানো, তাই আমি তোমাদের একটা লেজেন্ড সম্পর্কে বলছি। এটাকে একটা গল্প হিসেবেও নিতে পারো তোমরা। অনেক পূর্বে একটা বিশাল আইস ক্যাসেলের মধ্যে বাস করতো একটা আইস ড্রাগন। ড্রাগনরা এমন একটা স্পিসিজ যারা ম্যাজিকের মাধ্যমে যেকোনো স্পিসিজের আকার নিতে পারে। আর এতে করে তারা চাইলে অন্য স্পিসিজের সাথে বিবাহও করতে পারে। আইস ড্রাগন তার মন মতো কোনো পাত্র খুঁজে পাচ্ছিলো না বিয়ে করার জন্য। এজন্য সে তার ক্যাসেল ছেড়ে রওনা দেই অন্যান্য স্পিসিজদের খোঁজে। তবে শত বছর খোঁজার পরেও সে মনের মতো কাউকে খুঁজে পায় নি। তখন আইস ড্রাগন একটা এল্ফ মেয়ের রূপ ধারণ করে এল্ফের রাজ্যে পৌঁছে। সেখানে এল্ফ রাজার দুই ছেলে ছিলো। দুজনেই আইস ড্রাগনের রূপের মায়ায় পরে যায়। হাজার চেষ্টা করার ফলে রাজার বড় ছেলে আইস ড্রাগনের মন গলাতে সফল হয়। আর তার সাথে রাজার বড় ছেলের বিয়েও হয়। এভাবে পাঁচ বছর তারা সুখের সংসার করলো। এর মাঝে এল্ফ রাজা মারা যাওয়ার কারণে রাজার বড় ছেলে রাজ্যের রাজা হয়ে যায়। আইস ড্রাগন এবং এল্ফ রাজার সুখের সংসার থাকলেও তাদের একটা অভাব ছিলো। তাদের কোনো বাচ্চা হয় নি যা দিন দিন দুজনকেই চিন্তিত করছিলো। অবশ্য বাচ্চা না হওয়ার কারণটা আইস ড্রাগন এল্ফ রাজাকে বলতে পারে নি। বললে আইস ড্রাগনের আসল পরিচয় সম্পর্কে জানতে পারবে এল্ফ রাজা যা আইস ড্রাগন চাচ্ছিলো না। ঠিক এমন সময় রাজ্যের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। রাজার ছোট ভাই সিংহাসন এর জন্য রাজাকে হত্যা করতে চায়। রাজার উপরে শক্তিশালী সিলিং ম্যাজিক ব্যবহার করে রাজার ভাই। যেটা থেকে তখন একটা ড্রাগনও রক্ষা পেতো না। নিজের স্বামীকে বাঁচানোর জন্য নিজের পেটে থাকা ডিম সহ রাজাকে ড্রাগনটা তার আইস ক্যাসেলের মধ্যে টেলিপোর্ট করে দেয়। কিন্তু সিলিং ম্যাজিকের কারণে নিজে আটকে যায় এল্ফ কিংডমের মধ্যেই। আইস ক্যাসেলের মধ্যে রাজা ডিম নিয়ে সব কিছু বুঝতে পারলো। সে একটা ড্রাগনের সাথে সংসার করেছিলো তাতে তার কোনো দুঃখ ছিলো না। নিজের ভালোবাসাটা এতোটা গভীর ছিলো যে, অন্য স্পিসিজের সাথে বিয়ে এল্ফদের নিষিদ্ধ হলেও তিনি বিষয়টা হাসি মুখে মেনে নিয়েছে। তিনি জানতেন তার স্ত্রী বেঁচে আছেন, এটাও জানতেন এল্ফ কিংডমে তার ছোট ভাইও ড্রাগনের পরিচয় জেনে গিয়েছে এবং তাকে কিংডমে সিল করে রেখেছে। রাজা তার এবং ড্রাগনের ডিমটাকে নিয়ে ক্যাসেলের মধ্যে অনেকটা সময় কাটিয়েছে। কতটা সময় কাটিয়েছিলো সেটা লেজেন্ডও উল্লেখ নেই। এল্ফের লাইফ অনেক লম্বা হয়ে থাকে, নিজের বুড়ো বয়স পর্যন্ত এল্ফ অপেক্ষা করে গিয়েছে ডিমটা থেকে বাচ্চা বের হওয়ার। কিন্তু যেহেতু আইস ড্রাগন ছিলো না পাশে তাই ডিমকে এনার্জি দেওয়ার মতো কেউ ছিলো না। আর এনার্জির অভাবে এল্ফের পুরো লাইফ লাগিয়েছে ডিমটা ফুটতে। এল্ফের শেষ লাইফে ডিমটায় হালকা করে ফাটল ধরেছিলো। লেজেন্ডে প্রথম ড্রাগনের ডিম থেকে কোনো ড্রাগন বের না হয়ে মিক্সড ব্লাডেড একটা হাফ ড্রাগন বের হয়েছে যার শরীর একটা এল্ফের মতো। এল্ফ কিং তার ডকুমেন্টারিতে লেখে গিয়েছেন। একটা মেয়ে ড্রাগনের সাথে অন্য স্পিসিজের শারিরীক সম্পর্কে ড্রাগনের বাচ্চার ০.০১% সুযোগ রয়েছে হাইব্রিড হওয়ার। এছাড়াও তিনি আরো উল্লেখ করেন একটা ড্রাগনের ডিম থেকে ফোটার পরে তার মায়ের পাশে থাকা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। কারণ ডিম থেকে বের হওয়ার পরে একটা ড্রাগনের বাচ্চা সর্বপ্রথম যে ব্যক্তিকে দেখে এডাল্ট না হওয়া পর্যন্ত তার কথায় শুনবে।
একটা মেয়ে উঠে দাঁড়ালো এবং জিজ্ঞাসা করলো,
-> তাহলে এল্ফ ম্যাডাম? যদি আমি একটা ড্রাগনের ডিম কিনে আনতে পারি তাহলে সেটা থেকে যে ড্রাগন বের হবে সে সারা জীবন আমার পেট হবে?
এল্ফ ম্যাডাম কিছুটা হাসলো এবং মেয়েটার কথায় উত্তর দিলো,
-> ড্রাগনের ডিম যেখানে সেখানে কিনতে পাওয়া যায় না। যদিও আমি একটা লেজেন্ডের কথা বললাম, কিন্তু এই পর্যন্ত ড্রাগনকে খুব কম ব্যক্তিই নিজের পেট বানাতে পেরেছে। আর যারা বানাতে পেরেছে তারা নিজেরাই এখন লেজেন্ড হয়ে আছে।
মেয়েটা আবারো জিজ্ঞেস করলো এল্ফ ম্যাডামকে,
-> তাহলে এল্ফ ম্যাম এরপরে কি হয়েছিলো এল্ফ রাজা এবং সেই হাইব্রিড ড্রাগনের?
ম্যাডাম একটু হেসে নিজের হাত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বললো,
-> আজ অনেকটা লেট হয়ে গিয়েছে। এই লেজেন্ডারি গল্পটা তোমাদের আবার আরেকদিন বলবো আমি।
এল্ফ ম্যডাম কথা বলেই সামনে থাকা টেবিল থেকে দুটো বই গুছিয়ে হাতে নিয়ে বের হয়ে গেলো ক্লাস থেকে। পুরো ক্লাস রুমের সকল ছেলে মেয়ে হতাশ হয়ে গেলো। তারা সবাই আগ্রহ নিয়ে শুনছিলো ড্রাগনের গল্পটা। কিন্তু সেটা শেষ হয় নি বলে সবাই অপেক্ষা করতে পারছিলো না।
-> ছেলে মেয়েদের আজ কাল দেখছি অন্য স্পিসিজদের সম্পর্কে ভালোই জ্ঞান দিচ্ছো।
হঠাৎ ছায়ার মধ্য থেকে একটা আওয়াজ শোনা গেলো। আওয়াজটা কার ছিলো সেটার দিকে নজর দিলো না এল্ফ ম্যাডাম। তার পরিচিত আওয়াজ থাকার কারণে সে নিজের মতো হেঁটে যাচ্ছিলো।
-> আজ নাহলে কাল তাদের জানতেই হবে। বর্তমানে মানুষ আর আমরা ভিন্ন কোনো পরিস্থিতিতে নেই। তাই আমাদের নলেজ যত আমরা তাদেরকে দিয়ে সাহায্য করতে পারবো ততই আমাদের জন্য বেটার হবে। (এল্ফ ম্যাডাম)
আবারো ছায়ার মধ্য থেকে একটা আওয়াজ শোনা গেলো।
-> তুমি এখানে এসেও পরিবর্তন হবে না। অন্যদের সাহায্য করার অভ্যাসটা তোমার কখনো যাবে না। যায়হোক হেডকোয়ার্টার থেকে নতুন আদেশ এসেছে। যদিও একটা মানুষের থেকে অর্ডার নিতে আমার ভালো লাগে না। তারপরও পরিস্থিতি ভয়ানক।
-> কি রকম পরিস্থিতি? (এল্ফ ম্যাডাম)
-> এরিয়া এক্সের মধ্যে ড্রাগনের অস্বাভাবিক মুভমেন্ট লক্ষ করা গিয়েছে। হেডকোয়ার্টারের মতে ড্রাগনের এরিয়ায় ড্রাগনের সাথে ফাইট করতে গিয়েছে কেউ।
-> বাউন্টি হান্টাররা কি তাদের মাথা নষ্ট করে ফেলছে? এই সময়ে এরিয়া এক্সে গিয়ে অস্বাভাবিক কিছু করলে রেড ড্রাগনের রাগ আবারো বড় ধ্বংসের কারণ হবে। (এল্ফ ম্যাডাম)
-> এজন্য হেডকোয়ার্টার তোমাকে দ্রুত এরিয়া এক্সে যেতে বলেছে।
-> সকল স্পিসিজের মেসেঞ্জার হওয়াটা আসলেই ঝামেলার। ঠিক আছে আমি যাচ্ছি এরিয়া এক্সে। আমার জন্য একটা চপার রেডি করো। (এল্ফ ম্যাডাম)
* * * * *
এরিয়া এক্স,
ড্রাগন তার মাথাটা রাগে জোরে করে নারা দিলো। আর তাতেই ড্রাগনের কপালে থাকা এলেক্স ছিটকে অনেক দূরে গিয়ে পরলো। এতোটা স্পিডে সে গিয়েছে যেখানে স্বাভাবিক কেউ থাকলে তার জীবিত থাকার কোনো কথায় ছিলো না। কিন্তু এলেক্স একটা জিনিসের সাথে অনেক জোরে ধাক্কা খাওয়ার পরও নিজেকে জীবিত পেলো। যদিও সে জীবিত রয়েছে কিন্তু তার শরীরের অধিকাংশ হারই ভেঙে গিয়েছে। সে মানুষের সর্বোচ্চ সিরিয়াস অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে। তারপরও তার কাছে বিষয়টা সহনীয় ছিলো। মুখ থেকে একটা চিল্লানিও বের হচ্ছে না এলেক্সের। নিজের শরীরকে কোনোভাবে এলেক্স নারাতে পারছে না। একবারে এক ঝটকায় অনেকদূরে চলে এসেছে। এতো দূর থেকে ড্রাগনটাকেও দেখা যাচ্ছিলো না।
-> ধাক্কা লাগার একদম পূর্বে কালো কোনো কিছু দেখতে পেরেছিলাম। ঠিক ১৫ বছর পূর্বে সেই সময়ের মতো। জিনিসটা কি? (এলেক্স)
এলেক্স নিজের ব্যথা ভুলে পরিস্থিতি নিয়ে ভাবতে লাগলো। শরীরের ইনজুরি এতোটা খারাপ ছিলো যে এলেক্স তার মাথা ব্যতীত কিছুই অনুভব করতে পারছিলো না। পিঠ লাগিয়ে বসে ছিলো কিছুর সাথে। সেটা কি ছিলো তা এলেক্স দেখতে পারছিলো না। তবে একটা কট করে আওয়াজ শুনতে পেলো। এবারের আওয়াজটা তার হাড় ভাঙার কিংবা ড্রাগনের শিং ভাঙার ছিলো না। পিছন থেকে অন্য কিছু একটা ভেঙেছে যা থেকে ছোট কিছু একটা লাফিয়ে এলেক্সের কোলে চলে আসলো। এলেক্স সেটার দিকে তাকালো।
-> একটা পাখি! তুমি আসলে কোথায় থেকে? (এলেক্স)
এলেক্স খেয়াল করে নি তবে সে একদম ড্রাগনের ডিমের সাথে এসে ধাক্কা খেয়েছে। এলেক্সের সাথে ডিমের স্পর্শ লাগার সাথে সাথে ডিমটা ফাটতে শুরু করে এবং সেটা থেকে ছোট একটা ড্রাগনের বাচ্চা বেরিয়ে আসে। ড্রাগনের কালারটা কিছুটা ভিন্ন ছিলো বড় ড্রাগনটার থেকে। বড় ড্রাগনটা হালকা লাল কালারের হলেও ছোট বাচ্চাটা একদম গাঢ লাল কালারের ছিলো। বাচ্চা ড্রাগন এলেক্সের কোলে এসে আস্তে আস্তে নিজের পাখা দুটো ঝাঁপটা দিলো কয়েকবার। এবার এলেক্সের গলার সাথে মাথা দিয়ে আস্তে আস্তে কয়েকবার ঘষতে লাগলো।
-> আমাকে কি তোমার মা ভাবতেছো? (এলেক্স)
এলেক্সের কথাটা শুনে ড্রাগনটা আরো একবার আস্তে করে মাথা গলার সাথে ঘষা দিলো। এলেক্স সেটার দিকে ভালো করে নিচু হয়ে দেখতে পারছিলো না। এমন সময় দূর থেকে অনেক স্পিডে ড্রাগনটা উড়ে আসলো। নিজের ডিম ভাঙা এবং বাচ্চাকে এলেক্সের কোলে দেখতে পেয়ে রেড ড্রাগন অনেকটা রেগে গেলো। কিন্তু সে নিজের রাগকে কন্ট্রোল করলো।
<(সাধারণ সময় হলে আমি এখন তোমাকে চোখের পলকেই পিষিয়ে হত্যা করে ফেলতাম। কিন্তু আমি কথা দিয়েছিলাম, যা আমি ভঙ্গ করেছি কাউন্টার এট্যাক করে। এজন্য এখনের মতো আমি তোমাদের সবাইকে মাফ করে দিলাম।)>
ড্রাগনটা হঠাৎ করে ছোট হতে শুরু করলো। বিশাল ড্রাগন একটা মেয়ে মানুষের আকার ধারণ করলো চোখের পলকেই। মেয়েটা এবার এলেক্সের কাছে আসলো এবং এলেক্সের উপর থেকে ছোট ড্রাগনের বাচ্চাটাকে তুলে নিজের কোলে নিলো। ড্রাগনের বাচ্চাটা তার আসল মাকে পেয়ে শক্ত করে ডানা দিয়ে জড়িয়ে ধরলো। এবার ড্রাগনটা এলেক্সের মাথার উপরে হাত দিলো। এলেক্সের শরীরের ভাঙা অধিকাংশ হাড় গুলো সাথে সাথে ঠিক হয়ে গেলো। এবার ড্রাগনটা এলেক্সকে বলতে লাগলো,
<(এই ফাইটটা আমি মনে রাখবো সারাজীবন। ভাবি নি আমাদের সন্তানের সাথে একটা মানুষের প্রথম বন্ড তৈরি হবে। যদি এটা তার ডেস্টিনি হয়ে থাকে তাহলে আমি তাকে বারণ করবো না। কিন্তু তোমার সাথে আমার স্কোর থেকে যাবে একটা। ভুল করেও আবারো আমার এরিয়ার মধ্যে প্রবেশ করলে এর পরে আর জীবিত যেতে পারবে না।)>
ড্রাগনটা তার কথাটা শেষ করলো আর সাথে সাথে সে জায়গা থেকে এলেক্স টেলিপোর্ট হয়ে গেলো। হঠাৎ করে পাঁচজন বাউন্টি হান্টারের সামনে এলেক্স চলে আসাতে অবাক হলো?
-> এটা কি ছিলো? (এলেক্স)
এলেক্স সিওর ছিলো সে ড্রাগনের সামনে ছিলো, চোখের পলকও সে ফেলে নি তার পূর্বেই সে পাঁচ জন ব্যক্তির সামনে যারা তাকে রেসকিউ করেছে।
-> এটা কি ম্যাজিক? আমার মনে হচ্ছে আমাকে শক্তিশালী হতে হলে এটা শিখতে হবে। (এলেক্স)
এলেক্স কথাটা বলার পরেই নিজের সেন্স হারিয়ে ফেললো। তার সামনে বস এবং ম্যাগমা শুধুমাত্র চলার মতো অবস্থায় ছিলো। ম্যাগমা এখনো ভয়ের মধ্যে থাকার কারণে কিছুই বলতে বা শুনতে পারছিলো না। তাই স্বাভাবিক থাকার মধ্যে শুধুমাত্র তাদের লিডারই ছিলো। পকেট থেকে একটা সিগার বের করলো এবং সেটা আগুন দিয়ে ধরিয়ে টানতে টানতে বসে পরলো এক পাশে।
-> ভাই তোমার জন্য একটা ড্রাগনের সামনে দাঁড়াতে হবে সেটা ভাবিনি। কিন্তু সব শেষে আমাদের শেষ আশাটুকু খুঁজে পেয়েছি এটায় হয়তো ম্যাটার করে। (বস)
* * * * *
এক সপ্তাহ পরে,
ছোট একটা রুমে মধ্যে এলেক্স একটা টেবিলের উপরে বই নিয়ে চেয়ারে বসে আছে। বই গুলো খুব মনোযোগ দিয়ে এলেক্স পড়ে যাচ্ছে। ঠিক এমন সময় তার রুমের মধ্যে ম্যাগমার পদক্ষেপ পরলো।
-> এখনো এই ম্যাজিক বই গুলো পড়ে যাচ্ছো এলেক্স? তোমার এই গুলোর প্রতি গুরুত্ব দেওয়া ঠিক হবে না। আমাদের মধ্যে স্ট্রেন্থের দিক দিয়ে এমনিতেই তুমি এগিয়ে। তাই বসের সাথে ট্রেনিং এই মনোযোগ দাও। (ম্যাগমা)
এলেক্স বইগুলো বন্ধ করলো এবং ম্যাগমার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। এলেক্সকে দেখে মনে করা কষ্ট যে তার বয়স পনেরো। পনেরো বছর বয়সে এলেক্সের শরীরের গঠন ২০/২২ বছরের একজন ছেলের মতো। শরীর একদম পাতলা না আবার একদম ফোলাও না। মাঝারি সাইজের পারফেক্ট বডি তার। সারাদিন রাত ফোর্টেজের মধ্যে বই পড়া, খাওয়া, ঘুমানো আর ট্রেনিং ছাড়া কিছুই করে নি এলেক্স। যে কারণে তার শরীরটা পারফেক্ট একটা শেপে এসেছে। লম্বার দিক দিয়ে ম্যাগমা তাদের গ্রুপের সবার থেকে বড়। সাত ফিট তার উচ্চতা। উচ্চতায় এলেক্স দ্বিতীয় হলেও ম্যাগমার সামনে দাড়ালে এলেক্স তার বুকের কাছে পরে যায়। ম্যাগমা আবারো বলতে লাগলো,
-> বস তোমাকে আমাদের সাথে আজকের মিশনে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজি হয়েছে। তাই রেডি হও কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা রওনা দিবো। (ম্যাগমা)
ম্যাগমা কথাটা বলে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো। এলেক্স তার অর্ধ ভাঙা বিছানার উপরে রাখা ব্যাগটা তুলে নিলো এবং সেটার মধ্যে বইগুলো ভরে কাঁধে নিয়ে বেরিয়ে পরলো।
-> যাক, অবশেষে আজকের মিশন আমি শেষ করতে পারলে আমার বাউন্টি হান্টার লাইসেন্স পেয়ে যাবো। আজকের পর থেকে আমিও বলতে পারবো আমি একজন বাউন্টি হান্টার। (এলেক্স)
এলেক্স কথাটা বলতে বলতে রুম থেকে বের হলো আর হঠাৎ করে ধাক্কা খেলো জুপিটারের সাথে।
-> এতো তাড়াহুড়ো করছো কেনো এলেক্স? (জুপিটার)
-> আস আমাকে আজকের মিশনে আপনাদের সাথে নিয়ে যাবে। (এলেক্স)
-> ওয়াও, তাহলে তো ভালোই হবে। আজকে তাহলে তোমার একশনটা দেখতো পারবো। সেদিন তো ড্রাগনের সাথে তোমার ফাইটটা দেখতে পারি নি, তবে আজকে মিস করবো না। (জুপিটার)
জুপিটার এলেক্সের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে কথাটা বললো। এলেক্স হঠাৎ করে কথা ঘুরিয়ে জুপিটারকে একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলো,
-> আচ্ছা জুপিটার? স্পেল ব্যবহারের জন্য স্পেল কাস্ট করাটা কি একদম জরুরী? (এলেক্স)
এলেক্সের হঠাৎ প্রশ্নে জুপিটার কিছুটা অবাক হলো। সে এলেক্সকে বলতে লাগলো,
-> আমি প্রফেশনাল ম্যাজিসিয়ান না, তাই সঠিক উত্তর তোমাকে দিতে পারছি না, আমি যতটুকু জানি কাস্টিং ছাড়া স্পেল ব্যবহার অসম্ভব। তবে স্পেল ব্যবহার করতে করতে স্পেলটার কাস্টিং সময় এবং কাস্টিং করার ওয়ার্ড কমানে সম্ভব। যেমন প্রথম প্রথম যদি আমি ফায়ার বল স্পেল ব্যবহার করতে চাই তাহলে বিশাল এক লাইন আমাকে পড়তে হবে এরপর স্পেল ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু স্পেলটা ব্যবহার করতে করতে এখন মানা ফোকাস করে ফায়ার বল বললেই স্পেল ব্যবহার হয়ে যায়। (জুপিটার)
জুপিটার কথাটা বলার সাথে সাথে ছোট একটা ফায়ার বল স্পেল ব্যবহার করেও দেখালো এলেক্সকে। এলেক্স জুপিটারের কথা বুঝতে পারলো। সে নিজের হাতের দিকে তাকালো। বেশ কয়েকটা পোড়া দাগের চিহ্ন রয়েছে হাতের তালুতে। এলেক্স ভাবতে লাগলো,
❝তাহলে এটা কিভাবে সম্ভব?❞
* * * * *
To Be Continued
* * * * *
কেমন হলো জানাবেন।