আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রতি শনিবার, সোমবার এবং বুধবার রাত ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে ওয়েবসাইটে পোস্ট হবে।

Want Premium Membership!

Demon King Part: 221

Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated
 [গল্পে ব্যবহৃত অধিকাংশ বিষয়বস্তু কাল্পনিক ও অবাস্তব, বাস্তব বা কোনো ধর্মের সাথে এ গল্পের কোনো সম্পর্ক নেই।]

#Demon_King#


The Beginning

পর্ব:২২১

লেখকঃ হৃদয় বাপ্পী
.
.
.
সাব্বির তার ডান হাতের স্পেয়ারটা বর্ষা নিক্ষেপ করার মতো ধরেছে। বাম পা সামনে ফেলে শরীরের সমস্ত ভর ডান পায়ের উপরে ফেললো। এবার তার কোরের এনার্জি সে তার স্পেয়ারের ভিতরে চ্যানেল করলো। স্পেয়ারটা জ্বলতে লাগলো আগুনে। বেশ কিছুক্ষণ সময় লাগলো সমস্ত এনার্জি স্পেয়ারের মধ্যে সংগ্রহ হতে। 

-> যেহেতু বাথরুমের দেওয়ালেও ব্যারিয়ার লাগানো রয়েছে তাই আমার মনে হয় ফুল পাওয়ার এট্যাক ব্যবহার করলেও এই চার দেওয়ালের বাইরে এট্যাক যাবে না। (সাব্বির)

সাব্বির কথাটা বলে তার স্পেয়ারটা নিক্ষেপ করতে যাবে এমন সময় এলেক্স দরজা খুললো। স্পেয়ারটার ব্লেড লক্ষ্য করে এলেক্স পাশ কাটিয়ে গেলো। এলেক্সের পাশ দিয়ে ব্লেডটা যাওয়ার সময় সেটার সমস্ত আগুন নিভে গেলো এবং দেওয়ালে একটা এনার্জি ছাড়া স্পেয়ার হয়ে ধাক্কা খেলো।

❝হঠাৎ কি হলো, মনে হচ্ছে আমার সমস্ত এনার্জি কোনো কিছুর সাথে ধাক্কা খেয়েছে। কোনো রকমের ব্যারিয়ার ব্যবহার করতে দেখছি না তো ওকে।❞ (সাব্বির ভাবছে)

-> মনে হচ্ছে ভাইস প্রিন্সিপাল খুব ভালো একটা আইটেম দিয়েছে তোকে। এটা হয়তো প্রমাণ করে তার কোনো অবৈধ সন্তান তুই, তা নাহলে তোর মতো ব্যক্তি যে এনার্জিও ঠিক মতো ব্যবহার করতে পারে না সে কিভাবে লাক্সের প্রবেশ করে। (সাব্বির)

সাব্বির সাধারণত এরকম ব্যবহার করে না সবার সাথে। কাউকে ভালো না লাগলে সে বাথরুমের মধ্যে তাকে পেলে মেরে একদম আধমরা করে দেয়। যেহেতু লাক্সের ভিতরে ফাইট করা নিশেধ তাই পূর্বে থেকেই অনেক সিনিয়র মন মতো ফাইট করার জন্য একটা জায়গা বের করেছে। আর সেই জায়গায় হলো বাথরুম। লাক্সের মধ্যে শুধুমাত্র এই জায়গাতেই কোনো শিক্ষক এবং অফিসারের চোখের আড়ালে মন মতো ফাইট করা যায়। এমনকি কাউকে অর্ধমৃত করে ফেলে রাখলেও অফিসাররা সে বিষয়ে হাত বাড়ায় না। যে কারণে সাব্বির লাক্সে প্রবেশের পর থেকেই আজ পর্যন্ত অনেক ছেলেদের নিজের মন মতো মেরেছে। মূলত এতোদিন বোর হয়ে যাওয়ার কারণে সাব্বির ফাইট করেছে, কিংবা তার অনুসারীদের দিয়ে ফাইট করিয়েছে বাথরুমের মধ্যে। কিন্তু আজকের ব্যাপারটা সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিলো। আজ সে বোর ফিল করছিলো না। বরং তার মনের মধ্যে রাগ ছিলো।

❝আমি ভাবতেই পারছি না আমার বসকে এই ছেলে কিভাবে হারিয়ে দিলো। কোনো ভাবেই সম্ভব নয়। যদি লেডি এলিজাবেথ প্রথম হতো তাহলে বিষয়টা মানা যেতো, কিন্তু যে ছেলে এনার্জিই ঠিক মতো ব্যবহার করতে পারে না সে কিভাবে প্রথম স্থান দখল করলো।❞ (সাব্বির ভাবছে)

সাব্বিরের রাগ আরো বৃদ্ধি পেয়ে গেলো। তার পুরো শরীরের চার পাশ দিয়ে এবার মানা এবং অউরা এনার্জি ঘুরতে লাগলো। এনার্জি গুলো একে অপরের সাথে বারি খেয়ে লাইটনিং তৈরি করতে লাগলো। সাব্বিরের চুলগুলো উপরের দিকে ভাসতে শুরু করলো। 

-> এটা আমার সবচেয়ে শক্তিশালী এট্যাক, এবার দেখবো কিভাবে তোর আইটেম তোকে বাঁচাতে পারে। (সাব্বির)

সাব্বিরের পিছনে থাকা তার তিনজন লোক এবং যেটার উপরে বসে ছিলো তারা পিছনে দাঁড়িয়ে দেখতে লাগলো। একে অপরের সাথে তারা বলতে লাগলো,

-> আমাদের বসকে ইগনোর করে অনেক বড় ভুল করেছে।

-> আমি যতবারই বসের পাওয়ার দেখি ততবারই আমার শরীর কাঁপতে থাকে।

-> এনার্জি ঠিক মতো ব্যবহার না করতে পারলে এই এট্যাক কিভাবে আটকাবে এবার?

হঠাৎ একটা বেল বেজে গেলো। বেলটা ক্লাস শুরু হওয়ার ছিলো। বেলের শব্দ শুনে এলেক্স এবার বলতে লাগলো,

-> বাচ্চাদের গেম খেলার সময় নেই আমার হাতে। যেহেতু বেল দিয়েছে তাই আমাকে ক্লাসে যেতে হবে। (এলেক্স)

এলেক্স কথাটা বলার সাথে সাথে এগিয়ে গেলো সাব্বিরের দিকে কিছুটা। সাব্বির এট্যাক করতেই যাচ্ছিলো কিন্তু এলেক্সের এগিয়ে আসা দেখে সে এক সেকেন্ড লেট করলো। আর এই এক সেকেন্ডের মধ্যেই এলেক্স সাব্বিরের কাছে চলে আসলো। সাব্বিরের স্পেয়ারের সামনে দাঁড়ানোর সাথে সাথেই সাব্বিরের স্পেয়ার থেকে এনার্জি গুলো সরে যেতে শুরু করলো। এবার এলেক্স সাব্বিরের স্পেয়ারের ব্লেডটা স্পর্শ করলো তার হাত দিয়ে। ব্লেডে হাত রাখার সাথে সাথে ব্লেডের উজ্জ্বল ভাব দূর হয়ে গেলো। সাথে সাব্বিরের শরীরের চারপাশে থাকা এনার্জিও কেটে গেলো। সাব্বির সম্পূর্ণ বোকা হয়ে গেলো এবার। সে বুঝতে পারলো না এলেক্স কি করেছে, কিন্তু সে অনুভব করতে পেরেছে তার হাতের আইটেম যেটা থেকে এতোক্ষণ প্রচুর এনার্জি অনুভব করতে পারছিলো সেটা সাধারণ হয়ে গিয়েছে। এবার এলেক্স সাব্বিরের পাশ কাটিয়ে চলে গেলো। সাব্বির বাস্তবে ফিরে এসে পিছনে ঘুরলো। রাগে সে চিল্লিয়ে উঠতে লাগলো,

-> একটা ছেলে হলে কাপুরুষের মতো পালিয়ে না গিয়ে আমার সাথে ফাইট কর। আমি জানি না কি ট্রিক্স ব্যবহার করেছিস, কিন্তু আমরা সবাই এখানে একসাথে তোর উপরে হামলা করলে কোনো ট্রিক্সই কাজ করবে না। (সাব্বির)

সাব্বিরের কথা শুনে বাকি সবাই এলেক্সের উপরে হামলা করার জন্য ঝাঁপিয়ে পরতে চাইলো। তারা এক পা বাড়িয়েছে, কিন্তু তখনি এলেক্সের চোখের দিকে তাকালো সবাই। এলেক্সের চোখের দিকে তাকানোর সাথে সাথে তাদের পুরো শরীর ভারি হতে শুরু করলো। বরফে জমে রয়েছে এরকম অনুভব করতে লাগলো তারা। কেউ কোনো রকম কথা বলতে পারছিলো না। সবার পা কাপতে শুরু করে দিলো।

-> বেল দিয়েছে, আমাকে ক্লাসে যেতে হবে। যেহেতু এটা ফাইট করার জায়গা নয় তাই এখানে ফাইট করাটা ঠিক হবে না। (এলেক্স)

এলেক্স কথাটা বলেই চলে গেলো। এলেক্স রুমের দরজা বন্ধ করে দেওয়ার সাথে সাথে সব গুলো ছেলে ফ্লোরে পরে গেলো। তাদের শরীর এখনো কাপ ছিলো। কোনো রকমের কথা তারা বলতে পারছিলো না।

❝এটা কি কোনো ইলুশন ছিলো? এই কয়েক সেকেন্ডে ওর চোখে আমি কয়বার আমার মৃত্যু দেখেছি?❞ (সাব্বির ভাবছে)

* * * * *

রয়েল ক্লাস,

থিওরি ক্লাস শুরু হয়েছে আজও। যেহেতু ফিল্ড মিশনের জন্য এখনো টিম তৈরি হয় নি তাই প্রতিটা স্টুডেন্টকেই লাক্সে থেকে থিওরি ক্লাসে অংশগ্রহন করতে হচ্ছে। এলেক্স এক মাস থিওরি ক্লাসে অনুপস্থিত ছিলো, ক্লাস শুরু হওয়ার কারণে এলেক্স দরজার সামনে আসাতে সবাই এলেক্সের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেলো। শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে এলেক্স ভিতরে প্রবেশ করলো।

-> এটা কি সেই ছেলে না?

-> হ্যাঁ আমাদের রয়েল ক্লাসের প্রথম হয়েছে।

-> গুজব গুলো কি সত্যি?

-> অবশ্যই সত্যি হবে, তা নাহলে আমার নিজের চোখে দেখা সে এনার্জি ঠিক মতো ব্যবহার করতে পারে। এক দিক দিয়ে সে একটা ট্যাংকের মতো, তাহলে এতো কম সময়ে কিভাবে AI ড্যানজন ক্লিয়ার করবে?

-> আমারও তাই মনে হয়। আমাদের টিমেরই লেগেছে ৪৫ মিনিট। 

-> আমাদের টিমের ২ ঘন্টা লেগেছে, কিন্তু যেহেতু আমিই সবকিছু করেছিলাম তাই আমার র‍্যাংক ৫০ এর মধ্যে চলে এসেছে এবং আমি রয়েল ক্লাসে অংশ গ্রহন করেছি। 

-> মোট কথা তার টিম মেট গুলো তো নিজেই স্বীকার করেছে যে পুরো সময় এলেক্স ড্যানজনের মধ্যে ঘুমিয়েছে। তাই অবশ্যই অফিসাররা তাকে হেল্প করেছে।

-> ভাইস প্রিন্সিপালের এমনিতেই মেয়েদের সাথে অনেক খারাপ রেকর্ড রয়েছে। যেহেতু প্রিন্সিপাল তার স্ত্রী ছিলো তাই এতটুকু তো কভার করা কোনো ব্যাপারই না।

-> আমরা কি ডিএনএ টেস্ট করবো আসলেই জানার জন্য?

-> কোনো টেস্ট করতে হবে না এটা এমনিতেই বোঝা যায়। ভাইস প্রিন্সিপালের অবৈধ সন্তান না হলে সে নরমাল হওয়ার পরও এতো স্পেশাল ট্রিটমেন্ট কেনো পাবে?

এলেক্স পিছনে যাচ্ছিলো আর কথা গুলো শুনতে পাচ্ছিলো। কথা গুলোর দিকে এলেক্স কোনো রকম গুরুত্ব দিলো না। বরং এলেক্স একটা ফাঁকা জায়গায় বসে পরলো। শিক্ষক তার থিওরি ক্লাস শুরু করলো। যা এলেক্স মনোযোগ দিয়ে শুনতে লাগলো। কিন্তু একটা জিনিস এলেক্সের খেয়াল বার বার সরিয়ে দিচ্ছিলো। সেটা হলো এলেক্সের সামনে ভেসে থাকা থ্রিডি স্ক্রিনের মেসেজ।

꧁ཌ কনগ্রাচুলেশন, হোস্ট ডিম্যান কিং সিস্টেম ৮০% আনলক করেছেন। হোস্ট এখন তার ডার্ক ফর্ম(পূর্বে মুড লেখেছিলাম) ব্যবহার করতে পারবে। স্কিল 'আই অফ এনাইহিলেশন', স্কিল 'হাইড্রো রিজেনারেশন', মডিফাইড স্কিল 'ওয়ান হু রুল দী আনডেড', স্কিল 'এন্টি বডি' স্কিল 'ব্লেস বাই ডিসট্রাকশন' স্কিল মেনুতে যুক্ত হয়েছে।ད꧂

এই মেসেজের নিচে আরো একটা মেসেজ রয়েছে। 

꧁ཌ হোস্টের পূর্বের জব এবং টাইটেল গুলো একত্রিত করা হলো এবং ডিম্যান কিং সিস্টেম হোস্টকে একটা নতুন জব প্রদান করলো। ডিম্যান কিং সিস্টেম ১০০% আনলক হলে হোস্ট জব এবং স্কিল গুলো দেখতে পারবে। ད꧂

এলেক্স মেসেজটা বাস্তবে ফিরে আসার পর থেকেই দেখে যাচ্ছে। প্রথম দিকে তেমন কিছু না বুঝলেও এলেক্স সময়ের সাথে তার সামনে থাকা মেসেজ গুলোকে এডাপ্ট করে নিয়েছে। হয়তো এক বিষয় নিয়ে একশত বার চিন্তা করলে সেটার উত্তর না ও পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু সে বিষয় নিয়ে এক মিলিয়ন বছর কিছুটা কিছুটা করে চিন্তা করলে উত্তর পাওয়া না গেলেও নিজের মতো উত্তর বানিয়ে নেওয়া সম্ভব। এলেক্সও নিজের উত্তর বানিয়ে নিয়েছে। ঠিক এই সময় ক্লাসে আরো একটা ছেলের প্রবেশ হলো। সাব্বির প্রবেশ করলো ক্লাসের মধ্যে। যার জন্য শিক্ষক তার লেকচার থামিয়ে দিলো। সাব্বির ভিতরে এসে একটা সিটে বসে পরলো। সাথে সাথে শিক্ষক আবারো বলতে শুরু করলেন। এলেক্সের বিপরীত পাশে বসে ছিলো সাব্বির, হঠাৎ করে সাব্বির এলেক্সের দিকে তাকালো।

❝আমার মানতে কষ্ট হচ্ছে যে গুজব গুলো বের হচ্ছে সেটা সত্য নয়। আমি সিওর এরকম প্রেসার শুধুমাত্র আমার বস নিওনের আম্মার থেকেই অনুভব করেছিলাম। যদি গুজব সত্য হয় তাহলে কি ভাইস প্রিন্সিপালের কি বসের আম্মার সাথে কোনো.... না না কি ভাবছি, এই কথা কোনো ভাবে অন্যের কানে গেলে শুধু আমার নয় বরং আমার পুরো পরিবারের মাথা থাকবে না গলা থেকে।❞ (সাব্বির ভাবছে)

সাব্বির এলেক্সের থেকে সিমিলার ধরনের একটা অনুভূতি পেয়েছিলো। আম টক বা মিষ্টি হোক না কেনো, সেটা আমই থাকে। এটায় সাব্বির ভাবছিলো। কিন্তু তখনি এলেক্স হঠাৎ করে তাকালো সাব্বিরের দিকে। এলেক্সের চোখ পরাতে সাব্বিরের পুরো শরীর কেঁপে উঠলো। সাব্বিরের পাশে বসে থাকা তার বন্ধু কাউসার বলতে লাগলো,

-> কি হয়েছে তোর সাব্বির? শরীর কি ভালো নেই? জ্বী হয়েছে? (কাউসার)

কাউসার সাব্বিরের শরীর কাঁপতে দেখে শরীরে স্পর্শ করলো।

-> শরীর তো ঠান্ডা রয়েছে, তাহলে কাঁপছিস কেনো? (কাউসার)

সাব্বির কাইসারের কথায় হেসে উত্তর দিতে লাগলো,

-> আরে কিছু না, আজকে এম্পায়ারে তুই ছিলি না তাই একাই অনেকটা এনার্জি ব্যবহার করতে হয়েছে। নতুন একটা স্কিল ব্যবহার করেছিলাম এজন্য শরীর ব্যাকলিসে রয়েছে এখন। (সাব্বির)

-> আজকেই হতে হলো, তোর প্লানের কথা ভুলে গেছিস, ঔযে আমাদের ফার্স্ট বয় এসেছে আজকে ক্লাসে। তুই তো বলেছিলি কোনো ভাবে বাথরুমে নিয়ে গিয়ে আমাদের গ্রুপ দিয়ে শায়েস্তা করবি ওকে। যেহেতু আমাদের বসকে ছোট করেছে ওর অবৈধ পরিচয় নিয়ে তাই আমাদেরও দরকার ওকে উচিত শিক্ষা দেওয়া। (কাউসার)

-> আমার মনে হয় এটা ভালো সময় হবে না। (সাব্বির)

সাব্বির হেঁসে হেঁসে কথাটা বললো। তার এখন মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছিলো না।

-> ও ভালো কথা, যেহেতু ড্রাগনের মৃত্যুর কারণে এক্সাম পিছিয়ে গিয়েছে, তাই আমি সিওর আজকেই এনাউন্সমেন্ট করবে এক্সামের। এবারে যেহেতু আমরা রয়েল ক্লাসে তাই সিওর কোনো আসল ড্যানজনে পাঠাবে আমাদের। তখনি আমরা এলেক্সকে দেখে নিতে পারবো। (কাউসার)

সাব্বির কাউসারের কথায় মনে হলো হাফ ছেড়ে বাচলো।

-> হ্যাঁ সেটায় ভালো হবে। (সাব্বির)

❝আমি আজকেই দ্বিতীয় বারের জন্য সেই অনুভূতি আবারো অনুভব করতে চাচ্ছি না❞ (সাব্বির ভাবছে)

হঠাৎ শিক্ষকের লেকচারের সাবজেক্ট চেঞ্জ হয়ে গেলো, তিনি বলতে লাগলেন।

-> যেহেতু কিছুদিন পূর্বে ড্রাগনের মৃত্যু দিয়ে আমাদের পুরো ওয়ার্ল্ডকে একটা শকের মধ্যে ফেলে দিয়েছিলো তাই আমরা সময় মতো আমাদের দ্বিতীয় এক্সামের ব্যবস্থা করতে পারি নি। আমাদের নতুন প্রিন্সিপাল এবং বোর্ডের সকলের অনুমতিতে তোমাদের দ্বিতীয় টেস্টের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। যেহেতু এবারের টেস্টটা সম্পূর্ন ভিন্ন ধরনের হতে যাচ্ছে তাই তোমাদের সকলের সুরক্ষার জন্য পূর্বে থেকেই বিষয়টা বলে দেওয়া হচ্ছে। এবারের টেস্ট হবে একটা ফিল্ড মিশন। টেস্টের এরিয়া নির্ধারণ করা হয়েছে এরিয়া এক্সে। (শিক্ষক)

শিক্ষকের কথাটা শুনে সবাই অবাক হয়ে গেলো। সবার মুখ দিয়েই একটা কথা বের হতে লাগলো,

-> এরিয়া এক্স! 

শিক্ষক এবার বলতে লাগলেন,

-> হ্যাঁ এরিয়া এক্স। এটা শুধু মাত্র একটা টেস্ট হবে না তোমাদের জন্য। এরিয়া এক্সের মধ্যে মৃত ড্রাগনের শরীরটা পরে রয়েছে যার চারপাশ দিয়ে ব্যারিয়ার থাকার কারণে সেটাকে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট এমনকি স্পিসিজ এসোসিয়েশনও সরাতে পারছে না। এমন অবস্থায় পুরো ওয়ার্ল্ডের মধ্যে সবচেয়ে দামী একটা জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে এরিয়া এক্স। যেহেতু ড্রাগনদের মানা আনলিমিটেড রয়েছে বলে ধারনা করা হয় তাই রেড ড্রাগন মারা গেলেও তার শরীর থেকে এখনো পর্যন্ত মানা বের হয়েই যাচ্ছে। যে কারণে এরিয়া এক্সের মধ্যে এই সময়ে এনার্জির মাত্রা অনেক বেশি। যে জায়গাকে কিছুদিন পূর্বে টিভিতে দেখেছিলে এখন সেই জায়গাতে গেলে হয়তোবা সেটাকে চিনতেই সমস্যা হবে তোমাদের জন্য। কিন্তু লাক্স তোমাদের জন্য একটা সুবর্ণ সুযোগের ব্যবস্থা করেছে। তোমরা তোমাদের টেস্টের সাথে সাথে সেখানে থাকা এনার্জির ব্যবহার করে নিজেদের কোরকে আরো শক্তিশালী এবং এনার্জির মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারবে। (শিক্ষক)

শিক্ষকের কথা শুনে প্রতিটা স্টুডেন্টই উত্তেজিত হয়ে গেলো। একটা জায়গা যেখানে একজন মানুষ তাদের এনার্জি বৃদ্ধি করতে পারবে সেরকম জায়গা প্রতিটা ব্যক্তিই খোঁজ করে। কিন্তু সবার দ্বারা সেরকম জায়গাতে প্রবেশ করা সম্ভব হয় না। কিন্তু এরকম একটা সুযোগ যেটার মাধ্যমে সবাই নিজেদের এনার্জি বৃদ্ধি করতে পারবে লাক্সে থাকা অবস্থাতেই সেটা কেউ কল্পনা করে নি।

-> তবে একটা জিনিস মনে রাখো। তোমাদের উপরের তিন রয়েল ক্লাসের সিনিয়র স্টুডেন্টও তোমাদের সাথে অংশগ্রহণ করবে এই টেস্টে তাই এবারের টেস্ট পূর্বের ইতিহাসের টেস্ট গুলোর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা এবং কঠিন হতে চলেছে। (শিক্ষক)


* * * * * 

একটা রুমের মধ্যে ভিডিও কনভারসেশনে কথা হচ্ছিলো লাক্সের প্রিন্সিপাল এবং একটা বৃদ্ধ লোকের সাথে। বৃদ্ধ লোকটা লাক্সের প্রিন্সিপালকে বলতে লাগলো,

-> এটা কি ঠিক হবে এতো গুলো স্টুডেন্টকে এক সাথে এরিয়া এক্সের মধ্যে প্রবেশ করানো? যদিও আমি এল্ফ ম্যাজিকের উপরে বিশ্বাস করি তারপরও কিছু হয়ে গেলে কি হবে। 

বৃদ্ধ লোকটা প্রিন্সিপালকে সিরিয়াস কন্ঠে কথাটা বললো। প্রিন্সিপাল মিষ্টি একটা হাসি মুখে নিয়ে বলতে লাগলো,

-> চিন্তা করার কোনো কারন নেই, এমন কিছু হবে না যেটার জন্য আপনার চিন্তা করতে হবে। আর যদি এমন কিছু হয়েই যায় তাহলে সেটার জন্য দায়ভার ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট হবে না। তবে স্পিসিজ এসোসিয়েশন থেকে আমি চাইবো আপনার ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট যেনো রেড ড্রাগনের লেয়ারটুকু শক্তিশালী কোনো ব্যারিয়ার দিকে ঢেকে রাখে। (প্রিন্সিপাল)

-> ড্রাগনের বডি নিয়ে কোনো রকম চিন্তা করতে হবে না। আমি ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট কথা দিচ্ছি, কোনো কন্সটেলেশনের অ্যাভেটারও পারবে না আমাদের ব্যারিয়ারের লোকেশন বের করে সেটা ভেদ করতে। 

-> ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টের কথা অনুযায়ী সব কিছু হলে আমাদের স্পিসিজ এসোসিয়েশনও কথা দিচ্ছে স্টুডেন্টদের নিয়ে কোনো ঝামেলা তৈরি হবে। (প্রিন্সিপাল)

ভিডিও কনভারসেশন শেষ হয়ে গেলো। প্রিন্সিপাল এবার একা একাই বলতে লাগলো,

-> পৃথিবীর এই মানুষ গুলো যতই মৃত্যুর কাছে চলে যাক না কেনো তাদের লোভের স্বভাব দূর হবে না। সব কিছু মার্জ হয়ে গেলেই এদের আসল পরিচয় গুলো আসতে আসতে ভেসে আসবে। যায়হোক আমি লাক্সের প্রথম টেস্ট দেখার জন্য অনেকটায় আগ্রহী। (প্রিন্সিপাল)

* * * * *

To Be Continued 


* * * * *

কেমন হলো জানাবেন। 

2 comments

  1. অসাধারণ হয়েছে
  2. পর্বটা অনেক সুন্দর হইছে কিন্ত এটা থেকে আগের পার্ট গুলা খুবই দারুন হইছে
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.