আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রতি শনিবার, সোমবার এবং বুধবার রাত ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে ওয়েবসাইটে পোস্ট হবে।

Want Premium Membership!

Demon King Part: 222

Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated
[গল্পে ব্যবহৃত অধিকাংশ বিষয়বস্তু কাল্পনিক ও অবাস্তব, বাস্তব বা কোনো ধর্মের সাথে এ গল্পের কোনো সম্পর্ক নেই।]

#Demon_King#

The Beginning

পর্ব:২২২

লেখকঃ হৃদয় বাপ্পী
.
.
.
এরিয়া এক্স,

লাক্স তাদের রয়েল ক্লাসের স্টুডেন্ট দের জন্য অনেক ভালো একটা সুযোগ তৈরি করেছে। এরিয়া এক্স, যে জায়গার মধ্যে কিছুদিন পূর্বেও একটা মানুষ পা ফেলার সাহস পেতো না আজ সেখানেই পুরো পৃথিবীর সবাই প্রবেশের জন্য পাগল হয়ে আছে। লাক্সের রয়েল ক্লাসের স্টুডেন্টরা এই সুযোগ পাওয়ার কারণে সবাই উত্তেজিত ছিলো ভিতরে প্রবেশের জন্য।

এরিয়া এক্সের বর্ডারের ভিতরে একটা ক্যাম্প তৈরি হয়েছে। এখানে লাক্সের সকল শিক্ষক এবং অফিসার গুলো একত্রিত হয়েছে। সেই সাথে চার ইয়ারের রয়েল ক্লাসের স্টুডেন্টরা আছেই। যেসকল স্টুডেন্টদের ডাইরেক্ট শিক্ষক রয়েছে সেসব স্টুডেন্ট তাদের ডাইরেক্ট শিক্ষকদের থেকে বিভিন্ন রকমের টিপস নিচ্ছিলো এই সময়ে। 

এলেক্সও এক কর্নারে দাঁড়িয়ে আছে। তার মাস্টার তার পাশে রয়েছে। 

-> কোনো রকমের টিপস তোমার লাগবে? (ওজ)

এলেক্স তাকালো তার মাস্টারের দিকে, এলেক্সের তাকানো দেখে ওজ আবারো বলতে লাগলো,

-> তোমাকে আর কি টিপস দিবো। বরং একটা আদেশ দিচ্ছি। পুরো টেস্ট কোনো রকমের স্কিল কিংবা এনার্জির ব্যবহার করার চেষ্টা করবে না। (ওজ)

-> ঠিক আছে। (এলেক্স)

-> সবাই তাদের স্টুডেন্টদের আইটেম দিচ্ছে বিভিন্ন রকমের, কিন্তু তোমাকে আর কি দিবো। যা দিবো সেটা আর আইটেম থাকবে না। (ওজ)

এলেক্স সামনের দিকে তাকালো। প্রতিটা স্টুডেন্টই অনেক উজ্জ্বল উজ্জ্বল আর্মার এবং আইটেম নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের মাঝে এলেক্সই শুধু কোনো রকমের আইটেম ছাড়া রয়েছে।

-> আরেকটা কথা, ক্লাসে কিংবা লাক্সের মধ্যে অন্যান্যদের মুখে আমার বিষয়ের গুজব গুলো শুনেছো। টেস্টের মধ্যে কেউ যদি সেরকম কোনো কথা বলে তাহলে তোমার পাওয়ার হোল্ড করার কোনো দরকার নেই। শুধু তাদের গুরুতর ভাবে আহত না করলেই হবে। (ওজ)

-> জ্বী। (এলেক্স)

ওজের আর কোনো কিছু বলার ছিলো না। তাই এলেক্স ওজের থেকে সরে সামনে চলে আসলো। একটা গাছের সাথে পিঠ লাগিয়ে ওজ মুচকি একটা হাসি দিতে লাগলো।

❝একটা গভীর ঘুম থেকে উঠেই এলেক্স আমার মাস্টারের ১০ টা টেকনিকই পারফেক্টলি ব্যবহার করতে পারবে, এটা কি কখনো আমি ভেবেছিলাম?❞ (ওজ ভাবছে)

এলেক্স চারপাশে ভালো করে তাকালো। যতবারই জায়গাকে দেখছে ততবারই তার বিশ্বাস হচ্ছে না। কিছুদিন পূর্বেই এই একই জায়গা থেকে সে বের হয়েছে। কিছুদিন আগে বললে হয়তো ভুল হবে। বরং এলেক্সের জন্য সেটা হয়তো এক মিলিয়ন বছর হবে। যদিও এলেক্সের বডি এখন একটা ১৫ বছরের বাচ্চার মতো, কিন্তু তার মাইন্ড এক মিলিয়নের বেশি বছর পার করেছে। 

এরিয়া এক্স, যেখানে ড্রাগনের এট্যাকের পরে কোনো রকমের গাছপালা জন্ম নেই নি। মাটি এতোটা দূষিত হয়েছিলো যা ঠিক হওয়া হয়তো অসম্ভব একটা ব্যাপার ছিলো। কিন্তু সেই জায়গা মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। শুধু এলেক্স নয় বরং বিষয়টা কোনো স্টুডেন্টই বিশ্বাস করতে পারছিলো না।

-> তাহলে এটায় হাই এল্ফ ম্যাজিক!

-> ইস যদি আমিও এরকম ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারতাম। 

-> আমার তো ইচ্ছা হচ্ছে একটা হাই এল্ফকে বিয়ে করার এখন।

এলেক্স দাঁড়িয়ে আছে এমন সময় তার পাশে এসে দাঁড়ালো ক্রিস। ক্রিস বলতে লাগলো,

-> ব্লেসিং অফ নেচার। বিশেষ করে সকল স্পিসিজদের মধ্যে শুধুমাত্র এল্ফদের স্পিসিজই প্রকৃতির ব্লেসিং পেয়েছে। প্রতিটা এল্ফের ক্ষমতা রয়েছে এরকম কিছু করার। কিন্তু শুধুমাত্র হাই এল্ফ এবং শীর্ষে থাকা হাই এল্ফের ক্ষমতা রয়েছে এরকম স্কেলের কোনো ম্যাজিক ব্যবহার করার। (ক্রিস)

এলেক্স ক্রিসের দিকে তাকালো। অন্য সবাই চকচকে আর্মার পরে থাকলেও ক্রিসের শরীরে কোনো রকমের আর্মার নেই।

-> এভাবে কি দেখতেছোস, আর্মার তো পরে যাদের নিজেদের স্কিলের প্রতি কনফিডেন্স নেই তারা। আর আমার মতো বিস্টম্যানদের কোনো আর্মার প্রয়োজন হয় না। আমরা যতটা ক্ষত বিক্ষত হবো ততটা শক্তিশালী হয়ে উঠবো। (ক্রিস)

-> হ্যাঁ। (এলেক্স)

এলেক্স কথাটা বলে বাম পাশে তাকালো। বাম পাশ দিয়ে এলিজাবেথ আসছিলো এলেক্সের কাছে। এলিজাবেথের দিকে না তাকিয়ে এলেক্স তার পিছনে খেয়াল করলো। আরেকটা ছেলেও আসছিলো এলেক্সের দিকে।

-> হ্যালো লেডি এলিজাবেথ। (ক্রিস)

এলিজাবেথ এলেক্সের বাম পাশে এসে দাঁড়ালো। তাকে দেখেই কুশল বিনিময় করতে চাইলো ক্রিস, কিন্তু এলিজাবেথ কোনো রকমের উত্তর দিলো না ক্রিসের কথায়।

-> হাই এলেক্স। (এলিজাবেথ)

-> হ্যালো। (এলেক্স)

এলেক্স শুধু হ্যালো বলে আর কোনো ইন্টারেস্ট দেখালো না কথা বলার মধ্যে। অন্যদিকে এলিজাবেথ কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলো তখনি আরেকটা ছেলে এসে দাঁড়ালো এলিজাবেথের পাশে।

-> এলিজাবেথ তুমি আমাকে না বলেই এখানে আসলে যে। (নিওন)

ছেলেটা নিওন ছিলো, যে লম্বায় অন্যান্য ছেলেদের থেকে বেশ লম্বা ছিলো। এলেক্সের থেকেও সে বেশ কিছুটা লম্বা। সে এলেক্সের দিকে তাকালো একটা সিরিয়াস লুক নিয়ে, কিন্তু এলেক্স কোনো রকমের গুরুত্ব দিলো না তার নজরে। 

-> যেহেতু আমরা একই টিমের সদস্য, তাই আমি ভাবলাম প্রথম থেকে আমাদের একে অপরের সাথে পরিচয় হয়ে নেওয়া ভালো হবে। (এলিজাবেথ) 

-> হ্যাঁ সেটা ঠিক, পরিচয় হয়ে নিলে আমাদের টিমওয়ার্ক ভালো হবে। আমি শুরু করছি তাহলে, আমার নাম নিওন। এবং ভবিষ্যতে আমি একজন নাইট হওয়ার জন্য দিন রাত চেষ্টা করে যাচ্ছি। (নিওন)

-> নিওনের কথা শুনে, এলিজাবেথ তার জামার কয়েক আঁচলের মধ্য থেকে সবচেয়ে উপরের আঁচল দুই হাত হাত দিয়ে কিছুটা উঁচু করে নিজের পরিচয় দিতে লাগলো,

-> আমার নাম এলিজাবেথ, আমি আশা করছি আমাদের এই টেস্ট অনেক ভালো যাবে। (এলিজাবেথ)

ক্রিস নিওনের দিকে তাকিয়ে রাগী একটা লুক নিলো কিছুক্ষণের জন্য। এবার সে বলতে লাগলো,

-> নামে কিছু আসে যায় না। টেস্টে সবার স্কিলই পরিচয় দিবে তাদের। (ক্রিস)

হঠাৎ এই সময়ে এলেক্সদের ঔখানে আরো একজন ছেলে চলে আসলো। ছেলেটা কারোরই পরিচিত ছিলো না। এমনকি তাকে কখনো কেউ দেখেও নি।

-> মনে হচ্ছে আমি তোমাদের পরিচয় দেওয়ার সময়ে এসেছি। যাক ভালোই হলো। আমার নাম লরেস। তোমাদের টিমের সদস্য ছিলাম না আমি কিন্তু শিক্ষকদের আদেশে আসতে হলো। আমি তোমাদের দুই ইয়ারের সিনিয়র। যেহেতু লটারিতে তোমাদের টিমের পাঁচজনই ড্যামেজ ডিলার জব-ক্লাসের হয়ে গিয়েছিলো তাই একজনের পরিবর্তে আমাকে স্পেশাল ভাবে তোমাদের টিমে প্রবেশ করানো হয়েছে। 

একজন সিনিয়র চলে আসলো সে জায়গায়, যার বুকে একই নম্বরের ব্যাজ ছিলো যেটা এলেক্স, এলিজাবেথ, ক্রিস এবং নিওনের বুকে ছিলো। 

-> শিক্ষকদের থেকে শুনলাম, তুমি হয়তো এলিজাবেথ হবে। আমার মাস্টার বললো তুমি সাপোর্ট+ড্যামেজ ডিলার দুটোতেই পারদর্শী, তাই এই টিমে কোনো সাপোর্টের ব্যবস্থা করা হয় নি। কিন্তু একজন ম্যাজিসিয়ান না থাকলে পুরো টিমের ব্যালেন্স ভেঙে যাবে। আর যেহেতু আমরা আসল মনস্টারদের সাথে ফাইট করতে যাচ্ছি তাই স্পেশাল ভাবে আমাকে তোমাদের টিমে যুক্ত করা হয়েছে। চিন্তার কোনো কারণ নেই আমি ফায়ার এবং লাইটনিং ম্যাজিকে পারদর্শী। (লরেস)

লরেসের কথা শুনে এলিজাবেথ বলতে লাগলো,

-> ওয়াও, একই সাথে লাইটনিং এবং ফায়ার। এই দুটো এট্রিবিউট তো অধিকাংশ ম্যাজিসিয়ানের জন্যই কষ্টকর হয়ে যায় ব্যবহার করা। তাহলে তো আপনি ভালোই ট্যালেন্টেড সিনিয়র লরেস। (এলিজাবেথ)

এলিজাবেথ কথাটা বললো মুখে সুন্দর একটা হাসি রেখে। লরেসও এলিজাবেথের কথা শুনে মুখে হাসি রেখে মাথায় হাত দিয়ে বলতে লাগলো,

-> এটা তেমন কিছুই না। যায়হোক, যদিও আমি তোমাদের সিনিয়র, তারপরও একজন ম্যাজিসিয়ান জব-ক্লাসের হওয়ার কারণে আমি সিওর নয় যে টিমের লিডারশীপ গ্রহন করতে পারবো। তাই তোমাদের মধ্য থেকেই একজনকে লিডার হতে হবে। কেউ কি ইচ্ছুক আছো লিডার হওয়ার জন্য? (লরেস)

লরেসের কথায় নিওন এবং ক্রিস তাদের দুজনের হাত উঁচু করলো। নিওনের হাত উঁচু করা দেখে ক্রিস বলতে লাগলো,

-> সিনিয়র আমার লিডারশীপের বেশি এক্সপ্রেরিয়েন্স রয়েছে। তাই আমি লিডার হলেই সবচেয়ে ভালো হবে। (ক্রিস)

-> একজন ভবিষ্যৎ নাইট হিসেবে লিডার আমার হওয়া উচিত, প্রতিটা পরিস্থিতি ক্যালকুলেশন করা সব নাইটের প্রথম ট্রেনিং। সে অনুযায়ী এই পদের জন্য আমিই সবচেয়ে উপযুক্ত। (নিওন)

ক্রিস নিওনের দিকে রাগী একটা লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে। অন্যদিকে ক্রিসের দিকে নিওন তাকিয়ে আছে গর্বের একটা লুক বানিয়ে। লরেস সবার দিকে একবার তাকালো।

-> তোমার হয়তো ক্রিস, আমার মাস্টার বলেছে তুমি অনেকটা উগ্র মেজাজের। তোমার স্পিসিজ এবং তোমার মেজাজ দেখে বোঝা যায় তুমি ভবিষ্যতে বারসারকার ক্লাস অনুসরণ করবে। একজন বারসারকারের কাছে টিমের লহডারশীপ দিয়ে দিলে পুরো টিম মেম্বারদের জীবন অনেক বড় রিক্সে পরে যাবে। কারনটা হয়তো তুমিই ভালো করে জানো। অন্যদিকে একজন নাইট লিডারশীপের জন্য সবচেয়ে বেটার ক্লাস। যদি কেউ নাইটশীপের জন্য ট্রেনিং করে তাহলে বাকিদের রেখে তাকেই লিডার বানানো উচিত, তবে আমার মতামত এখানে ভিন্ন। আমি বলবো আমাদের ড্যামেজ ডিলার এবং সাপোর্ট দুটো যার হাতে নির্ভর করবে তাকেই লিডার বানানো ভালো হবে। এখন বাকিটা লেডি এলিজাবেথের উপরে নির্ভর করবে সে কি করে। (লরেস)

এলিজাবেথ অবাক হলো লরেসের কথায়। কিন্তু এবার এলিজাবেথ বলতে লাগলো,

-> ধন্যবাদ সিনিয়র, কিন্তু আমার মনে হয় না আমার মাঝে লিডারশীপের স্কিল রয়েছে। যেহেতু ইয়াং পিচ্ গ্রুপের ভাইস লিডার আমি তাই আমি জানি নিওনের স্কিলটা অনেক ভালো লিডারশীপের জন্য। তবে আমার মনে হয় আমাদের এই টেস্টের জন্য আমাদের টিমের লিডার এলেক্সকে করলে ভালো হবে। (এলিজাবেথ)

এলিজাবেথের কথাটা শুনে নিওন অনেক বড় একটা শক খেয়ে গেলো। সে তার হাতকে শক্ত করে মুঠো ধরা ছাড়া কিছু করতে পারলো না।

❝এলিজাবেথ কি দিন দিন চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে না? এটা কি সেই এলিজাবেথ যে আমার সামনে অন্য একটা ছেলের চিন্তা করছে!❞ (নিওন ভাবছে)

-> হ্যাঁ আমিও আমার বন্ধুকে লিডার হিসেবে মেনে নিলাম। যেহেতু আমরা বিস্টম্যান যার থেকে হেরে যায় তাকে ফলো করতে সমস্যা বোধ করি না তাই আপত্তি নেই আমার কোনো। আর মেজরিটি ভোটে হয়তো আর কারো কোনো কথা থাকবে না। (ক্রিস)

ক্রিসের উগ্র আচরণ দেখে লরেস বড় একটা নিশ্বাস ফেললো। সে মুখে একটা হাসি নিয়ে বলতে লাগলো,

-> ঠিক আছে, যদিও আমি এলেক্সকে এই পর্যন্ত কোনো কথা বলতে দেখলাম না তেমন, তাই নিশ্চিত তার মাঝে কোনো লিডারশীপ স্কিল নেই। তারপরও আমারো কোনো আপত্তি নেই। আর এমনিতেই সে তোমাদের রয়েল ক্লাসের প্রথম র‍্যাংকার স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু আশা করছি। (লরেস)

এলেক্স তাকালো ক্রিসের দিকে। ক্রিস তার সব গুলো দাঁত বের করে এলেক্সের দিকে তাকিয়ে হাসতে লাগলো।

-> ভাগ্য ভালো তুমি কিছুটা মানুষের মতো দেখতে। (এলেক্স)

-> মানে? (ক্রিস)

-> কিছুই না। (এলেক্স)

❝মাঝে মাঝে তোমাকে একটা মনস্টার ভেবে একটা পান্স মারতে মন চাই আমার।❞ (এলেক্স ভাবছে)

* * * * *

সবাই একত্রিত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ক্যাম্পের মধ্যে। ভাইস প্রিন্সিপাল ওজ একটা লেকচার দিচ্ছে।

-> আমি জানি তোমরা অনেকে রয়েছো যারা আমাকে দেখতে পারো না। আবার কিছু রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত আমার ডাইরেক্ট স্টুডেন্ট হওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছো। কিছু রয়েছো যারা আমার সম্পর্কে বিভিন্ন রকমের গুজবও বের করেছো। এখন যদি তোমাদের সবাইকে আমি এই ক্যাম্পের মধ্যে হত্যা করি, তাহলে তোমাদের কি মনে হয় ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট আমার কিছু করতে পারবে? (ওজ)

ওজের কথাটার সাথে সাথে পুরো ক্যাম্পের মধ্যে ভয়ানক একটা প্রেসার প্রয়োগ হলো। প্রতিটা ছেলে মেয়েই মাটিতে পরে গেলো। তারা হঠাৎ করে ভাইস প্রিন্সিপালের কথায় অবাকের সাথে ভয় পেয়ে গেলো। কিন্তু সাথে সাথেই প্রেসার সরে গেলো এবং ভাইস প্রিন্সিপাল হেসে বলতে লাগলো,

-> জোক্স বাদ দেই, আমরা যেহেতু এক্সাম দিতে এসেছি তাই এক্সামের রুলস গুলো বুঝিয়ে দিচ্ছি আমি। যদিও এক মাসের জন্য এই জায়গা আমাদের প্রিন্সিপাল লাক্সের জন্য বরাদ্দ করেছিলো স্পিসিজ এসোসিয়েশন থেকে কিন্তু ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টর বাস্টার্ড গুলো সেটা বাজেয়াপ্ট করেছে এবং মাত্র চৌদ্দ দিন লাক্সকে প্রদান করেছে। মানে চৌদ্দদিন চলবে তোমাদের এই টেস্ট। তোমাদের চোখেই দেখতে পাচ্ছো এরিয়া এক্স আর আগের মতো নেই। হাই এল্ফ ম্যাজিকের কারণে এখানে ডাইনোসর আমলের মতো গাছপালা জন্ম নিয়েছে সাতদিনেই। যদিও কোনো রকমের মনস্টার ভিতরে নেই তবে তোমাদের টেস্টের জন্য যে জায়গাটুকু বরাদ্দ করেছে স্পিসিজ এসোসিয়েশন সেটার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের স্প্রিরিট এবং প্রানী রয়েছে। কিছু স্প্রিরিট এবং প্রানী গুলো তোমাদের দেখলে পালাবে আবার কিছু স্প্রিরিট এবং প্রানী তোমাদের দেখলে আক্রমন করবে। এই চৌদ্দ দিনে তোমাদের সবাইকে এরিয়া এক্সে থাকা স্প্রিরিট এবং প্রানীদের সাথে কন্ট্রাক তৈরি করে তাদেরকে নিজেদের ফ্যামিলিয়ার বানাতে হবে।চার ইয়ারের প্রতিটা টিমে যদি পাঁচজনের মধ্যে তিনজন ব্যক্তি ফ্যামিলিয়ার কন্ট্রাক বানাতে পারে তাহলে সে টিম পাস করেছে বলে বিবেচিত হবে। এবং র‍্যাংকিং সিস্টেম হবে ফ্যামিলিয়ারদের পাওয়ার এবং স্পিসিজ ভেদে। (ওজ)

ওজের কথা শুনে সবাই আবার অবাক হয়ে গেলো। সবাই আগে শুনে এসেছে এরিয়া এক্সে মনস্টার রয়েছে, যাদেরকে হত্যা করতে হবে তাদের। কিন্তু এক্সাম যে শেষ সময়ে এরকম হবে সেটা কেউ ধারনা করে নি।

-> কিভাবে কন্ট্রাক তৈরি করতে হবে বা কি করতে হবে সেটা আমরা কেউ কিছু বলে দিবো না। যেহেতু টেস্টের বিষয়টা মাত্র প্রিন্সিপাল আমাকে জানিয়েছে তাই এটা সম্পর্কে আশা করি কেউ আগে থেকে জানতে পারো নি এবং সবাই ভালো ফলাফল করবে। (ওজ)

ভাইস প্রিন্সিপালের কথা দিয়ে লাক্সের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হয়ে গেলো।

* * * * *

অন্যদিকে,

একটা পাচ তলা বিল্ডিং এর নিচ তলার ফ্লোরে রক্তাক্ত অবস্থায় অনেকগুলো লাশ পরে আছে। কারো শরীরে হাত নেই, কারো পা নেই, আবার কারো হাত পা দুটেই নেই, কারো মাথা নেই শরীর থেকে, আবার কারো শরীর টুকরো টুকরো হয়ে পরে আছে। শুধু প্রথম ফ্লোর নয়, একদম উপর তলা পর্যন্ত প্রতিটা ফ্লোরেই লাশগুলো এখানে ঔখানে পরে আছে। একদম উপরের তলায় একটা প্রাইভেট অফিস ছিলো। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পরে আছে। আর এতো গুলো লাশের মধ্যে বসে আছে দুজন ব্যক্তি আর দাঁড়িয়ে আছে একজন ব্যক্তি। গ্লাস করা রুমের মধ্যে ভিতর থেকে বাইরে স্পষ্ট দেখা গেলেও বাইরে থেকে ভিতরে কিছু দেখা যাচ্ছে না। তিন চারটা মৃত লাশ দিয়ে উঁচু জায়গা বানিয়ে দুজনে বসে আছে, যার মধ্যে একজন চিপস খাওয়া নিয়ে ব্যস্ত হয়ে আছে। দুজনের শরীরই রক্তে ডুবে আছে। রক্ত গুলো চিপ্সের মধ্যে চুইয়ে চুইয়ে পরছিলো। শুধু হাত দিয়ে একটু ঝাকি দিয়ে চিপস গুলো খাওয়া নিয়ে ব্যস্ত হয়ে আছে মোটা লোকটা।

-> হুইসেল তোকে তো কতবার বলেছি এভাবে মাত্র হত্যা করার পর কিছু খাবি না, যদিও খাস তুই কিন্তু তোর খাওয়া দেখলে আমার বমি আসে। (ম্যাগমা)

-> চুপ করে থাক তুই সাইকো। (হুইসেল)

-> কে কি বলতেছে, যে একটা চিপসের প্যাকেট গার্লফ্রেন্ড পানিতে রাগে ফেলে দিয়েছিলো বলে গার্লফ্রেন্ডকেই নর্দমায় ফেলে দিয়েছিলো সে কিভাবে আমাকে সাইকো বলে। (ম্যাগমা)

-> হ্যাঁ সাইকো তোকে বলতেছি, আমি আমার গার্লফ্রেন্ডকে নর্দমায় ফেলে দিলেও তুই যে তোর গার্লফ্রেন্ড লুকিয়ে অন্য একটা ছেলেকে কিস দিয়েছিলো দেখে ফেলেছিলি বলে ছেলেটার গলা কেটে গার্লফ্রেন্ডকে গিফট বক্সে সাজিয়ে সুন্দর করে জন্মদিনে গিফট করেছিলি। তাহলে সাইকো কে। আবার নোটে সুন্দর করে লিখেও দিয়েছিলি, "এখন থেকে প্রতিদিন কিস করতে পারবে।" (হুইসেল)

-> তোর মতো তো আমার গার্লফ্রেন্ডকে আমি নর্দমায় ফেলে দেই নি। আমি আমার গার্লফ্রেন্ডকে যাতে লুকিয়ে কিস করতে না হয় অন্য ছেলেকে তাই তার মাথা কেটে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু তুই তো নর্দমায় ফেলে দিয়ে সম্পর্ক শেষ করে দিয়েছিস একটা চিপস এর কারণে। (ম্যাগমা)

-> আর তুই গলা কেটে সম্পর্ক নষ্ট করে দিয়েছিস। (হুইসেল)

দুজনের কথায় বিরক্ত হয়ে তাদের বস পিছনের দিকে তাকালো। একটা ঠান্ডা এনার্জি বের হলো, যেটা বের হওয়ার সাথে সাথেই দুজনের মনে হলো তারা দুজনই সেখানে শুধু তাদের বসের একটা কথাতেই মারা যাবে। দুজনে আবার একে অপরের দিকে তাকালো এবং একসাথেই বলতে লাগলো,

-> আমাদের এখানে তো সবচেয়ে বড় সাইকো আমাদের বস, হাহাহাহা। 

'সিল'

তাদের বসের একটা কথাতে দুজনের মুখের ফুটো হারিয়ে গেলো। তাদের ফেসটা দেখতেই এখন খুব আজব লাগছিলো। বস এবার বলতে লাগলো,

-> গরীব মেয়েদের বাংলা এবং ইন্ডিয়ানা কিংডম থেকে জোর করে পাচার করে এনে এশিয়ান এম্পায়ারে শরীর বিক্রি করানো হয়। এই ব্যবসা শুধু এইটুকুতেই শেষ নয়। মাত্র আমরা একটা কোয়ার্টার এট্যাক করেছি। সব ক্রেজিদের একত্রিত করো এই অফিসে আমি বাকি কোয়ার্টার এবং হেডকোয়ার্টারের ঠিকানা পেয়েছি।

বসের কথায় দুজনে কিছু বলতে চাইলো কিন্তু কিছুই বলতে পারলো না।

-> পুরো ওয়ার্ল্ডকে ক্লিন করতে হবে এসব জীবানু থেকে এক এক করে। আচ্ছা এলেক্সের কি আজকে দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেওয়ার কথা না? আশা করছি মিশনটা সঠিক ভাবে পরিচালনা করছে, যেহেতু আমাদের প্লানের জন্য প্রিন্সেসের প্রয়োজন। তোমরা কি বলো এলেক্স কি ঠিক মতো করছে সব কিছু? 

বসের কথায় দুজনে বড় বড় চোখ করে বসের দিকে তাকিয়ে আছে।

-> ও ভুলে গেছি তোমাদের মুখের কথা। 

সাথে সাথে দুজনের মুখ খুলে গেলো। এবার ম্যাগমা বলতে লাগলো হুইসেলকে,

-> দেখেছিস বলেছিলাম না সবচেয়ে বেশি সাইকো হলো আমাদের বস। 


* * * * *

To Be Continued 


* * * * *

কেমন হলো জানাবেন। 

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.