[গল্পে ব্যবহৃত অধিকাংশ বিষয়বস্তু কাল্পনিক ও অবাস্তব, বাস্তব বা কোনো ধর্মের সাথে এ গল্পের কোনো সম্পর্ক নেই।]
#Demon_King#
The Beginning
পর্ব:২২৮
লেখকঃ হৃদয় বাপ্পী
.
.
.
বিস্ট ওয়ার্ল্ড,
লাক্সের সকল স্টুডেন্ট বিস্ট ওয়ার্ল্ডে প্রবেশ করেছে। শুধুমাত্র রয়েল ক্লাসের স্টুডেন্ট নয় বরং কমন ক্লাসে সব স্টুডেন্টও বিস্ট ওয়ার্ল্ডের মধ্যে প্রবেশ করেছে। যারা ফ্যামিলিয়ার তৈরি করেছে তারা তাদের ফ্যামিলিয়ার মারা না যাওয়া পর্যন্ত দ্বিতীয় কোনো ফ্যামিলিয়ার তৈরি করতে পারবে না। তারাও এই সুযোগ বাদ না দিয়ে সবার সাথে বিস্ট ওয়ার্ল্ডে প্রবেশ করেছে। যারা বিস্টের সাথে ফ্যামিলিয়ার কন্ট্রাক তৈরি করেছিলো সেসব বিস্ট সবার হোস্টেলের রুমের মধ্যে অবস্থান করছিলো। তবে বিস্ট ওয়ার্ল্ডের মধ্যে প্রবেশ করার পর সবার বিস্ট ফ্যামিলিয়ারই তাদের রুম থেকে টেলিপোর্ট হয়ে যার যার পাশে চলে আসে।
-> আমি আমার ফ্যামিলিয়ারকে রাখলাম আমার হোস্টেল রুমের মধ্যে, কিন্তু এটা আমার কাছে চলে আসলো কেনো?
-> আমারটা ও তো চলে আসছে।
-> মনে হচ্ছে বিস্ট ওয়ার্ল্ডে আমরা প্রবেশ করলে আমাদের ফ্যামিলিয়ার গুলোও চলে আসবে সাথে সাথে।
অন্যদিকে যারা স্পিরিটকে ফ্যামিলিয়ার বানিয়েছিলো তাদের অবাক হওয়ার তেমন কিছু ছিলো না। কারণ তাদের ফ্যামিলিয়ার সব সময় তাদের পাশেই থাকে।
এলেক্স তাকিয়ে আছে সবার দিকে। সে খেয়াল করেছে তার আশেপাশের সবার বিস্ট ফ্যামিলিয়ার গুলো এক এক করে টেলিপোর্ট হয়ে চলে এসেছে। অন্যদিকে যেসব স্পিরিট লুকিয়ে অদৃশ্যমান ছিলো সেগুলোও দেখা যাচ্ছিলো এখন। এলেক্স তার ডান হাতের তালুর কিছুটা উপরে তাকালো। সেখানের ড্রাগনের ট্যাটুটা এখনো দেখতে পেলো এলেক্স। এখন পর্যন্ত এলেক্স ড্রাগনটাকে বের করে নি এমনকি নিজে থেকেও ড্রাগনটা বের হয় নি। তবে এলেক্স এটা নিয়ে বেশি সময় ভাবলো না। তাকে দূর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ক্রিস ভিড় ঠেলে এলেক্সের কাছে চলে আসলো। এলেক্সকে এবার বলতে লাগলো,
-> এলেক্স বন্ধু আমার, অরিয়েন্টেশন ক্লাসে এতো জনের ভিড়ে তোকে আমি খুজেই পায় নি। আর যেহেতু সবার মধ্যে তুই একাই মাস্ক ব্যবহার করছিস তাই দূর থেকে একবার নজর পরলে তোকে খুঁজে পাওয়া কোনো ব্যাপার না। যায়হোক আমি একটা দারুন প্লান বানিয়েছি। (ক্রিস)
ক্রিসের কথা শুনে এলেক্স বলতে লাগলো,
-> কি প্লান? (এলেক্স)
এলেক্স ক্রিসের প্লান সম্পর্কে শুনতে চাচ্ছে তাতেই ক্রিস অবাক হলো, তারপরও সে বলতে লাগলো,
-> যেহেতু এটা বিস্ট ওয়ার্ল্ড এবং এটা সম্পর্কে আমাদের ধারনা কম তাই সব স্টুডেন্টই চাইবে বড় বড় টিম বানিয়ে এই জায়গাটা ঘুরে দেখতে। কিন্তু এই প্লান অনুসরন করলে এক্সামের মতো অবস্থা হবে, ভালো কোনো বিস্ট বা স্পিরিট দেখলে এবার সেটা সকল সিনিয়র হাতিয়ে নিবে। (ক্রিস)
-> তাহলে বলতে চাচ্ছো আমরা একা একা এই জায়গায় ফ্যামিলিয়ারের সন্ধান করবো? (এলেক্স)
-> হ্যাঁ ঠিক ধরেছো। যেহেতু তোমার ফ্যামিলিয়ার হয় নি বরং ড্রাগনের সাথে বন্ডিং করেছো, তাই তুমিও একটা ফ্যামিলিয়ার কন্ট্রাক তৈরি করতে পারবে আবার আমিও একটা ফ্যামিলওয়ার বানাতে পারবো। তাই সবচেয়ে ভালো হবে শুধু মাত্র আমরা দুজন মিলে ফ্যামিলিয়ারদের সন্ধান করলে। (ক্রিস)
-> ঠিক আছে। (এলেক্স)
এলেক্সের কথা শুনে ক্রিস একটা হাসি দিয়ে এলেক্সের ঘাড়ে হাত দিয়ে হাঁটতে শুরু করলো। দুজনে ভিড়ের মাঝ থেকে কখন হারিয়ে গেলো সেটা খেয়ালই করলো না। সবাই এই মুহুর্তে নতুন একটা জায়গা দেখা নিয়ে ব্যস্ত ছিলো। অরিয়েন্টেশন ক্লাসের মধ্য থেকে পোর্টালের সাহায্যে সবাই যখন বিস্ট ওয়ার্ল্ড আসে তখনি তার বড় একটা পাহাড়ের উপরে চলে আসে। জায়গাটা ফরেস্ট এরিয়া থাকার কারণে চারপাশে গাছপালা ছিলো। প্রতিটা স্টুডেন্ট প্রবেশ করলেও তারা এবার প্রিন্সিপালের বলা কথাটা মনে করতে লাগলে,
-> বিস্ট ওয়ার্ল্ড যেখানে স্পিসিজ এসোসিয়েশনের সাহায্যে লাক্সের প্রতিটা স্টুডেন্ট প্রবেশ করতে পারবে। এই সুযোগ তোমরা হয়তো কোনো কন্সটেলেশনের অ্যাভেটার হওয়ার পরেও না পেতে পারো। তাই আশা করছি বিস্ট ওয়ার্ল্ডে প্রবেশের কথাটা সবাই একটু ভালো করে চিন্তা করে দেখবে। বিস্ট ওয়ার্ল্ডে শুধুমাত্র তোমরা স্টুডেন্ট এবং মানুষের হিরো জুলিয়ান প্রবেশ করবে। স্যার জুলিয়ান প্রবেশ করবে শুনে নিশ্চিন্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই, যেহেতু স্পিসিজ এসোসিয়েশনের কিংবা আমাদের লাক্সের কোনো সাপোর্ট তোমরা বিস্ট ওয়ার্ল্ডের ভিতরে পাবে না তাই তোমরা কেউ মারাও যেতে পারো। আবার এমনো হতে পারে কেউই বিস্ট ওয়ার্ল্ড থেকে বের হতে পারলে না। স্পিসিজ এসোসিয়েশনের পোর্টাল দিয়ে প্রবেশ করার পরে বিশাল একটা ফরেস্টের রিয়েলম দেখতে পারবে সবাই। যার ভিতরে থাকলে অন্তত স্যার জুলিয়ান তোমার সুরক্ষিত রাখতে পারবে, কিন্তু আবারো বলে দেই বিস্ট ওয়ার্ল্ডের মধ্যে তোমরা কেউ মারা গেলে সেটার দায়ভার লাক্স কিংবা স্পিসিজ এসোসিয়েশন নিবে না। তোমাদের মৃত্যু জন্য তোমরা নিজেরাই দায়ী থাকবে। তাই শেষবারের মতো চিন্তা করো এবং যারা রাজী নয় তারা অরিয়েন্টেশন ক্লাস থেকে বের হয়ে যাও। (প্রিন্সিপাল)
যদিও প্রিন্সিপাল বলেছিলো এখানে মারা যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে, কিন্তু যেহেতু নাম্বার ওয়ান হিরো জুলিয়ান রয়েছে তাদের সাথে তাই প্রতিটা স্টুডেন্টই নিশ্চিন্তে ছিলো। তাদের কোনো রকম ধারনাই ছিলো না কিরকম বিপদ সামনে আসতে চলেছে।
সবার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলো জুলিয়ান। সে সবার মাঝে কাউকে খোঁজার চেষ্টা করলো, কিন্তু খুঁজে পেলো না জুলিয়ান।
❝আজব আমি দেখেছিলাম এলেক্সকে প্রবেশ করতে, কিন্তু এখন ওকে কোথাও দেখতেও পারছি না আবার কোথাও তার এনার্জিও সেন্স করতে পারছি না।❞ (জুলিয়ান ভাবছে)
জুলিয়ান এবার সবার উদ্দেশ্যে বলতে লাগলো,
-> তোমরা এখানে এসেছো তোমাদের নিজ নিজ মতে, তাই আমি একটা কথা সবাইকে বলতে চাচ্ছি। আমার থেকে কোনো রকমের সাহায্যের আশা করিও না। যেহেতু এখানে তোমরা প্রায় ৮০০ এর মতো স্টুডেন্ট আছো এবং সবাইকে বিপদ থেকে বাঁচানো আমার পক্ষেও সম্ভব নয়। তাই তোমাদের মধ্যে যারা আমার ভরসায় এখানে এসেছো তাদেরকে আমি বলে দিবো এখনি পিছনের পোর্টাল দিয়ে বেরিয়ে যেতে। (জুলিয়ান)
জুলিয়ানের কথাটা শুনে অবেকেই ভয় পাচ্ছে, কিন্তু তারা লাক্সের স্টুডেন্ট এবং এখন ভয়ে চলে গেলে পরে নিজেদের মুখ দেখাতে পারবে না ভেবে সে সিদ্ধান্ত কেউই নিলো না। তবে সিদ্ধান্ত চেঞ্জ হতে সময় লাগার কথা না বেশি। ৮০০ এর মতো স্টুডেন্ট একটা পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে যেখানে অনেকটা জায়গা থাকলেও অনেকে দেখার আগ্রহে চূড়ার একদম সাইডে এসে দাড়িয়েছে। একটা ছেলে দাড়িয়ে ছিলো চূড়ার সাইডেই, সে একদম পিছনে ছিলো তাই তার দিকে কেউ খেয়াল করে নি। তবে যখন সে পয়ের নিচের মাটি ভেঙে নিচে পরে গেলো তখন তার চিল্লানির কারণে সবাই খেয়াল করলো। জুলিয়ানও ব্যাপারটা বুঝতে পারলো,
-> যদি ছেলেটা ট্যাংক হয় তাহলে এতোটা উচ্চতা থেকে পরার পর হয়তো বেঁচে যাবে, নাহলে আর কি করার। এটা সম্পর্কেই তোমাদের আমি বলছিলাম, বিস্ট ওয়ার্ল্ড এমন কোনো জায়গা নয় যেটায় পৃথিবীর নাম্বার ওয়ান হিরোর ভরসা করে তোমরা থাকতে পারবে। এটা এমন একটা জায়গা যেখানে কন্সটেলেশন গুলোও আসে ফ্যামিলিয়ার বা চাকর খোঁজার জন্য। সে হিসেবে নিজেরাই অনুভব করো এখানে বিপদ কোন লেভেলের রয়েছে। (জুলিয়ান)
জুলিয়ানের এবারের কথায় প্রতিটা স্টুডেন্টই কেপে উঠলো। যারা সম্মান বাঁচানোর চেষ্টা করছিলো এতোক্ষণ তারা বুঝতে পারলো ছেলেটার জায়গায় তারা নিজেরাও হতে পারতো, যে কারণে প্রায় ৩০০ জন স্টুডেন্টের মতো চলে যায় বিস্ট ওয়ার্ল্ড থেকে।
-> ঠিক আছে তাহলে এখন আমরা আস্তে আস্তে নামবো নিচে, প্রথমে চেক করবো ছেলেটা কি জীবিত আছে, যদি জীবিত থাকে তাহলে তাকে পোশন্ দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করবো। (জুলিয়ান)
* * * * *
অন্যদিকে,
এলেক্স এবং ক্রিস প্রথমে সবার মাঝ থেকে বেরিয়ে পাহাড় বেয়ে নিচে নেমে এসেছে। নিচে নামার পর পাহাড়ের পাশ দিয়েই তারা রওনা দিয়েছে, ঠিক এই সময় ক্রিসের কিছুটা সামনে উপর থেকে কিছু একটা পরলো।
-> আহহহহহহ।
ক্রিস ভয় পেয়ে চিল্লিয়ে উঠলো। সে বুঝতে পারলো না কি পরলো তার সামনে হঠাৎ করে।
-> হয়তো উপর থেকে কেউ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে এটাকে। (এলেক্স)
এলেক্সের কথা শুনে ক্রিসের চোখ মাটিতে পরলো। একটা ছেলে উপর থেকে পরেছে, হাতের স্টাফ যেটা পরে মাটিতে গেঁথে গিয়েছে সেটা দেখে বোঝা যাচ্ছিলো ছেলেটা ম্যাজিসিয়ান জব-ক্লাসের ছিলো। এতো উপর থেকে সরাসরি পরার কারণে শরীর ফেটে গিয়েছে এবং রক্ত বের হচ্ছে যেখান সেখান থেকে। হাত পা ভেঙে বাকা হয়ে আছে। ক্রিস একটু ঘ্রাণ শুনেই বলতে লাগলো,
-> এটা উপর থেকেই মারা গিয়েছে ভয়ে, আর নিচে পরার কারণে এখন তার শরীরের অবস্থাও মারাত্মক। এই সময়ে এস ক্লাস হিলার দিয়েও তাকে বাঁচানো সম্ভব নয়। (ক্রিস)
ক্রিস কথাটা বলে পাশ কাটিয়ে চলে গেলো। এলেক্সও ক্রিসের পিছনে যেতে লাগলো। স্টাফের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় শুধু হালকা করে এলেক্স স্টাফের সাথে নিজের হাতের রিং টা স্পর্শ করালো।
-> এসব মানুষের আইটেমে হাত দিয়ে না এলেক্স, পরে কোনো না কোনো ভাবে এটার মৃত্যুর জন্য আমাদের দায়ী করবে। (ক্রিস)
-> আচ্ছা। (এলেক্স)
এলেক্স এবং ক্রিস আস্তে আস্তে গভীর গাছপালার দিকে ঢুকে গেলো।
* * * * *
অন্যদিকে,
বিস্ট ওয়ার্ল্ডের একটা ভিন্ন রিয়েলম এর মধ্যে, সাদা কালো একটা প্যালেসের মধ্যে একটা ছোট ড্রাগন এবং একটা কঙ্কালের মতো বস্তু কার্ড খেলছিলো। কঙ্কালের মতল বস্তুটা বলতে লাগলো,
ཌ আমাদের কি বিড়ালটাকেও ইনভাইট করা দরকার না? ད
তার কথায় ছোট ড্রাগনটা বলতে লাগলো,
ཌ বিড়ালটা সেদিন ক্যাসেল থেকে ১ কিলো দূরে থাকাতেই আমার ক্যাসেলটা ভূমিকম্পে ভেঙে গিয়েছিলো। সেটা ঠিক করতে করতেই আমাদের কতটা সময় লাগলো। এরপর তো আর কোনোদিন চিন্তাও করবো না। ད
ཌ তারপরও তাকে বলা কিন্তু উচিত। ད
কঙ্কালের মতো দেখতে বস্তুটার কথা শুনে কালো ড্রাগনটা বলতে লাগলো,
ཌ এখন এটা নিয়ে চিন্তা করার কোনো দরকার নেই, যেহেতু মাস্টারের কিছু মনে নেই এখন আমাদের সম্পর্কে। তাই এখন কোনো রকম প্রয়োজন নেই মাস্টারের কাছে যাওয়ার। যেহেতু আমার অ্যাভেটারকে রেখে দিয়েছি মাস্টারের পাশে, তাই কোনো বিপদ হলেই আমি জানতে পারবো। ད
কালো ড্রাগনটার কথা শুনে কঙ্কালের মতো দেখতে বস্তুটা বলতে লাগলো,
ཌ আমি বুঝি না একটা বিষয়, তুমি ট্রু ড্রাগন না হওয়ার পরও কিভাবে অ্যাভেটার তৈরি করলে? আমিও একটা ট্রু ড্রাগনের অ্যাভেটার ছিলাম। আমার জানা মতে এটা অসম্ভব। ད
কালো ছোট ড্রাগনটা এবার বলতে লাগলো,
ཌ বিষয়টা আমিও বলতে পারবো না। সেদিন তোমার মতো আমিও অনুভব করেছিলাম মাস্টারের জীবন ঝুকিতে রয়েছে, তারপর কিভাবে কি করেছি সেটা আমিও জানি না।ད
এবার কঙ্কালের মতো দেখতে বস্তুটা বলতে লাগলো ড্রাগনকে,
ཌ আমি শুধু বিড়ালটাকে নিয়ে চিন্তা করছি, যেহেতু তার আনলাকি পাওয়ারের জন্য মাস্টার তার সাথে তেমন একটা সময় কাটায় নি তাই সে ডিপ্রেশনে রয়েছে। আমি নিশ্চিত আমরা না গেলেও সে মাস্টারের সাথে দেখা করতে যাবেই। ད
ড্রাগনটা এবার তার কথাটা শুনে বলতে লাগলো,
ཌ সেটা হলে আর কি করার। মাস্টার যেহেতু তাকে ফ্যামিলিয়ার বানিয়েছে তাই তার করা কাজে দায়িত্বও নিতে হবে। আপাতোতো মাস্টার আমাদের চিনে না তাই তার বিপদ না হওয়া পর্যন্ত আমরা চিল করতে থাকি।ད
* * * * *
এশিয়ান এম্পায়ারে,
পাঁচ এম্পায়ারের মধ্যে এশিয়ান এম্পায়ারের সাইজ সবচেয়ে বেশি। যদিও এই এম্পায়ারের আকার বড় তারপরও এটা অন্যান্যদের মতো প্রভাবশালী নয়। পাঁচ এম্পায়ারের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল এম্পায়ার হিসেবেই পরিচিত এটা। কিছুদিন পূর্বে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টের এশিয়ান হেডকোয়ার্টারে হামলা হওয়ার কারণে বর্তমানে পাঁচ এম্পায়ারের মধ্যে এশিয়ান এম্পায়ারের উপরে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টের ক্ষমতা দুর্বল হয়েছে। আর এই সুযোগে আরো বিভিন্ন রকমের গ্রুপ তাদের নাম বড় করছে এশিয়ান এম্পায়ারের মধ্যে। বর্তমানে এশিয়ান এম্পায়ারের মধ্যে কোনো রকমের নিয়ম কানুন নেই। অনেকটা ল লেস বা আইনহীন একটা জায়গা হয়েছে এশিয়ান এম্পায়ার। রাস্তা ঘাটে যেখানে সেখানে মারামারি, কাটাকাটি, এমনকি ১৮+ কাজকর্মও লক্ষ্য করা যায়। মানুষ এবং অন্যান্য স্পিসিজের যা মন চাচ্ছে তাই করে যাচ্ছে এই এম্পায়ারে। যা প্রথমে আস্তে আস্তে ওয়ার্ল্ড জানলেও এখন সব বিষয় বাকি এম্পায়ারের সবাই জেনে গিয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই এরকম পরিবর্তন কেউ আশা করে নি। সাধারণ জনগন এই সময়ে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টের অভাবটা বুঝতে পারছে। তার বার বার আবদার করে যাচ্ছে যেনো এই বিষয়ে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট কিছু একটা করে।
একটা রুমের মধ্যে বেশ কিছু লোক বসে আছে। তাদের দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো সেখানে কয়েক স্পিসিজের লোকজন একত্রিত হয়েছে। তাদের কথা গুলো এরকম,
-> যেহেতু সবশেষে পৃথিবীই এক্সব্লকে মার্জ হবে, তাই আমাদের এখন নিজেদের জায়গা দখল না করলে ভবিষ্যতে হয়তো ইনসাইডার গুলোর কারণে আমাদের কোনো জায়গায় থাকবে না।
-> সব বড় বড় স্পিসিজ কিংবা গ্রুপ গুলো একত্রিত হয়ে তাদের পুরো এশিয়ান এম্পায়ার নিজেদের করে নিচ্ছে, এই সময়ে আমরাও কিছু না করলে মনে হয় না ভবিষ্যতে টিকতে পারবো।
-> এই সময়েও মানুষেরা বেশি লোভ প্রকাশ করে যাচ্ছে। এশিয়ান এম্পায়ারে যা হচ্ছে তা নিয়ে কোনো স্পিসিজই মাথা ঘামাচ্ছে না, শুধুমাত্র মাথা ঘামাচ্ছে মানুষেরা।
-> এমনিতেই এক্সব্লকে মার্জ হওয়ার সময়ে অধিকাংশ মানুষ মারা যাবে তাই তাদের এখনো এতো লোভী হয়ে লাভ কি?
-> মানুষ এবং অন্যান্য স্পিসিজ কোনো দিক দিয়েই এক নয়। দুনিয়া শেষ হয়ে গেলেও তাদের জিনিস তারা অন্যকে দিবে না।
সবাই একজনের দিকে তাকালো। লোকটা কালো কোট-প্যান্ট পরে চুপচাপ বসে ছিলো। তার কন্ঠ শুনে এবার সবাই চুপ হয়ে গেলো।
-> গতকালই আমি গলিতে নাইটমেয়ারদের মতো কাজ করে বেরায় এরকম কিছু মেয়েদের রক্ত খেয়ে আজ এইখানে তোমাদের সামনে বসের মতো বসে রয়েছি। জীবনটা এরকমই হওয়া উচিত তাই না? যায়হোক সবাইকে একত্রিত করেছি আমি তোমাদের বক বক শোনার জন্য নয়। বরং আমি এখানে আদেশ করবো তোমরা সেটা পূর্ণ করবে। এটায় আমাদের ভ্যাম্প গ্রুপের লক্ষ্য হবে।
হঠাৎ একটা লিজার্ডের মতো দেখতে মানব তার হাত তুলে বলতে লাগলো,
-> আচ্ছা বস এই ভ্যাম্প মানে কি?
লোকটার কথা শুনে কোট-প্যান্ট পরে থাকা লোকটা তার হাতে থাকা কলমটা নিক্ষেপ করলো। কলমটা ফুল স্পিডে লিজার্ডের মতো দেখতে লিজার্ডম্যানের মাথার এপাশ দিয়ে ঢুকে ওপাশ দিয়ে বেরিয়ে গেলো।
-> প্রথমত আমাকে বস বলাটা আমি পছন্দ করি না, আমাকে লর্ড বলে ডাকবে। আর দ্বিতীয়ত আমার কথা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ কোনো রকমের কথা বলবে না। (লর্ড)
লর্ডের কথা শুনে সবার শরীর ভয়ে কাঁপতে লাগলো। লর্ড এবার আরো বলতে লাগলো,
-> ভ্যাম্পের মানে কি সেটা আমিও জানি না। তবে আমাদের এই ওয়ার্ল্ডে আসার দুদিন আগে আমাদের ওয়ার্ল্ডের এম্পেররকে হত্যা করে নতুন একটা মেয়ে, যে নতুন কুইন হয়ে যায় আমাদের ওয়ার্ল্ডের। নতুন কুইন আমাদের এম্পায়ারের নাম ভ্যাম্প রেখে দুদিন পর এই পৃথিবীতে চলে আসে ড্যানজন গেইটের মাধ্যমে, এরপর থেকে আমাদের কুইনকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার দেওয়া নাম অনুযায়ীই আমাদের গ্রুপের নাম হয়েছে ভ্যাম্প। যেহেতু ড্রাগনরা ইউরোপিয়া এম্পায়ারের দিকে নজর দিয়েছে তাই আমরা এশিয়ার দিকেই থাকবো। এখন কারো প্রশ্ন থাকলে করতে পারো? (লর্ড)
লর্ডের কথা শুনে একটা বিস্টম্যান বলতে লাগলো,
-> কিরকম কুইন লর্ড আপনাদের, সে নিজেদের প্রজাদের এভাবে ফেলে দিতে পারে। তার পরিবর্তে নাহয় আমরা এশিয়ান এম্পায়ারকে হত্যা করে আপনাকে এম্পেরর বানিয়ে দেয়।
তার কথা শুনে লর্ড আরো একটা কলম ছুঁড়ে মারতে চেয়েছিলো কিন্তু তার হাতে কোনো কলম ছিলো না।
-> বর্তমানে আমার ওয়ার্ল্ডের মধ্যে কুইন ব্যতীত আমিই সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী। যদি আমাদের এম্পায়ারের অতীতের র্যাংকের সাথে তুলনা করি তাহলে আমি মাত্র একটা লর্ড। আমার উপরে ছিলো মার্কুইজ, আর্ল, ডিউক, কিং, এম্পেরর। ভ্যাম্পায়াররা তাদের র্যাংক অনুযায়ী শক্তিশালী হয়। একটা কমনার ভ্যাম্পায়ারের ক্ষমতা দিয়ে এম্পেররের থেকে বেশি হয় তাহলে সে এম্পেররকে হত্যা করতে পারলে সে নিজেই এম্পেরর হবে। সে হিসেবে আমি ছিলাম অনেক নিচে। আর আমাদের বর্তমান কুইন তার মাত্র একটা এট্যাকে আমার উপরে থাকা সব র্যাংকের ভ্যাম্পায়ারকে হত্যা করে দুদিন পরে চলে আসে। যেহেতু সে নিজেও একজন ভ্যাম্পায়ার এবং তার কাছে এবসুলেট কমান্ড রয়েছে তাই কোনো ভাবেই আমার মতো লর্ড তার বিপক্ষে দাঁড়াতে পারবে না। (লর্ড)
লর্ডের কথা শুনে এবার একটা এলিয়েনের মতো দেখতে বস্তু বলতে লাগলো,
-> আচ্ছা লর্ড আপনার আন্ডারে ভ্যাম্পায়াররা বললো আপনি এই পৃথিবীর শক্তিশালী হিরো জুলিয়ানের থেকে শক্তিশালী এবং তার সাথে ফাইট করেও জয়ী হয়েছে। এটা কি সত্য?
লর্ড এবার হাসতে লাগলো,
-> পৃথিবীর শক্তিশালী হিরো, ওয়ার্ল্ডের শক্তিশালী হিরো। সে শুধু নামে মাত্র একটা বস্তু। তাকে দেখে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। আমার ওয়ার্ল্ডে সে এসেছিলো রেইডের জন্য। তখন আমার সাথে ফাইটে সে হেরে যায়।
এবার সবাই আস্তে আস্তে বলতে লাগলো,
-> তাহলে লর্ডের কুইনের পাওয়ার কিরকম হবে?
-> লর্ডের কুইম আমাদের সাথে থাকলে তো আমরা পুরো ওয়ার্ল্ডই নিজেদের করতে পারতাম।
তাদের কথা শুনে লর্ড এবার বলতে লাগলো,
-> জুলিয়ান দুর্বল হলেও মানুষদের দুর্বল ভাবা উচিত নয়, ঠিক যেভাবে মানুষদের থেকে আমাদের পাওয়ার আমরা এতোদিন লুকিয়ে এসেছি, ঠি সেইভাবেই অনেক মানুষ রয়েছে যারা তাদের পাওয়ার লুকিয়ে রেখেছে আমাদের থেকে। তবে এটা ঠিক আমাদের কুইন এই জায়গায় থাকলে আমরা পুরো ওয়ার্ল্ডকে এক্সব্লকে যাওয়ার পূর্বে দখল করতে পারতাম। (লর্ড)
-> আচ্ছা লর্ড আপনি কি বলতে পারবেন কবে আমরা এক্সব্লকে যাচ্ছি?
তার কথা শুনে লর্ড বলতে লাগলো,
-> সেটা এখনো লেখকও ভাবে নি তাই আমি কিভাবে তোমাদের বলবো। দেখা যাক প্লট কতদূর যায়। এই প্লটের পরেই হয়তো লেখক আমাদের এক্সব্লকে নিয়ে যাবে। ততদিনে আমরা প্লান করতে থাকি।
* * * * *
বিস্ট ওয়ার্ল্ড,
জুলিয়ান এবং তার সাথে থাকা পাঁচশতের মতো স্টুডেন্ট ফরেস্টের মধ্যে বিস্ট খুজছিলো। জুলিয়ান কোনো রকমের বিস্ট খুজছিলো না। বরং সে স্টুডেন্টদের গাইড হিসেবে কাজ করছিলো। যেহেতু এতো গুলো স্টুডেন্টকে হ্যান্ডেল করা তার পক্ষে সম্ভব নয় তাই যতদূর পারছে সেটায় চেষ্টা করছে। এটুকু অন্তত না করলে তার ক্যারেক্টারই বদনাম হয়ে যাবে। ঠিক এই সময়ে জুলিয়ানের সামনে দিয়ে একটা কালো বিড়াল যাচ্ছিলো। বিড়ালটা একদম ইউনিক ধরনের ছিলো যেটা পূর্বে কখনো দেখে নি জুলিয়ান। তাই সে তাকিয়ে রইলো। বিড়ালটা হাঁটা বাদ দিয়ে হঠাৎ করে জুলিয়ানের দিকে তাকালো। জুলিয়ানের দিকে তাকানোর সাথে সাথে তারা যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলো সে গাছ গুলো নরতে শুরু করলো। প্রতিটা গাছ ঘুমে ছিলো কিন্তু হঠাৎ করে জেগে গিয়েছে এবং অত্যান্ত রাগান্বিত অবস্থায় রয়েছে। মাটির মধ্য থেকে তাদের বড় বড় শিকড় গুলো বের হয়ে উপর থেকে নিচে পরতে শুরু করলো। এই অবস্থায় পিছন থেকে অনেক গুলো স্টুডেন্ট শিকড়ের নিচে পরে একদম থেঁতলে গিয়েছে। চোখের সামনে একজনকে এভাবে সত্যি সত্যি মরতে দেখে যারা প্রথম ইয়ারের ছিলো তারা আতংঙ্কিত হয়ে গিয়েছে এবং কিছুই করতে পারছে।
❝বাচ্চাগুলোকে বাঁচানোর কোনো দরকার নেই, যেহেতু তারা সরাসরি এখানে আসে নি বরং স্পিরিট ফর্মে এসেছে যেটা বের করা আমার জন্যও কঠিন তাই তারা হয়তো জানেই না যে এখানে মারা গেলেও তারা জীবিত হতে পারবে। কিন্তু এখানে মারা গেলে সেটার ব্যথা যন্ত্রনা তারা ভোগ করবে যেটা কাটিয়ে তোলা সবার জন্য কষ্টকর হয়ে উঠবে। তাই বলে আমি কিছু না করলেও হচ্ছে না। আমি কিছু না করলে এখানে আমার রেপুটেশনও নিচে নেমে আসবে। হয়তো এসব কিছু প্রিন্সিপালেরই প্লান ছিলো, সে আমাকে এমন একটা পজিশনে রেখেছে যেখানে স্টুডেন্টদের সব দায়ভার আমার উপরে চলে আসবে। তারপরও এসব কিছু যায় আসবে না আমার জন্য। একবার শুধু এলেক্সকে আমার স্টুডেন্ট বানাতে পারলে লাক্সের কোনো প্রয়োজন থাকবে না আর আমার কাছে।❞ (জুলিয়ান ভাবছে)
* * * * *
To Be Continued
* * * * *
কেমন হলো জানাবেন।