আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রতি শনিবার, সোমবার এবং বুধবার রাত ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে ওয়েবসাইটে পোস্ট হবে।

Want Premium Membership!

Demon King Part: 234

Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated
 [গল্পে ব্যবহৃত অধিকাংশ বিষয়বস্তু কাল্পনিক ও অবাস্তব, বাস্তব বা কোনো ধর্মের সাথে এ গল্পের কোনো সম্পর্ক নেই।]

#Demon_King#

The Beginning

পর্ব:২৩৪

লেখকঃ হৃদয় বাপ্পী
.
.
.
লাক্স একটা মিলিটারি ইনিস্টিউট যেখানে শিক্ষকের তুলনায় অফিসারের সংখ্যা বেশি। ঠিক হান্টার এসোসিয়েশন এবং বাউন্টি হান্টার এসোসিয়েশন যেভাবে অপারেট করে লাক্সও অনেকটা একই ভাবে অপারেট করে। লাক্সের অফিসার এবং শিক্ষকদের বিভিন্ন রকমের মিশন দেওয়া হয় হান্টারদের মতোই। এগুলো সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে গোল্ড কয়েনও উপার্জন করে থাকে তারা। শুধু যে লাক্সের অফিসার এবং শিক্ষকদের মিশন দেওয়া হয় এমন নয়, লাক্সের রয়েল ক্লাসের স্টুডেন্টদেরও বিভিন্ন রকমের মিশনে পাঠানো হয়। তবে অফিসার এবং শিক্ষকদের তুলনায় রয়েল ক্লাসের স্টুডেন্টদের অনেকটা সহজ মিশন দেওয়া হয়। 

প্রথম ইয়ারের প্রতিটা রয়েল ক্লাসের স্টুডেন্টকে তাদের মিশনে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু প্রতিটা স্টুডেন্টদের পাওয়ার এবং জব-ক্লাসের উপর ভিত্তি করে তাদের গ্রুপ বানানো হয়েছে তাই প্রতিটা স্টুডেন্ট তাদের গ্রুপ সহ বেরিয়ে পরেছে লাক্সের বাইরে। 

লাক্সের প্রিন্সিপাল তার রুমের মধ্যে বসে রয়েছে। সে কয়েকটা ডকুমেন্ট দেখতে দেখতে বলতে লাগলো।

-> যদিও লাক্স নিজের মতো স্বাধীন তারপরও বোর্ড মেম্বারদের কারণে সব কিছু ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টের দখলে রয়েছে। (প্রিন্সিপাল)

প্রিন্সিপালের ছায়ার মধ্য থেকে এবার কোনো আওয়াজ আসলো না। বরং ছায়ার মধ্য থেকে আরেকটা এল্ফ বেরিয়ে আসলো। প্রিন্সিপাল নিজেও একটা এল্ফ ছিলো, আবার তার ছায়ার মধ্য থেকে বেরিয়ে আসা লোকটাও একটা এল্ফ ছিলো। ঠিক প্রিন্সিপালের মতো দেখতে হলেও শুধু তাদের গায়ের রঙের পার্থক্য ছিলো। প্রিন্সিপাল দেখতে টকটকে ফর্সা এবং তার ছায়া থেকে বেরিয়ে আসা মেয়েটার শরীরের রং অনেকটা খয়েরী। ছায়া থেকে বেরিয়ে আসা মেয়েটা প্রিন্সিপালকে বলতে লাগলো,

-> সেই লিজেন্ডারি সময় থেকেই উল্লেখ হয়ে আসছে সব স্পিসিজের মধ্যে মানুষের লোভের কোনো শেষ নেই। অভাবের সময়ে তারা দাবী করে তিন বার খেতে পারলেই তাদের আর কিছু লাগবে না। কিন্তু দেখা যায় তিন বার খেতে পারলে তারা সেটা নিয়েও সন্তুষ্ট থাকে না বরং তাদের তখন আরো নতুন কিছুর প্রয়োজন। 

নিজের মতো দেখতে মেয়েটার কথা শুনে তাকে প্রিন্সিপাল বলতে লাগলো,

-> যেহেতু মানুষের জীবনকাল আমাদের তুলনায় অনেক কম পৃথিবীর এনার্জি অভাবে। তাই তারা এই অল্প সময়ে সব কিছু করে যেতে চায় যেটা তাদের দ্বারা সম্ভব নয়। এজন্যই তারা যত চেষ্টায় করুক না কেনো কোনো কিছুই তাদের প্লান মোতাবেক চলবে না। (প্রিন্সিপাল)

মেয়েটা আবারো বলতে লাগলো,

-> কিন্তু ভাবা যায়, একটা স্কুল যেটাকে সব দিক দিয়ে স্বাধীন ঘোষনা করা হয়েছে সেখানের প্রিন্সিপাল এবং ভাইস প্রিন্সিপাল ব্যতীত প্রতিটা বোর্ড মেম্বার, শিক্ষক এমনকি অফিসার গুলোও ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টের চাকর। এই তথ্য যদি আমরা ফাস করে দেই তাহলে ভাবতে পারছেন কি অবস্থা হবে। 

মেয়েটার কথা শুনে প্রিন্সিপাল বলতে লাগলো,

-> দিন শেষে লাক্স এমন ভাবে এডমিশন করায় যেটা সাধারণ জনগনের সামনে সুন্দর উপস্থাপনা মনে হলেও ভিতরে যে এতোটা রহস্য লুকিয়ে থাকবে সেটা আমি ধারনা করি নি। আমার সন্দেহ থাকাটা স্বাভাবিক ছিলো, যেহেতু লাক্সে আমাদের এসোসিয়েশনের ছেলেমেয়েরা একদমই চান্স পায় না বলতে গেলে তাই এই ডকুমেন্ট গুলো তাদের সত্যতা প্রমান করলো। (প্রিন্সিপাল)

-> এভাবে চলতে থাকলে যখন এই ওয়ার্ল্ড এক্সব্লকের সাথে মার্জ হবে তখন তারাই সবচেয়ে বেশি কষ্টে থাকবে।

মেয়েটার কথা শুনে প্রিন্সিপাল বলতে লাগলে,

-> এই বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই। যেহেতু আমরা এল্ফরা প্রকৃতির বিপক্ষে যেতে পারি না তাই বিষয়টা আমাদের না হওয়ার কারণে আমরা কিছুই করতে পারবো না। আপাতোতো সাইডে থেকে আমাদের শুধু দেখতে হবে পরিস্থিতি কোন দিকে যায়। যেহেতু আমাদের চুক্তি মানুষদের সাথে তেমন একটা উন্নতি করতে পারে নি, তাই চুক্তি অনুযায়ী আপাতোতো আমরা তাদের ভিতরের কোনো সমস্যায় নাক গলাতে পারছি না। (প্রিন্সিপাল)

-> কিন্তু ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট কিন্তু দিন দিন বেশি বোল্ড হয়ে যাচ্ছে। যেহেতু জনগনের সাপোর্ট তারা সব দিক দিয়েই পেয়ে যাচ্ছে তাদের তারা অন্য কোনো চিন্তা করছে না। 

-> ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট নিয়ে তেমন চিন্তা করার দরকার নেই। তারা শুধু জনগনের মতামতকে নিজেদের হাতিয়ার বানিয়ে যা মন চাচ্ছে করে বেরাচ্ছে। সব সময়ের মতো আমরা যেমন আমাদের মূল টার্গেট রাউন্ড টেবিলের উপরে রেখেছি এখনো সেটায় করতে হবে। স্পিসিজ এসোসিয়েশন পৃথিবীর লোভী মানুষেরা কি বললো না করলো তাতে একটুও আগ্রহী নয়। (প্রিন্সিপাল)

-> কিন্তু কথাটা তো স্পিসিজ এসোসিয়েশনের একজন ইন্সপেক্টর এবং ভাইস লিডার হিসেবে বললেন। আমি জানি আপনি লাক্সের প্রিন্সিপাল হিসেবে কিছু একটা বলতে চাচ্ছেন। 

-> হ্যাঁ ঠিক ধরেছি। লাক্সের প্রিন্সিপাল, এটা এমন একটা পজিশন যেটার কোনো মূল্যই নেই বলতে গেলে। আমি সহ পুরো এসোসিয়েশন অবাক হয়েছিলো যখন আমাকে এই পজিশনের অফার দেওয়া হয়। আমি নিশ্চিত তারা আমাকে দিয়ে স্পিসিজ এসোসিয়েশনের অনেক তথ্য বের করার জন্যই আমাকে লাক্সের প্রিন্সিপাল বানিয়েছে, কিন্তু তারা হয়তো খেয়াল করে নি বা খেয়াল করতে ভুলে গিয়েছে যে স্পিসিজ এসোসিয়েশনও তাদের তথ্য গুলো বের করতে পারবে। যায়হোক, যেহেতু এই সময়ে আমি লাক্সের একমন প্রিন্সিপাল তাই আমি চাচ্ছি ছেলে মেয়েদের জন্য ভালো কিছু হোক। বিশেষ করে সেই ৫% স্টুডেন্ট যারা কোনো রকম ব্যাকআপ ব্যতীত লাক্সে প্রবেশ করেছে। (প্রিন্সিপাল)

প্রিন্সিপাল এবং মেয়েটা কথা বলছিলো। প্রিন্সিপাল চুপ হয়ে গেলো, তার মতো দেখতে মেয়েটা কিছু বলতে যাবে তখনি প্রিন্সিপাল বাম পাশের জানালার দিকে তাকালো। জানালা খোলা ছিলো যেখানে একটু আগেই কেউ ছিলো না। এখন সেখানে ভাইস প্রিন্সিপাল ওজ বসে আছে। থাই গ্লাসের মতো জানালা হওয়ার কারণে এক পাল্লা টান দিলে সেখানে ফাকা জায়গা থাকে অনেকটা বসার। ওজ সেখানেই বসে আছে পা তুলে। 

-> তুমি এখানে কতক্ষণ? (প্রিন্সিপাল)

প্রিন্সিপালের কথা শুনে ভাইস প্রিন্সিপালের দিকে তাকালো প্রিন্সিপালের পাশে থাকা মেয়েটা। মেয়েটাও খেয়াল করে নি সেখানে কোনো ব্যক্তি এতোক্ষণ ছিলো। সে দ্রুত প্রিন্সিপালের ছায়ার মধ্যে চলে গেলো এবং ভাবতে লাগলো,

❝আমি একজন ডার্ক এল্ফ যে আমার সময়ে সবচেয়ে বেস্ট এসাসিনের মধ্যে একজন ছিলাম, সে এই লোকটার উপস্থিতি অনুভব করতে পারি! এটা কিভাবে সম্ভব?❞ 

ওজ এবার জানালা থেকে নেমে হেঁটে প্রিন্সিপালের টেবিলের সামনে এগিয়ে আসলো এবং একটা চেয়ার টেনে সেটায় বসে পরলো। 

-> তাহলে এটায় ছিলো সে দ্বিতীয় সত্ত্বা যেটার উপস্থিতি আমি সব সময় আমাদের প্রিন্সিপালের আশেপাশে অনুভব করি। (ওজ)

ওজ মুচকি একটা হাসি দিয়ে কথাটা বললো। তার কথা শুনে প্রিন্সিপাল অবাক হওয়ার সাথে ভাবতে শুরু করলো,

❝অসম্ভব, আমার বড় ভাই পর্যন্ত আমার ডার্ক অংশকে অনুভব করতে পারে নি। আর এই লোক বলতে চাচ্ছে সে আমার ডার্ক অংশকে সব সময় অনুভব করেছে।❞ (প্রিন্সিপাল ভাবছে)

প্রিন্সিপালের মুখ থেকে কোনো রকমের কথা না শুনতে পেরে ভাইস প্রিন্সিপাল ওজ বলতে শুরু করলো।

-> যেহেতু আপনি আমার উপরের অফিসার লাক্সের, তাই আমি বলতে আসছি আমি লাক্স থেকে পদত্যাগ করতে চাচ্ছি। (ওজ)

ওজের কথাটা শুনে অবাক হলো প্রিন্সিপাল। ওজ এমন একটা মানুষ যার উপরে পুরো ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট তাদের নজর দিয়ে রেখেছে। এটা অস্বাভাবিক কোনো বিষয় নয়।

  ❝এক দিক দিয়ে ভাইস প্রিন্সিপাল ওজ অনেক সম্মানিত একজন মানুষ যে এক সময়ে রাউন্ড টেবিলের সদস্য ছিলো এবং ওয়ার্ল্ডের সবচেয়ে শক্তিশালী ফাইটার বলেও বিবেচিত হয়েছিলো। কিন্তু হঠাৎ করে রাউন্ড টেবিল ছেড়ে লাক্সে শিক্ষকতা করতে আসে এবং তার একমাত্র ডাইরেক্ট স্টুডেন্ট এখন ওয়ার্ল্ডের সবচেয়ে মারাত্মক ভিলেন, যে কারণে পুরো ওয়ার্ল্ড এখন আর পূর্বের নজরে দেখে না ভাইস প্রিন্সিপাল ওজকে। তারপরও এতোদিন এগুলো মনে না রেখে নিজের মতো চলেছে ভাইস প্রিন্সিপাল ওজ। কিন্তু হঠাও করে তার এরকম সিদ্ধান্ত আমিও কিছু ধারনা করতে পারছি না।❞ (প্রিন্সিপাল ভাবছে❞

আবারো প্রিন্সিপালের চুপ থাকা দেখে ওজ বলতে লাগলো,

-> যেহেতু এলেক্স আর লাক্সে আসতে পারবে না এবং আমিও কতদিন দাঁড়িয়ে থাকতে পারবো সেটা জানি না। তাই আমার একটা হেল্প দরকার আপনার থেকে। এই দুটো লেটারের উপরে আমার দুজন স্টুডেন্টদের নাম এবং ডেট লেখা রয়েছে। আমার হয়ে লেটার দুটো তাদের হাতে তুলে দিবেন। (ওজ)

ওজ চিঠিটা প্রিন্সিপালের সামনে রাখলো। চিঠির দিকে তাকিয়ে প্রিন্সিপালের মাথায় আরো অনেক চিন্তা আসতে শুরু করলো। কিন্তু সে বলতে লাগলো,

-> এরকম হেল্প আমি কেনো করবো তোমাকে সেটা প্রথমে বলো। আমার জানা মতে এমন কোনো সময় আসে নি যেখানে তুমি আমাকে সাহায্য করেছো। (প্রিন্সিপাল)

ওজ মুচকি একটা হাসি দিয়ে বলতে লাগলো,

-> এটা ঠিক, তবে আমি জানি আমাদের সুন্দরী প্রিন্সিপাল আমার মতো এতো সুদর করে কেউ রিকুয়েস্ট রাখলে সেটা বারণ করতে পারে না। তাই আমি চিঠি দুটো আপনার হাতে তুলে দিচ্ছি। (ওজ)

কথাটা বলেই ওজ সাথে সাথে সে জায়গা থেকে টেলিপোর্ট হয়ে গেলো। প্রিন্সিপালের অনেক প্রশ্ন ছিলো, কিন্তু সে প্রশ্ন গুলো করতে পারে নি। তার ছায়ার ভিতর থেকে এবার একটা কন্ঠ ভেসে আসলো। একটু পূর্বে সে বের হওয়ার পরে তার কন্ঠ মেয়েদের মতো হলেও এখন ছায়ার ভিতরে থাকার কারণে সেটা ছেলে না মেয়ের কন্ঠ ছিলো সেটা বলা মুশকিল।

-> ভাইস প্রিন্সিপাল ওজ, মনে হচ্ছে অনেক রহস্য লুকিয়ে রয়েছে তার মধ্যে। সে কি বললো কিছুই বুঝতে পারলাম না। কিন্তু তার কথা মতে মনে হচ্ছে ট্রু ড্রাগনের বংশধর যে ছেলেটা মানে এলেক্স তার উপরে কোনো বিপদ হতে চলেছে। 

* * * * *

ইউরোপীয় এম্পায়ার,

এলেক্স এবং ক্রিস ভিন্ন একটা এম্পায়ারে প্রবেশ করেছে। আমেরিকান এম্পায়ারের থেকে অনেক পার্থক্য ছিলো এই এম্পায়ারে, তারপরও সব গুলো পার্থক্য দেখার সুযোগ পায় নি দুজনে। 

-> এরকম একটা মিশন কিভাবে দেয় আমাদের আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না। এটা কি কোনো মিশন হলো? (ক্রিস)

ক্রিস এবং এলেক্স ইউরোপীয় এম্পায়ারে প্রবেশ করার পরই তাদের মিশনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। 

-> আমাদের মিশন যেহেতু এই পাহাড়ের মধ্যে ড্রাগনরা রয়েছে কিনা সেটা বের করা কিন্তু কে ভেবেছিলো এখানে একটা বিশাল নতুন ফ্যাক্টরি রয়েছে যেখানে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ অস্ত্র সংগ্রহ করে পাচার করা হচ্ছে বিভিন্ন দেশে। (ক্রিস)

ক্রিস রাগী একটা চেহারা বানিয়ে কথাটা বললো। তার সামনে হাটুতে বসে থাকা অনেকগুলো লোক ছিলো, এলেক্স এবং ক্রিসের মিশন ছিলো ইউরোপীয় এম্পায়ারের একটা পাহাড়ে ড্রাগনের বিষয়ে তথ্য বের করা। কিন্তু পাহাড়ে প্রবেশ করার পরে দুজনে একটা ফ্যাক্টরি খুজে পায় যেখানে মানুষেরা সন্দেহজনক ছিলো এবং ফায়ারআর্ম দিয়ে দুজনের উপরে হামলা করে। এলেক্স এবং ক্রিস তাদেরকে হারিয়ে আপাতোতো বেঁধে রেখেছে এবং ফ্যাক্টরি সম্পর্কে তথ্য বের করছিলো।

-> এলেক্স আমি ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট জানিয়ে দিয়েছি, তারা শীঘ্রই আসছে এখানে রেইড দিতে। মনে হচ্ছে এখানে আমাদের কাজ শেষ, আমাদেরকে ড্রাগনদের ব্যাপারে তথ্য বের করে এই জায়গা থেকে বেরিয়ে যেতে হবে। (ক্রিস)

এলেক্স ক্রিসের কথা চুপ করে শুনছিলো। তবে তার চোখ বাকিরা ফাকি দিতে পারলো না। যদিও তারা ভয় পাচ্ছে এলেক্স এবং ক্রিসকে দেখে কিন্তু এলেক্স তাদের মুখে একটা পৈচাশিক হাসি দেখতে পেলো।

-> মনে হচ্ছে কিছু একটা হতে চলেছে। (এলেক্স)

এলেক্সের কথাটা শুনেই হাঁটুতে বসে থাকা মানুষগুলো যারা একটু আগেই ক্রিসের কাছে কেঁদে কেঁদে কান্না করছিলো, তারা হাসতে হাসতে বলতে লাগলো।

-> এখন খেয়াল করেও কোনো লাভ নেই। সব কিছু প্লান মোতাবেক। বাচ্চা তুমি কি করেছো আমি জানি না। কিন্তু তোমাদের সাথে আমরা এই জায়গায় মারা গেলে অন্তত তারা আমাদের পরিবারকে হত্যা করবে না। 

সবার চোখেই পানি ছিলো। তারা কান্না করছিলো এবং সাথে হেসেও যাচ্ছিলো। তাদের মানসিক অবস্থা বোঝা অনেক কষ্টকর ছিলো। ঠিক এই সময়ে এলেক্স নিচু হলো এবং ক্রিসের পা ধরলো তার হাত দিয়ে। পা ধরে এলেক্স ক্রিসকে অনেকটা স্পিডে ছুঁড়ে মারলো। ক্রিস বুলেটের মতো স্পিডে উড়তে উড়তে ফ্যাক্টরির কয়েকটা দেওয়াল ভেঙে বাইরে চলে গেলো।

-> আশা করছি এতে মারা যাবে না। (এলেক্স)

এলেক্স কথাটা শেষ করতে পারলো না, তার পূর্বেই একটা বিশাল বিস্ফোরণ হলো এবং পুরো ফ্যাক্টরি ধ্বংস হয়ে গেলো। বিস্ফোরণটা অনেক বড় লেভেলের ছিলো যেটার মধ্যে কোনো কিছুই আর তাদের পূর্বের অবস্থায় ছিলো না। পুড়ে কোনো ছাই ও তৈরি হয় নি, বরং পুরো জায়গা হারিয়ে গিয়েছে ধ্বংস হওয়ার কারণে।

ক্রিসকে খুব স্পিডে ছুড়ে মারার কারণে ক্রিস অনেক দূরে একটা উঁচু পাথরের সাথে অনেক জোরে ধাক্কা খেয়েছে। ধাক্কার লাগার কারনে তার পিঠের একটা হাড় কট করে ভেঙে গেলো তবে সে তার স্বাভাবিক অবস্থাতেই ছিলো। যদিও কিছুটা কনফিউজড হয়েছে। কিন্তু তার সে ভাবটা দূর হয়ে গেলো যখন সে তার সামনে বিশাল একটা বিস্ফোরণ দেখতে পারলো।

-> এলেক্স কতটা বিষয় লুকিয়ে রেখেছিলি আমার থেকে? এই স্ট্রেন্থ একটা পনেরো বছরের বাচ্চার শরীরের সেটা যেকেউ শুনলেই বিশ্বাস করবে না। (ক্রিস)

ক্রিস হাঁটতে হাঁটতে সামনে দিকে এগিয়ে আসলো। বিস্ফেরণের মাত্রাটা অনেক মারাত্মক ছিলো। যদিও জায়গা কম নিয়ে ব্লাস্ট হয়েছে, তারপরও সেটার পাওয়ার ক্রিস পাশ থেকেই অনুভব করেছে। শুধুমাত্র ফিনিক্সের সাথে কন্ট্রাক তৈরির কারণে ক্রিসের আগুন সহ্য করার লিমিট বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সে ঠিক ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে পেরেছে। 

-> আমি সিওর এলেক্সের কিছু হয় নি। কিছু হলেও সেটা আমি বিশ্বাস করতে চাচ্ছি না। (ক্রিস)

ক্রিস কথাটা বলতে বলতে এগিয়ে গেলো বিস্ফোরণে জায়গায়। এগিয়ে গিয়ে দেখতে পারলো ফ্যাক্টরি যতটা জায়গায় ছিলো সেখানে কিছুই নেই। মাটি অনেকটা গর্ত হয়ে গিয়েছে। ধোঁয়ার কারণে অনেক কিছু দেখা যাচ্ছিলো না। ক্রিস লাফ দিয়ে নেমে পরলো গর্তের মাঝে। নামার ফলে সে একটু দূরেই একজন ব্যক্তিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখতে পারলো। ধোঁয়া কিছুটা ক্লিয়ার হওয়ার সাথে সাথে ক্লিয়ার ভাবে দেখতে পারলো। এলেক্স যে জামা পরে আছে সেটার সব জায়গায় ছিঁড়ে গিয়েছে। বিস্ফোরণের আগুনে এলেক্সের শরীরের বিভিন্ন জায়গার মধ্যে পুড়ে যাওয়া ক্ষতও রয়েছে। ক্রিস আরো খেয়াল করলো একটা ব্যারিয়ার রয়েছে এলেক্সের চারপাশে, যেটা সাধারণত তৈরি করা অসম্ভব ক্রিসের দ্বারা, তাই সে অবাক না হয়ে পারলো না। তবে ক্রিস সময় নষ্ট না করে এগিয়ে গেলো এলেক্সের দিকে এবং তাকে জরিয়ে ধরলো।

* * *

তার পরের দিন।

ক্রেজি হান্টার গ্রুপের বিশাল ম্যানশনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ মেম্বার এবং নতুন ১২ জন সদস্য বসে আছে। বিশাল ড্রয়িং রুমে থাকা টিভিটা অন করে কার্টুন দেখছিলো হুইসেল এবং চিপস খাচ্ছিলো। হঠাৎ করে কার্টুনের সিন বন্ধ হয়ে সেখানে গুরুত্বপূর্ণ একটা হেডলাইন এসে গেলো এবং একজন গুরুত্বপূর্ণ একটা নিউজ দিতে শুরু করলো।

✪✪লেডিস এন্ড জেন্টেলম্যানস, বর্তমানে আমরা রয়েছি ইউরোপীয় এম্পায়ারের ক্যাপিটালের সবচেয়ে বড় পাহাড়ের মধ্যে। ইতিমধ্যে কিছুদিন পূর্বে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট এখানে একটা ফ্যাক্টরি তৈরি করে যেখানে ছোট ছোট ভিলেনদের দ্বিতীয় সুযোগ দিয়ে কাজ করানো হচ্ছিলো। ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টের এই পদক্ষেপে পুরো ওয়ার্ল্ড খুশি ছিলো, কিন্তু বর্তমানে এই জায়গার অবস্থা দেখতেই পারছেন, এরকম স্কেলের এট্যাক সম্পর্কে হয়তো আমাকে বলে দিতে হবে না। যেহেতু সবাই দেখেছে ১৫ বছর পূর্বে এরকম এট্যাক তাই আমাকে বলে দিতে হবে না। হ্যাঁ এটা একটা ড্রাগনের এট্যাক ছিলো। আপাতোতো এই জায়গায় বেশ কিছু বড় বড় হিরো রয়েছে যারা ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টের এজেন্টদের সাথে কথা এক হয়ে কাজ করছে। ইতিমধ্যে তারা সাসপেক্টকেও বের করেছে যে গতকাল ব্লাস্টের পূর্বেই এসেছিলো এই ফ্যাক্টরিতে এবং সে আসার পরেই পুরো ফ্যাক্টরি সহ ভিতরে থাকা ছোট ভিলেনদের সাথে অনেক নিষ্পাপ মানুষও মারা যায়। ইতিমধ্যে এটা ভেরিফাই হয়েছে উক্ত বিস্ফোরণের কারণে স্ক্রিনে দেখানো এই দুজনের হাত রয়েছে। একজন মাস্ক পড়া মানুষ যার নাম এলেক্স এবং একজন বিস্টম্যান যার নাম ক্রিস। দুজন লাক্সের স্টুডেন্ট, তারা শুধু স্টুডেন্ট হওয়ার কারণে সন্দেহ তোলার কোনো কারণ নেই। ইতিমধ্যেই অনেকেই জানে, যারা জানে না তাদের উদ্দেশ্যে বলছি এই এলেক্স নামের ছেলেই রেড ড্রাগনের বাচ্চাকে কন্ট্রোল করছে। আর ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টের এজেন্টদের মতে সেই তার ড্রাগন দিয়ে এই কাজ করিয়েছে। যেহেতু তারা এখনে কম বয়সী, তাই ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট শুধুমাত্র তাদের দুজনে হার মেনে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টের হাতে ধরা দেওয়ার ওয়ার্নিং দিচ্ছে, অন্যথায় সাতদিনের মধ্যে তাদের নামে বড় এমাউন্টের বাউন্টি প্লেস করা হবে বলেও জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট।✪✪

নিউজটা দেখে ক্রেজি হান্টার গ্রুপের সবাই নিশ্চুপ হয়ে গিয়েছে। যেহেতু বস ছিলো না আপাতোতো এই সময়ে এখানে উপস্থিতি, তাই ম্যাগমাকে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছিলো বসের। ম্যাগমা দাঁত কেলিয়ে হাসতে লাগলো। সে তার ফোনটা বের করলো পকেট থেকে এবং তার বসকে ফোন দিলো।

-> বস, নিউজে এসেছে যেটার জন্য অপেক্ষা করতে বলেছিলেন। মনে হচ্ছে আমাদেরও সময় হয়ে এসেছে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার। (ম্যাগমা)

ম্যাগমা কথাটা বললো তার বসকে। অপরদিকে তার বস কথাটা শুনে ফোনটা ফেলে দিলো। দুটো সোর্ড মাটিতে গাঁথা ছিলো এবার সেটা হাতে তুলে নিলো।

-> রাউন্ড টেবিলের ফিস্ট নাইট ওজ ভাবি নি এভাবে দেখা হবে আমাদের। কিন্তু কিছু করার নেই, ওর ভবিষ্যতের জন্য আজ তোমাকে মরতে হবে এখানে। 

* * * * *

To Be Continued 

* * * * * 

কেমন হলো জানাবেন।

1 comment

  1. ধন্যবাদ বানাস পর্ব দেয়ার জন্য।। খুব সুন্দর হয়েছে গল্পটা।
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.