[গল্পে ব্যবহৃত অধিকাংশ বিষয়বস্তু কাল্পনিক ও অবাস্তব, বাস্তব বা কোনো ধর্মের সাথে এ গল্পের কোনো সম্পর্ক নেই।]
#Demon_King#
The Beginning
পর্ব:২৪৭
লেখকঃ হৃদয় বাপ্পী
.
.
.
একটা রুমের মধ্যে দুজন ব্যক্তি অবস্থান করছে। যাদের মধ্যে একজন মেয়ে বিছানায় শুয়ে আছে এবং একজন ছেলে কম্পিউটারের সামনে বসে অনেক স্পিডে কিছু একটা টাইপ করে যাচ্ছে। মেয়েটা বিরক্ত হয়ে বিছানা থেকে উঠে আসলো এবং ছেলেটার পিছনে এসে ছেলেটার কাঁধে হাত রেখে সামনে ঝুঁকে দেখতে লাগলো ছেলেটা এতোটা স্পিডে কি টাইপ করছে। কম্পিউটারে থাকা অক্ষরগুলো চিনতে পারলেও সেগুলো দ্বারা যে শব্দ তৈরি করছিলো সেটার কিছুই বুঝতে পারলো না। তবে একটা ইন্টারেস্টিং শব্দের দিকে মেয়েটার নজর চলে গেলো এবং মেয়েটা হাতের আঙ্গুল দিয়ে সেটায় দেখিয়ে বলতে লাগলো,
-> হার্টগেন, এটা কি রকম নাম?
মেয়েটা প্রশ্ন করলো ছেলেটাকে গভীর একটা কৌতূহল নিয়ে। ছেলেটা মেয়েটাকে পিছন থেকে টেনে নিজের কোলে বসে নিয়ে একদম মেয়েটার হৃদপিন্ড যেখানে তার উপরে আঙ্গুল দিয়ে বললো,
-> হার্টগেন আমার প্রোগ্রামার নাম, যা দিয়েছিলাম অগণিত ইউনিক শব্দের মধ্য থেকে। যদিও এতোদিন এই শব্দটার কোনো মানে ছিলো না, কিন্তু এখন যেহেতু তোমার হার্টটা সম্পূর্ণ আমার তাই বলতে পারো শব্দটা তার মিনিং খুঁজে পেয়েছে যার অর্থ কারো হার্ট গেইন করতে পারা।
ছেলেটা হাসতে হাসতে একটা কথা বলে দিলো যার কোনো মানে হয় না। রোমান্টিক ছেলেমেয়েরা এমনি হয়, তারা কি বলে তা বোঝা যায় না। যারা তাদেরকে ভালোবাসে না তারা কথাগুলো বুঝতে পারে না বলেই ছেড়ে চলে যায়, আর যারা ভালোবাসে তারা মন দিয়ে শুনলে সবটায় বুঝতে পারে। মেয়েটার মুখে কোনো হাসি না দেখা গেলেও কথাটা শুনে তার মন খুলে হাসতে মন চাচ্ছিলো, কিন্তু কোনো এক কারনে সে পারছিলো না। বোকার মতো চুপ করে ছেলেটার কোলে বসে রইলো।
......
ঘুম ভেঙে উঠে পরলো একটা মেয়ে। একটা গাছের নিচে ছোট একটা ঘুমে পুরানো কিছু স্মৃতি স্বপ্ন আকারে দেখে চমকে উঠেছে। পাশেই লাল কালারের একটা ড্রাগন কাচুমাচু হয়ে শুয়ে আছে যে ঘুমাচ্ছে। মেয়েটা তাকালো এবার উপরের দিকে। রাত হয়ে এসেছে, আকাশে দুটো চাঁদ এক সাথে উজ্জ্বলিত অবস্থায় দেখা যাচ্ছিলো। চাঁদ দুটোর দিকে তাকিয়ে মেয়েটা বলতে লাগলো,
-> তুমি কি আমাকে ক্ষমা করে আবারো তোমার চাঁদ বানাবে হৃদয়?
* * * * *
অলিম্পাস,
একটা বিশাল রুমের মধ্যে ১২ টা পিলার রয়েছে। যাদের মধ্যে একটায় বসে রয়েছে হলুদ চুল যুক্ত একটা কম বয়স্ক ছেলে। তার পাশেই আরো একটা পিলারে বসে রয়েছে আরো একটা কম বয়স্ক মেয়ে। দুজনের সামনে নিচে একজন ব্যক্তি দাঁড়িয়ে আছে। হলুদ চুল ওয়ালা ছেলেটা অলিম্পাসের কিং জিউস এবং তার পাশে বসে থাকা মেয়েটা তার প্রথম স্ত্রী হেরা। জিউস বলতে লাগলো,
-> আমার ছেলে এরিস, আউটার ওয়ার্ল্ড থেকে তিনটা গোল্ডেন আপেল সংগ্রহ করার জন্য তোমাকে বলেছিলাম তোমার যেকোনো একটা ইচ্ছা আমি পূর্ণ করবো। এখন আমাকে বলো তোমার ইচ্ছাটা কি।
নিচে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটার নাম এরিস, যে জিউস এবং হেরার প্রথম সন্তান। সে বলতে লাগলো,
-> অলিম্পাসের কন্সটেলেশন অফ ওয়ার হিসেবে আমার রোমান্টিক কোনো ফিলিংস থাকাটা আর আমার মারা যাওয়াটা একই কথা। এজন্য পূর্বে আপনার আদেশে হেফেস্টাস এফ্রোদিতির বিয়েটা আমি মেনে সব ভুলে গিয়েছি। কিন্তু আমি চাচ্ছি না আমার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাকে দিয়েই শেষ হয়ে যাক। এজন্য আমি চাচ্ছি আপনি আমার বিয়ে দিয়ে দিন। (এরিস)
এরিস এর কথায় জিউসের এক্সপ্রেশনের কোনো পরিবর্তন না হলেও জিউসের পাশে থাকা হেরার এক্সপ্রেশন ঠিকই চেঞ্জ হলো,
-> এরিস, তোমার বিয়ে করাটা কি একদম জরুরী? তুমি চাইলে অলিম্পাসের যেকোনো মেয়েই তোমার সন্তান বহন করতে চাইবে। বিয়ে অনেক বড় একটা দায়িত্ব যেটায় চলে গেলে তোমার মাথায় অলিম্পাসের থেকেও বেশি চিন্তা ঘুরতে থাকবে। (হেরা)
নিজের মায়ের কথা শুনে উত্তর দিতে লাগলো এরিস।
-> আম্মা আমি ভালো করেই জানি বিয়ে একটা ছেলের মাথায় অনেক দায়িত্ব তুলে দেয়। আর একজন ওয়ার কন্সটেলেশন হওয়ার কারণে আমার পারিবারিক কোনো চিন্তা থাকাটা যুদ্ধে হেরে যাওয়ার কারণ হবে, তবে আমি তেমন কোনো ব্যক্তি নই যে বিয়ে হলেই ছোট একটা বিষয় নিয়ে চিন্তা করবো। (এরিস)
হেরা তার ছেলেকে বোঝানোর চেষ্টা করতে যাচ্ছিলো কিন্তু জিউস কথা বলার কারণে কোনো রকম কথা হেরা বলতে পারলো না।
-> ঠিক আছে আমার ছেলে, যেহেতু তোমার নিজে থেকে বিয়ের করার ইচ্ছা হয়েছে এবং আমি তোমাকে কথা দিয়েছি তোমার একটা ইচ্ছা আমি পূর্ণ করবো তাই তোমার বিয়ে করার সিদ্ধান্তে আমার কোনো আপত্তি নেই। কোন কোন মেয়ে তোমার সিদ্ধান্তে রয়েছে? (জিউস)
জিউসের কথায় একটা মারাত্মক প্রেসার অনুভব করলো এরিস। এরিসের পুরো পা কাপছিলো, সে বুঝতে পারলো তার বাবা মোটেও সন্তুষ্ট নয় এই কথাটার জন্য। কিন্তু এরিস এখানেই থামবে না সে ছোট কারনেই।
-> যদি অলিম্পাস থেকে কারো সাথে আমার বিয়ে দেন তাহলে আমি বলবো হেস্টিয়া, এথিনা, আরথেমিস এর কথা। আর যদি তাদের সাথে সম্ভব না হয় তাহলে এক্সব্লকে বর্তমানে নতুন একটা কন্সটেলেশনের আবির্ভাব হয়েছে যে যাকে সবাই ব্লাড উইচ নামে চিনে। তার সাথে বিবাহ ঠিক করলে আমার ইচ্ছাটাও পূর্ণ হবে এবং আমার মনে হয় অলিম্পাস আরো কিছুটা শক্তিশালী হবে।
জিউসের শরীর থেকে মারাত্মক এনার্জি বের হতে লাগলো। সে নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে পারছে না। তখনি হেরা চেঁচিয়ে বলতে লাগলো,
-> এরিস তুমি কি পাগল হয়ে গিয়েছো? অলিম্পাস কখনো এক্সটার্নাল বিবাহ মেনে নেয় না এটা তোমার দাদা এবং নানা ক্রোনোস এর সময় থেকে চলে আসছে। তোমার জানার কথা এটা অমান্য করলে ইটার্নাল কার্সে পাঠিয়ে দেওয়া হয় প্রতিটা ব্যক্তিকে। (হেরা)
-> আমি শুধু আমার মতের কথাটা তুলে ধরলাম। সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার কন্সটেলেশন অফ স্কাই এবং রুলার অফ লাইটনিং এর উপরে রয়েছে। আমি আশা করছি আপনার ছেলের জন্য সঠিক একটা সিদ্ধান্ত নিবেন বাবা। (এরিস)
জিউস কিছু একটা ভেবে বলতে লাগলো,
-> ঠিক আছে, তোমার ইচ্ছাটা আমি পূর্ন করবো কিন্তু তার পূর্বে তোমাকে আরো একটা কাজ করতে হবে। তুমি এখন যাও, তোমার কাছে একটা লেটার চলে যাবে সেখানে লেখা থাকবে তোমাকে কি করতে হবে। যদি তুমি সেটা সম্পূর্ণ করতে পারো তাহলে এথিনা, হেস্টিয়া অথবা আরথেমিস এর মধ্যে যে রাজি হবে তার সাথে তোমার বিয়ে দেওয়া হবে। কেউ রাজি না হলে এই নতুন কন্সটেলেশন যার নামত ব্লাড উইচ তার সাথেই তোমার বিয়ে দিয়ে দিবো।
-> ঠিক আছে বাবা আমি অপেক্ষা করবো।
এরিস কথাটা বলেই সেখান থেকে বাইরে চলে আসলো। বিশাল পাথরের দরজার বাইরে আসার পর সে বলতে লাগলো,
-> ব্লাড উইচ, যেভাবেই হোক তোমাকে আমার বানিয়েই ছাড়বো। তোমার সৌন্দর্য অন্য কারো স্পর্শের জিনিস নয়। (এরিস)
এরিস সে জায়গা থেকে চলে গেলো। তার চলে যাওয়ার পর ভিতরে জিউসের হাসি শুনতে পাওয়া গেলো। কিন্তু সেটা বাইরে বের হচ্ছে না। একদম পাগলের মতো হাসতে লাগলো জিউস।
-> তাহলে কার্সের সময় একদম নিকটে চলে এসেছে। (জিউস)
একদম চিন্তিত হয়ে হেরা বলতে লাগলো,
-> আপনি শুধু শুধু এরকম চিন্তা করছেন, তেমন কিছুই নয়। কিং অফ ডেস্টিনির প্রফেসি অনুযায়ী এরকম কিছুই হবে না আর। (হেরা)
জিউসের হাসি থামলো না। সে হাসতে হাসতেই বলতে লাগলো,
-> তার প্রফেসি অনুযায়ী আমাকে চেঞ্জ হতে হবে। আমি কি চেঞ্জ হয় নি? আমার বাবা যাকে আমার এই নিজ হাত দিয়ে হত্যা করেছি, তার থেকে চেঞ্জ হয়েছি। যেখানে আমার বাবা একটা ছেলে মেয়ে কে ও জীবিত রাখতো না সেখানে আমি রেখেছি এবং তাদেরকে সুন্দর একটা জীবন দেওয়ারও চেষ্টা করেছি। আর এখন তারা আমারই অবাধ্য হতে শুরু করেছে। বেশিদিন সময় নেই আর এই কার্সটা এই কার্সটা সম্পূর্ণ হতে। (জিউস)
-> আপনি শান্ত হন। আমি নতুন করে প্রফেসি দেখার আদেশ দিয়ে আসছি। (হেরা)
হেরা কথাটা বলেই সেখান থেকে টেলিপোর্ট হয়ে গেলো। তবে জিউসও সে জায়গায় আর রইলো না। একটা লাইটনিং তার সিটে পরলো এবং সেও হারিয়ে গেলো।
একটা ড্যানজনের মধ্যে এসেছে জিউস, যেখানে একটা সেলের মধ্যে বন্ধী রয়েছে একটা মেয়ে। জিউস তার দিকে এগিয়ে গেলো,
-> এথিনা, আমার আদরের কন্যা। সময় হয়ে এসেছে তোমার প্রমিসটা রাখার। এই কাজটা শেষ হয়ে গেলে তোমার ইচ্ছা মতো তোমাকে আমি মুক্ত করে দিবো, তুমি তোমার মন মতো যা মন চাই তাই করতে পারবে। (জিউস)
সেলের ভিতরে থাকা এথিনা তার টাইটান ফর্মে ছিলো, যে কারণে সে বিশাল ছিলো। সাথে সাথে তার নর্মাল ফর্মে চলে আসলো। একটা সুন্দর আর্মার সহ সে দাঁড়িয়ে আছে। সে জিউসকে বলতে লাগলো,
-> প্রথমে কে? (এথিনা)
-> এরিস। (জিউস)
-> এরপর? (এথিনা)
-> তোমার সব গুলো ভাইদের। (জিউস)
-> অলিম্পাস কি তাহলে আগের তুলনায় দুর্বল হয়ে যাবে না? (এথিনা)
-> অলিম্পাস কখনো দুর্বল ছিলো না। আর আমি যতদিন স্কাই এর পজিশনে রয়েছি ততদিন অলিম্পাসে শুধু আমি থাকলেও অলিম্পাস দুর্বল হবে না। (জিউস)
-> ঠিক আছে। (এথিনা)
এথিনা কথাটা বলে বের হয়ে গেলো সেখান থেকে। জিউস এবার একা একাই বলতে লাগলো,
-> তাহলে সময় হয়ে গিয়েছে বাবার সময়ের বস্তু গুলোর সাথে দেখা করবার। (জিউস)
* * * * *
অন্যদিকে,
সিলভার এম্পায়ারের মধ্যে অনেক বড় একটা উৎসবের তৈরি হয়েছে। যেখানে তাদের উৎসবের মূল উদ্দেশ্য ছিলো প্রিন্সেসকে বরণ করে নেওয়া। সিলভার এম্পায়ারের প্রিন্সেস যে ট্রাইল ফ্লোরের ১০ম দরজা সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে ক্লিয়ার করেছে তাকে দেখার জন্য পুরো সিলভার এম্পায়ারের সকল কিংডম থেকে লোকজন এগিয়ে এসেছে। যদিও প্রিন্সেসের সাথে আরো একটা লোক ১০ দরজা একত্রে ক্লিয়ার করেছে কিন্তু যেহেতু প্রিন্সেস ব্যতীত কেউই তার পরিচয় জানে না তাই অধিকাংশ মানুষই গুরুত্ব দিচ্ছিলো না তাতে।
-> প্রিন্সেস মায়া কি তাহলে পরবর্তী এম্প্রেস হতে যাচ্ছে এম্পায়ারের?
-> যেহেতু এতো বড় একটা রেকর্ড করেছে সে তাই সেটা হওয়াটায় স্বাভাবিক।
-> ১০ম দরজা ক্লিয়ার করা মানে তার আর স্বামীর উপরে নির্ভর করে থাকতে হবে না।
-> আমি শুধু চিন্তা করছি এই জেনারেশনেও কি তাহলে প্রিন্সেসের স্বামী নির্ধারণ এর জন্য টুর্নামেন্ট হবে? পূর্বে কোনো প্রিন্সেস থাকলে তো সেটায় করা হয়েছে।
-> আমার মনে হয় না। যেহেতু এবার কোনো প্রিন্স নেই এম্পেরর এর তাই সে চাইবে না যে কারো কাছেই তার মেয়েকে তুলে দিতে। রাজ্যের সমস্ত দায়িত্ব প্রিন্সেসকে দিয়ে দিলেও এবার সেটা হবে না।
-> যদি হয় তাহলে টুর্নামেন্টের জন্য আমি সর্বদা প্রস্তুত, কোনো ভাবে প্রিন্সেস এর স্বামী হতে পারলে তো পুরো এম্পায়ারই আমার।
-> হ্যাঁ বেশি বেশি করে স্বপ্ন দেখতে থাকো। উপরের ফ্লোরে কত শক্তিশালী ব্যক্তিরা রয়েছে সেটা সম্পর্কে কি তোমার কোনো ধারণা রয়েছে।
লোকজন তাদের মতো কথা বার্তা নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, আর এদিকে প্রিন্সেস তার বাবা এম্পেরর এর কাছে সুন্দর রাজকীয় পোষাক পরে দাড়িয়ে আছে। এম্পেরর এর আদেশে এম্পেরর এর বসে থাকা সিংহাসনের পাশের একটা রাজকীয় আসনে প্রিন্সেস মায়া বসে পরলো। পুরো বিশাল রুমের মধ্যে এম্পায়ারের শুধু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা অবস্থান করছিলো। তাদের মাঝে থেকেই এম্পায়ারের তিন ডিউক একই সাথে প্রিন্সেসকে বলতে লাগলো,
-> প্রিন্সেস, কে ছিলো আপনার সাথে ট্রাইল ফ্লোরে।
তাদের উত্তেজিত কথায় প্রিন্সেস কিছুটা চমকে উঠলো। এম্পেরর এবার শান্ত গলায় প্রিন্সেস এর দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো,
-> এই সময়ে পুরো প্রথম ফ্লোর একটা ব্যস্ত সময়ে রয়েছে। বিষয়টা পূর্বের ছেলেটার সাথেও হয়েছিলো, কিন্তু সে যেহেতু উপরের ফ্লোর থেকে এসেছিলো তাই তার সম্পর্কে আমরা কিছু করতে পারি নি। তবে তোমার সাথে প্রবেশ করা ব্যক্তিটার কোনো রকম তথ্য কেউ জানে না। বাকি এম্পায়ার গুলোও আমাদের মতো এটা নিয়ে লেগে আছে। আমি নিশ্চিত তোমার স্কিল দিয়ে ছেলেটার ছবি বানাতে সময় লাগবে না। (এম্পেরর)
এম্পেরর এর কথা শুনে মেয়েটা চোখ বন্ধ করলো সাথে সাথে তার সামনে একটা কাগজ তৈরি হতে লাগলো, যার মধ্যে একটা ময়লা শরীর নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলের ছবি রয়েছে। ছেলেটার শরীরের জামাও ঠিক ছিলো না। যেখানে সেখানে ছেঁড়া রয়েছে। এম্পেরর ছবিটা দেখে নিজের টেলিকাইনেসিস পাওয়ারের মাধ্যমে ছবিটা কিছুটা দূরে নিচে থাকা এম্পায়ারের তিনজন ডিউকের কাছে পাঠিয়ে দিলো।
-> যদিও চেহারা বোঝা যাচ্ছে না, তারপরও তোমাদের স্কিল এর মাধ্যমে ছেলেটার পরিচয় বের করাটা কষ্টকর হবে বলে আমার মনে হয় না। (এম্পেরর)
এম্পেরর এর কথা শুনে তিনজনেই ভালো করে দেখলেন এবং তিনজনেই একটা স্কিল ব্যবহার করলেন। এরপর তিনজনের কথায় একই।
-> ইউর হাইনেস, আমাদের টেরিটোরি দিয়ে এই ছেলে যাওয়া আসা করে নি, এমনকি আমাদের মনে হয় না এই ছেলে অন্যান্য এম্পায়ারেরও অংশ হবে। হয়তো সে উপরের ফ্লোর থেকে এসেছে, যার কোনো রেকর্ড নেই এডমিনিস্ট্রেটর এর কাছেও। আর নাহলে সে আউটার ওয়ার্ল্ড থেকে এসেছে। এটুকুই আমি বলতে পারছি।
❝যেহেতু সাবজেক্ট স্কিলও কোনো কাজে দিচ্ছে না তাই দুটো অপশনই থাকে, কোনো না কোনো ভাবে এই হার্টগেন উপরের ফ্লোর থেকে এসেছে। অন্যান্য এম্পায়ারে আসলে তারা যে সঠিক তথ্য দিবে এটা আমার মনে হয় না। দ্বিতীয় অপশন আমি বিশ্বাস করতে চাচ্ছি না, কারণ একটা আউটার ওয়ার্ল্ডের কারো পক্ষে এটা সম্ভব নয়।❞ (এম্পেরর ভাবছে)
রুমের মধ্যে সবাই প্রিন্সেস এর পাওয়ার সম্পর্কে জানে। আবার সবাই ডিটেইলসে না জানলে তিন ডিউক, মিনিস্টার এবং এম্পেরর সেটা ভালো করেই জানে। তাই তো তারা এটাও জানে যেখানে প্রিন্সেস এর দ্বারা ১০ম দরজাটা ক্লিয়ার করাটায় অসম্ভব, সেখানে এতো কম সময়ে সেটা ক্লিয়ার করার রেকর্ড তো কল্পনাতেও অসম্ভব হবে। আর এজন্যই এম্পেরর এই ছেলেটার প্রতি ইন্টারেস্ট রাখছে এবং তাকে অন্য এম্পায়ারের পূর্বে সিলভার এম্পায়ারে রিক্রুট করার চেষ্টায় আছে।
* * * * *
শুধু যে সিলভার এম্পায়ার হার্টগেন নামে ব্যক্তিটাকে খুঁজে যাচ্ছে সেটা নয়। বাকি দুই এম্পায়ারও সমান ভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে হার্টগেন নামের ব্যক্তিটার উপরে। তাদের মধ্যে একটা এম্পায়ার হলো হার্ট এম্পায়ার অন্যটা ব্লাক এম্পায়ার।
হার্ট এম্পায়ার এর এম্পেরিয়াল প্যালেসের মধ্যে,
হার্ট কিংডমের এম্পেরর বসে আসেন তার সিংহাসনের উপরে। তার সামনে তার সব নোবেল সাবজেক্ট গুলো। আর তাদের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে দুজন ব্যক্তি, যারা মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
-> তাহলে বলতে চাচ্ছো ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট নামে একটা গ্রুপ পুরো আউটার ওয়ার্ল্ড রাজ করেছে? (এম্পেরর)
এম্পেরর এর কথা শুনে আউটার ওয়ার্ল্ডের ওয়ার্ল্ড প্রেসিডেন্ট বলতে লাগলো,
-> জ্বী ইউর হাইনেস। আমাদের গ্রুপটা পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী ছিলো। যা আপনি নিজ চোখেই দেখতে পেরেছেন। আমাদের ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টের নেতৃত্বে হার্ট কিংডমে থাকা সকল আউটার ওয়ার্ল্ডের ব্যক্তিরা আপনার আদেশ পালনের জন্য প্রস্তুত।
বৃদ্ধ লোকটার কথা শুনতে পেরে এম্পেরর বলতে লাগলো,
-> সাথে তুমি বললে তোমার মেয়ের কন্যা কিং অফ ডেস্টিনির অ্যাভেটার এটা কি সত্য? (এম্পেরর)
-> জ্বী ইউর হাইনেস, আপনি চাইলে উপরের ফ্লোরে একজন স্পাই পাঠিয়ে সত্যতা যাচাই করতে পারবেন।
-> কিন্তু একটা জিনিস আমি বুঝতে পারছি না। যেহেতু তোমার মেয়ের কন্যা আরো ভালো জায়গায় রয়েছে, তাহলে তুমি কেনো এখানে থাকতে চাচ্ছো যেখানে সবচেয়ে দুর্বল ব্যক্তিরা থাকে? (এম্পেরর)
-> আউটার ওয়ার্ল্ডে আমি আমার মানুষদের লিডার ছিলাম। তাদের বিপদে আপদে সব সময় আমি তাদের পাশে ছিলাম। যদিও আমি জানি আমি উপরের ফ্লোরে গেলে আরো ভালো ট্রিটমেন্ট পাবো, কিন্তু আমি আমার মানুষগুলোকে একা এখানে ফেলে রেখে যেতে পারবো না কখনোই।
বৃদ্ধ লোকটার কথা শুনে এম্পেরর মুচকি একটা হাসি দিলো। এবং বলতে লাগলো,
-> আচ্ছা ঠিক আছে, ওয়ার্ল্ড প্রেসিডেন্ট আজকে থেকে আমি তোমাকে হার্ট এম্পায়ারের মধ্যে থাকা আউটার ওয়ার্ল্ডের জন্য তৈরি কিংডমের কিং হিসেবে ঘোষিত করলাম। অন্যান্য কিংডমের রুলস অনুযায়ী তোমাকে কিংডম চালানোর আদেশ ও দিচ্ছি। সাথে কিংডমের নাম ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে তোমার। কিন্তু একটা জিনিস মনে রাখতে বলবো, এটা যেহেতু এক্সব্লক তাই পাওয়ারই সব কিছু। কিং যদি তাদের সাবজেক্ট এর থেকে দুর্বল হয় তাহলে কিং চেঞ্জ হতে সময় লাগবে না। (এম্পেরর)
এম্পেরর কে ধন্যবাদ জানিয়ে বৃদ্ধ লোকটা বের হয়ে গেলো। বের হওয়ার সময়ে সে ভাবতে লাগলো,
❝আমি কেনো উপরের ফ্লোরে যাবো, সব মনস্টার গুলো আস্তে আস্তে উপরের ফ্লোরে গেলে আমি আমার পাওয়ার বৃদ্ধি করে এক সময়ে পুরো এম্পায়ারকে নিজের দখলে করে নিতে পারবো। যেহেতু এখন এক্সব্লকে রয়েছি এবং এলিজাবেথ এর প্রফেসি গুলো পেতে আমার কোনো সমস্যা হবে না তাই চিন্তার কোনো কারণ দেখছি না।❞ (প্রেসিডেন্ট ভাবছে)
বৃদ্ধ লোকটা চলে যাওয়ার পরে সেখানে আরো একটা লোক দাঁড়িয়ে ছিলো। যাকে উদ্দেশ্য করে এম্পেরর বলতে লাগলো,
-> আমাদের স্বভাব কোনোদিন চেঞ্জ হবে না, যতই বয়স বৃদ্ধি পাক না কেনো। একবার পাওয়ারের টেস্ট পেলে সেটা কখনো ছাড়তে ইচ্ছা করে না। লোকটার সাথেও তেমন হচ্ছে। যায়হোক, তোমার ঔদিকের খবর কি? হার্টগেন সম্পর্কে কোনো তথ্য কি খুঁজে পেলে? (এম্পেরর)
-> ইউর হাইনেস, দুঃখিত। ট্রাইল ফ্লোরে প্রবেশ করার মতো কোনো দরজাতেই তাকে দেখা যায় নি। বের হওয়ার সময়ও শুধুমাত্র সিলভার কিংডমের প্রিন্সেসকে দেখা গিয়েছে। একই গেইট দিয়ে অন্য কোনো ব্যক্তিকে বের হতে দেখা যায় নি।
-> তাহলে কি আমাদের একটা সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে না? (এম্পেরর)
এম্পেরর এর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তার এডভাইজার বলতে লাগলো,
-> কিন্তু ইউর হাইনেস সেটা কিভাবে সম্ভব হয়। এক মাস হয়ে যায় সব গুলো আউটার ওয়ার্ল্ডের ব্যক্তিরা ট্রাইল ফ্লোর সম্পূর্ণ করেছে। এমনকি মানুষের মধ্য থেকে সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি যা আউটার ওয়ার্ল্ডের সবাই বলছে, জুলিয়ানও চতুর্থ ফ্লোর ক্লিয়ার করতে অনেক কষ্ট করেছে সেটা আমরা দেখেছি।
-> তাছাড়া কোনো ভাবে লজিক দিয়ে বিষয়টা বোঝা যাচ্ছে না। যেহেতু এক্সব্লকের নিয়ম চেঞ্জ হয়েছে, তাই এখন প্রথম ২০ ফ্লোরের নিচে কোনো কন্সটেলেশন প্রবেশ করতে পারবে না। প্রথম ৫ ফ্লোরের মধ্যে কোনো কন্সটেলেশনের অ্যাভেটার তার কন্সটেলেশন এর পাওয়ার ব্যবহার করতে পারবে না। আর উপরের ফ্লোর থেকে যেই প্রথম ফ্লোরে প্রবেশ করুক না কেনো তার নাম রেজিস্ট্রার হবে যে এম্পায়ারেই প্রবেশ করেছে, আমরা এমন কোনো ব্যক্তিকে খুঁজেও পাচ্ছি না। (এম্পেরর)
* * * * *
একই অবস্থা ব্লাক এম্পায়ারের মধ্যেও। তবে তিন এম্পায়ারের বর্ডারের একদম মাঝখানে যেখানে এম্পায়ারের ব্যক্তিগুলো সচারচার কমই প্রবেশ করে। তাদের প্রবেশ না করার কারন হলো এই এরিয়ার মনস্টার গুলো। আনডেড মনস্টার এবং ডিমনিক মনস্টার দুই ধরনের মনস্টার রাজ করে এই এরিয়াতে। যে কারণে এই এরিয়া কোনো এম্পায়ারই দখল করতে পারে নি।
আর এই এরিয়ার মধ্যেই একটা বিশাল ফরেস্টের মধ্যে রয়েছে এলেক্স। যে তার আশেপাশে কোনো রকমের মনস্টার এমনকি জীবিত বস্তুও অনুভব করতে পারছে না। একটা মেসেজ এলেক্সের সামনে হুট করেই চলে আসলো লাল স্ক্রিনে,
꧁ཌ স্কিল "ওয়ান হু রুল দী আনডেড" এর কারণে এই এরিয়ার নিম্ন মানের স্কেলেটন গুলো হোস্টের সামনে আসতে ভয় পাচ্ছে। ད꧂
-> ইগ্রিড
এলেক্সের ডাকে তার ছায়ার মধ্য থেকে ইগ্রিত উঠে হাঁটু গেঁথে বসে পরলো। এলেক্স তাকে বলতে লাগলো,
-> আমি অনেকটা দূরে শক্তিশালী কিছু অনুভব করতে পারছি। (এলেক্স)
এলেক্সের কথার সাথে সাথে ইগ্রিত ফুল স্পিডে সেদিকে রওনা দিলো। এলেক্স ভুল বলে নি। ইগ্রিতের সামনে একটা স্কেলেটন লিচ্ এর দেখা হয়ে গেলো। যে হাজারো শক্তিশালী স্কেলেটন সাম্মন করে দাঁড়িয়ে আছে।
ཌ আমার কিং অনেক ফাইট করেছে। তাকে এটায় দেখানোর সময় যে আমিও কাজে আসতে পারি সময়ে সময়ে।ད
* * * * *
To Be Continued
* * * * *