আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রতি শনিবার, সোমবার এবং বুধবার রাত ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে ওয়েবসাইটে পোস্ট হবে।

Want Premium Membership!

Demon King Part: 273

Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated
 [গল্পে ব্যবহৃত অধিকাংশ বিষয়বস্তু কাল্পনিক ও অবাস্তব, বাস্তব বা কোনো ধর্মের সাথে এ গল্পের কোনো সম্পর্ক নেই।]

#Demon_King#

The Beginning

পর্ব:২৭৩

লেখকঃ হৃদয় বাপ্পী
.
.
.
হার্ট এম্পায়ারের প্যালেসের সামনে একটা ক্যারেজ দাঁড়িয়েছে, যেটার মধ্য থেকে একটা মেয়ে বেরিয়ে আসলো। কালো ড্রেস পরা একটা সুন্দরী মেয়ে যার দিক থেকে কারোরই চোখ সরতে চাচ্ছিলো না। ক্যারেজের দরজা খোলার পরে সেদিকেও সবার নজর গিয়েছিলো, কিন্তু বোঝা যাচ্ছিলো মেয়েটা ব্যতীত কেউই ভিতরে ছিলো না এবং এখনো নেই। পৃথিবীর ওয়ার্ল্ড প্রেসিডেন্ট অথবা এখনকার হার্ট এম্পায়ারের মধ্যে আউটসাইডার দের কিংডমের কিং, সে মেয়েটাকে দেখা মাত্রই এগিয়ে গেলো। 

-> আমার এলিজাবেথ, কি খবর তোমার? কতদিন দেখা হয় না আমাদের। 

বৃদ্ধ ওয়ার্ল্ড প্রেসিডেন্ট কাছে চলে গেলো মেয়েটার। মেয়েটাও হাসি একটা মুখ করে তাকে বলতে লাগলো,

-> হ্যা নানা ভাই, আমাদের অনেক দিন পরে দেখা হলো। তোমার শরীর এখন কেমন আছে? জানো আম্মা কতটা চিন্তিত তোমার জন্য। 

মেয়েটা কথাটা বলার সাথে সাথে বৃদ্ধ ওয়ার্ল্ড প্রেসিডেন্ট জোর গলায় হেসে বলতে লাগলো,

-> হাহাহা, যতদিন শ্বাস নিতে পারবো ততদিন দেখতে পারবে কখনো শরীর খারাপ হবে না আমার। 

দুজনের কথার মাঝে হার্ট এম্পায়ারের একজন ডিউকের প্রবেশ হলো। 

-> দুঃখিত, তবে লেডি এলিজাবেথ, আমাদের নতুন কিং এম্পেররকে আপনার কথা জানিয়েছে, কিন্তু আমরা এখনো কোনো অফিসিয়াল নিউজ জানতে পারি নি। আমরা কি আপনার স্টিগমা দেখতে পারি? 

ডিউকের কথায় মেয়েটা তার ডান হাতের উল্টো পাশটা সামনে এগিয়ে দেখালে, সেখানে একটা উজ্জ্বল ট্যাটুর মতো কিছুটা দেখা যাচ্ছিলো, সেটা দেখেই ডিউক আবারো বলতে লাগলেন।

-> আপনার জন্য অপেক্ষা করছে এম্পেরর।

তিন ডিউক ব্যতীত কেউ দেখতে পেলো না সেই উজ্জ্বল ট্যাটুটা তাই বুঝতে পারলো না কেউ সেটা কি ছিলো এবং কি বিষয়ে তারা কথা বলতেছিলো।

* * * * *

টুর্নামেন্টের ডেট আগামীকাল দেওয়া হয়েছে। তিন কিংডম থেকে মোট ৩০ জন অংশগ্রহন করার কথা থাকলেও এরিনার মাঝে শুধুমাত্র ১৬ জন প্রবেশ করতে পেরেছে। বাকি ১৪ জনের কোনো খোঁজ এখনো পাওয়া যায় নি। বেশি সম্ভবত তাদের হয়তো হত্যা করা হয়েছে নাহলে তাদের চিঠি হারিয়ে গিয়েছে। চিঠি ছাড়া কাউকেই এরিনার মাঝে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না যেখানে টুর্নামেন্ট চলবে। তাই যদি কেউ তাদের চিঠি হারিয়ে ফেলে তাহলে তারা টুর্নামেন্টে অংশগ্রহন করতে পারবে না। এই দিক দিয়ে প্রতিবার যে এম্পায়ার টুর্নামেন্টের আয়োজন করে থাকে তারা এগিয়ে থাকে। যদিও তিন এম্পায়ারে ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম থাকে তবে সব কিছু এক করলে দেখা যাবে তিন এম্পায়ারই সমান ভাবে চলে।

রাতের সময়, যেখানে পুরো এম্পায়ারের নিশ্চুপ হয়ে যাওয়ার কথা ছিলো সেই এম্পায়ারে উৎসব হচ্ছে। চারিদিকে আলোকিত হয়ে আছে সবার বাসার আলোতে এবং বিভিন্ন ম্যাজিক স্টোন যেগুলো ব্যবহার করা হয়েছে ক্যাপিটাল সাজাতে। প্যালেসের একটা রুমের মধ্যে থাকার জায়গা দেওয়া হয়েছে লেডি এলিজাবেথকে, রুমটা অনেক উপরে হওয়ায় পুরো ক্যাপিটালকেই সে তার চোখের সামনে দেখতে পারছিলো।

-> মনে হচ্ছে আমি কিছু ভুলে যাচ্ছি, ও হ্যাঁ মনে পরেছে।

মেয়েটা তার হাত সামনে তুলে ধরলো। সেখানের স্পেসটা ফেটে গেলো। একটা পোর্টালের মতো তৈরি হয়েছে যেটার মধ্য থেকে সাদা উজ্জ্বল আলো বের হচ্ছে। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলো সে কিন্তু ভিতর থেকে কিছুই বের হলো না। কিছুটা চিন্তিত হয়ে সে সেই পোর্টালের মধ্যে প্রবেশ করলো।

ভিতরে প্রবেশ করে এমন কিছু সে দেখবে বলে ভাবে নি। মাস্ক পরা ছেলেটা যেটাকে সে ভিতরে পাঠিয়েছে, এই জায়গার মধ্যে তার কোনো রকমের স্ট্রেন্থ থাকার কথা নয়, কিন্তু সে যেভাবে বিশাল অক্টোপাসের সাথে ফাইট করছিলো তাতে মনেই হয় না তার স্ট্রেন্থ কমেছে।

মাস্ক পরা ছেলেটা যে হালকা আর্মার পরে ছিলো তার শরীরের আর্মার টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে। প্রতিবারের মতো ফাইট করতে করতে ছেড়া প্যান্ট ব্যতীত সে কিছুই পরে ছিলো না। তার মুখটাও ঢাকা নেই এই সময়ে৷ তার চেহারার দিকে মেয়েটা তাকাতে পারে নি, কারণ এলেক্স অন্যদিকে মুখ করে বসে রয়েছে। 

এলেক্সের সামনে একটা বিশাল অক্টোপাস যার সব গুলো হাত কাটা রয়েছে, যদিও সেগুলো কাটা রয়েছে তারপরও সেগুলো কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার হিল হয়ে একত্রিত হয়ে যাবে। আর সেটা হওয়ার সাথে সাথেই এলেক্স তার হাতে থাকা ন্যাকরো সোর্ড দিয়ে একটা স্ল্যাশ মেরেই সেটাকে আবার কেটে ফেলছিলো।

❝এই স্পেসে কোনো ভাবেই অক্টোর সাথে ফাইট করা সম্ভব নয়, কিন্তু এই লোকটা কিভাবে অক্টোকে সহজেই কাবু করে ফেললো!❞ (মেয়েটা ভাবছে)

সে এক পা দু পা করে এগিয়ে এলেক্সের একদম সামনে চলে আসলো। তার এলেক্সকে এট্যাক করার কোনো ইচ্ছা ছিলো না। সে শুধু কথা বলার জন্য এগিয়ে এসেছে। এলেক্সের একদম পিছনে এসে দাঁড়ানোর সাথে সাথে এলেক্সের শরীর ঘুরে দাঁড়ালো। এলেক্সের স্পিড তেমন বেশি ছিলো না। এলেক্স তার ন্যাকরো সোর্ডে ব্লেডটা মেয়েটার গলার কাছে ধরলো, মেয়েটার চোখে কোনো রকম ভয় ছিলো না। সে তার চোখের পাতা একবারের জন্যও বন্ধ করে নি এই সময়ে। সে এলেক্সের দিকে তাকিয়ে আছে।

-> কেউ কি ঘুমিয়ে এভাবে ফাইট করতে পারে? 

হ্যাঁ এলেক্স ঘুমাচ্ছে, সে গভীর ঘুমের মধ্যে রয়েছে, আর তার শরীর এমনি এমনি কাজ করছে তার স্কিলের কারণে। ছেলেটার চেহারা দেখে মেয়েটার স্রোতের মতো চলতে থাকা হার্ট শান্ত হয়ে গেলো। সে মনের মধ্যে অনেকটা শান্তি অনুভব করতে পারছিলো। যে মেয়ে সাধারণ একটা অস্ত্র দেখলেই ভয় পেয়ে যায়, তার গলায় এলেক্স সোর্ড ধরার পরও কোনো রকমের ভয় তার হচ্ছিলো না। আর এটা কেনো হচ্ছিলো সেটায় জানার তীব্র ইচ্ছা তার মনের মধ্যে।

মেয়েটার ডান হাতের একটা আঙ্গুল জ্বলতে শুরু করলো। সাদা উজ্জ্বল আলো জ্বলছিলো সেটা থেকে। সে তার আঙ্গুলটা ঘুমন্ত এলেক্সের কপালে রাখলো। কপালে রাখার সাথে সাথেই সে অতীতের একটা দৃশ্য দেখতে পারলো,

একটা হসপিটালে দুটো বাচ্চা রয়েছে, মেয়ে বাচ্চাটা ছেলে বাচ্চাটার হাত ধরে আছে। এই হাতটায় যেনো তার কাছে পুরো ওয়ার্ল্ডের সবচেয়ে নিরাপদ বস্তু। 

বেশ কিছুক্ষণ মেয়েটা এই দৃশ্য দেখতে পেলো, তবে তারপরই হঠাৎ দৃশ্যটা চেঞ্জ হলো এবং আরেকটা দৃশ্য দেখতে পেলো, যেখানে একটা মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পরে রয়েছে এবং তার পাশে কালো অন্ধকার একটা বস্তু বসে আছে যেটা তার দিকেই তাকিয়ে বিচ্ছিরী একটা হাসি দিচ্ছিলো। 

দৃশ্যটা দেখার সাথে সাথেই মেয়েটার শরীর একটা লাইটনিং এর শক লাগার মতো কেঁপে উঠলো। সে দ্রুত তার আঙ্গুল এলেক্সের কপাল থেকে সরিয়ে ফেললো। শেষে কি দেখেছে সেটা নিয়ে সে ভাবছে না, কারণ সেটা তার স্মৃতির মধ্যে কোনো বিষয় নয়। কিন্তু প্রথমে দেখা দৃশ্যটা সে চাইলেও ভুলতে পারবে না। মেয়েটার চোখ দিয়ে পানি পরছে,

-> তাহলে আমি তোমাকে পেয়ে গেছি ভাইয়া।

কিছুক্ষণ সে কান্না করলো, কিন্তু তারপরই সে তার জামার সাথে চোখের এবং নাকের পানি মুছে নিয়ে ভাবতে লাগলো,

❝ভাইয়া ঘুমাচ্ছে, আমি তাকে আমার এই কান্না মাখা চেহারা দেখাতে চাই না।❞ 

* * * * *

অন্যদিকে নাইটদের ফুল আর্মার পরে একজন ব্যক্তি হেঁটে যাচ্ছিলো। তার গন্তব্য বিশাল একটা দরজার কাছে যাওয়া। সিংহের মাথার ডিজাইনে তৈরি বিশাল দরজার সামনে মোট চারজন গার্ড রয়েছে যারা একে অপরের সাথে নিজেদের পজিশনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলো। তারা হঠাৎ একটা ফুল আর্মার পরা নাইট দেখে অবাক হলো।

-> কে তুমি? পরিচয় দাও প্রথমে?

ফুল আর্মার পরা নাইটের মুখ থেকে কোনো কথা বের হলো না। তার পুরো শরীর আর্মারে ঢাকা থাকার কারণে সে কে সেটা কোনো ভাবেই বোঝা যাচ্ছিলো না। গার্ড গুলো এগিয়ে আসছিলো তার দিকে, আর তখনি ফুল আর্মার পরা নাইটের ছায়ার মধ্য থেকে একটা বিশাল ফক্স বের হলো। সেটাকে দেখেই সবাই ভয়ে নরতে পারছিলো না। আর এই সময়ে আর্মার পরা নাইট তার ফুল স্পিডে তার আর্মার থেকে বেরিয়ে আসলো। ইগ্রিত, যে এলেক্সের আদেশে অনেক পূর্বেই আলাদা হয়ে গিয়েছিলো সে হার্ট এম্পায়ারের ট্রেজার রুমের সামনে রয়েছে। শুধুমাত্র তার এবং ফক্সের এনার্জির সংস্পর্শে এসে সব গুলো নাইট একা একাই তাদের সেন্স হারিয়ে ফেললো। 

ཌ আমি এই টাওয়ারের ভবিষ্যৎ কিং এর শ্যাডো। ད (ইগ্রিত)

ইগ্রিত কথাটা বলে দরজার কাছে এগিয়ে গেলো।  মূলত ইগ্রিতের কোনো ছায়া নেই, তবে সে আর্মার পরে থাকার পরে সেটার ছায়া ছিলো তাই সেটার আড়ালে জেনারেল লুকিয়ে থাকতে পেরেছে, কিন্তু এবার সে ছায়া না থাকার কারণে সে লুকাতে পারছিলো না। 

ཌ আমাদের কাজটা হয়ে গেলে আমরা তোমাকে আবার আর্মারের ছায়ায় করে নিয়ে যাবো আমি। ད (ইগ্রিত)

ইগ্রিত কথাটা বলেই দরজার ভিতর দিয়ে প্রবেশ করলো। দরজা বন্ধ ছিলো কিন্তু ইগ্রিত এমনিতেই সেটার ভিতর দিয়ে প্রবেশ করতে পারলো। 

* * * * *

পরের দিন,

টুর্নামেন্ট শুরু হয়ে গিয়েছে। ১৬ জন ব্যক্তি এরিনার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে। যাদের মধ্যে ১০ জনই হার্ট এম্পায়ারের। সিলভার এম্পায়ারের মাত্র একজন রয়েছে এবং বাকি পাঁচজনই ব্লাক এম্পায়ারের। ব্লাক এম্পায়ারের পাঁচজন কথা বলছে

-> আমরা তো ভেবেছিলাম হয়তো আমাদেরই সবচেয়ে কম সংখ্যা হবে, কিন্তু সিলভার এম্পায়ার তো দেখছি আমাদের থেকে অনেক পিছিয়ে গিয়েছে। 

-> সিলভার এম্পায়ারের হার মেনে নেওয়া উচিত এই সময়ে, তারা একজন নিয়ে কিভাবে টুর্নামেন্ট শেষ করবে?

-> ভালোই হলো, আমাদের এখন আর সিলভার এম্পায়ার নিয়ে ভাবতে হবে না। আমাদের সব গুরুত্ব হার্ট এম্পায়ারের উপরে দেওয়া উচিত এখন।

তাদের কথার দিকে পার্সি কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না। সে তাকিয়ে আছে গেইটের দিকে, এরিনার গেইট দিয়ে কাউকে দেখা যাচ্ছিলো। আর তাকে দেখেই পার্সির মুখে একটা মুচকি হাসি দেখা যাচ্ছিলো।

-> তোমার কি বিষয়টা হাস্যকর লাগছে, সিলভার গিল্ডের নাইট? 

হার্ট কিংডমের একজন রাগে এগিয়ে আসলো পার্সির হাসি দেখে। 

-> অপেক্ষা করো, যেটা লাইভে সিলভার এম্পায়ার সবাইকে দেখিয়েছি সেটা হার্ট এম্পায়ারও দেখাবে। (পার্সি)

* * * * * 

To Be Continued 

* * * * * 

10 comments

  1. গল্প দেন না কেন?
  2. ভাই গল্প কোথায়
  3. Vai at part Kobe diben
  4. Golpo nai kno
  5. Golpo den na kno ?
  6. Vai golpo diben na ?
  7. Vai mone hoy dead hoye gese 😢
  8. ২০ তারিখ থেকে গল্প পাবেন।
    1. ভাইয়া সুপ্রিম বিং এর পরের সিজেন কবে দিবেন ভাই
  9. ভাইয়া ডেমন কিং এর পরের পাট মানে সুপ্রিম বিং এর পরের সিজেন তো এই ডেমন কিং এর পরের পর্ব ৭৫ টা কবে দিবেন ভাই অনেক দিনি তো হ্যে গেসে ভাই
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.